Thursday, January 27, 2022

মুড়ো পালংয়ের ঘন্ট রান্না কিভাবে করবেন || How to cook Muro Palong ghonto || Recipe - Muri Palong ghonto by Saptatirtha Mondal || cooking || রান্নার রেসিপি || Bengali cooking Recipes




বিভাগ- রান্না টাও শিল্প



 

*মুড়ো পালংয়ের ঘন্ট*

    

                  লিখছেন - Saptatirtha Mondal





  উপকরণ :  একটা বড় সাইজের কাতলা মাছের মাথা দুভাগ করে কাটা, পালং শাক, মুলো, শিম, বেগুন,বরবটি,বড়ি, আলু, একটা মাঝরি সাইজের পেঁয়াজ, আর সরষের তেল।




  প্রণালীঃ  প্রথমে পালংশাক, শিম, বেগুন, বরবটি, মুলো এবং আলু নিজেদের পছন্দমতো ছোট ছোট সাইজ করে কেটে নিতে হবে।

 এরপরে সমস্ত উপকরণ ভালো করে জলে ধুয়ে প্রেসার কুকারে দুটো সিটি দিয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে কোন সবজি যেন গলে না যায়।



 পরের ধাপে মাছের মাথা ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে।

 এরপরে কড়াইয়ে সরষের তেল গরম করতে হবে এবং মাছের মাথা দুটোকে খুব ভালো ভাবে এদিক ওদিক করে ভেজে নিতে হবে। এরপর প্রেসার কুকারে থাকা সবজি গুলো বের করে তার জল ঝরিয়ে কড়াইয়ে দিয়ে দিতে হবে। বেশ খানিকক্ষণ নাড়াচাড়া করার পর একটা পাত্রে তুলে নিতে হবে।  



  এর পরে পুনরায় কড়াইটি পরিষ্কার করে সামান্য পরিমাণ তেল গরম হতে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে তাতে পাঁচফোরণ পেঁয়াজ কুচি এবং এক টেবিল চামচ পরিমাণ আদা রসুন বাটা, এবং দু'চারটে কাঁচালঙ্কা চিরে দিতে হবে। মসলা ভালো করে কষা হয়ে গেলে মাছের মাথা দিয়ে তৈরি করা পালং শাকের তরকারি কড়াই এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। কিছু পরিমাণ সময় নিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে এবং পরবর্তীতে স্বাদমতো নুন এবং যারা যারা মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন তারা কিছু পরিমাণ চিনি দিয়ে ঢাকা দিয়ে রেখে দেবেন।


 মুড়ো দিয়ে পালং শাকের ঘন্ট পুরোপুরিভাবে তৈরি আমরা এটিকে বেশ খানিকক্ষণ ঢাকা দিয়ে রাখার পর গরম ভাতে সার্ভ করার জন্য রেডি করে ফেলব।





Health tips-- 


*পালং শাকে আছে উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেসিয়াম, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে*

*এতে থাকা বেশি মাত্রার ভিটামিন এ, লিম্ফোসাইট বা রক্তের শ্বেত কণিকা দেহকে বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা করে*


*এর উচ্চ মাত্রার বিটা ক্যারোটিন চোখের ছানি পড়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে*


*এর ভিটামিন A ত্বকের বাইরের স্তরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে*


*এতে ফলিক এসিড থাকায় তা হৃদ যন্ত্রের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে সক্ষম*


*প্রাপ্ত বয়স্ক ঘন সবুজ পালং পাতায় উচ্চ মাত্রায় ক্লোরোফিল থাকায় এতে ক্যারটিনয়েড বিদ্যমান আর তা আমাদের শরীরে ব্যাথা নাশক ও ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ কর


____________________________________________


বিজ্ঞাপন:



Wednesday, January 26, 2022

বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে নতুন নিয়োগ || bsk New Recruitment 2022 || WB govt jobs || www.bsk.wb.gov.in || government jobs news


 


বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে (BSK) কর্মী নিয়োগ :---

----------------------------------------------


সরাসরি  ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে

কর্মী নিয়োগ হবে। চাকরি প্রার্থীরা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হলেই আবেদন করতে পারবেন। চাকরিপ্রার্থীদের কোনরকম লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে না। রাজ্য সরকারের এটি একটি স্থায়ী চাকরির শূন্য পদ। 


যে সমস্ত পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে সেগুলি হল---

 ১.Help desk personal

২.  Reconciliation personal              

  ৩.senior software personal          

৪. chief Finance officer (CFO)

৫. chief Technology officer (CTO) ৬.chief operating officer (COO)


 চাকরিপ্রার্থীদের সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। (বি এস কে) বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করা যাবে। আবেদনের ওয়েবসাইটটি হল-

www.parrecruitment.com


 নিয়োগ প্রক্রিয়া:-- সঠিকভাবে আবেদন করার পর চাকরিপ্রার্থীদের নামের লিস্ট প্রকাশ করা হবে। এরপর ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হবে ইন্টারভিউ ডেট ও ইন্টারভিউ স্থান। তারপর ইন্টারভিউ এর তারিখ প্রকাশ করে ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকা হবে।

চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনের বয়স বয়স 18 থেকে 55 বছরের মধ্যে হতে হবে। আবেদনের শেষ তারিখ 5 ফেব্রুয়ারি 2022


চাকরি প্রার্থীদের গ্রাজুয়েশন হতে হবে ও কম্পিউটার কোর্সের সার্টিফিকেট  থাকতে হবে। অফিশিয়াল নোটিশ : 


Official website --- www.bsk.wb.gov.in


__________________________________________________



সম্পূর্ণ বিজ্ঞপ্তি পড়তে নীচের লিংক এ ক্লিক করুন--


https://worldsahityaadda.blogspot.com/2022/01/500-central-government-supervisor.html


_______________________________________________


বিজ্ঞাপন:


Tuesday, January 25, 2022

কেন্দ্রীয় সরকারের দপ্তরে 500 শূন্যপদে সুপারভাইজার নিয়োগ || Central Government Supervisor Recruitment 2022 || Central Government Jobs


 


কেন্দ্রীয় সরকারের দপ্তরে সুপারভাইজার | 500 শূন্যপদে নিয়োগ:




ভারত সরকার অনুমোদিত ব্রডকাস্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্টস ইন্ডিয়ান লিমিটেডের ছয় মাসের চুক্তির ভিত্তিতে প্রার্থী নিয়োগ করা হবে।

পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশের সমস্ত ভারতীয় নাগরিকরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।


ইনভেস্টিগেটর পদের মাসিক বেতন 24000 টাকা। শূন্য পদ 350 টি।

সুপারভাইজার পদের মাসিক বেতন 30000 টাকা। শূন্যপদ 150 টি।

প্রতিটি পদের ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়সের উর্ধ্বসীমা 50 বছর।


যে কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী থাকলে এবং কম্পিউটারের যথেষ্ট দক্ষতা থাকলে এই পদে আবেদন করা যাবে।

 প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভাষা সম্বন্ধে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল থাকতে হবে।



যোগ্যতা সম্পন্ন আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদনপত্রটি যথাযথ পূরণ করে ইমেইলের মাধ্যমে পাঠাবেন। অন্য কোনভাবে পাঠানো আবেদনপত্র কোনভাবেই গ্রাহ্য হবে না। আবেদনপত্র পাঠানোর মেল আইডি টি হল --

projecthr@becil.com


আবেদন করার শেষ তারিখ -25 শে জানুয়ারি 2022

ওবিসি, জেনারেল এবং ex-servicemen ক্যাটাগরির প্রার্থীদের ক্ষেত্রে আবেদন ফি হিসেবে 500 টাকা প্রদান করতে হবে এবং অন্যান্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে 350 টাকা প্রদান করতে হবে।


______________________________________________




কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে (কৃষ্ণনগর, নদীয়া) বৃত্তিমুখী কোর্স

---------------------------------------------



কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় মাসের গাইডেন্স কাউন্সিলিংয়ের উপর সার্টিফিকেট কোর্স চালু করা 

