Sunday, July 30, 2023

উচ্ছিষ্টভোগী - আনন্দ গোপাল গরাই || uchistobhogi - Ananda Gopal Garai || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

 উচ্ছিষ্টভোগী

আনন্দ গোপাল গরাই



খাবারের সারগুলো চিবিয়ে চুষে নিয়ে

ফেলে দেয় ছোবড়াগুলো

তাই নিয়ে পরম সুখে খাও তোমরা

রাস্তার কুকুরের মতো। 

আহা, কী তৃপ্তি! 

ওরাই লেলিয়ে দেয় তোমাকে

তোমারি ভাই এর সাথে

ওদের আসনটাকে 'সেফ' রাখার জন্যে। 

ওরা তো জানে----

চুপ হয়ে যাবে তোমরা

একটুকরো কষা মাংস পেলে

মালের সাথে মৌজ জমাবার জন্যে। 

বড়জোড় আর একটু বেশি---

কোনো সুন্দরী ললনার

একটুখানি সান্নিধ্য ক্ষণিকের জন্যে। আহা, কী তৃপ্তি! 

রক্তবীজ - গোবিন্দ মোদক || Roktobij - Gobinda modak || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

 রক্তবীজ 

গোবিন্দ মোদক 



রক্তবীজ! রক্তে খেলা করে অহর্নিশ।

আক্রোশে প্রবল, দুরন্ত! 

গড়ে তোলে প্রতিশোধের সাম্রাজ্য।

ঔদ্ধত্য আর দুর্বিষহ স্পর্ধা চামর দোলায়। 

পতাকা ওড়ে প্রতিহিংসার। 

রাজ্যপাট জুড়ে রক্ত-রণদামামা বাজে। 

বাজে তূর্য, ভেরী, কাড়া-নাকাড়া!

ফুলের কোমলতাকে 

অঙ্গার বানাবার সমূহ আয়োজন সম্পূর্ণ। 

প্রবল আস্ফালনে হাসতে থাকে রক্তবীজ!

এক .. দুই .. তিন .. শত .. সহস্র .. রক্তবীজ। 

কেউ কি আছো?


কোনও ছিন্নমস্তা অথবা কোনও করালবদনী??

আমাদের সব আছে - তীর্থঙ্কর সুমিত‌ || Amader sob ache - Tirthankar Sumit || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

   আমাদের সব আছে

         তীর্থঙ্কর সুমিত




আমাদের সব আছে

পাঁচ টাকা, দশ টাকা, কুড়ি টাকা

একটাকা - দু টাকার হিসেব রাখিনা

টালির চালে যখন সূর্যের আলো পড়ে 

মনে হয় একশো বিদ্যুতের ঝলকানি

কি বলবো নীলিমা তোমায়!

সে এক দারুণ অনুভূতি

ডোবা কখন নদী হলো

সবুজ কখন কংক্রিট হলো

আলো কখন অন্ধকার হলো

আর তুমি...



আমি এখন ক্যাকটাসের সন্ধি খুঁজি।

নীরব থেকেছো আমার রক্তক্ষরণে - অসীম কুমার সমাদ্দার || Nirob Thekecho amar Rokto khorone - Aasim Kumar Samadar || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

 নীরব থেকেছো আমার রক্তক্ষরণে

                          অসীম কুমার সমাদ্দার



সেদিন তুমি কেন নীরব থেকেছো আমার রক্তক্ষরণে !

পাশ দিয়ে মিশে গেলে জনতার স্রোতে ইতিউতি চেয়ে

এ ওকে দেখালো আবার ও অন্যকে উত্তেজিত হয়ে

সেদিন বুঝেছি মানুষের যন্ত্রনাবিদ্ধ মুখচ্ছবির মূল্য কিছুটা হলেও মোনালিসার ছবির থেকে বেশি

 যেভাবে সময়ের জবুথবুতা বারবার গ্রাস করে তোমাদের ঈশ্বরকে এবং সর্বস্বান্ত করে বিনা কারণে , সেভাবে শেষে উদ্দেশ্যহীন হয়ে পিছু হটে কিন্তু গুলিয়ে দেয় 

জীবনের ধারাপাত নিশুতি রাতের এক পার্থিব স্বপ্নে ,

 যদিও দ্রুত এগোলেও মুখ থুবড়ে পরো একদিন ।


এই জীবন গুবরে পোকা - আসরাফ আলী সেখ || Ei jibon gubre poka - Aasraf ali sekh || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

 এই জীবন গুবরে পোকা 

            আসরাফ আলী সেখ



চামড়াগুলো 

খসিয়ে দিয়ে উল্লাস দেখলাম

শুধুমাত্র 

   একটা অসহায় আত্মার আর্তনাদে সাড়া দিতে গিয়ে 


   আকাশ 

কানে আঙ্গুল দিয়ে মেঘগুলো জমিয়ে রাখতে 

     ভেসে যাচ্ছে 

পাঞ্জাবি দরজা জানলা 

ভেসে উঠছে 

দাদা-দাদিদের মেলে দেওয়া স্বপ্নগুলো 


অট্টহাস্যে হেলান দিয়ে সময়ের চেয়ার 


চকহাতে 

ব্ল্যাকবোর্ডের আলোর স্বপ্নে ঢেলে দিয়েছে রক্ত

অন্যের হাতে হাত দিয়েছে প্রিয়া এই সময় 

ক্লীবের চেয়েও ক্লীব

মাটিতে 

গগিয়ে শৈশব অলৌকিক



 এই জীবন গুবুরে পোকা

একটি অস্থির চিত্ত যুবক - সুশান্ত সেন || Ekti Aasthir Yuvak - Susanta Sen || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

 একটি অস্থির চিত্ত যুবক

              সুশান্ত সেন


পারি না কোনই কারিকুরি

পারি না হাঁটতে সমাজে

চাই ত থাকতে নিজের মনেই

মন নেই কোন কাজে।


তাই ত গেলাম লেহ ও লাদাখ

এবং অমরনাথ

তিরুপতি ও সালেম গেলাম

অনেক ঘাত ও প্রতিঘাত।


অস্থির মন অস্থির কাল

কি হবে ভবিষ্যতে

ভাবনা ভাবনা ভাবনা কেবল

দিন চলা কোন মতে ।




Sunday, July 23, 2023

উপন্যাস - পদ্মাবধূ || বিশ্বনাথ দাস || Padmabadhu by Biswanath Das || Fiction - Padmabadhu Part -45


 

ওকে ভর্তি করার পর জ্ঞান ফিরেছিল ঘন্টা খানেকের মধ্যে। রমার জ্ঞান ফেরার পর সে বাড়ী ফিরেছিলো একমাত্র তার অসুস্থ পিতার জন্য। এখন রমা কেমন আছে


তার চিন্তাতেও তার মনটা চঞ্চল। নার্সিংহোমের চার্জ বেশী। ওরাতো টাকা ছাড়া কথা বলে না। ওদের কাছে ধনী ও গরীবের বিচার্য্য নয়। জয়ন্তর ভাগ্যে দুঃখ ছাড়া আনন্দ নেই। ওরা টাকা ব্যাতীত কোন কথা শুনবে না। কত টাকা যে বিল হবে ঈশ্বর জানেন।

হঠাৎ কুশল বাবুর কণ্ঠস্বরে সম্বিত ফিরে এলো। তিনি বললেন, এখনো কত দূর

বাবা ?

