Saturday, November 20, 2021

১৭ তম সংখ্যার সূচিপত্র (৩০ জন)

 সম্পূর্ণ সূচিপত্র:



বাংলা কবিতা ও ছড়া---


তৈমুর খান, মহীতোষ গায়েন, আশীষ কুন্ডু, নীতা কবি মুখার্জী, রানা জামান, সৌমেন্দ্র দত্ত ভৌমিক, অভিজীৎ ঘোষ, সুমিত্রা পাল, মিলি দাস, মিঠুন রায়, সুমিত্রা পাল, জয়িতা চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মিত্র, আবদুস সালাম, কমল মন্ডল, সৈয়দ শীষমহাম্মদ, নবকুমার, অরবিন্দ সরকার, অভিজিৎ দত্ত, সেখ নজরুল, তহিদুল ইসলাম।


বাংলা গল্প---


সিদ্ধার্থ সিংহ, অমিত পাল, উম্মেসা খাতুন।



প্রবন্ধ----


সত্যেন্দ্রনাথ পাইন



বাংলা গদ্য তথা রম্য রচনা---


মৌসুমী চন্দ্র।

 


ইংরেজি কবিতা--


Sunanda Mandal

Pavel Rahman



Photography---


Moushumi chandra, 

Sohini Shabnam


Sunday, November 14, 2021

Photography by sohini shabnam


 

Photography by Moushumi chandra

 


Poet Pavel Rahman's one poem

 Good Who Is



We won’t hate anyone

If we are good,

If we hate anyone that

It means that we are not good.


Black and white are best friends,

One doesn’t hate other;

Oh, black, oh my friend,

Please don’t hate white who is.

লেখক তীর্থঙ্কর সুমিত -এর একটি গদ্য

 

নদী কথায় ভেসে যায় ........

                (১৭)


যে পথটা বেঁকে গেছে,সে পথটাই সবথেকে সোজা ছিল।হাত পা ছড়িয়ে যে গাছটা দাঁড়িয়ে আছে,তার কখনো মাতৃত্বের অভাব হবেনা।এক দুইয়ের হিসাবে কত বাঁকা পথ কাছে এসে আবার সোজা হয়ে উঠেছে।এভাবেই বেঁকে যাওয়া নদী সাগরে মেশে।আর মাতৃত্বের দাবি নিয়ে কাছে এসে গল্প শোনায়।যে গল্পে একেকটা নদী একটা মা হয়ে ওঠে।শাসনে শাসনে ভরিয়ে দেয় মুহূর্ত।আর আমি তাকিয়ে থাকি বহমান স্রোতের দিকে।


সেই স্রোত তাই আমায় ভালোবাসার গল্প শোনায় ।








নদী কথায় ভেসে যায় ...........

             (১৮)



কিছু কথা অবশিষ্ট থেকে যায় বরাবর।কোনো কথার ই শেষ হয়না।প্রতিটা কথা থেকে নতুন কথার জন্ম হয়। তাই প্রতিটা মুহূর্তই নতুনের সংলাপ।অবশিষ্ট মুহূর্তে বেঁচে থাকার রসদ যোগায় বাকি থাকা কিছু কথা।যে কথা একেকটা গোলাপের জন্ম দেয়।যে গোলাপ থেকে সৃষ্টি হয় ভালো থাকার লড়াই,ভালো থাকার গল্প,আর ভালো থাকার এক একটা মুহূর্ত।এভাবেই নদী কথার গল্প শুনি প্রতিদিন।

লেখক অরবিন্দ সরকার -এর একটি গদ্য

 লবাবপুত্তুর 

               

       


নবগ্রামের দ্বিজপদ মিস্ত্রি একজন মৃৎশিল্পী। নিঃসন্তান , পরিবারের জমিজমা বিঘা পনেরো হবে। শেষকালে দেখাশোনা কে করবে তাই ভেবে অস্থির স্বামী স্ত্রী মিলে। দ্বিজপদরা তিনভাই। অন্যভাইদের জমিজমা সব শেষ হয়ে গেছে কুড়েমিতে।এখন তারা কাঠের কাজ করে লোকের বাড়ি বাড়ি।