হয়েছে।

যে কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৫০ শতাংশ নম্বর সহ স্নাতক পাস প্রার্থী আবেদন করতে পারেন।

কোর্স ফি 5000 টাকা।

সিট সংখ্যা 30

আবেদনের তারিখ 21 জানুয়ারি 2022 থেকে 28 শে জানুয়ারি 2022 পর্যন্ত।

নিম্নের এই ওয়েবসাইট লিঙ্ক এ সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে।


Official link-

https://www.kanyashreeuniversity.in/certification-course


_______________________________________________


বিজ্ঞাপন:




Monday, January 24, 2022

বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সে মাধ্যমিক যোগ্যতায় ২,৭৮৮ ট্রেডসম্যান নিয়োগ || Border security force Recruitment 2022 || BSF tradesman recruitment 2022

 



বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সে মাধ্যমিক যোগ্যতায় ২,৭৮৮ ট্রেডসম্যান  নিয়োগ



বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সে পশ্চিমবঙ্গসহ   ৬টি  রাজ্য থেকে২,৭৮৮ (কনস্টেবল) ট্রেডসম্যান পদে নিয়োগ হবে।

কার্পেন্টার ,পেইন্টার, টেলর, ইলেকট্রিশিয়ান, মালি , ওয়েটার, ড্রাফটসম্যান, সুইপার ,ওয়াটার ক্যারিয়ার , কবলার, কুক, বারবার ইত্যাদি পদে নিয়োগ করা হবে।




এই শূন্যপদ গুলিতে আবেদনের জন্য প্রার্থীদের বয়স হতে হবে ১.০৮.২০২১'র হিসাবে ১৮ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে। তপশিলি প্রার্থীরা  ৫ বছর এবং ও.বি.সিরা ৩ বছর বয়সে ছাড় পাবেন ।

ছেলেদের ক্ষেত্রে শরীরের মাপজোখ হতে হবে লম্বায় অন্তত ১৬৭.৫ সেমি সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে, আর আর তপশিলি উপজাতি প্রার্থী ক্ষেত্রে ১৬২.৫ সেমি, পাহাড়ি এলাকার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১৬৫ সেমি

বুকের ছাতি সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে না ফুলিয়ে ৭৮ সেমি আর তপশিলি উপজাতি প্রার্থীর ক্ষেত্রে ৭৬ সেমি

বুকের ছাতি সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ফুলিয়ে ৮৩ সেমি আর তপশিলি উপজাতি প্রার্থী হলে৮১ সেমি। উভয় প্রার্থীর ক্ষেত্রেই উচ্চতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওজন হতে হবে।


 সাধারণ প্রার্থীদের শরীরের মাপজোখ মেয়েদের ক্ষেত্রে হতে হবে  লম্বায় অন্তত ১৫৭ সেমি , তপশিলি উপজাতি প্রার্থীর ক্ষেত্রে ১৫০ সেমি আর পাহাড়ি এলাকার প্রার্থী হলে ১৫৫ সেমি। উচ্চতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওজন হতে হবে। দৃষ্টিশক্তি চশমা ছাড়া উভয় চোখে ৬/৬ ও ৬/৯

চোখে চশমা, ট্যরা দৃষ্টিশক্তি,  বর্ণান্ধতা, চ্যাটালো পায়ের পাতা, শিরাস্ফীতি, ধনুকের মতো বাঁকা হাটু থাকলে আবেদনের অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।

 মূল বেতন-২১,৭০০-৬৯,১০০ টাকা।

প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য প্রথমে উচ্চতা মাপা হবে। যথাযথ উচ্চতা না থাকলে বাদ দেওয়া হবে। এরপর শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা নেওয়া হবে। এই পরীক্ষা তে প্রথমে 24 মিনিটে 5 কিমি  দৌড়াতে হবে। সফল হলে মূল সার্টিফিকেট এর পরীক্ষা। তখন যাবতীয় প্রমানপত্রের প্রত্যয়িত জেরক্স সঙ্গে রাখবেন।