জয়ন্ত নম্র কণ্ঠে বলল, বেশীদূর নয়।

হ্যাঁরে জয়ন্ত, মেয়েটি চন্দ্রার মতোই দেখতে?

জয়ন্ত পুনরায় বলল, যমজ বোন ছাড়া কেউ ধরতে পারবে না । মেয়েটির খুব চোট লেগেছে নাকি?

লেগেছে তবে

কি হলো চুপ করলি কেন ?

বিপদ জনক নয়।

তোর কাছে ওর চেহারার বিবরণ যেদিন শুনেছিলাম, আমার মনটা বড় ছটপট করছিলো। তাই গত রাত্রের বিপদের কথা শুনে মনকে স্থির রাখতে পারলাম না।

জয়ন্ত বললল, বাবা নার্সিংহোম এসে গেছি। নামতে হবে। গাড়ী হতে নেমে ওরা দোতলার ৫ নং রুমে উপস্থিত হয়ে কুশল বাবুর নজরে পড়ল ৩নং সিটের উপর রমা বসে আছে। তার নয়নাশ্রু দেখে কুশলবাবুর অন্তর কেঁপে উঠল। সেই চোখ, সেই মুখ সেই দেহের গড়ন। কে বলবে আমার মেয়ে চন্দ্রা নয়। জয়ন্তকে লক্ষ্য করতে গোপনে অশ্রু মুছে বলল, রমা -

জয়ন্তদা এবার আমি বিদায় নেব। আমার ইচ্ছে ছিল অতি ভোরে এখান হতে পালিয়ে যাবো। কিন্তু আপনি অনেক দেরী করলেন।

জয়ন্ত বলল, কোন উপায় ছিল না। পথিমাঝে একটা বাচ্চা মেয়ে প্রচন্ডভাবে এ্যাকসিডেন্ট হয়েছে, তাই ওকে কনক নার্সিংহোমে ভর্তি করে তারপর তোমার কাছে এলাম। মনে হচ্ছে বিকাশের বিয়ের দিনে মেয়েটিকে এক ঝলক দেখেছিলাম। মেয়েটির সাথে কোন গার্জেন ছিল না।

ওকথা শুনে রমার বুকটা কেঁপে উঠল। ও ময়না নয়তো। ময়নার প্রতিচ্ছবি তার চোখের সম্মুখে ভেসে উঠল। যদি তার খোঁজে ময়না রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিল এও হতে পারে। রমা আর থাকতে পারলো না। মুখে কাপড় চাপা দিতে কাঁদতে শুরু করলো। জয়ন্ত ও কুশলবাবু বললেন, কাঁদছো কেন রমা।

কান্না অবস্থায় বলল, ও আর কেউ নয় জয়ন্ত দা, ও ময়না আমার মেয়ে।

জয়ন্ত বলল, মানে দেবীর মেয়ে।

হ্যাঁ জয়ন্তদা।

জয়ন্ত বলল, বাবা রমাকে নিচে নিয়ে যাও আমি নার্সিংহোমে নীচে তলার অফিসে চললাম। মোটেই বিলম্ব করা চলবে না।

কনক নার্সিংহোমে পৌঁছতে বেশী সময় লাগলো না। জয়ন্ত, কুশলবাবু ও রমা অত্যন্ত ব্যাকুল হয়ে দুই নাম্বার রুমে প্রবেশ করতেই সুশীলবাবুকে দেখে তার চক্ষু স্থির। রমার অনুমান ভুল নয়। এবার বুঝতে পারল ময়নার এ্যাকসিডেন্ট হয়েছে।

তার নজরে পড়ল ময়নার মাথায় ব্যান্ডেজ, মাঝে মাঝে মা মা বলে ডাকছে। রমার আর ধৈর্য্য ধরলো না। দৌড়ে গিয়ে ময়নাকে বুকে চেপে ধরল। আমি এসে গেছি মা। চোখ খোল মা, চোখ খোল। ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে বড় ভুল করেছিলাম ময়না। কিন্তু পালিয়ে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় ছিলো না মা।

রমা ডুকরে ডুকরে কাঁদতে থাকল। ময়নাও কাঁদতে থাকল।

একজন নার্স বলল, কাঁদবেন না, পেসেন্ট ভালো আছে। বিপদ কেটে গেছে। বিপদ থাকলে আপনাকে জড়িয়ে ধরতো না। বিশেষ আঘাত লাগেনি ভয়ে সেন্সলেস্ হয়েছিল। আজই আপনার সাথে ও বাড়ীতে যাবে। আপনার ভালোবাসা পেলে তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে। ওকে আদর করুন।

রমার আদরে ময়না মায়ের কোলে ঘুমিয়ে পড়লো। মায়ের আঁচলের ঢাকাতে ময়না যেন গাঢ় নিদ্রায় ডুবে গেল। কখন যে হেমন্তবাবু, সুশীলবাবু ও দেবীদাস ময়নার পাশে এসে দাঁড়িয়ে চোখের জলে ভাসছেন তা লক্ষ্য করেনি রমা।

হেমন্তবাবুর প্রতি নজর পড়তেই ময়নাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে হেমন্তবাবুর কাছে গিয়ে নত জানু হয়ে পা দুটোকে স্পর্শ করে অশ্রুনেত্রে বলল, বাবা আপনি আজকের মতো ময়নার কাছে থাকতে দিন। আমি ময়নাকে সুস্থ করে চলে যাবো। আমি অস্পৃশ্য, অপবিত্র বাবা, শুধু কয়েক ঘন্টা ময়নার কাছে থাকতে দিন বাবা।
হেমন্তবাবু কান্না ভেজা কণ্ঠে বললেন, কে বললো তুই অপবিত্র, অশুচি, বারবনিতা! তুই বা পতিতারা কোন দিনই অশুচিনয় মা। আমরা সবাই জানি মা, পতিতালয়ের মাটি না থাকলে জগৎ জননী, আনন্দময়ী মার কখনো পূজো হয় না। ওর কখনো ঘৃণার পাত্রী নয়। তারা কখনো অপবিত্র নয়।

কোন মা জননীর যদি দুই বার বিয়ে হয় তাহলে সেও তো অপবিত্র! তাহলে সমাজ তাদের ঠাই দেয় কেন? তোর সজল নেত্র, তোর জ্যোতিরময় মুখখানি, সাক্ষাৎ আমি যেন আমার জগৎ জননীকে দেখছি। তবে আমার একটা কথা শোন্ মা,আমি তোর প্রতি গভীর অন্যায় করেছি মা।

ওকথা বলবেন না বাবা। তুমি আমায় ক্ষমা করো। কেন তোকে ক্ষমা করবো, তুই কোন অন্যায় করিস নি মা। বাবা।

হ্যাঁ রে মা, আমায় বলতে দে, আমি আমার ঐশ্বর্য্য, ধন-সম্পত্তি, আভিজাত্যকে বড়াই করে আমি মহীয়ান হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু যে পরিবারের লোকের জন্য আমি আমার জীনবনকে ফিরে পেয়ে ছিলাম তার কথা ভুলতে পারিনি মা। এ আমার লজ্জার কথা ঐ মহান মানুষটিকে এই কলকাতা নগরে এক মুঠো অন্নের জন্য পথে পথে ঘুরতে হবে, আমি ভাবতে পারিনি।