দ্বিজপদ একভাইয়ের দুই ছেলের একজনকে পোষ্য নিলেন। অন্যছেলেটিও নিলে ওরা ধন্য হতো। কিন্তু দ্বিজপদ ঐ বড় ছেলে ধনঞ্জয়কেই বাড়িতে আনলেন। ধনঞ্জয় বেয়ারা ছেলে। কথা শোনে না, স্কুলেও যায়না শুধু খায়। আসলে ওরা ভালো খাবার চোখেও দেখেনি,তাই জ্যেঠু বাবার পেয়ে এতদিনের ঘাটতি পূরণে খেয়েই যাচ্ছে।


ধনঞ্জয় বড়ো হয়েছে, বিয়ে দিতে হবে । দ্বিজপদ মনস্থির করলেন যে শেষকালটা ছেলে বৌমার আদর যত্নে পার হ'য়ে যাবো।তাই তিনি প্রচার শুরু করলেন যে ছেলে ধনঞ্জয়ের বিয়ে দেবো।

দূরবর্তী এক গ্রামের নিমাই দাস সম্পর্ক নিয়ে হাজির। সঙ্গে আরও জনা পাঁচেক লোক। উনাদের যথারীতি সম্মান করা হলো। জলখাবার খাওয়ার পর মধ্যাহ্ন ভোজ সেরে কথাবার্তা শুরু হলো।

নিমাই দাস বললেন আপনার তো যথেষ্ট সুনাম আছে এই অঞ্চলে, নামকরা মিস্ত্রি মশাই আপনি।তা ছেলেকে ডাকুন।ছেলে দেখে কথাবার্তা শুরু করবো সবার সাথেই।

ধনঞ্জয়ের ডাক পড়লো- সে এসে দাঁড়ালো সবার সম্মুখে। দাঁড়িয়েই আছে , দাঁড়িয়েই আছে।

আদব কায়দা দেখার জন্য নিমাই দাসেরা সবাই চুপচাপ আছে।

দ্বিজপদবাবু তাড়াতাড়ি নিজের দু পায়ের ধূলো নিয়ে ধনঞ্জয়ের মাথায় দিলেন। ধনঞ্জয়ের প্রনাম হয়ে গেলো।

ধনঞ্জয় বললো কথা বলবেন না বলবেন না? শুরু করতে কতক্ষন লাগে।খেতে তো বেশি সময় লাগেনি? সবাই গণ্ডেপিণ্ডে খেলেন তাড়াতাড়ি। যেনো বাপের কালেও এইসব মিষ্টি মাছ মাংস খাননি?

নিমাই দাস বললেন- ঠিক বলেছো বাবা! যেমন তুমি বাপের জন্মেও খাওনি তেমনি আমরাও খায়নি।যে যেমন সে তেমন ভাবে! আর যাই হোক এখানে বিয়ে দেবো না।দ্বিজপদবাবু মারা গেলেই আমার মেয়ে না খেয়ে মরবে। তুমি সব নষ্ট করবে সম্পত্তি।কারন বংশের ধারা বইবে! তোমার বাপ সব শেষ ক'রে আজ ভিখারী। তুমিও তাই করবে। অতএব এখানে বিয়ে দেবো না। তাছাড়া রাখালের হাতে জেনেশুনে বিয়ে দেবো না।

ধনঞ্জয় বললো - তাহলে এলেন কেন? 

নিমাই দাস বললেন- তোমাকে দেখতে , আর তুমি আমার মেয়ের উপযুক্ত কিনা তাই যাচাই করতে।

ধনঞ্জয় - কতো লোক আসবে দেখুন! আমার মতো লবাবপুত্তুর এ অঞ্চলে কটা আছে।এত বড়ো বাড়ি পুকুর, জমিজমা কার আছে?

