Monday, March 7, 2022

কবিতা || নিভন্ত প্রতিবাদী || রাজীব দত্ত

 নিভন্ত প্রতিবাদী




আমারও কিছু চাওয়ার আছে,


আমি হতে চাই অন্ধ,


আমি হতে চাই বোবা,


আমি হতে চাই কালা,


এই ছলনাময় সমাজের,


আমিও একটা জড় পদার্থ।


শিরদাঁড়া গুলো কবে যে ভেঙ্গে গেছে


কবে যে হারিয়ে গেছে মনুষত্ব।


চারিদিকে শুধু মিথ্যে আর বঞ্চনা


চারিদিকে শুধু অসহায়ের কান্না।


প্রতিটা রাতে প্রতারিত হয়,


মানুষ নামক জন্তুর বিবেক আর চেতনা।


হ্যাঁ আমি চাই বোবা কালা অন্ধ হতে,


যাতে শুনতে না পাই সব অন্যায়,


যাতে শুনতে পাই খুনখারাপি আর ধর্ষণ,


সবকিছুতেই অর্থের প্রলোভন।


প্রতিবাদীরাও মরে যায়,


অর্থের ক্ষমতায়।


আমি তো কেবল চুনোপুটি


হারিয়েছি শিরদাঁড়া আর দাঁত কপাটি।


তাই আমি আবারও চাই,


বোবা কালা আর অন্ধ হতে,


যাতে আবার না সামিল হই ঐ রক্তমাখা প্রতিবাদে।



কবিতা || দরজা বন্ধ || আশীষ কুন্ডু

 দরজা বন্ধ 




আজ শুধু ভাবনারা ভালবেসে বলে-


দেখো চেয়ে-



দরজাটা বন্ধ, ওপারে ভিড়


কথার, শব্দের প্রজাপতির 


ব্যঞ্জনাময় ,এ বেপথু মনের 


আলো ফাঁক চুঁয়ে আবেগের !




দরজা বন্ধ, এপারে অভ্যাস 


সময় থমকে , মনের দাস


তমসায় হয়ে গেছি নিমগ্ন


বাদী করাঘাতে,মনটা বিপন্ন !




ওপারে অনড় অতীত পড়ে 


বন্ধ মন রেখে বিকল করে


শব্দের খাঁচায়, নেই জানলা


বিবর্ণ চিঠি রয়েছে খোলা! 




এখন পৃথিবী হয়নি শীতল


গভীরতা অসীম,মনের তল


ভেঙ্গে যাক এই মনদুয়ার, 


জীবন, যৌবন সব অসার।

কবিতা || ছলছল অমর পাথর || সৌমেন্দ্র দত্ত ভৌমিক

 ছলছল অমর পাথর 




আততায়ী চাঁদ বিছানার ওপর লুটোপুটি খায় 

অসংযমী ভদ্রতায়


 অসুখের ছায়া আরো গভীর,গভীরতর 


বিরল প্রতারকের এমন 


অপার মধুর হাসির বন্যায়। 

সুন্দর প্রাকৃতিক দান তাই বিবর্ণ, 

মৃত্যুখাদে জীবন্ত প্রতিছব্বি প্রতিদিন 


ঘোলাটে হৃদয়ের অস্পষ্ট কর্নিয়ায়। 

ছলছল ভাষা অবিরাম কথায় কথায় 

বিষন্ন পামরের ভূমিকায়। 

কবিতা || নাগপাশ ফেলে || বলাই দাস

 নাগপাশ ফেলে  


 




