Monday, February 7, 2022

কবিতা || শরৎ কালটা || রানা জামান

 শরৎ কালটা


 


কুকুরের ফাল্গুনে পরিবেশ দুষিত হলেও


ওরা থোড়াই কেয়ার করে


কামড়া-কামড়ি শুরু মাদির দখল নিয়ে; শাদা


মেঘ আকাশে ছন্দ তুলে নাচে হাসে


কথা নেই বার্তা নেই মাঝে মাঝে


ঝপঝপিয়ে অঝোর ধারা নেমে সারমেয়


সঙ্গমে ঘটায় ব্যাঘাত; কাছে কাশবন


থাকলে নরোম স্পর্শে হুটোপুটি


দেয়; শরৎকাল ওদের ফুলশয্যার


আবেশ; সারাবছর ওরা


এরই প্রতীক্ষায় থাকে; অথচ মানুষ


ওদের ক্রিয়া করতে দেয় না শান্তিতে


মানুষ আরো ক্ষ্যাপা হয়ে যায়।


কবিতা || অভিনয় || দীপান্বিতা পান্ডে দীক্ষিৎ

 অভিনয়



যত সব শেখা বৃত্তের কাছে,

বাইরে উল্টো ভেতর সব রঙিন ৷

বইগুলো যত সব পেঁজা তুলো ,

অর্থ গুলো সব মরিচিকা ধান ভাঙতে শীবের গীত ৷

মিথ্যে চুরি কপটতা এগুলো তো মহাপাপ নরকের ধাপ ৷

মহাপ্রসাদে ধুয়ে যায় মনপ্রাণ,

পাওয়া যায় নূতন সুখের সন্ধান |

অনুতাপ নেই কোথাও কোনোখানে

শুধু আদায়ের অধিকার চলে

বঞনার আড়ালে ৷

নির্মম অবিচার |

পাপ বলে কোনো শব্দ নেই এদের অভিধানে ,

শুধু কেড়ে নেওয়া পকেট কে রেখে ঢেকে ৷

নিয়ত চলে মুখোশের অভি নয়,

প্রবল পৌরুষ ছত্রে ছত্রে৷

অথচ

 সত্যের চোখে চোখ রাখাটাই

হল সত্যের পরিচয় ৷

এখানেই সকল মিথ্যা দম্ভের অবসান,

কিন্তু অনুশোচনার আগুনে পুডেও যায়না মিথ্যে দম্ভের অভিমান ৷

কবিতা || নিষ্ক্রিয় ফলাফল || সুব্রত মিত্র

 নিষ্ক্রিয় ফলাফল



অমরত্বের কথা ভেবে পালানোর কথা ভাবি

ভেবে চলি অনাবিল আনন্দের প্রদীপ্ত ছবি খানি

ছুটে যেতে হবে,আবার যেতে হবে না;

হই আনন্দিত বা হই যতই অভিমানী। 


সমুদ্র মন্থনে ভোরেদের ঢেউয়ে ভাসা পাখির ঠোঁটের খড়কুটো হবো

অশ্বত্থ গাছের পাতাখানি ঝরে যাবে আজ

মিটে যায় যদি আজ আমাদের সকল কাজ,

হাওয়ারা আর কথা শুনবেনা

আর কথা বলবেনা রোদ আর মরীচিকা,

মসৃন তৈলাক্ত রোদের শরীরে বনলতার মুখখানি ভেসে আসে;

ভেসে আসে তার গালের কালো তিল । 


সনাক্ত শৈশব প্রদীপ হয়ে জ্বলে

আত্মহারার মাঝে বিষাদের সুর ভ্রমণ;

তোমার যে সেই আমি

নই আজ একটুও দামি,

শুষ্ক আবহের মাঝে আমি যেন একটা মরা গাছ

তোমার প্রত্যাশার কাছে এই সরল সন্ধিক্ষণ এক নিষ্ক্রিয় ফলাফল।

কবিতা || নির্ঘুম রাত || সৌমেন্দ্র দত্ত ভৌমিক

 নির্ঘুম রাত





নির্ঘুম রাত্তিরে বাচাল স্বপ্নেরা বেড়ায় ঘুরে

       অবৈধ অশালীন চাবুক হাতে।

দুই রক্তচক্ষু দিয়ে ওদের ভষ্ম করতে চাইলেও


        সরে না ওরা এক পাও।


এ কোন্ সামন্ততান্ত্রিক নিয়মকানুন!