আপনারা আসুন। ফালতু দিনটা অতিবাহিত হলো। সকালে যে কার মুখ দেখে উঠেছিলাম? তাই এই অঘটন। বুঝতে পেরেছি এই বাবা নিঃসন্তান,এদের মুখ দেখেছি সকালে তাই সম্বন্ধ হলো না!

না হোক ! কতোজন আসবার জন্য হাঁ ক'রে মুখিয়ে আছে! দেখবেন কাল থেকে মেয়ের বাপের লাইন লেগে যাবে।

নমস্কার জানিয়ে দ্বিজপদ মিস্ত্রিকে উনারা চলে যাবার উপক্রম করতেই ধনঞ্জয় বলে উঠলো এই আপনাদের ভদ্রতা। রীতিনীতি শিখেন নি? অচেনা আমাকে নমস্কার করতে হয় জানেন না? গোমূর্খ সব ।যান এখনই বিদায় হন।

দ্বিজপদ মিস্ত্রি উনাদের কাছে ক্ষমা চাইলেন। বললেন অসুবিধা হবেনা আপনাদের। আমার সম্পত্তি সব আপনার মেয়ের নামে উইল ক'রে দেবো।


নিমাই দাসেরা সকলেই আবার বসলেন। চিন্তা করলেন উনি যা বললেন সেটা আমার মেয়ের মঙ্গল হবে।

আবার আলোচনা শুরু হলো। দাবি দাওয়া নিয়ে।

ধনঞ্জয় বললো আমার সাইকেল চাই, ঘড়ি চাই, সোনার আংটি চাই।

জনৈক ভদ্রলোক নিমাইদাসের বললেন - বাবা ধনঞ্জয় সাইকেলে চাপতে জানো? ঘড়ি দেখতে জানো?

ধনঞ্জয় বললো- পারা পারির কি আছে? এটা সকলেই নেয়।হাতটা কেন আছে - ঘড়ি আংটি পড়ার জন্য। সাইকেল চাপতে না জানলেও মাল বয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।

দ্বিজপদর অনুরোধে দেনা পাওনার সমাধান হয়ে বিয়ের দিন ঠিক করতে পঞ্জিকা আনা হলো।

তিনমাস পরে অগ্রহায়ণ মাসে দিন স্থির হলো।

ধনঞ্জয় বললো- আপনারা বিয়ে দিতে এসেছেন না পঞ্জিকা দেখতে এসেছেন। শুভস্য শীঘ্রম্ এই কথাটি মেনে এই মাসেই তড়িঘড়ি বিয়ে দিন।যা দিতে পারবেন না সময়ে দেবেন।তবে না দিলে মেয়ে ফেরৎ দেওয়া হবে।চাল যদি কিনতেই হয় তাহলে সময়ে কেনা উচিৎ।

নিমাই দাস- তুমি আমার মেয়েকে দেখবে না একবার?

ধনঞ্জয় - মেয়ের কি দেখার আছে।যা দেখা যায় সেগুলো সব মেয়েদের থাকে।চুল রঙ চেহারা বাইরের ভূষণ।আর ভেতরের ভূষন তো পোষাকে আবৃত। ভেতরে মন হৃদয় থাকে।ঐটা সবার সমান নয়। বিয়ে করলে তবে বুঝতে পারবো হৃদয়টি কেমন! তবে ঘোমটা এমন ভাবে দেবো টেনে যেনো মুখ কেউ দেখতে না পায়? সিঁদুরে ভরে দেবো সিঁথি যেনো সবাই বোঝে বিবাহিতা। আমি বাড়ির বাইরে যেতে দেবো না।বো - চোখের সামনে থো! অতএব আপনার মেয়ে যে সম্পত্তি পেয়ে পালাবে না এর গ্যারান্টি কি আছে? মেয়েদের মন বোঝা শক্ত। শতকিয়া ধারাপাত যতোই পড়ুক পরকিয়া করতে কতক্ষন।