এরপর শারীরিক মাপজোখে সফল হলে ট্রেড টেস্ট। এর পরের ধাপে হবে 100 নম্বরের লিখিত পরীক্ষা। নির্ধারিত সময় থাকবে দু'ঘণ্টা। এই পরীক্ষায় থাকবে যে বিষয়গুলি সেগুলি হল--জেনারেল অ্যাওয়ারনেস/জেনারেল নলেজ, অ্যানালিটিক্যাল  অ্যাপটিটিউড, নলেজ অফ এলিমেন্টারি ম্যাথমেটিক্স, বেসিক ইংরেজি বিষয়ে নলেজ।

প্রাক্তন সমর কর্মীরা  ও সাধারণ প্রার্থীরা ৩৫% পেলে কোয়ালিফাইং করতে পারবেন। মেধাতালিকা তৈরি হবে লিখিত পরীক্ষার নম্বরের উপর ভিত্তি করে। সবশেষে ডাক্তারি পরীক্ষা।

দরখাস্ত করতে হবে অনলাইনে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ এর মধ্যে। প্রার্থীদের বৈধ ইমেইল আইডি থাকতে হবে। প্রথমে 


http://rectt.bsf.gov.in 


এই ওয়েবসাইটে গিয়ে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাবমিট করলেই নাম রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে। তখন পরীক্ষা ফি বাবদ নির্দিষ্ট টাকা অনলাইনে জমা করতে হবে। টাকা জমা দেয়ার পর সিস্টেম জেনারেট অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম টি প্রিন্ট 

করে রাখতে হবে। আরও বিস্তারিত তথ্য এই ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে।


মোট শূন্যপদ:

কবলার ট্রেডে শূন্যপদ ছেলেদের জন্য ৮৮ টি জেনারেল প্রার্থীদের জন্য 40 টি, ওবিসি প্রার্থীদের জন্য 19 টি, ই ডাব্লিউ এস প্রার্থীদের জন্য সাতটি , তপশিলি জাতির জন্য 15 টি এবং তপশিলি উপজাতি প্রার্থীদের জন্য সাতটি শূন্যপদ আছে।

টেলর ট্রেডে মোট শূন্যপদ 47 টি, জেনারেল প্রার্থীদের জন্য 25 টি, ওবিসি দের জন্য 11 টি, তপশিলি জাতি প্রার্থীদের জন্য সাতটি, তপশিলি উপজাতি প্রার্থীদের জন্য দুটি, ই ডাব্লিউ এস প্রার্থীদের জন্য দুটি।

ওয়াটার কেরিয়ার ট্রেডে 510 টি শূন্য পদ। জেনারেল প্রার্থীদের জন্য 213 টি ওবিসি দের জন্য 123 টি তপশিলি জাতির জন্য 83 টি তপশিলি উপজাতি জন্য 43 টি এবং  ই ডব্লিউ এসপ্রার্থীদের জন্য 48 টি।

কার্পেন্টার ট্রেডের তেরোটি শূন্যপদ।

ওয়েটার ট্রেডে ছটি শূন্য পদ । ছটি শূন্য পদ জেনারেলপ্রার্থীদের জন্য।

মালি ট্রেডে চারটি শূন্যপদ জেনারেলপ্রার্থীদের জন্য।

পেইন্টার পদের  শূন্য পদ ৩টি,

ইলেকট্রিশিয়ান পদে শূন্যপদ চারটি।

সুইপার ট্রেডে  শূন্যপদ 617 টি জেনারেল প্রার্থীদের জন্য 263 ওবিসি প্রার্থীদের জন্য 145 টি তপশিলি জাতি প্রার্থীদের জন্য 98 টি তপশিলি উপজাতি প্রার্থীদের জন্য 51 টি আর ঈ ডব্লিউ এস প্রার্থীদের জন্য ৬০টি।