ঐ মহানুভব মানুষ এর ছেলে সুমন্ত এই কলকাতা শহরে ডাক্তারী পড়তে এসে, দেবীদাসের হাতে তাকে মৃত্যু বরণ করতে হবে এও আমি ভাবতে পারিনি। ঐ পরিবারের একমাত্র মেয়েকে আমার ছেলের জন্য পতিতাবৃত্তি গ্রহণ করবে এও ভাবতে পারিনি। এই সবের মূল কান্ডারী হলো দেবীদাস। তার ক্ষমা হয় না মা। তাছাড়া দেবীদাসের সুস্থ করে তুলেছে এই আমার জগত্তারিনী মা আমার। তবে দেবীদাস যে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছে আমি জানতাম না ।

যখন সুশীল বাবুর কাছে শুনলাম এই সব ঘটনা। চন্ডীপুরের সীতাংশুশেখর সিংহের মেয়ে রমা, আমার হৃদয় কেঁপে উঠল।

আপনি আমার বাবাকে

চিনি, জানি এবং আমার প্রাণদাতা তিনি। ঐদিন আমাকে মৃত্যুর হাত হতে বাঁচিয়ে ছিলেন। সেই দিনের ঘটনা প্রকাশ না করলে তোমাদের কৌতুহল থেকে যাবে। যে যন্ত্রণা আপন বক্ষে ধারণ করে বয়ে বেড়াচ্ছি, তোমাদের কাছে প্রকাশ করলে হয়তো শীতল বারির স্পর্শে একটু শান্ত হতে পারে। শোন সকলে।

ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি, আমি ও আমার বন্ধু ষষ্ঠীচরণ দুইজন মিলে চন্ডীপুরের জংগলে শিকার করতে রওনা হলাম। শিকারের নেশা আমার স্কুল লাইফ থেকেই।
বাবার সাথে ঐ লাইফে অনেকবার শিকারে গিয়েছিলাম। আমরা যথা সময়ে চণ্ডীপুরের গভীর অরণ্যে হাজির হয়ে জংগলের পরিবেশ অনুকূল অবস্থা কিনা পরিদর্শন করে জংগল লাগোয়া ফাঁকা মাঠে তাঁবু তৈরী করে থাকার ব্যবস্থা করলাম

জংগলের প্রাকৃতিক দৃশ্য ও পরিবেশ আমার এতো মনোরম লাগতো তা একমাত্র আমি অনুভব করতাম। কয়েকদিন কেটে যাবার পর একদিন রাত্রের শেষ ভাগে অর্থাৎ ব্রহ্ম মুহুর্তে আমাকে না জানিয়ে ষষ্ঠীচরণ বন্দুক নিয়ে শিকার করতে পাড়ী দিয়েছে আমি জানতে পারিনি। সূর্য উঠার অনেক পূর্বে হঠাৎ আমার নিদ্রা ভঙ্গ হতে ওর বিছানার প্রতি নজর পড়তেই আমি চমকে উঠলাম। তৎক্ষণাৎ বাইরে এসে দেখলাম ষষ্ঠী চরণ নেই। ভয় যে পেলাম না তা নয়। আমাকে না জানিয়ে কোন দিন সে স্থান ত্যাগ করেনি। তাছাড়া সে শিকারী হলেও আমার মত পটু নয়।

বিলম্ব না করে ওর খোঁজে বন্দুক নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। প্রায় এক ঘন্টা খোঁজ করে ওর সন্ধান পেলাম না। তাহলে কি করবো ভাবছি, হঠাৎ অতর্কিতে এক বাঘিনী আমার ঘাড়ে লাফিয়ে পড়ল। আমি ছিটকে পড়লাম, বন্দুকও ছিটকে পড়লো। আমি তৎক্ষণাৎ উঠে দাঁড়ালাম, বন্দুকটার দিকে নজর হলো, কয়েক হাত দূরেই ছিল। ওটাকে কব্জাগত করার জন্য উদ্যত হতেই সে পুনরায় আমাকে আক্রমণ করল। বুকের মধ্যে একটা থাবা বসিয়ে দিল।


Sunday, July 9, 2023

উপন্যাস - পদ্মাবধূ || বিশ্বনাথ দাস || Padmabadhu by Biswanath Das || Fiction - Padmabadhu Part -44

 



কয়েক সেকেন্ড সকলে নীরব থাকার পর দেখা গেল হেমন্তবাবুর চোখে জল এবং তার মনে এক দারুন প্রতিক্রিয়া দেখা গেল। তিনি সম্পূর্ণ বিপরীত মানুষ হয়ে গেলেন। তিনি রমা রমা বলে চিৎকার করতে করতে রমার রূমে প্রবেশ করে দেখলেন রুমখানি শূন্য। তন্ন তন্ন করে বাড়ীখানা খোঁজ করে কোন হদিশ পেলেন না। নিজের ভুলের জন্য বিবেকের দংশন জ্বালায় ক্ষত-বিক্ষত হতে লাগলেন। তবে কি রমা পালিয়েছে!


হেমন্তবাবু নিজেকে স্থির রাখতে না পেরে অব্যক্ত যন্ত্রণায় ছটপট করতে থাকলেন। তিনি বড় ভুল করলেন তার ভাগ্নের কথা শুনে। ভাগ্নে যে এক নম্বরের বদমায়েস তা বুঝতে পারলেন। কিন্তু গুনধর ভাগ্নে অতি চালাক মানুষ, তার কারণ সে যে পরিবারের মধ্যে অশান্তির সৃষ্টি করলো অবস্থা ভালো নয় দেখে কখন সে স্থান ত্যাগ করেছে তা কেউ বুঝতে পারলেন না।

এই সংসারে এমন ধরনের কিছু মানুষ থাকে, যারা পরিবারের মধ্যে এনে দেয় বৈশাখী ঝড়, রুদ্র তান্ডব, পারিবারিক বিপর্যয় এনে সাময়িকভাবে আনন্দ পেয়ে থাকে। হেমন্তবাবু তার অন্তরের অব্যক্ত যন্ত্রণাকে সহ্য করতে না পেরে সুশীল বাবুর হাত দুটো ধরে অস্ফুষ্ট গলায় বললেন, আমি বড় অবিচার করে ফেললাম সুশীলবাবু। একজন কুলঙ্গার লম্পটের কথা শুনে আমার গৃহলক্ষীকে ত্যাগ করে ফেললাম। যেমন করে হোক আপনি বিভিন্ন প্রান্তে লোক পাঠিয়ে আমার বৌমাকে ফিরিয়ে আনুন। নইলে আমার হৃদয়কে আমি তৃপ্তি দিতে পারবো না। আমার সেই শিকারী জীবনের কথা আজও ভুলতে পারছি না। রমার বাবা যদি সেই স্থানে না উপস্থিত থাকতেন তাহলে

হিংস্র জন্তুর মারাত্মক আক্রমণে আমার জীবনদ্বীপ নিভে যেত। আমার রক্ষা কর্তা

সীতাংশু বাবু এখন পরলোকে। কিন্তু আমি তাঁর কাছে ঋণ গ্রস্ত হয়ে থাকবো না। বিলম্ব না করে রমাকে খোঁজ করে বের করতেই হবে। যেহেতু রমা তারই মেয়ে। দেবী সেই সময় বলে উঠলো রমা এ বাড়ীতে আর কোন দিনই ফিরে আসবে না। কারণ সে চায় না আমাদের সংসারের মধ্যে অশান্তির দাবানল সৃষ্টি করতে।