এ কোন অগোছালো হবু আগুন!


সাঁতরে সাঁতরে সাঁতরে পার হলেও রাত


অকথ্য অবাধ্য স্বপ্নদের হাতে আমার বিধিলিপি


             নিখুঁত সুচারু অঙ্কিত


জেনেবুঝে গুহার ভেতর রাস্তা দেখেই ভাবি


              ভীষণ ভীষণ শঙ্কিত।


মরণপণ সমরে গেঁড়ি গুগলী শামুকেরা


অতি চতুর, ধূর্ত, মুখর,


ওদের স্পর্শ এড়ানো খুব অসহজ-


কেননা নির্ঘুম রাত্তিরে বাচাল স্বপ্নেরা


           অনাবাসী দোসর।

কবিতা || প্ল্যানচেটে বুদ্ধি || অরবিন্দ সরকার

 প্ল্যানচেটে বুদ্ধি

         



বিদ্যাবুদ্ধি নিয়ে দেবীর আসনে সরস্বতী,

          জ্ঞান তার পেটে ভরা,

প্লানচেটে ইতিহাস স্থান কাল পাত্র বদল,

          মহীয়সীর চুরি করা।

রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সেক্সপিয়রের সখ্যতা,

             ধরাকে বদলে সরা,

ঋষি অরবিন্দর পন্ডিচেরীতে দেহত্যাগ,

           পরনে কৌপিন পরা।

আলিপুর জেলে তাঁরে ফাঁসির কাষ্ঠে,

           শহীদ, উক্তি মনগড়া,

তাঁর স্মৃতিতে মনুমেন্ট! কিসের বিজয়?

             শহীদ মিনার ছাড়া।

গান্ধীজির অনশন ভঙ্গ ফলের রসে,

            রবিঠাকুর দেন নাড়া,

লিক্ করা বুদ্ধি বেচে,রচে নব্য ইতিহাস,

            বাঙালীরা হতচ্ছাড়া।

সহজ পথ্য গলাধঃকরণে হজমি বড়ি,

            প্রতিবাদী ভাষা হারা,

বিরুদ্ধারণে নকশাল, হাততালিতে বহাল,

           উচ্চপদে হারু আত্মহারা।

কবিতা || বকুল-কথা || মহীতোষ গায়েন

 বকুল-কথা



বকুল ফুল বকুল ফুল প্রিয় বকুল ফুল

বকুল ফুল বকুল ফুল প্রাণ যে আকূল,

বকুল ফুল দেখতাম খোঁপায় রোজ রোজ

কেন আর বকুলের পাওয়া যায় না খোঁজ।


বকুল ফুল বকুল ফুল হৃদয় ভরা হাসি

সকাল থেকে সন্ধ্যা শুধুই ভালোবাসি,

বকুল ফুল বকুল ফুল মন বাগানের সুখ

পাই না দেখা আর সেই মিষ্টি হাসির মুখ।


বকুল ফুল বকুল ফুল আকাশ ভরা তারা

প্রেম বিহনে উদাসী যন থমকে গতিধারা,

বকুল ফুল বকুল ফুল হিংসা বিভেদ যাক

সুখ শান্তি স্বপ্ন সবাই আবার ফিরে পাক।

কবিতা || আয়নার সামনে মুখ দেখা যায় না আর || তৈমুর খান

 আয়নার সামনে মুখ দেখা যায় না আর 




গার্হস্থ্য বিষাদগুলি আমার একান্ত নিরিবিলি খেয়ে যায় 

আয়নায় মুখ দেখা যায় না আর 

আয়নার সামনে দাঁড়াই প্রাচীন অন্ধকার

 