বারবার ট্রেডের শূন্যপদ 123 টি জেনারেল প্রার্থীদের জন্য 54 টি ওবিসি প্রার্থীদের জন্য 30 টি তপশিলি জাতির প্রার্থীদের জন্য 18 টি, তপশিলি উপজাতি প্রার্থীদের জন্য আটটি এবং ঈ ডাবলিউ এস প্রার্থীদের জন্য 13 টি।

ওয়াশার ম্যান ট্রেডে 338 শূন্য পদ, জেনারেল প্রার্থীদের জন্য 147 টি ওবিসি প্রার্থীদের জন্য 77টি , তপশিলি জাতি প্রার্থীদের জন্য 55 টি ,তপশিলি উপজাতি প্রার্থীদের জন্য চব্বিশটি এবং ঈ ডাব্লিউ এস প্রার্থীদের জন্য 35 টি।

কুক ট্রেডে শূন্যপদ 897 টি জেনারেল প্রার্থীদের জন্য 380 টি, ওবিসি প্রার্থীদের জন্য 208, তপশিলি জাতি প্রার্থীদের জন্য 144 টি ,তপশিলি উপজাতি প্রার্থীদের জন্য 76 টি ,এবং ঈ ডাব্লিউ এস প্রার্থীদের জন্য 89 টি।


শূন্যপদ মেয়েদের জন্য:---কুক ট্রেডে 47টি মোট শূন্যপদ। জেনারেল প্রার্থীদের জন্য 26 টি, তপশিলি জাতি প্রার্থীদের জন্য ছটি, তপশিলি উপজাতি প্রার্থীদের জন্য দুটি এবং ঈ ডব্লিউ এস প্রার্থীদের জন্য দুটি, আর ওবিসি প্রার্থীদের জন্য 11 টি।

বারবার ট্রেডে শূন্যপদ সাতটি জেনারেল প্রার্থীদের জন্য।

কবলার ট্রেডে শূন্যপদ তিনটি জেনারেল প্রার্থীদের জন্য।

টেলর ট্রেডে শূন্য পদ দুটি জেনারেল প্রার্থীদের জন্য। ওয়াটার ক্যারিয়ার ট্রেডে মোট শূন্যপদ সাতাশটি ।জেনারেল প্রার্থীদের জন্য 19 টি তপশিলি জাতি প্রার্থীদের জন্য দুটি, তপশিলি উপজাতি প্রার্থীদের জন্য একটি, ওবিসি প্রার্থীদের জন্য পাঁচটি। সুইপার ট্রেডের মোট শূন্যপদ 33 টি। জেনারেল প্রার্থীদের জন্য ২০টি ,তপশিলি উপজাতি প্রার্থীদের জন্য দুটি, তপশিলি উপজাতি প্রার্থীদের জন্য শূন্য পদ দুটি, ই ডব্লিউএস প্রার্থীদের জন্য দুটি, আর ওবিসি প্রার্থীদের জন্য সাতটি।



প্রার্থীদের আবেদনের যোগ্যতা: প্রার্থীদের মাধ্যমিক পাস হতে হবে। তার সাথে (১)সংশ্লিষ্ট ট্রেডে দু'বছরের কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। (২)আইটিআই অথবা ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট থেকে 1 বছরের সার্টিফিকেট কোর্স পাস ও সংশ্লিষ্ট ট্রেডে এক বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।(৩) আইটিআই থেকে দু বছরের ডিপ্লোমা কোর্স পাস হলেও আবেদন করা যাবে।

_______________________________________________



সম্পূর্ণ বিজ্ঞপ্তি পড়তে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন----

https://worldsahityaadda.blogspot.com/2022/01/wb-group-d-post-recruitment-2022.html


_________________________________________________



বিজ্ঞাপন:




Sunday, January 23, 2022

Photography || Sohini Sabnam

 


Photography || Moushumi chandra


 

Photography || Dr Atef kheir

 


Photography || Amit pal

 


Poem || Great Crime || Pavel Rahman

 Great Crime




Umar khaiyam has said, “ Do all misdeeds

But my friend, never hurts any.”

If you want to do sin,

Oh, my friend, do such sin

Which doesn’t hurt any, that is great crime.