হেমন্তবাবু বললেন, একটু ভুলের জন্য এইভাবে সে আমাকে মর্মে মর্মে দগ্ধ হতে হবে কোনদিন কল্পনা করিনি দেবী। ওকে খোঁজ করে বের করবার চেষ্টা করো। ভুল করেই ফেললাম, কিন্তু ভুল সংশোধনের এখনও তো পথ রুদ্ধ হয়ে যায়নি।

দেবী কোন কথা না বলে একটা চিঠি হেমন্ত বাবুর দিকে নিক্ষেপ করে বাড়ী হতে বেরিয়ে পড়লো।

হেমন্তবাবু চিঠিটা কুড়িয়ে বেদনাক্ত হৃদয় নিয়ে পড়তে শুরু করলেন। শ্রীচরণেষু,

তুমি আমায় ক্ষমা করবে। আজ রাত্রে তোমাদের সকলকে ত্যাগ করে যে দিকে দুই চক্ষু যাবে সেই দিকে হাঁটতে শুরু করবো। আমি জানি আমাকে হারিয়ে তুমি অন্তরে অন্তরে দগ্ধ হবে। কি করবো বলো ভাগ্য বিড়ম্বিতাদের চোখের জল কোন মতে শুষ্ক হতে চায় না। তাদের আশা আকাঙ্খা শূন্যে সৌধ নির্মাণের মতো অলীক হয়ে যায়। এই দিনে যদি অপরাধ করে থাকি অবশ্যই ক্ষমা করবে। তোমাদের পিতা-পুত্রের তর্কাতর্কি যখন আমার কানে পৌঁছেছিলো তখন আমি এই পথ বেছে নিয়েছি। সুতরাং আমাকে বিদায় নিতে হলো। কেন আমার জন্য তিনি তার সংসার জীবনে অশান্তির প্লাবন ডেকে আনবেন। আমি চাই না বাবা বৃদ্ধ বয়সে শোকাতুর হয়ে নিজে কষ্ট পান। তোমার ঔরসজাত সন্তান আমার গর্ভ হতে ভূমিষ্ট হলে তাকে তোমার মতো গড়ে তুলবার চেষ্টা করবো।

ভেবেছিলাম, অনেক নির্যাতন, শাস্তি ও দুঃখ পাবার পর তোমার গৃহ নির্মল শুভ্র জ্যোৎস্না ধারায় প্লাবিত করে তুলবো। কিন্তু ভাগ্যে নেই তো তুমি কি করবে? তবে যার জন্য তোমাদের সকলকে ত্যাগ করতে হলো তাকে কোনদিন তোমাদের মাঝে আশ্রয় দিয়ো না। কারণ সে চরিত্রহীন মানুষ।

ময়নার দিকে একটু নজর রেখো। হতভাগীকে ত্যাগ করে কোন মতেই আসতে ইচ্ছে করছিলো না। কিন্তু বাবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা কানে পৌঁছুতেই আর থাকতে পারলাম না। সমস্ত মায়া কাটিয়ে, হৃদয়কে পাষাণ করে তোমাদের ছেড়ে চলে এলাম। জানি না এরপর কোথায় আশ্রয় পাবো। তবে এ কথা জেনে রাখার তোমার রমা আর পদ্মার জীবন বেছে নেবে না। তাতে যতই কষ্ট আসুক জীবনে পরে আমার প্রণাম নিও, ভালো থেকো।

                                           ইতি

                                   'হতভাগিনী

                                        রমা

রমার পত্রটা পড়ে হেমন্তবাবু ক্ষোভে দুঃখে মাথার চুল ছিঁড়তে শুরু করলেন। তিনি যে অপরাধ করলেন তার ক্ষমা নেই। ধীরে ধীরে তিনি আরো মলিন হয়ে গেলেন। আপন হতে তার অশ্রু ধারায় চোখটা দুটো বাষ্পাকুল হয়ে গেল। এখন কি করবেন তিনি।

হঠাৎ তিনি নিজের দুঃখ, যন্ত্রণাকে বক্ষে ধারণ করে স্বাভাবিক হয়ে উঠলেন। তিনি সুশীলবাবুকে মেজাজি গলায় বললেন, সুশীলবাবু আর দেরী নয়, আপনি চারিদিকে লোক পাঠান রমা মা আমার বেশী দূর যেতে পারে নি। তন্ন তন্ন করে খোঁজ করুন। দেবীদাসকে সঙ্গে নিন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে রমাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাকে পাপের প্রায়শ্চিত্ত রতে হবে। থানা, হাসপাতাল, নার্সিংহোম এমন কি শহরের রাস্তাঘাট অলি- গলিতে লোক পাঠান। থানাতে খবর দিন যে হেমন্তবাবুর নির্দেশ যেমন করে হোক বৌমাকে খোঁজ করে বের করতেই হবে। আমি দেবীদাসের কাছে হারতে রাজী নই।

সুশীলবাবু তাই করবেন বলে বেরিয়ে পড়লেন। হেমন্তবাবু দেবীকে কাছে ডেকে বললেন, আমি অত্যন্ত দুঃখিত বাবা। আমার হৃদয় খানখান হয়ে যাচ্ছে, তুমি চিন্তা করো না, আমার রমাকে আমি ফিরিয়ে আনবই। ভুল যখন করেছি তার প্রায়শ্চিত্ত আমি করবো। তুমি দুঃখ করো না।

দেবীদাস উদাস হয়ে জানালার পানে তাকিয়ে থাকে শহরের বৈচিত্র্যময় আলো রশ্মির দিকে। বার বার রমার মুখখানি তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে, ভেসে ওঠে তার বন্ধু সুমস্তর মুখখানি, ভেসে ওঠে রমার বাবার মৃত মুখখানি।

সে কোন মতে থাকতে পারল না। উর্দ্ধশ্বাসে দৌড়ে বেরুতেই হেমন্তবাবু ওর হাতখানি ধরে বললেন, তুমি যেখানে যাবে আমিও তোমার সাথে যাবো বৌমাকে খোঁজ করতে।; উভয়েই গাড়ী বের করে রমার খোঁজে নিশুতি রাত্রে বেরিয়ে পড়লেন।

সুশীলবাবুও কম চেষ্টা করলেন না। থানা, নার্সিংহোম, আশ্রম, মন্দির, মসজিদ

এমনকি ফুটপাতেও খোঁজ করলেন, তথাপি রমার খোঁজ পেলেন না। তিনি মানসিক

ভাবে দগ্ধ হলেন। বিশ্রামের প্রয়োজন মনে করে সূর্য উদয়ের পূর্বে হেমন্তবাবুর বাড়ীতে

এসে উপস্থিত হলেন ও সোফায় বসে তিনি চিন্তার রাজ্যে ডুব দিলেন। ভাবতে থাকলেন দুঃখিনী রমার কথা। ভাবতে থাকলেন তার পিতার কথা ঈশ্বরের কেমন বিচার। একজন জমিদার পুত্র হয়ে অনাহারে, অনিদ্রায় ফুটপাতে জীবনলীলা সাঙ্গ করলেন। তার মেয়ে রমা এক জায়গায় আশ্রয় পেয়েও তাকে হারাতে হলো তার ভালোবাসার পাত্রকে। তবে কি সেই দুঃখিনী মামনিকে সারাজীবন কি দুঃখের সাগরে ভাসতে হবে। রমা মাকে কি ফিরিয়ে আনা যাবে না?