কতটুকু নীল জ্যোৎস্না ছিল তবে 

রক্তে উচ্ছল স্রোত জেগে উঠেছিল 

দেখি তার কিছু অংশ বাল্য ও যৌবনে 

স্বরলিপি হয়ে বেজেছিল রূপকথা আর গানে

 

আজ পরিত্যক্ত বাড়ি 

প্রদীপ জ্বালায় না কেউ 

শাঁখ বাজানোর সন্ধ্যায় 

পরে না শ্বেতশুভ্র শাড়ি


তবুও অক্ষরবৃত্তে পাক খাই 

বিষণ্ন সঙ্গমে পার হই যুগ 

মৃত কোকিলকে স্মৃতির জাদুঘরে রেখে 

নষ্ট বিব্রত আমি সারাই অসুখ

Sunday, February 6, 2022

২৬ তম সংখ্যার সম্পাদকীয়






অঙ্কন শিল্পী- Dr. Atef kheir




সম্পাদকীয়:




ভাবনাগুলোকে সাক্ষী রেখে সাহিত্য চর্চার ভবসাগরে ডুব দেওয়া যায় সে কথা অনেকেই জানেন। আবার অনেকেই অর্বাচীন। কিন্তু তুমি আমি চাইলেই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের মরচে ধরা বুদ্ধি কে নতুন উদ্যমে কাজে লাগিয়ে দিতে পারি। এইরকম মরচে হীন কবিত্ব বোধ জাগাতে পড়ে ফেলুন আমাদের ও আপনাদের একমাত্র প্রিয় পত্রিকা world Sahitya Adda blog magazine । এটা ই পারে সমাজে ভাষা থেকে ভাষান্তর, শব্দের মায়াজালে বাস্তবতার প্রকাশ ঘটতে। তাই নিজের উন্নয়ন শীল বুদ্ধিমত্তার জন্য পড়ুন আমাদের পত্রিকা world Sahitya Adda ।



                                ধন্যবাদান্তে
                     World sahitya adda সম্পাদকীয় বিভাগ


___________________________________________________

বিজ্ঞাপন:




___________________________________________________



______________________________________________





________________________________________________








Saturday, February 5, 2022

২৬ তম সংখ্যার সূচিপত্র (৩০ জন)


 

সম্পূর্ণ সূচিপত্র:




বাংলা কবিতা ও ছড়া---



তৈমুর খান, মহীতোষ গায়েন, অরবিন্দ সরকার, সৌমেন্দ্র দত্ত ভৌমিক, সুব্রত মিত্র, দীপান্বিতা পান্ডে দীক্ষিৎ, রানা জামান, সত্যেন্দ্রনাথ পাইন, আশীষ কুন্ডু, রবীন বসু, আব্দুস সাত্তার বিশ্বাস, রথীন পার্থ মণ্ডল, 
নবকুমার, নীতা কবি মুখার্জী, মঞ্জুলা বর, চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী, চাতক পাখি।




 
বাংলা গল্প---

সিদ্ধার্থ সিংহ,  ড: রমলা মুখার্জী।

 

 


বাংলা গদ্য তথা রম্য রচনা---


সত্যেন্দ্রনাথ পাইন, সামসুজ জামান।

 



Composition---

Kunal Roy




Poem---

Pavel Rahman.

 




 
Photography---


Amit pal, Nilanjan de, Moushumi chandra, Sohini Shabnam, Dr Atef kheir.