কতশত নামকরা বড়ো বাড়িতে এসব চলছে! আমি তো কোন্ ছাড়্? লবাবপুত্তুর আমি! ওকে বেগম হয়েই থাকতে হবে।

নিমাই দাস- তার বটে! লবাবের অনেক বেগম করার লোভ থাকে। আমার মেয়ে তোমাকে নাকে লৎ পড়িয়ে ঘোরাবে। তুমি যে গরু! সোজা যদি না হও তাহলে পাঁচনে সোজা করবে আর দরকারে তোমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেবে! আমি মেয়ে দিচ্ছি শুধুমাত্র দ্বিজপদ মিস্ত্রির মুখ চেয়ে। তোমাকে দেখে দিচ্ছি না। শুভ দিনে সম্প্রদান হয়ে গেলো।

লেখক সত্যেন্দ্রনাথ পাইন -এর একটি নিবন্ধ

একবিংশ শতাব্দীর আরও এক লজ্জা
 




      আমাদের পাশের স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে ঘটে গেল এক লজ্জা জনক বীভৎস নারকীয় ধ্বংস। যে বা যারা ঘটালো সে বা তারা কোন সম্প্রদায়ের সেটা বড় নয়। বড় হলো ঘটানো হয়েছে। কিন্ত্ত কেন?
    সারা বিশ্বে আমরা বাঙালিরা নিজেদের ধর্ম ও সংহতি এবং সংস্কৃতি নিয়ে বুক ফুলিয়ে চলি। কারণ, আমাদের ভাবনা-- ধর্ম যে যার ভগবান বা ঈশ্বর সবার!
   সেখানে হিন্দু মন্দিরের ওপর ভাঙচুর বা ধ্বংস লীলা বাঞ্ছিত নয় নিশ্চয়ই। এখানে হিন্দু বা মুস্লিম বা শিখ খ্রীষ্টান নয় অত্যাচার হলে প্রতি বাদ ঘণীভূত হবেই। হয়েছে। সারা বিশ্বে ইসকনের বিভিন্ন সংগঠন থেকে ঝড় উঠেছে। উঠুক। আরও বেশি বেশি ঝড় উঠুক। যারা এরকম ন্যক্কারজনক কাজ করলো তারা কী চায়! বাঙালির উঁচু মাথাটা টেনে নিচে নামাতে? নাঃ। তা হতে দেয়া যাবে না। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা কড়া হাতে দমন করতে চেয়েছেন বলে খবর। উত্তম।
     যদিও লেখিকা তসলিমা নাসরিন একে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করে সরকারের ওপর দোষারোপ করেছেন। কিন্ত্ত নিরপেক্ষ ভাবে বলা যায় বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা এক্ষেত্রে সন্তোষজনক। আমরা পশ্চিম বঙ্গের বাঙালি হিন্দু রা হয়তো এটা নিয়ে বেশি মাথা ঘামাচ্ছিনা। ভাবখানা এমন যেন ওর হয়েছে তো আমি কী করবো!
   মোমবাতি জ্বালিয়ে মিছিল করে বিশ্বের কাছে আমাদের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্যে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। যেহেতু আমরাই ভাষা দিবস হিসেবে বাংলাদেশের গণ আন্দোলনের পিছনে যুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক রূপ দিতে পেরে গর্বিত। সেখানে কতজন হিন্দু বা মুসলমান ছাত্র ছিলেন তার হিসাব করিনি। কারণ, আমরা বাঙালি। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। সেই বাঙালি হয়ে কেন এরকম লজ্জাজনক ঘটনা ঘটলো! কে দায়ী! কেন ই বা ঘটলো? এর পিছনে কি কোন রাজনৈতিক বা স্থায়ী পরদেশী ছাপ বা চাপ রয়েছে!? জানতে ইচ্ছে করে।
   যে বা যারা এব্যাপারে সরাসরি যুক্ত সে বা তারা শুভ মস্তিষ্কের কিনা দেখতে হবে। সে বা তারা কী উদ্দেশ্যে এরকম ঘটালো সেটাও নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন।
   আমরা এপার বাংলায় সুখে আছি, থাকবো ও। কারণ--
    আমরা মনে করি----
     একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান।
      হিন্দু যার নয়নমনি
      মুস্লিম যার প্রাণ।।
নমস্কার ধন্যবাদ। সব বাঙালির সুস্থতা প্রার্থনা করে শেষ করলাম।  