এমন সময় করালী হন্ত দন্ত হয়ে হয়ে ছুটে এসে সুশীল বাবুকে বলল, সর্বনাশ হয়ে গেছে মেজবাবু । সুশীলবাবু ব্যাকুল স্বরে বললেন, কি হয়েছে করালী, এমন উদ্ভ্রান্তের মতো ছুটে

এলে কেন ?

ময়নাকে পাওয়া যাচ্ছে না।

সেকি! প্রায় লাফিয়ে উঠলেন। করালী তুমি নিবারণকে বলো গ্যারেজে গাড়ী রাখতে হবে না। আমাদের পুনরায় বেরিয়ে পড়তে হবে। বেরিয়ে পড়তে হবে ময়নার খোঁজে। বিপদের পর বিপদ। দুঃখের পর দুঃখ। দেবী ও হেমন্তবাবু সহ্য করতে পারবেন ? এই অসহনীয় জ্বালা উভয়ের অন্তরকে কুরে কুরে খেতে থাকবে। অসহ্য নিদারুনের কুঞ্ঝটিকায় পরিণত হবে তাদের মন ও অন্তর। ঠাকুর ওদের একটুখানি শান্তির বাতাস দিয়ে অশান্ত মনকে শান্ত কর।

সহসা ড্রাইভার ব্রেক করতেই সুশীল বাবুর চিন্তার জাল ছিন্ন হলো। নিবারনের এক পরিচিত ড্রাইভার এসে বলল, গাড়ী সাইট করো নিবারণ দা। একটা বাচ্চা মেয়ে এ্যাকসিডেন্ট হয়েছে। তাই পথ যাত্রীরা পথ অবরোধ করেছে। বাচ্চা মেয়ের কথা কানে যেতেই সুশীলবাবু বুকে কে যেন হাতুড়ীর ঘা মারলেন।

তৎক্ষণাৎ গাড়ী হতে নেমে সঠিক সংবাদ নেওয়ার জন্য যান জটের মধ্যে প্রবেশ করলেন। বাচ্চা মেয়েটিকে হাসপাতালে বা কোন নার্সিংহোমে নিয়ে গেছে। তবে মেয়েটি যেভাবে আহত হয়েছে মনে হয় -

সুশীলবাবু আর থাকতে পারলেন না। পাগলের মতো একে ওকে অর্থাৎ নানা জনকে জিজ্ঞস করাতে ও কোন খবর পেলেন না। তিনি কি করবেন এই মুহুর্তে। যদি ঐ মেয়েটি ময়না হয়ে থাকে তাহলে - সমস্ত কলকব্জাগুলো যেন বিকল হয়ে গেল। শরীরটা যেন থরথর করে কাঁপতে শুরু করলো। এমন সময় কানে ভেসে এলো মেয়েটিকে কনক নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। সুশীলবাবু বিলম্বনা করে কনক নার্সিংহোমে উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। রওনা ঠিক সময়েই হয়েছিলো জয়ন্ত। কিন্তু পথমাঝে এই রকম বিপদের মাঝে পড়বে ভাবতে পারেনি। জয়ন্ত ও ওর বাবা কুশলবাবু গভীর চিন্তায় মগ্ন। বাচ্চা মেয়েটি কার। প্রভাতেই বেরিয়ে পড়েছিল। ওর সাথে কি গার্জেন ছিল না!

নানা চিন্তার মধ্যে এক সময় চারু নার্সিংহোমে হাজির হলো। রমাকে চারু নার্সিংহোমে ভর্তি করে নিজেকে শান্ত রাখতে পারেনি জয়ন্ত। কারণ গত রাত্রে তার গাড়ীতেই ধাক্কা হয়েছিল। ওকে প্রায় অজ্ঞান অবস্থায় নার্সিংহোমে ভর্তি করেছিলো। অনেকটা বেলা হলো, মনে হয় রমা অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠবে।

Friday, June 23, 2023

গ্রুপ-সি সুপারভাইজার পদে চাকরি || BECIL Group C Supervisor Recruitment || WB Job news 2023

 





রাজ্যের চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর। এতদিন কেন্দ্রীয় ও রাজ্যে চাকরি নিয়োগ বন্ধ ছিল। কিন্তু এখন পশ্চিমবঙ্গের চাকরি প্রার্থীদের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। ব্রডকাস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং কনাসাল্টেশন ইন্ডিয়া লিমিটেড (BROADCAST ENGINEERING CONSULTANTS INDIA LIMITED) অর্থাৎ BECIL এর তরফে শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এখানে নিয়োগ করা হবে গ্রুপ-সি সুপারভাইজার পদে । পোস্টিং দেওয়া হবে রাজ্যের চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইন্সটিটিউটে। 

তাই বর্তমানে যেসমস্ত চাকরি প্রার্থী সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে, মাসিক বেতন কত দেওয়া হবে, বয়সসীমা কত থাকতে হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা কি লাগবে এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে তা নিচে থেকে পরপর জেনে নেব।





File No. BECIL/HRMS/CNCI/Advt.2023/328


নোটিশ নং – 328


নোটিশ প্রকাশ – 12.06.2023


নিয়োগ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য :


1. পদের নাম- নাইট সুপারভাইজার / Night Supervisor


শূন্যপদ – 4 টি ।


যোগ্যতা – গ্র্যাজুয়েশন। হসপিটাল অপারেশনে নূন্যতম 7 বছরের অভিজ্ঞতা থাকা আবশ্যক । হসপিটাল অপারেশনে 5 বছরের অভিজ্ঞতা সাথে BHM/MHM করে থাকা‌ আবশ্যক।


বয়সসীমা – প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে কোনো উল্লেখ নেই


বেতনক্রম – মাসিক 30,000 টাকা ।


পোস্টিং – নির্বাচিত প্রার্থীদের নিউ টাউন ক্যাম্পাসে পোস্টিং দেওয়া হবে।




2. পদের নাম- সুপারভাইজার / Supervisor


শূন্যপদ – 3 টি শূন্যপদ রয়েছে।


যোগ্যতা – গ্র্যাজুয়েশন। হসপিটাল অপারেশনে নূন্যতম 7 বছরের অভিজ্ঞতা থাকা আবশ্যক । হসপিটাল অপারেশনে 5 বছরের অভিজ্ঞতা সাথে BHM/MHM করে থাকা‌ আবশ্যক।


বয়সসীমা – প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে কোনো উল্লেখ নেই


বেতনক্রম – মাসিক 30,000 টাকা ।


পোস্টিং – নির্বাচিত প্রার্থীদের হাজরা ক্যাম্পাসে পোস্টিং দেওয়া হবে।





নিয়োগ পদ্ধতি :


 শুধু মাত্র ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।


আবেদন পদ্ধতি :


অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। এর জন্য www.becil.com এই ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘Careers Section’ এ গিয়ে, ‘Registration Form (Online)’ অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। তারপর আবেদনপত্রটি নিজের সমস্ত তথ্য দিয়ে ফিলাপ করতে হবে। সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি আপলোড করতে হবে। এরপর আবেদন মূল্য জমা দিয়ে ফর্মটি সাবমিট করতে হবে।