 
_____________________________________________________________

Friday, February 4, 2022

RRb NTPC Main Exam date 2022 || rrb kolkata || Rrb NTPC result || rrb kolkata ntpc main exam 2022 || NTPC RESULT 2022

 



রেলের এনটিপিসি ফল প্রকাশ হয়েছে ১৪ই জনুয়ারি , মেন পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি মাসে




রেলের non-technical পপুলার ক্যাটাগরি (NTPC) এর প্রথম পর্যায়ের যে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল তার ফল প্রকাশ হয়েছে 14 ই জানুয়ারি।


  কলকাতা, মালদা, শিলিগুড়ি সহ সারা ভারতের বিভিন্ন রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের বিজ্ঞপ্তি নাম্বার ০১/২০১৯ এর non-technical পপুলার ক্যাটেগরির প্রথম পর্যায়ের সফল পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফল দেখতে এই ওয়েবসাইটে---

www.RRB Kolkata.gov.in

ক্লিক করতে হবে। ওয়েবসাইটে সফলদের তালিকা পাওয়া যাবে।




প্রথম পর্যায়ের সফল প্রার্থীরা দ্বিতীয় পর্যায়ের 14 থেকে 18 ফেব্রুয়ারির মধ্যে কম্পিউটার বেসড টেস্ট পরীক্ষায় বসতে পারবে। পরীক্ষা শুরুর 10 দিন আগে থেকে মনোনীত প্রার্থীদের এসএমএস বা ই-মেইল করে পরীক্ষার তারিখ ও এডমিট কার্ড ডাউনলোড সংক্রান্ত তথ্য জানানো হবে।



পরীক্ষার্থীরা ই এডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগে থেকে সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে।



লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন হবে সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের স্থানীয় ভাষায়, হিন্দি, ইংরেজি ও উর্দুতে।


এই পদে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল 1 কোটি 26 লক্ষ প্রার্থী।


__________________________________________________



সম্পূর্ণ বিজ্ঞপ্তি পড়তে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন---

https://worldsahityaadda.blogspot.com/2022/01/bsk-new-recruitment-2022-wb-govt-jobs.html


______________________________________________


বিজ্ঞাপন-



Thursday, February 3, 2022

সুজির খাস্তা বিস্কুট কিভাবে বানাবেন || How to make Sujir khasta Biscuit || Recipe - Sujir khasta Biscuit by Saptatirtha Mondal || cooking || রান্নার রেসিপি || Bengali cooking Recipes


 

বিভাগ- রান্না টাও শিল্প


 


*সুজির খাস্তা বিস্কুট*



  উপকরণ : ময়দা,সুজি, চিনি বেকিং পাউডার এলাচগুঁড়ো, নুন, সাদা তেল।


  প্রণালী :  প্রথমেই করায় গ্যাসের উপর বসিয়ে আমরা তাতে কিছু পরিমাণ সাদা তেল গরম হতে দেবো। এরপর একটি পাত্রে ময়দা এবং সুজির পরিমাণ 2 :1 অনুপাতে নিতে হতে হবে। অর্থাৎ যদি দু কাপ ময়দা নেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে এক কাপ সুজি দিতে হবে।

 ময়দা, সুজি, হাফ চামচ বেকিং পাউডার এবং এক চামচ নুন, এক চামচ চিনি খুব ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। চিনি অত্যাবশ্যকীয় নয় যার দিতে ইচ্ছা করবেনা সে তিনি স্কিপ করতে পারেন। চিনি দিলে নোনতা এবং মিষ্টি দুটো স্বাদ ই পাওয়া যায় । খেয়াল রাখতে হবে আমাদের এই উপকরণগুলি যত ভালোভাবে আমরা মিশিয়ে নিতে পারব সুজির বিস্কুট ততটাই মুচমুচে এবং খাস্তা  হবে।

  এই শুকনো মিশ্রণ এর উপর গরম হওয়া তেল এর কিছু পরিমাণ চামচে করে তুলে নিয়ে আমরা ময়েন হিসাবে ব্যবহার করব। এবং খুব ভালোভাবে সমস্ত উপকরণ গুলি গরম তেলের সাথে মেখে নেব এমনভাবে মাখতে হবে মুঠো করে ধরলে যেন একটা দলা পাকানো যায়, এবং সাথে সাথে  সেটা ভেঙে ফেলা যায়।