বাঁকাচোরা পথ জোয়ারের ঢেউয়ে নিঃস্ব হলেও স্বাগত 


তুমিতো একাই মাতিয়ে রাখো ধরিত্রীর হৃদয়, আবার কাঁদাতেও---


প্রেমের মাঝে লুটোপুটি-- তখন খিল্ খিল্ হেসে ওঠে বাতাস কৃষ্ণচূড়ায়। 


চৈত্রের পোড়ামাঠ, মরুস্থলি, থরেরও থাকে একটা সৌন্দর্য-- মাধুর্য---


এতকিছুর পরেও হৃদয়তো পেতে চায় একটি প্রস্ফুটিত গোলাপ


প্রিয় ভালোবাসার কাছে সবকিছুই হারমানে বসন্তের ছোঁয়ায়। 




ওই সরমিন্দা চাঁদও মেঘের কোলে ডুবতে ডুবতে বেঁচে ওঠে 


সত্য--সুন্দরকে ভালোবেসে--    


যে দিয়েছে হাজার আঘাত তবুও তার জন্য প্রার্থনা, বৃষ্টির একফোঁটা স্বচ্ছ ফটিকজল, অথবা সঙ্গতিপূর্ণ বাষ্পীভূত শিশির পড়ুক ঝরে...

কবিতা || মুখ বদলায় না || উদয়ন চক্রবর্তী

 মুখ বদলায় না 





মিথ্যে কথার ফুলঝুড়ি


আর প্রতিশ্রুতির সুনামিতে


ভেসে যাচ্ছে ইতিহাস -



মৃত্যু সেতো একটা ভাগশেষ


মেমরিতে সংখ্যা হয়ে শুয়ে থাকে


সেখানে খুঁজে দেখা সত্যটা ধূসর


ক্ষমতার জীবাষ্মের বালুচরে




বর্তমান সমুদ্রের আস্ফালন বারংবার


বলে চলে অতীত চিত্রনাট্য রামধনু এঁকে আকাশ রূপ বদলায় বারবার


রাজা বদলায়-মুখ বদলায়


রাজনীতি তার মুখ বদলায় না


রাজার পোষা সরীসৃপ শ্বাপদেরা


পাল্টে নেয় শিবিরের ছাউনি।

কবিতা || ফুল ছিলো না, ছিলো না কবিতাও || ওমর খালেদ রুমি

 ফুল ছিলো না, ছিলো না কবিতাও



দু’জনে অনেক হাঁটলাম

এই প্রোগ্রামটা ইঠাৎই হলো


সবটুকু তোমার দয়া

কখনও ভাবিনি এভাবে সকাল সকাল ডেকে নেবে

এ যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি


অতোটা প্রেমিক আমি 

যতোটা সড়কের লোকজন ভাবে


মূলত মানুষ যতোটা না সুখ


তার চেয়ে বরং অন্যরা একটু বেশীই ভাবে

কল্পনায় সুখ অনেক




কিন্তু আজ ব্যাপারটা অন্যরকমই হল


তুমি ডেকে নিলে তাই

আশা ছিলো একদিন আমিই তোমায় ডাকবো


আমার হাতে থাকবে কবিতার বই


তোমার খোপায় গোঁজা গোলাপ


তারপর নিরবচ্ছিন্ন হেঁটে চল


এ নগর দেখবে একবিংশ শতাব্দীর শেষ প্রেমিককে


অবলীলায় হেঁটে যেতে


এতো কথা বলার কি দরকার?