লেখক অমিত পাল -এর একটি গল্প

 অপারেশন


                        


'বুবাই ঘুম থেকে উঠে পড়ো'- রুমকীদেবী নিজের পাঁচ বছরের ছেলেকে বলে উঠলেন৷


'আমরা আজ ডাক্তার কাকুর কাছে যাব তো মা?'- ঘুম থেকে উঠে বুবাই বলে উঠল৷


'হ্যাঁ বাবা, এখুনি৷'


আসলে বুবাই-এর হার্টে একটা ফুটো আছে৷ তাই বুবাই-এর আজ অপারেশন৷


'আজকের পর থেকে আমি কি খেলতে পারব তো মা?'


বুবাই-এর বাবা রেডি হয়েই ঘরে এলেন এবং ছেলের মুখে এই কথা শুনে নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না৷ শুধু বললেন 'নিশ্চয় বাবা, আমি আর তুমি দুজনে একসাথে খেলব৷'

লেখক সিদ্ধার্থ সিংহ -এর একটি গল্প

 বাবলুদা



বাবলুদা মারা গেছেন। পাড়ায় শোকের ছায়া। তিনি ছিলেন অত্যন্ত সুদর্শন অথচ অকৃতদার। কোনও মহিলার দিকে তিনি ভুল করেও ফিরে তাকাতেন না। যা আয় করতেন প্রায় পুরোটাই ঢেলে দিতেন তাঁর ক্লাবকে।

তাই ক্লাবের সদস্যরা মিলে ঠিক করলেন, এমন একজন সুপুরুষের যে অঙ্গটি কোনও কাজেই লাগল না, সেটা তাঁরা সংরক্ষণ করবেন।

সেই ভাবে বাবলুদার যৌনদণ্ডটি প্রিজার্ভ করা হল। সবার দেখার জন্য প্রথম সাত দিন ক্লাব ঘরে রাখা হল কাচে ঢাকা পাত্রে।

তার পর ঠিক হল, এই দর্শনীয় বস্তুটি প্রত্যেক সদস্য তাঁর বাড়িতে তিন দিন করে রাখতে পারবেন।

যখন বাচ্চুদার পালা এল, তখন তিনিও নিয়ে গেলেন তাঁর বাড়িতে। সে দিনই সন্ধেবেলায় বাপের বাড়িতে এক মাস কাটিয়ে ফিরে এলেন বাচ্চুদার বউ।

তিনি কিছুই জানতেন না। জানতেন না বাবলুদার মৃত্যুর সংবাদও। কিন্তু ওই যৌনদণ্ডটি দেখামাত্রই তিনি হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বললেন, বাবলুদাও চলে গেল!

কবি ঋদেনদিক মিত্রো -এর একটি কবিতা

 একটা ছোট কবিতা লিখি  

 


একটা ছোট কবিতা লিখি --  

      কিন্তু সেটা কেমন,

বিষয়টা তো নয় হে সহজ,  

     কাজটা যেমন তেমন!


ছোটো লেখা আয়তনে -- 

    অর্থে হবে বড়,  

এমন লেখা লেখাটা কি 

    সত্যি সহজতর?  


আচ্ছা যদি এটাই লিখি --- 

     ধরে সঠিক পথ -- 

সবাই হবো মুক্ত-মনা, 

     সাহসী আর সৎ,  


জ্ঞান চর্চা, তার সঙ্গে  

     বিচক্ষণতা আর -- 

সিদ্ধান্তে অটল থাকা,  

    সতর্ক বারবার!