  তারপর কিছু পরিমান জল দিয়ে গোটা মিশ্রণটা

 মেখে নেব।

 এরপর সেই মিশ্রনটিকে যে যেমন খুশি গোল বা চৌকো আকারে গড়ে নেব।


 পরবর্তী ধাপে কড়াইয়ে বেশি পরিমাণ সাদা তেল গরম হতে দেবো। হাই ফিল্মে তেল গরম করতে হবে,তেল ভালোভাবে গরম হয়ে যাওয়ার পর গ্যাসের ফ্লেম  কমিয়ে সুজির বিস্কুট গুলো পরপর ভাজতে হবে।

*প্রথম শর্ত সুজির বিস্কুট গুলিকে ডুবোতেলে ভাজতে হবে*


• *দ্বিতীয় শর্ত বিস্কুট গুলি কম  আঁচে ভাজতে হবে*

  হাই ফ্লেমে সুজির বিস্কুট যদি ভাজি তাহলে কিন্তু বিস্কুটের রং কালচে হয়ে যেতে পারে, পুড়েও যেতে পারে  এবং ভেতরটা কাঁচা থাকবে।


এরপর ভাজা বিস্কিট গুলিকে আমরা একটি পাত্রে তুলে নেব যদি পারেন বিস্কুট গুলি তোলার সময় আপনারা টিস্যু পেপার ব্যবহার করতে পারেন। পরিবেশনের সময় গরম চায়ের সঙ্গে এটি পরিবেশন করা যায় এবং বাচ্চাদের টিফিনের এই রেসিপিটি তৈরী করে দেবেন তারা ভীষণ মজা করে খাবে।

_____________________________________________



সম্পূর্ণ রেসিপি টি পড়তে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন-

https://worldsahityaadda.blogspot.com/2022/02/how-to-cook-reshmi-katla-recipe-reshmi.html


__________________________________________________

বিজ্ঞাপন-



Wednesday, February 2, 2022

রেশমি কাতলা রান্না কিভাবে করবেন || রেশমি কাতলা রেসিপি || How to cook Reshmi katla Recipe || Reshmi katla Recipe by Saptatirtha Mondal || cooking Fish || রান্নার রেসিপি || Bengali cooking Recipes


 

বিভাগ- রান্না টাও শিল্প


*রেশমি কাতলা*



উপকরণ : পরিমান মত বড় সাইজের কাতলা মাছের পিস নিতে হবে। অবশ্যই এটা নিজেদের পরিবারের সদস্যসংখ্যা হিসেব করে নিতে হবে।


 প্রথমে মাছ  পরিষ্কার জলে ভালো করে ধুয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রাখতে হবে ঘন্টাখানেক ।

 আনুষঙ্গিক উপকরণ হিসেবে লাগবে দুটো বড় সাইজের পেঁয়াজ, আদা, চার কোয়া রসুন, কাজুবাদাম, চারমগজ, টকদই এবং গোটা গরম মসলা যেমন [এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ] কিছু পরিমাণ ধনেপাতা আর সর্বোপরি বড় বড় কয়েকটি কাঁচা লঙ্কা ।


  রান্নার প্রণালী : প্রথমে কড়াইয়ে সরষের তেল দেওয়ার পর তেল গরম হয়ে গেলে বড় সাইজের কাতলা মাছ গুলি একে একে কড়াইয়ে দিয়ে  বাদামি  রং ধরলে ভেজে তুলে নিতে হবে।

( ভাজার সময় খেয়াল রাখতে হবে গ্যাসের ফ্লেম টা থাকবে যাতে মাছগুলো খুব একটা কম ভাজা না হয় আবার যাতে খুব কড়া লালচে না হয় )


 এরপর আমাদের মিক্সার গ্রাইন্ডার মেশিন এ আদা, রসুন কাজুবাদাম, চারমগজ কাঁচালঙ্কা(দুটি ) , দুটো এলাচ একটা দারচিনি কাঠ এবং দুটো লবঙ্গ  ভালো করে পেস্ট করে নিতে হবে।