দরকার একটু আছে বটে


প্রত্যহ সকাল হয় প্রত্যহ বিকাল




প্রতিটি রাতে যদিও পূর্ণ জ্যোৎস্না হয় না




তবু আজকাল বুকের ভেতর জ্যোৎস্নার বড় আকাল




তোমার সুগন্ধি মাখানো চুলের ঘণ অরণ্যে




যে বাতাস খেলা করে ফেরে




তারপর যখন তারা মাতাল হয়




একশো একটা প্রেমিক ছুটে আসে




পৃথিবীর প্রথম প্রেম

কানায় কানায় ভরে দেয় তার পেয়ালা


আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখ

অন্ধ কবি হোমার বীরদের গাঁথা গাইতে গাইতে

এইমাত্র বাংলা একাডেমীর চত্বর অতিক্রম করল


আর আমরা তখন ও


টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পায়ের কাছটাতে বসে

একদল পিঁপড়াকে মিছিল সহকারে যেতে দেখছি


নুন আর লবণ একই বস্তু কিনা

আজকাল এসব নিয়ে বড়ই তর্ক হচ্ছে


একজন দারুণ জ্ঞানী এইমাত্র ছিড়ে ফেললো

একজন বয়স্ক লোকের কোট


সেই কোটের বোতামগুলো সোনার ছিলো

মার্কস এঙ্গেলস লেনিন হাহাকার করে উঠল


সাম্যবাদের তবে এই চেহারা

কোথাও পতন নেই


তবু ভাঙ্গনের শব্দ শুনি কান পাতলেই

যারা ওপারে গেলো তারা বাঙ্গাল হলো বটে


বিহারীরা তো তবে একটা কিছু না হয়েই রয়ে গেল

পরাজয় আর দুর্ভাগ্য কখন যে কাকে তাড়া করে


সে কথার কিছুই আগাম বলা যায় না


আমি সহস্র পাতার একটি কবিতা লিখতে চেয়েছিলাম


এখন দেখছি সহস্র লাইন জোগাড় করাই কঠিন

মাটির টুকরোগুলোকে যারা অমৃতে ভরা বিস্কুট ভেবে খায়


তাদের ক্ষুধার চেয়ে নির্বুদ্ধিতাকেই বড় করে দেখা হয়


সবাই হাততালি দিলো


কারণ এইমাত্র একজন নেতা


একটি ছোট্ট বক্তৃতা শেষ করলো ... ঠিক তার পরই অন্তর্হিত হলো


একটি বুলেট তাকে শহীদের মর্যাদা এনে দিলো


আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এ দৃশ্য দেখলাম


তোমার খোপায় গোলাপ নেই


আমার হাতে নেই কবিতার বই


সাপ আর বিচ্ছুদের রাজত্বে


একটি মৃত হরিণের শরীর


ঠিক ততক্ষণই পড়ে থাকে


যতক্ষন সময় লাগে ব্যাক্টেরিয়ার তাকে পঁচাতে

এ লাশ জানি কেউ নেবে না

না এ মাটি


না এ জল


সাহসী যারা তারা চলে গেছে সেই কবে


আমি শুধু তাদের গোঙানিটাই শুনেছিলাম


যারা অসহায় যারা মলিন যারাবিবর্ণ


খুশী হওয়ার মতো কোন উপলক্ষ্য তাদের জীবনে আসেনি


আজকাল জিডিপি নিয়ে খুব কথা বলা হয়


ভাবনা চলছে মাথা পিছু আয় নিয়েও


এসব যে শুধু সংখ্যা তা কে কাকে বোঝাবে


আমাদের যেতে হবে বহুদূর


অনেকগুলো সুন্দর সকাল