আবেদন ফি :


এখানে আবেদন করার জন্য UR, Women এবং OBC দের 885 টাকা এবং বাকি প্রার্থীদের 531 টাকা আবেদন মূল্য বাবদ জমা দিতে হবে।




আবেদনের সময়সীমা :

26 জুন, 2023 এখানে আবেদন করার শেষ দিন।




গুরুত্বপূর্ণ লিংকগুলি (Important Links):



অফিসিয়াল নোটিশ:


Click here 🔴



অনলাইনে আবেদন: 

Click here 🔴



অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: 

Click here 🔴



Wednesday, June 21, 2023

রাজ্যের শিশু সুরক্ষা দফতরে কর্মী নিয়োগ, যোগ্যতা মাধ্যমিক পাশ || Child Protection Unit Murshidabad Group C Recruitment 2023 || WB Job news 2023


 



রাজ্যের চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর। এতদিন কেন্দ্রীয় ও রাজ্যে চাকরি নিয়োগ বন্ধ ছিল। কিন্তু এখন পশ্চিমবঙ্গের চাকরি প্রার্থীদের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে।  এবার রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলার শিশু সুরক্ষা দফতরে বেশ কয়েকটি শূন্যপদে গ্রুপ-C কর্মী নিয়োগ করা হবে। ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকেই যোগ্য প্রার্থীরা এখানে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। 
তাই বর্তমানে যেসমস্ত চাকরি প্রার্থী সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে, মাসিক বেতন কত দেওয়া হবে, বয়সসীমা কত থাকতে হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা কি লাগবে এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে তা নিচে থেকে পরপর জেনে নেব।

নোটিশ নং – 533/DCPU/Msd

নোটিশ প্রকাশ – 07/06/2023



পদের নাম, শূন্যপদ, যোগ্যতা ও নিয়োগের অন্যান্য তথ্য:

1. পদের নাম- লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক কাম টাইপিস্ট / LDC cum Typist

মোট শূন্যপদ – 1 টি।

যোগ্যতা – মাধ্যমিক পাশ করে থাকতে হবে। সাথে, কম্পিউটার স্কিল থাকা আবশ্যক।

বয়সসীমা – 21 থেকে 40 বছর।

বেতনক্রম – মাসিক 13,500 টাকা।



2. পদের নাম- বেঞ্চ ক্লার্ক / Bench Clerk

শূন্যপদ – 1 টি শূন্যপদ রয়েছে।

যোগ্যতা – উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে থাকতে হবে। সাথে, কম্পিউটার স্কিল থাকা আবশ্যক।

বয়সসীমা – 21 থেকে 40 বছর।

বেতনক্রম – মাসিক 13,500 টাকা।




3. পদের নাম- কাউন্সেলর / Counsellor

মোট শূন্যপদ – 1 টি ।

যোগ্যতা – সাইকোলজি নিয়ে গ্র্যাজুয়েশন পাশ করে থাকতে হবে। সাথে, কম্পিউটার স্কিল থাকা আবশ্যক।

বয়সসীমা – 21 থেকে 40 বছরের।

বেতনক্রম – মাসিক 13,500 টাকা।



নিয়োগ পদ্ধতি -
সর্ব প্রথম হবে লিখিত পরীক্ষা, তারপর কম্পিউটার টেস্ট এবং  সবশেষে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

আবেদন পদ্ধতি -
শুধু মাত্র অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে - https://depu.recruitmentmurshidabad.in 

ওয়েবসাইটে গিয়ে সর্ব প্রথম রেজিস্টার করবেন। তারপর নিজেদের সঠিক তথ্য দিয়ে ফর্মটি সম্পূর্ণ ভাবে ফিলাপ করবেন তারপর সাবমিট করবেন। সঙ্গে পাসপোর্ট সাইজের ছবি, সিগনেচার এবং যথাযথ নথি আপলোড করবেন।


আবেদনের সময়সীমা - 
ইতিমধ্যে আবেদন শুরু। আবেদন করার শেষ সময় 23 জুন, 2023 ।


পরীক্ষার তারিখ -  
পরীক্ষাটি নেওয়া হবে 16/07/2023 তারিখে।




গুরুত্বপূর্ণ লিংকগুলি (Important Links) :


Official notice Download -


Apply now - 



 Official website -


_________________________________________


চাকরি সংক্রান্ত আপডেট পেতে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন




Telegram group-



Whatsapp group-

Monday, June 19, 2023

রাজ্যের গ্রামীণ ব্যাঙ্কে কর্মী নিয়োগ, মোট শূন্যপদ ৮৫৯৪ টি || WB Gramin bank Recruitment 2023 || WB Job news 2023





পশ্চিমবঙ্গের চাকরি প্রার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ। এতদিন যারা চাকরি র অপেক্ষায় বসে ছিলেন তাদের জন্য গ্রামীণ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে একটি সুযোগ এসেছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। রাজ্যের অধীনস্থ এই গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলিতে মোট ৮৫৯৪ শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের কথা জানানো হয়েছে। ভারতের যেকোনো নাগরিক পশ্চিমবঙ্গের যেকোনো জেলা থেকে এই শুন্যপদগুলিতে চাকরির জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে IBPS এর মাধ্যমে।

 তাই বর্তমানে যেসমস্ত চাকরি প্রার্থী সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে, মাসিক বেতন কত দেওয়া হবে, বয়সসীমা কত থাকতে হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা কি লাগবে এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে তা নিচে থেকে পরপর জেনে নেব।





পদের নাম – Office Assistant, 

Officer Scale I, II, III (Various)



মোট শূন্যপদ – ৮৫৯৪ টি।



শিক্ষাগত যোগ্যতা – যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, MBA, CA অথবা সমতুল্য বিষয়ে ডিগ্রী থাকা চাকরিপ্রার্থীরা এই পদের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন।



মাসিক বেতন – ভারত সরকারের পে মেট্রিক্স অনুযায়ী বিভিন্ন পদের মাসিক বেতন ধার্য্য হবে।





আবেদনকারীর বয়সসীমা – 

Office Assistant - বয়সসীমা ২৮ বছর সর্বোচ্চ । 

Officer Scale I - বয়সসীমা ৩০ বছর।

Officer Scale II - বয়সসীমা ৩২ বছর। 

Officer Scale III - বয়সসীমা ৪০ বছর।  

সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ছাড় পাবেন।





আবেদন পদ্ধতি – শুধু মাত্র অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। আবেদন করার লিঙ্ক নীচের দিকে পাবেন।


বিঃ দ্রঃ- আবেদন করার জন্য প্রার্থীদের একটি বৈধ ইমেইল আইডি থাকা বাধ্যতামূলক। অনলাইনে আবেদন করার সময় সমস্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার কাগজপত্র, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি স্ক্যান করে আপলোড করবেন তাহলেই আবেদন সম্পূর্ণ হবে।




আবেদন ফি – সাধারণ প্রার্থীদের ৮৫০/- টাকা এবং তপশীলি প্রার্থী দের ১৭৫/- টাকা আবেদন ফি জমা দিতে হবে।