 পরবর্তী ধাপে আমরা পুনরায় কড়াইয়ে কিছু পরিমাণ সরষের তেল গরম হতে দেব। এবং তাতে সরু সরু করে কুঁচিয়ে  রাখা পেঁয়াজ  বেরেস্তার মতন ভেজে নেবো।

এরপরে যে মসলার পেস্ট বানিয়ে রেখেছি সেটি কড়াইয়ে দিয়ে  ভাল ভাবে কষাতে হবে।

 মশলা কষানোর  মিনিট পাঁচেক বাদে দু চামট সচ টক দই তাতে আমরা দিয়ে দেব এবং পরিমাণমতো নুন হলুদ তাতে অ্যাড করব যদি কেউ রান্নায় চিনি ব্যবহার করেন সে হাফ চামচ চিনি দিতে পারেন।



  (অবশ্যই বাচ্চাদের কথা ভেবে যে যেমন ঝাল খায় ঠিক সেই মত ঝাল দেওয়াটাই শ্রেয়)।


 ভালোভাবে মসলা কষানো শেষ হলে পরে আমরা কিছু পরিমান জল তাতে যোগ করব।


 পরবর্তীতে মিনিট পাঁচেক পরে জল এবং মসলা ভালোভাবে মিশে গ্রেভি তৈরি হয়ে গেলে তাতে ধীরে ধীরে ভেজে রাখা মাছগুলি দিয়ে দেব।


  রেশমি কাতলা তৈরি প্রায় শেষের দিকে এরপরে সমস্ত রেসিপিটি কড়াইয়ে গরম অবস্থায়  2 মিনিট মতো সময় নিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে এবং তাতে আগে থেকে চিরে রাখা কাঁচালঙ্কা এবং ধনেপাতা উপর থেকে মিশিয়ে দেব,

 তারপরে আমরা গ্যাস বন্ধ করে করাই একটি পাত্র ঢাকা দিয়ে রাখব যতক্ষণ না পর্যন্ত রান্নাটা ঠিকঠাক ভাবে সেট হয়  গ্যাস বন্ধ করে দেব।


 রেশমি কাতলা আইটেম আমাদের অলরেডি তৈরি গরম ভাতে পরিবেশনের জন্য এক্কেবারে রেডি।




হেলথ টিপস:


*কাতলা মাছ স্বাদু জলের মাছ এবং ভীষণ উপকারী মাছ আমাদের শরীরের বায়ু-পিত্ত এবং কফ এই তিনটির পরিমাণ কাতলা মাছ কমায় এবং শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে*


  দ্বিতীয়তঃ কাতলা মাছের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের দৃষ্টিশক্তি ভীষণভাবে বাড়ায়।


  *আজকের ডিজিটাল যুগে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব,টিভি, মোবাইল ইত্যাদির ব্যবহার দিনে দিনে বেড়ে চলেছে,সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত এইগুলি আমাদের নিত্যসঙ্গী কিন্তু এর পাশাপাশি উপকারিতা হিসাবে যদি কাতলা মাছের রেসিপি সপ্তাহে তিন দিন রাখা যায় তাহলে তার উপকার অনস্বীকার্য*


  *আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ এর পুষ্টি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন মস্তিষ্ক সহ শরীরের বিভিন্ন কোষের প্রাচীর অর্থাৎ সেল মেমব্রেন গঠন করতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং এই কাতলা মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি আসিড এবং ভিটামিন থাকে যা আমাদের প্রত্যেকের দেহ কোষ এবং মস্তিষ্কের কোষ গঠনে আলাদা আলাদা ভাবে উপকারী*

________________________________________________


বিজ্ঞাপন-



Tuesday, February 1, 2022

উচ্চ মাধ্যমিক পাশে সরকারি হাসপাতালে নার্সিং কোর্সে 10000 আসনে ভর্তি || GNM nursing course || WB Nursing course Recruitment 2022


 


উচ্চ মাধ্যমিক পাশে সরকারি হাসপাতালে নার্সিং কোর্সে 10000 আসনে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি:




রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অধীন বিভিন্ন নার্সিং ট্রেনিং স্কুলে 10000 সিটে ( এ. এন. এম.) ও (জি. এন. এম.) কোর্সে  ভর্তির এন্ট্রান্স পরীক্ষার দরখাস্ত নেওয়া  শুরু হয়েছে।

এই দুই কোর্সে ভর্তির জন্য' জয়েন্ট এন্ট্রান্স টেস্ট 'নেওয়া হবে। এই টেস্টে সফল হলে মেধাতালিকা তৈরি হবে তারপর ইন্টারভিউ ও কাউন্সেলিং।

প্রার্থী বাছাই করবে পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ত্রন্স বোর্ড।


(এ .এন. এম. ) কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে 40% নম্বর পেয়ে যে কোন শাখায় উচ্চমাধ্যমিক পাস তরুণীরা আবেদন করতে পারবেন। উচ্চমাধ্যমিকে ইংরেজি বিষয়ে 40 শতাংশ নম্বর পেতে হবে।

 প্রার্থীদের বাংলা ভাষায় সাবলীল হতে হবে।বাংলা ভাষা লিখতে ও পড়তে পাড়া দরকার। দু'বছরের ট্রেনিং। স্টাইপেন্ড প্রতিমাসে 500 টাকা।

প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পাঁচ বছরের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।



(জি.এন.এম)কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিকের যে কোন শাখায় 40% নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাস ছেলেমেয়েরা আবেদন করতে পারবে। ইংরেজি বিষয় নিয়ে, হেলথকেয়ার সাইন্স নিয়ে ভোকেশনাল শাখায়উচ্চমাধ্যমিক পাশরা মোট অন্তত 40 নম্বর পেয়ে থাকলে আবেদন করা যাবে।

এছাড়াও (এ .এন .এম.) পাশ নম্বর পেয়ে পাস  পাস হিসাবে নাম নথিভুক্ত থাকলেও যোগ্য।


তিন বছরের ট্রেনিং ।এই কোর্সে ভর্তির জন্য ছেলে মেয়ে উভয় প্রার্থীরাই

পশ্চিমবঙ্গে একটানা 5 বছর স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে এই কোর্সে ভর্তির জন্য ।


দুই কোর্সেই ভর্তির ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে  17 থেকে 35 বছরের মধ্যে। অর্থাৎ জন্ম তারিখ হবে ৩১-১২- ২০০৫ এর আগে।

কোন প্রার্থী বয়সে ছাড় পাবে না।

এবছরের যারা উচ্চ মাধ্যমিক  পরীক্ষার্থী (ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছেন) তারাও এই পদে আবেদনের জন্য যোগ্য।

বাংলা ভাষায় যথেষ্ট সাবলীল হতে হবে। বাংলা বলতে লিখতে পাড়ার দক্ষতা থাকতে হবে।

গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা( এ.এন.এম) ও (জি .এন. এম .)কোর্সের জন্য দরখাস্ত করতে পারবেন কিন্তু যারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা নন তারা শুধুমাত্র (জি.এন.এম.) কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

প্রার্থীদের মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট দিতে হবে।


ট্রেনিং শেষে সফল প্রার্থীরা শূন্যপদ অনুযায়ী স্টাফ নার্স পদে চাকরি পেতে পারেন। ট্রেনিং এর শেষে ছয় মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারের স্টাফ নার্স পদে চাকরি পেলে 5 বছর চাকরি করতে বাধ্য থাকতে হবে। আবাসিক কোর্স।


মোট শূন্যপদের মধ্যে তপশিলি জাতির জন্য 22 শতাংশ ,তপশিলি উপজাতির জন্য 6 শতাংশ ,এবং ও.বি.সি' এ'ক্যাটাগরি প্রার্থীদের জন্য 10% ,ও.বি.সি. 'বি'ক্যাটাগরি প্রার্থীদের জন্য 7% ,সিভিল ডিফেন্সের কর্মরতদের জন্য 2.5%  আর অনাথ, দু:স্থ মহিলাদের জন্য 2%আসন সংরক্ষিত থাকবে।