অনেকগুলো আনন্দঘণ বিকেল


এক সুঁতোয় বাঁধতে পারলে তবেই না স্বাধীনতা

আমাদের কাঙ্খিত সকালগুলো এখনও আসেনি


আমাদের সোনালি বিকেলগুলো এখনও অধরা


তোমার বাহুর বন্ধনে বাঁধা পড়ার প্রত্যাশী

অজ যুবককে  আমি দেখলাম চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে


তোমার আগুনে পোড়ার জন্যে প্রস্তুত


অনেকগুলো পতঙ্গকে আমি দেখলাম এক জায়গায় জড়ো হয়েছে


আহা! কতোই না ভালো হতো


যদি আমিও তাদের একজন হতাম


তাহলে হয়তো এরকম একটা আস্ত নগরী


আমার হাঁটতে হতো না তোমাকে পাশাপাশি নিয়ে

প্রেমিক না হওয়ার শর্তেই তো


তুমি আমায় বিশ্বাস করেছিলে


তারপর কতো দুর্ভোগ পোহাতে হল


আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপে


আমরা এক একজন তীব্র দার্শনিককে


পেছনে ফেলে সামনে আগালাম


খসরুর কবিতা, গালিবের শের


হাফিজের গান আর খৈয়ামের রুবাই


আহা কতো মধুর ছিলো তানসেনের সু

পৃথিবীর প্রথম পাথর যেদিন

মাটি ফুঁড়ে বাইরে বেরিয়ে এলো


সেটাই ছিলো তার প্রথম চোখ


সেই চোখে সে যা কিছু দেখেছে


একে একে সব হয়েছে পাথর


আমাদের ভরসাগুলো ক্লান্তিতে



Sunday, March 6, 2022

কবিতা || যথোচিত কর্ম || পাভেল রহমান

 যথোচিত কর্ম






“দিবসে চন্দ্র সূর্যের চেয়ে অধিক উজ্জ্বল”


-সম্মান বা বাঁচার লোভে এ কথা না বল।


খানিক ক্ষণে মিথ্যা বলায়


বহু প্রাণ রক্ষা পায়;


কিন্তু হালাল নহে সকল মিথ্যা সবসময়।


প্রিয়কে নয়, নিজেকে বাঁচাতে


মিথ্যা বলা না যাবে কোনো মতে;


তবে বন্ধু, প্রিয়কে বাঁচাতে মিথ্যা বলো নির্দ্বিধায়।

কবিতা || আমি একটু বসতে পারি তোমার পাশে || আব্দুস সাত্তার বিশ্বাস

 আমি একটু বসতে পারি তোমার পাশে





আমি একটু বসতে পারি তোমার পাশে,


বৈকালি হাওয়ায় সবুজ ঘাসে?




নীচে নদী প্রবহমান


ক্ষতি কী, যদি ঘটে যায় কোন অঘটন;




তোমার বাদামি চুল আর নীল চোখ


শুষে নিতে পারে আমার সব শোক।




আমার যত কাতরতা যত আর্তনাদ,


তুমিই চেপে রাখতে পারো বুকের খাদ।




তোমাকে আমার মনে হয়েছে সেই নারী


তাইতো আমি তোমাকে নিয়ে এইসব কল্পনা করি।




আমি একটু বসতে পারি তোমার পাশে,


বৈকালি হাওয়ায় সবুজ ঘাসে?

কবিতা || গুটি পোকা তবু স্বাপ্নিক || চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী

 গুটি পোকা তবু স্বাপ্নিক






আমি নিজেই নিজের সামনে দাঁড়াই


এর চেয়ে স্বচ্ছ আয়না বাজারে কোথায়?