নিয়োগ পদ্ধতি – প্রথমে হবে Written Exam (Prelims & Main) এবং সবশেষে Personality Test -এর মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।



আবেদনের শেষ তারিখ – ২১ জুন, ২০২৩।




Official Notification:


Download Now



Official Website: 


Apply now


Monday, June 12, 2023

উপন্যাস - পদ্মাবধূ || বিশ্বনাথ দাস || Padmabadhu by Biswanath Das || Fiction - Padmabadhu Part -43


 

 ক্রমশঃ অতিথিরা বিদায় গ্রহণ করলেন। সকলের আশীর্বাদে মনে হলো আমার জীবন সত্যিই মধুময় হয়ে উঠবে। কিন্তু হায়রে পোড়া কপাল বিধাতার অভিশাপ থেকে আমর নিস্কৃতি নেই। বাবা সকলকে বিদায় করেও মনকে শান্তিতে রাখতে পারলেন না। সুশীলবাবুর জন্য, তিনি বিশেষ কাজে বাইরে গেছেন। আমি বাবার পাশে দাঁড়িয়ে আছি, এক সময় দেবীর কণ্ঠস্বর কানে ভেসে এলো।


দেবী পাশের রূমে কাকে যেন বলছে, খবরদার বলছি এক অসহায় মেয়ের সর্বনাশ করবি না। আমি তার সব কিছু জেনেই তাকে স্ত্রীরূপে স্বীকার করেছি।


লোকটা যে কে তা আমার অজানা নয়। সে ঝড়ের বেগে বলে চলেছে, দেবী তুই যে একজন বারবনিতাকে বিয়ে করে তোদের আভিজাত্যকে কলুষিত করবি তা ভাবতেও পারিনি। এই ভারতবর্ষে কি মেয়ে দূর্লভ যে, একজন অপবিত্রকে হৃদয়ে স্থান দিয়ে মনের তৃষ্ণাকে নিবারণ করতে হবে?


ঐ শয়তানের কথা শুনে নিজেকে স্থির রাখতে পারলাম না। পাশের রূমে গিয়ে বিছানার উপর লুটিয়ে পড়লাম। কি ভয়ানক দংশন, যার ফলে অসহ্য যন্ত্রণায় এপিঠ- ওপিট করতে থাকলাম। গৃহ দেবতার বিগ্রহ মূর্তি বক্ষে ধারণ করে চোখের জলে ভাসতে ভাসতে বললাম, আমি যা কল্পনা করেছিলাম তাই করলে ঠাকুর ? তোমাকে নয়ন জলে পুজো করে কোন ফল পেলাম না তবে মনে রেখো পাষাণ দেবতা, আমাকে যদি পুনরায় অন্ধকূপে ফিরে যেতে হয়, তাহলে তাহলে আমি তোমাকে কোন মুহুর্তের জন্য ডাকবো না।


হঠাৎ দেবীদাসের বাবার কর্কশ ধ্বনি শুনে স্থির থাকতে পারলাম না। তিনি বলে


উঠলেন, ছিঃ ছিঃ দেবী তুমি এখনো সেই পথ ত্যাগ করোনি। তোমার সাহসের কম


নেই তাহলে, তুমি ভেবেছো কি? একজন বারবনিতাকে এই পবিত্র প্রাসাদে আশ্রয় দিতে লজ্জা করলো না? দেবী বলল, আপনি রমাকে চেনেন না। এই সমাজের কাছে অপবিত্র হলেও সে


আমার স্ত্রী। আপনি শান্ত হোন। আপনাকে সব কথা বলবো।


তিনি গম্ভীর স্বরে বললেন, আমি কারো কথা শুনতে চাই না, তুমি রমাকে পরিত্যাগ করো। তাকে দূর দূর করে বাড়ী হতে বের করে দাও। আপনি উত্তেজিত হবেন না।


শোন দেবী তুমি যে বিবেচনাহীন কাজ করেছো, তাতে তুমি ক্ষমার অযোগ্য। হয় এই বাড়ীতে রমা, নতুবা আমি থাকি।


ওকথা শুনে কোন প্রকারে স্থির থাকতে পারলাম না। এক রকম টলতে টলতে


টেবিলের কাছে গিয়ে কাগজ নিয়ে কয়েকটা কথা ঐ কাগজ টুকরোতে লিখে করালীর


হাতে দিয়ে বললাম, এই পত্রটা তোমার দাদা বাবুর হাতে দিও, আমি চললাম।


বিলম্ব না করে চুপি চুপি বেরিয়ে পড়লাম। আমি জানতাম আমার মতো মেয়ের স্থান কোথাও হবে না। আমাদের ছায়া স্পর্শ করলে যদি অপবিত্র হয়ে যায় সেই ভয়ে কেউ কাছে আসতে চাইবে না।


বেরুবার সময় ময়নাকে একটি বার দেখার সাধ জেগেছিলো, কিন্তু পারিনি পাশের ঘরে ময়না তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। আমি প্রথমেই ভুল করেছিলাম বামন হয়ে চাঁদে হাত দিতে গিয়ে। কেন সেই বস্তীতে আমার জীবনটা কাটালাম না। যদি তাই করতাম গভীর মর্মভেদী যন্ত্রণা সহ্য করতে হতো না।


কিন্তু তা পারিনি, কেন? কেউ উত্তর দেয়নি শুধু প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে এসেছে। সেই প্রতিধ্বনি সহ্য করতে না পেরে ছুটে চলেছি অন্ধকার পিচ ঢালা রাস্তায়। হঠাৎ এক সময় ট্যাক্সির ধাক্কায় রোডে ছিটকে পড়লাম তারপর আমি অজ্ঞান।


দেবীর বাবা একইভাবে চিৎকার করে চলেছেন। আমি শেষ কথা জানিয়ে দিচ্ছি, একটা বারবনিতা মেয়ের এখানে আশ্রয় হবে না। দেবীও কথা শুনে নেতিয়ে পড়লো। কোন প্রকারে রমাকে তার হৃদয় মন্দির হতে পরিত্যাগ করতে পারবে না। একটা অসহায় মেয়ে অন্ধকার জীবনের বহুদিন পর একটু চাঁদের আলো দেখেছিল তার কাছে আশ্রয় পেয়ে। ওকে তাড়িয়ে দেবীর পক্ষে কোনদিন রমার মনে দুর্বিসহ যন্ত্রণা দেওয়া সম্ভব হবে না।


দেবী বলল, সহজ এবং সুস্থ মনে তাকে স্ত্রী বলে স্বীকার করেছে। তহলে কি হবে? বাড়ী হতে কি করে বিতাড়িত করবে। দেবী এক রকম চিৎকার করে উঠল।


এ অন্যায়, অবিচার, বাবা।


দেবীর বাবা কর্কশ কণ্ঠে বললেন, তাহলে তুমি থাকো দেবী, আমি চললাম। হেমন্তবাবু প্রস্থান উদ্যত হতেই সুশীলবাবু এসে হাজির হলেন।


হেমন্তাবাবুকে অগ্নিশর্মা দেখে ধীর কণ্ঠে বললন, কি ব্যাপার রায় বাবু আপনি


উত্তেজিত হয়ে কোথায় যাচ্ছেন?