Poem || THE THROTTLED LOVE || Kunal Roy

 THE THROTTLED LOVE




I met her once,

In a breezy afternoon,

With lustrous lips,

Graceful gait,

Curly -

Brown cascade,

Down her waist!

Elegant!

With a misfortune in store!


Love whispered ,

Enticed the soul,

Inspired the skinny pore -

Felt the fragrance,

Realised the touch -

But in vain!


She was in some other arm,

The delight was stolen,

The love was throttled -

 Bled the soul,

Upon the thorns of earth!

I wanted to die under the starry sky,

An inner voice jerked -

Death should not be the choice!

Yet death was desirable!

The God never responded,

Kept silent,

Kept unperturbed!!

                                       

Poem || Only for you || Chand Roy

 Only for you

       



Thousands of roses in a Gulab Bag

  With the smile of the moon, 

I can apply pearls all over my body

Can spread butter, spread with both hands

They can count

 One can bring a star through the sky

I can go to the stars in a Malay chariot

I can write poetry in a sleepless night in solitude

I can dance, I can dance with the song

Happiness can float in memory

I can come to the Ganges again and again

I can see, I can show around

I can touch the blue sky,

 I can give the mind

 At the source of the heart. 

 I can pull the silver moon down, I can land

I can come in the transparent water of love

 I can travel around the world-- I can lift the world

I can forget all the sorrows by love

I can do everything today only for you, only for you

 Just get close to you.

রম্যরচনা || শিরে সংক্রান্তি || অরবিন্দ সরকার

 শিরে সংক্রান্তি

                    

             


তখনকার দিনে স্বামী শ্বশুর ভাসুর বা গুরুজনদের নাম করা যেত না।যদি মুখ ফস্কে বেড়িয়ে যেত তাহলে গোবর দিয়ে মুখ শুদ্ধিকরণ করতে হত। তারপরেও অকথ্য আচরণ করা হত বৌ দের প্রতি। সে সময় রসগোল্লাকে অসগোল্লা,আখকে রাখ,রেনুকাকে এনুকা, প্রতিমাকে পিতন ইত্যাদি বলতো।

এমন দিনের একটি ঘটনা হল- পাতনা গ্রামের শঙ্কর দাসের বাড়িতে।শঙ্কর দাসের ছেলের নাম- পিতাম্বর ও পুলিন। দুই ছেলের দুই বৌমা।


আজ পৌষ মাসের সংক্রান্তি। মকর সংক্রান্তিও বলে। বাঙালির ঘরে ঘরে পিঠে পুলি শুরু। একেবারে সরস্বতী পূজা অবধি এই ধূমধাম।

শঙ্করের দুই বৌমা রাধারানী,ও কেতকী দুজনেই আলোচনা করছে আজ তো শিরে চালগুলো হবে। 

শাশুড়ি হৈমবালা বললো তোমরা কি বলছো গো - আজ যে সব পালন।

বৌমারা - কি পালতে হবে আমাদের। খাওয়া দাওয়া বন্ধ কি আজ?

শাশুড়ি- না না ,তোমরা এসো আমার সঙ্গে।আজ যে মাসের শেষ--

রাধারানী- জানি তো সংক্রান্তি। আজ পিঠে পুলি হবে।

শাশুড়ি - হেইমা রে হেইমা!রামো রামো ,ছিক্কো!- আস্পর্ধা দেখো! তোমার মুখে পোকা হবে। শ্বশুরের নাম করলে তুমি। আমি কোনদিন বিয়ের পর ওকথা মুখেও আনিনি।আর তুমি---

রাধারানী- মা ! সংক্রান্তি আর শ্বশুরের নাম একেবারেই আলাদা।

শাশুড়ি- ছোট মুখে বড় কথা। তুমি আগে এসেছো এ বাড়িতে না আমি এসেছি? মুখের ওপর কথা। এক্ষুনি একটু গোবর মুখে দাও ও গঙ্গাজল মুখে নাও। সহবত শেখো?

