লেখক তীর্থঙ্কর সুমিত -এর একটি গদ্য
নদী কথায় ভেসে যায় ........
(১৭)
যে পথটা বেঁকে গেছে,সে পথটাই সবথেকে সোজা ছিল।হাত পা ছড়িয়ে যে গাছটা দাঁড়িয়ে আছে,তার কখনো মাতৃত্বের অভাব হবেনা।এক দুইয়ের হিসাবে কত বাঁকা পথ কাছে এসে আবার সোজা হয়ে উঠেছে।এভাবেই বেঁকে যাওয়া নদী সাগরে মেশে।আর মাতৃত্বের দাবি নিয়ে কাছে এসে গল্প শোনায়।যে গল্পে একেকটা নদী একটা মা হয়ে ওঠে।শাসনে শাসনে ভরিয়ে দেয় মুহূর্ত।আর আমি তাকিয়ে থাকি বহমান স্রোতের দিকে।
সেই স্রোত তাই আমায় ভালোবাসার গল্প শোনায় ।
নদী কথায় ভেসে যায় ...........
(১৮)
কিছু কথা অবশিষ্ট থেকে যায় বরাবর।কোনো কথার ই শেষ হয়না।প্রতিটা কথা থেকে নতুন কথার জন্ম হয়। তাই প্রতিটা মুহূর্তই নতুনের সংলাপ।অবশিষ্ট মুহূর্তে বেঁচে থাকার রসদ যোগায় বাকি থাকা কিছু কথা।যে কথা একেকটা গোলাপের জন্ম দেয়।যে গোলাপ থেকে সৃষ্টি হয় ভালো থাকার লড়াই,ভালো থাকার গল্প,আর ভালো থাকার এক একটা মুহূর্ত।এভাবেই নদী কথার গল্প শুনি প্রতিদিন।
Comments