সুশীলবাবুকে দেখে হেমন্তবাবু আরো তেলেবেগুনে হয়ে বললেন, আপনি আগামীকাল কাজে ইস্তফা দিয়ে যেখানে খুশী চলে যাবেন? আপনাকে সৎ, নিষ্ঠাবান বলে মনে করতাম, কিন্তু এখন দেখছি তার উল্টো। আপনি পত্রে কেন জানাননি, দেবী একজন বারবনিতাকে বিয়ে করেছে? আর আপনি কেন রেজেষ্টারী ম্যারেজে সাক্ষী রইলেন।


সুশীলবাবু বললেন, এবার বুঝতে পারলাম আপনার অভিমানের কারণ। কিন্তু দেবী কোন অন্যায় করেনি রায় বাবু।


এর পরেও বলছেন দেবী কোন অন্যায় করেনি।


আমার অভিধানে বলে তাই।


সুশীলবাবু? চিৎকার করে উঠলেন হেমন্তবাবু।


দেখুন রায় বাবু দেবী যে অন্যায় করেনি তার প্রমাণ আমি দেব। আর একথাও জানবেন, আপনি আপনার বাগদত্তা পুত্রবধূকে ফিরে পেয়েছেন। সঠিক সত্য যতই নির্মম হোক না কেন, তাকে মেনে নেওয়ার মধ্যে আর যাই থাকুক না কেন অন্তত গ্লানি নেই, লজ্জাও নেই, ঘৃণাও নেই। আশাকরি একথা অস্বীকার করবেন না।


আপনার খেয়ালী পনায় কান দিয়ে আমার কানকে ক্লান্ত করবেন না। আপনার অপরাধের জন্য আপনাকে শাস্তি পেতে হবে। আগামীকাল আপনাকে নানাবিধ দোষের জন্য বরখাস্ত করবো।


সুশীলবাবু নম্র কণ্ঠে বললেন, নিশ্চয় ; আপনার আদেশ আমি মাথা পেতে মেনে নেব, যদি আমি অন্যায় করে থাকি। কিন্তু আমি অপরাধ না করে যদি আপনার এক বাগদত্তা পুত্রবধূ ঘরে তুলে এনেছি, তাহলে তার বিনিময়ে আপনি আমাকে কি দেবেন? আর একথা কোন দিন অস্বীকার করতে পারবেন না চন্ডীপুরের জমিদার ব্রজকিশোর বাবুর প্রথম পুত্র সীতাংশুশেখর সিংহের কন্যাকে আপনি পুত্রবধূ বলে বরণ করে নেবেন একথা আপনি বলেন নি? একথা আপনি একদিন বলেছিলেন, এমন কি দেবীর বিয়ের সময় সে মেয়ের খোঁজ নেবার জন্য আমাকে চন্ডীপুরে পাঠিয়ে ছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় কোন প্রকারে তাদের সন্ধান আনতে পারিনি।


হেমন্তবাবু ওকথা শুনে ক্রোধকে একেবারে নীচে নামিয়ে কৌতুহলের সঙ্গে বললেন, আপনি কি বলতে চান, সীতাংশু শেখর সিংহের কন্যা এই রমা ?


হ্যাঁ।


কি করে জানলেন আপনি ?


ওদের রেজেষ্টারীর জন্য দেবী যখন আমার কাছে পরামর্শ নিতে এলো, এবং রমার নিয়ে সমস্ত ঘটনা শুনলাম রমার ও তার পরিবারের পরিচয় পেয়ে নিজেকে স্থির রাখতে পারিনি। কারণ সে বারবনিতা বলে। কিন্তু ওদের পরিবারকে ধ্বংস করার একমাত্র মূল হচ্ছে এই দেবী। দেবীর জন্য বিপথগামিনী, এই দেবীর জন্য জমিদার পুত্র সীতাংশ বাবুকে দিনের পর দিন অনাহারে, অনিদ্রায় ফুটপাতে কাটিয়ে মৃত্যু বরণ করতে হয়েছে। সুশীলবাবু রমার জীবনের কাহিনী প্রকাশ করলেন। একমাত্র রমার জন্যই ময়নার রোগ মুক্ত হয়েছে।

Friday, June 2, 2023

রূপশ্রী প্রকল্পে কর্মী নিয়োগ 2023 || Rupashree Prakalpa Group C Recruitment in Purba Bardhaman || WB Govt job news 2023


 




রাজ্যের চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর। এতদিন কেন্দ্রীয় ও রাজ্যে চাকরি নিয়োগ বন্ধ ছিল। কিন্তু এখন পশ্চিমবঙ্গের চাকরি প্রার্থীদের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। এবার রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলার বিডিও অফিসে রুপশ্রী প্রকল্পের আওতায় বেশ কিছু গ্রুপ-C কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে। অনলাইন এ আবেদন করার সুযোগ পাবেন। 

তাই বর্তমানে যেসমস্ত চাকরি প্রার্থী সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে, মাসিক বেতন কত দেওয়া হবে, বয়সসীমা কত থাকতে হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা কি লাগবে এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে তা নিচে থেকে পরপর জেনে নেব।



নোটিশ নং – 253/RP/PBDN/X/008

নোটিশ প্রকাশ – 19/05/2023




1. পদের নাম- অ্যাকাউন্টট্যান্ট / Accountant

শূন্যপদ – 4 টি শূন্যপদ রয়েছে।


যোগ্যতা – কমার্স গ্র্যাজুয়েট এবং কম্পিউটার দক্ষতার সাথে ট্যালি জানা থাকলেই এখানে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। সঙ্গে থাকতে হবে ঐ কাজে তিন বছরের অভিজ্ঞতা।


বয়সসীমা – আবেদনকারীর বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ 40 বছর।

বেতনক্রম – প্রতি মাসে মাসিক 15,000 টাকা। 


2. পদের নাম- ডাটা এন্ট্রি অপারেটর / Data Entry Operator

শূন্যপদ – মোট শূন্যপদ 12 টি 


যোগ্যতা – যে কোনো বিষয়ে গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি সহ ভালো টাইপিং দক্ষতা এবং কম্পিউটার জ্ঞান থাকলেই এখানে আবেদন করা যাবে। সঙ্গে থাকতে হবে ঐ কাজে তিন বছরের অভিজ্ঞতা।


বয়সসীমা – আবেদনকারীর বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ 40 বছর।



বেতন – প্রতি মাসে 11000 টাকা।




নিয়োগ পদ্ধতি - 

প্রথমে হবে লিখিত পরীক্ষা, তারপর কম্পিউটার টেস্ট এবং সবশেষে হবে ইন্টারভিউ, এই তিনটি প্রসেসের ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।





আবেদন পদ্ধতি - 

শুধুমাত্র অনলাইন এ আবেদন করার সুযোগ পাবেন। https://purbabardhaman.nic.in/ লিঙ্কটি ক্লিক করে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে Google Form এর আকারে থাকা আবেদনপত্রটি পূরণ করে তার সাথে নথি, ছবি এবং স্বাক্ষর সংযুক্ত করে ফর্মটি সাবমিট করুন। 





আবেদনের সময়সীমা -

আবেদন ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আবেদন চলবে ৫ ই জুন ২০২৩ বিকেল ৫টা পর্যন্ত।




গুরুত্বপূর্ণ লিংকগুলি :

Official notice -



Apply now -



_________________________________________


চাকরি সংক্রান্ত আপডেট পেতে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন




Telegram group-



Whatsapp group-