পীতাম্বর তার বৌকে বলল - তুমি মায়ের কথা অমান্য কোরো না। তাহলে হুলুস্থুল কাণ্ড হয়ে যাবে।এ বাড়িতে এসব চলবে না।

রাধারানী - আমার শিরে সংক্রান্তি! মুখটা অশুদ্ধ হয়ে গেল নাম নিয়ে। শঙ্কর, মহাদেব, কৃষ্ণ, গোপাল, হরি, কার্তিক, শিব, এসব নাম কেন রাখে লোকে? কেউ কি এরা দেবতা হতে পারবে ? তার চেয়ে ওদের বাহন ষাঁড় হয়তো হতে পারবে। তাহলে বাহনের নাম রাখাই ভালো। তখন আবার ছেলে মেয়েদের গরু বাঁদর বলতে পারবো না।কি কুলক্ষনে যে এ বাড়িতে পা দিয়েছি।বাবা আমার সদাশিব তাই এসেছি এ বাড়িতে।বহু জন্মের পাপ ক্ষয় করতে।

শাশুড়ি- আবার বললে? 

রাধারানী- না তো? কখন বললাম আবার! 

শাশুড়ি- ওই যে অপর নাম বললে? 

পিতাম্বর- ওই যে শিব বললে? শিব শঙ্কর একই ব্যাপার।

রাধারানী- ঠিক আছে আমি মুখ শুদ্ধিকরণ করছি আর মুখ খুলবো না।

পুলিন- কেতকী তুমি কিছু বলোনি তো?

কেতকী- আমি তো বলার সুযোগই পাইনি। দিদিভাইয়ের সঙ্গেই তো ঝামেলা হচ্ছে।ও পিঠে পুলি খেয়ে লাভ নেই। বাপের বাড়ীতে ঢেক্ খেয়েছি।

শাশুড়ি- বৌমা তুমি আমার ছেলের সামনেই ছেলের নাম করলে? পুলি বললে? মুখে পোকা হবে ।সোয়ামীর নাম জানো না? পুলিন নাম। তাও মাথা খেয়ে, ভুলে বসেছো?

কেতকী- তাহলে তো ওগুলো খাওয়াও যাবে না। তাহলে বলবেন সোয়ামীকে খেলি।থাক্ মা - ওসব খেয়ে লাভ নেই! গোবর গঙ্গাজল খেয়েই থাকবো।সবাই যদি অষ্টোত্তর শতনাম রাখেন তাহলে তো চলতেই পারবো না। রাস্তার নাম পুল , তাহলে হাঁটব কি করে। শুয়ে থাকতে হবে! কত্তাঠাকুরের নাম শ্রীবাস ,তাই এখনো বিছানা বলতে পারি না।

গ্রামের মোড়ল হাবলবাবু এই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। হাঁক পাড়লেন কি হয়েছে গো শঙ্কর। চেঁচামেচি কেন?

শাশুড়ি হৈম - মাথায় মাথায়‌।

হাবল- মাথায় কি হল?

হৈম- আজ মাথায়!

হাবল- ঠিক আছে কাল শুনবো।আজ তাহলে থাক্।

হৈম- তা নয়!

হাবল- তাহলে?

হৈম - আজ পার্বন তাই বলছি। মাথায় !

হাবল- ও শিরে সংক্রান্তি বলছো!

রম্য রচনা || ছেলেবেলা || সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

 ছেলেবেলা


   ছেলেবেলায় কী ঘটে আর কী ঘটে না তা বোধকরি লিখে বা এঁকে বোঝানো সম্ভব নয়। কিন্তু কিছু তারই মধ্যে স্মৃতিপটে অমলিন। তাকে রঙ তুলি কিংবা পেন পেন্সিল দিয়ে নিজের মনের মতো বাগিচায় সাজানো বাস্তববিকই দুষ্কর। 