যে দগ্ধ হতে হতে শিখেছে হাসির সোহাগ


তাকে দেখাতে এসো না দানবীয় ভয়।


কষ্টের নদী জলে সাঁতারে পেরোনোর সাহস


হাতের তালুতে নাচায় না পাওয়া বেদনার শোক।


মনের ভেতর গুটি পোকা তবু স্বাপ্নিক


প্রজাপতি হবার বিমুগ্ধ বাসনায়


একবিন্দু মধু যদি পাই


সেই তো জীবনের সার্থকনামা। 

কবিতা || পুরুষ তুমি || বন্দনা বিশ্বাস

 পুরুষ তুমি








আমি নারী, আমি প্রকৃতি, আমি সর্বংসহা


আমার আছে অফুরন্ত ধন ভান্ডার


পুরুষের অহমিকা আমাকে দগ্ধ করে


পুরুষ, একবার আমার দিকে তাকাও


আমি নিঃস্ব হতে চাই ,সম্পুর্ন নিঃস্ব


একবার আমাকে তোমার পাশে নাও


মুহুর্তে আমার সব আভরণ উন্মোচিত হবে


রানীরূপ খোলস ছেড়ে হবো সেবাদাসী






প্রকৃতি পুরুষের মধ্যে নিজেকে খুঁজে পায়


যে প্রকৃতি, নারী, মা, কণ্যা, সেই 


পত্নী


পুরুষ তুমি আমাকে চিনতে শেখো


নারী সব উজাড় করে দিতে জানে


তুমি এসো হৃদয় দিয়ে গ্রহন করো


সেদিন আগুনে , অ্যাসিডে, মর্মদাহে পুড়বে না নারী ।

কবিতা || চিরনিদ্রায় ডিসকো কিঙ্ || রানু রায়

 চিরনিদ্রায় ডিসকো কিঙ্ 




বাপ্পীর গানে কোমর নাচানো

সবাই কে করেছে মাত

বস্তি থেকে পানের দোকান

এলিট সমাজ ও কুপোকাত।

তবলার তালে ঠোকা মেরে

গানের জগতে আজ

রক সঙ্গীতে পা রাখলে তুমি

নিয়ে নতুন সাজ।

পূজো হোক বা পার্টীর কোলাহল

সব জগতেই আছো তুমি

হয়নি তাই বিফল।

ডিসকো ডানসার থেকে

কলকাতার রসগোল্লা,

অসম সব স্থানেই

তোমার সাবলীল পদচারণা।

চলে গেলে তুমি আমাদের ফেলে

সঙ্কটে সঙ্গীত জগতে

অমৃত ধামে বসেছে কি আজ

গানের জলসা ঘর ।

শেষ কথাই তো তুমি বলেছিলে

কভি আলবিদা না কহে না-----

মৃত্যুই এক চরম সত্য

বিচার করে না 

রাজা না ভৃত্য।

কবিতা || কথা দিলাম || জয়িতা চট্টোপাধ্যায়

 কথা দিলাম




তোমার আমার মাঝের সাঁকোটা নড়বড়ে হয়ে গেছে দীর্ঘ অবহেলায়, তাই হয়তো পৌঁছতে পারছি না


তোমার কাছে, যেদিন সব উপেক্ষা নির্মূল হবে


সব দুঃখ, অভিমন ভেসে যাবে নদীর জলে


সেদিন অনায়াসে তোমার কাছে পৌঁছে যাবো


সমস্ত জঙ্গল ভেঙে, কাঁটাগাছ পেরিয়ে


বন্যার জল উপেক্ষা করে খরায়


ক্লান্ত হয়ে নিশ্চয়ই প্রিয় তোমার কাছে পৌঁছে যাব।

কবিতা || ফিরিয়ে দাও শৈশব || অশেষ গাঙ্গুলী

 ফিরিয়ে দাও শৈশব


            




ফিরিয়ে দাও শৈশবের

ওই হাশিখুশি দিনগুলো।


যখন ছিল না মনে জটিলতা আর হিংসার অবশেষ।


ফিরিয়ে দাও শৈশবের খোলা মাঠের প্রন্তর


আমার যেখানে প্রানখুলে নিতে পারতাম নিঃশ্বাস।


ফিরিয়ে দাও সহজ - সরল মন যা বুঝত না


সমাজ জটিলতা আর কঠিন মনোভাব।


ফিরিয়ে দাও ছোটবেলা র অবুঝ মনকে


জীবন এত কঠিন তা বুঝত না।


জানত না জীবনের চরম দুঃখ গুলো


শিশু মন শুধু জানত আনন্দ নিয়ে বয়ে


চলে যে সবার জীবন।


ফিরিয়ে দাও শৈশবের হাসি আর আনন্দের দিন গুলি


যা পরিস্থিতি র দূর্বিপাকে হয়েছে মলিন।


ফিরিয়ে দাও শিশু মনে কুঃসংস্কার হীন মনগুলো


আজ সংস্কারে চাপে হয়েছে বন্দি অন্ধকারে।


  যে মনে ছিল না হিংসা - বিবাদ আর অহংকারের চিহ্ন।


যে মনে সন্দেহ বলে ছিল না


ছিল না অন্ধকারাচ্ছন্ন মনোভাব।


সে জীবন আমি ফিরে পেতে চাই গো বারবার।