এই ক-টা গুণ থাকলে তোমার --  

     সফলতায় সেরা,  

থাকবেনা আর সামনে তোমার -- 

     কোনো বাধার ঘেরা!

কবি জয়িতা চট্টোপাধ্যায় -এর একটি কবিতা

 শব্দ সাগর



মাথার তীব্র যন্ত্রনা বাড়তে থাকে অভাবের তাড়নায়

দুহাতে খামচে ধরি বিছানার চাদর

অঝোর চোখের জলে বালিশ ভিজে যায়

আমি তোমাকে আঁকড়ে ধরি

তুমি আমাকে শব্দ দাও

তোমার চোখের জলে আমার শব্দ সাগর হয়

তুমি নীরবে বয়ে যাও।

কবি সৌমেন কর্মকার -এর একটি কবিতা

 একদিনের জীবন



একদিনের যদি জীবন হতো

জন্ম নিতাম নীলচে আকাশের মেঘে,

গান ও গল্পঃ সব শুনে শুনে পাখিদের—

ছুটতাম দুর-দুরান্তর বাতাসের বেগে।


একদিনের যদি জীবন হতো

জন্ম নিতাম নানা রঙের সুবাসিত ফুলে,

কাজে লাগাতো পূজায় অঞ্জলী অথবা—

বসে থাকতাম প্রেমিকার খোঁপার চুলে।


একদিনের যদি জীবন হতো

জন্ম নিতাম ছেলেবেলাতে কৈশোরে ফিরে,

আচার-স্কুল ছুটি-বায়োস্কোপ-লোডশেডিং—

খেলতাম বারবার যা হারিয়ে গেছে চিরতরে।


একদিনের যদি জীবন হতো

জন্ম নিতাম কৃষ্ণচূড়া-শিমুল-ছাতিম গাছে,

ছায়ায় গ্রামের পথ-আড়ালে রেখে রোদ—

মেঘ বনতাম বন-ময়ূরীর আদর ভঙ্গী নাচে। 


একদিনের যদি জীবন হতো

জন্ম নিতাম শ্রাবণের অভিমানীনি বৃষ্টি হয়ে,

বারিধারায় নিস্তেজ করে কংক্রিটের শহর—

ভাসতাম গাঢ় কুয়াশায় শীতের পরশ ছড়িয়ে।


একদিনের যদি জীবন হতো

জন্ম নিতাম গ্রামের সবুজ ধানে-ভরা মাঠে,

আলের পথে ছেলে-ছোকরার কোলাহল—

দেখতাম এক বাঁধা তরী-পদ্মা নদীর ঘাটে।


একদিনের যদি জীবন হতো

জন্ম নিতাম গোধূলি শেষের সন্ধ্যাবাতিতে,

মা—ঠাকুমারা তুলসিতলায় শঙ্খ উলুধ্বনি—

হয়ে যেতাম সোনালী চাঁদ পূর্ণিমার রাত্রিতে।

কবি শ্যামল চক্রবর্ত্তী -এর একটি কবিতা

 বাঁচুক শৈশব 

       


বিদ্যে কোথায় অনেক ভারী?

 ব্যাগ এর বোঝা বইতে পারি?

তোমরা বলো আমরা শিশু,

হচ্ছে বিলীন শৈশবের ই।

মানছো তোমরা দিবস কত,

নামের বড়াই শৈশবের ই।

বলবে না তো আমরা শিশু!

কুটিল আর জটিল কেন।

জীবন মোদের ওষ্ঠাগত।

পুষ্টি মোদের জীবন গঠন ,

স্মৃতি মধুর বাড়বে কেমন?

ভাবনা তোমার আমরা শিশু।

ব্যাগের বোঝা কমাও দোহাই।

বাঁচুক শিশু শৈশবের ই।