প্রার্থী বাছাই করবে পশ্চিমবঙ্গ জয়েন এন্ট্রান্স বোর্ড।''common entrance test for ANM (R) and GNM course 2022 'এর মাধ্যমে।

এই কম্বাইন্ড টেস্ট হবে 11 জন ও 12 জুন , বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত।


পরীক্ষা হবে এই সব কেন্দ্রে সেন্ট্রাল কোলকাতা, উত্তর কলকাতা, সল্টলেক, নিউ টাউন, পশ্চিম কলকাতা, জিয়াগঞ্জ, মালদা, বসিরহাট, ব্যারাকপুর, অশোকনগর, রঘুনাথগঞ্জ, আসানসোল, গড়বেতা, জয়নগর, কাঁথি, তমলুক, বারুইপুর, বাঁকুড়া,  বর্ধমান, শ্রীরামপুর, ঝাড়গ্রাম, জলপাইগুড়ি, উলুবেড়িয়া, কালিংপং।

বালি,সালকিয়া , উত্তরপাড়া, ডোমজুড়, আরামবাগ, শিলিগুড়ি, বালুরঘাট ।


সময় থাকবে দেড় ঘন্টা। প্রশ্ন হবে ইংরেজী ও বাংলা ভাষায়। উত্তর দিতে হবে ওএমআর সিটে।

এন্ট্রান্স টেস্ট এ পাওয়া নম্বর দেখে চূড়ান্ত মেধাতালিকা তৈরি হবে। প্রত্যেক প্রার্থীই rank card ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারেন। তবে সকল প্রার্থী কাউন্সেলিংয়ে ডাক পাবেন না।

এডমিট কার্ড ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

দরখাস্ত করবেন অনলাইনে ২৮শে জানুয়ারির মধ্যে এই ওয়েবসাইটে--

WWW.wbjeeb.in,

www.wbjeeb.nic.in  



এই জন্য বৈধ একটি ইমেইল আইডি থাকতে হবে।

দরখাস্ত করার আগে পাসপোর্ট মাপের রঙিন ফটো (২০-২০০ কেবির মধ্যে) ও সিগনেচার (২০-২০০ কেবিরর মধ্যে)।

বয়স ,শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাস্ট সার্টিফিকেট , স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেট(৫০-৩০০ কেবিরর মধ্যে)। যাবতীয় সার্টিফিকেট পিডিএফ ফরমেটে স্ক্যান করতে হবে। এই সমস্ত প্রমাণপত্র স্ক্যান করে নেবেন।


  প্রথমে ওপরের ওয়েবসাইটে গিয়ে নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর এপলিকেশন নম্বর ,আইডি ও পাসওয়ার্ড পাবেন। সে টি  নিজের কাছে লিখে রাখবেন। তারপর স্ক্যান করা যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাবমিট করলেই নাম রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে।

এরপর পরীক্ষার ফি বাবদ 400 টাকা জেনারেল প্রার্থীদের ক্ষেত্রে আর তপশিলি, ওবিসি, অনার্স দু:স্হ শ্রেণীর প্রার্থীদের জন্য 300 টাকা নেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে জমা দেবেন।

টাকা জমা দেওয়ার পর কনফার্মেশন পেজ ডাউনলোড করে রাখবেন। ও প্রিন্ট করে নেবেন। আরো বিস্তারিত তথ্য পাবেন এই ওয়েবসাইটে-----controller of examination, West Bengal joint entrance examination board, AQ13/1, sector- v,

Salt Lake City, Kolkata--700091 ,

Phone number--18001023781,18003450050,

Email--info@ wbjeeb.in.


__________________________________________________



সম্পূর্ণ বিজ্ঞপ্তি পড়তে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন-


https://worldsahityaadda.blogspot.com/2021/12/bsk-new-recruitment-2022-wb-govt-jobs.html