কবি সোনালী মীর -এর একটি কবিতা

 নিভন্ত এক কবিকে



কবে থেকে শুরু হয়েছিল শাব্দিক খেলা

তারপর মাঠে ঘাটে নেমে এল বেলা

নদীর বালি করল চিকচিক

বনে বনে জোনাকির ঝিকিমিক

আর ফুলেদের ঢুলঢুল

ঘর ফিরতি চিল শামকুল

ওপারে মেচেতার ভুঁয়ে ঘাস

হৃদয় কলোনিতে দুখ পরবাস


কবি ফিরে এল এপারে

আঁধারের দেবতারা চারধারে

ওপারে বাতাসের প্রতিধ্বনি,

কবি নদী জলে ধুয়ে নিল পা খানি

কাদা মাটি লাগা দুখভোগা,

এই নদী চেনে তাকে।দিনজাগা

সূর্যের মুখে রক্ত;আমিও তোমাকে চিনি

কবিতার হাটে তোমার বিকিকিনি

এখন নেই আর;তবুও মেঠোফুল ছাড়েনি

তোমাকে;হেরে যাওয়া উজ্জ্বল চোখের চাহনি

শান্তিনিকেতনী ব‍্যাগে ছেঁড়া স্বপ্ন,কালো পেন

কবিতার খাতা,ভাবনার সাথে লেনদেন-

তৃষিত ওরা।দারুন অসময়

পাহারাদার অলীক জ‍্যোৎস্নার ছায়ায়।

জল খুঁজছে তোমায় কবি...পিছল পিছল

পিছল নদীপথ,পিছল ঘাটে বাসন্তী আঁচল

কোন্ রমনী বসে সেসব তোমার দেখতে নেই।

ক্ষয়াট জুতোর সুকতলার ঘুম নেই;


ঘুম চাও তুমি গভীর ঘুম?

নিরালা এই নদীর ধারে বিক্ষতমনা নিঃঝুম


তবে বয়ে যাও জলঙ্গীর কালো জলে ভেসে

বয়ে যাও সেই খোলা সাগরের দেশে

যেখানে কেবলি ফেনায়িত সাদা ঢেউ 

শরীরে মোড়া জলের পোশাক,খোঁজ রাখেনা কেউ।

Comments

Popular posts from this blog

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩০ || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র || World Sahitya Adda Sarod sonkha 1430

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩১ || Sarod sonkha 1431 || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র