          অথচ ছেলেবেলায় ঘটা ঘটনার আউটলাইন করে যে ঘটনার পুননির্মাণ করবো তাও ভেতর থেকে সাড়া মেলে নি। কেননা, অবসর যে নেই ফিরে তাকানোর। তাই আগামী দিনের দিকেই দৃষ্টি নিবদ্ধ করি-- যেটা মানব ধর্মই বলা যেতে পারে। যেটা কিন্তু অনেক সময়ই অন্ধকারে পড়ে বালকমনে বেশ কিছু ছবিই অকপটে নিজের কাছে নতজানু হয়ে বশ্যতা স্বীকারে বাধ্য হয়।। সুতরাং ছেলেবেলার ঘটনা মনের ওপর ছাপ ফেলার আগেই নিমেষে সংশোধনাগারে বন্দীত্বকে মেনে নেয়। 

       এই ছেলেবেলার উজ্জ্বলতা যথাযথভাবে সংগ্রহ করে ফটো ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখা বিশ্রামাগারে বসে গাড়ির জন্যে অপেক্ষা করার মতোই নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে। তবুও চেষ্টা করছি যতটা মনে পড়ে। পিছনের দিকে তাকালে নিজের পিঠেও কী আছে জানা যায় না। বিনোদনের কিছু কেউ মনে করালে তবেই বোধহয় বর্ণনা দেয়া যায় বা সম্ভব।। মনের মধ্যে অনেক ঔৎসুক্য জমা হলেও বিচিত্র বর্ণে তাকে সাজিয়ে রাখা হয়তো আমার মতো ক্ষীণ দুর্বল চিত্তের মানুষের পক্ষে একদমই মানানসই নয়।। 

      আবার এমন কিছু নেই যেটা কে মনে করে চিরস্মরণীয় করে কেউ খোঁপা বাঁধতে সক্ষম হবে! তবু

তারই কিছু খন্ড চিত্র আজও লিপিবদ্ধ করার পক্ষে জোরালো সওয়াল করে চলেছে প্রতিনিয়ত আমার লেখনীর দোরগোড়ায়।। এটা সাহিত্য নয় জেনেও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে জানাতেই যেন এই শুদ্ধিকরণ আর কি! 

                   শৈশব

 তখন কেবল আমি একা। যদিও জাড়তুতো দিদি শ্যামলী আমার থেকে বড় হলেও একসাথেই পড়াশোনা করেছি। যৌথ পরিবার (প্রায় ৭০/৭২) ভুক্ত হবার কারণে জাড়তুতো, খুড়তুতো, বা সহোদর, সহোদরার মানে বোঝানো হয়নি, সেসময় বা বুঝতে শিখিনি। পাঠশালা নয়। নিজের বাড়িতে এক মাটির ঘরে বসে পন্ডিত মশাই সনাতন চক্রবর্তীর কাছে শিক্ষা শুরু। 

তার আগে বাড়ির কাছে ঐতিহ্যবাহী কালীমন্দিরের দোরে হাতে খড়ি। বিশাল একটা চক( আয়তনে প্রায় ৭/৮ ইঞ্চি হবে। দুদিকটা সরু মাঝে মোটা পটল আকৃতি।) অ আ ক খ লিখে সেই যাত্রার শুরু। তারপর বাড়িতে পড়াশোনা। সংস্কৃত পড়াতেন ঐ পন্ডিত সনাতন চক্রবর্তী। আমার উচ্চারণে বাবা অনুপ্রাণিত হয়েই বোধহয় কাব্য মধ্য তীর্থ বেদান্ত পড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সেটা যদিও আর বাস্তবে রূপ পায়নি। বাবার মামাতো ভাই শ্যামসুন্দর দত্ত নাকি খুব ছোট্ট বয়সেই কীর্তনীয়া কোনও নবদ্বীপ গায়কের ভুল ধরে দিতে পেরেছিলেন যখন তাঁর বয়স মাত্র ৯/১০! সেই শুনে আমার কাছেও বাবার ইচ্ছাগুলো নাভিশ্বাস তুলতো মনে হয়। সেই মামাতো কাকা পরে ভারত সরকারের বিশিষ্ট পদে আসীন ছিলেন এবং উলুবেড়িয়ার সাব --জর্জ নিযুক্ত হয়েছিলেন। আবার পরে রিটায়ার্ড হয়ে পূর্বাঞ্চলীয় ফুড করপোরেশনের ম্যানেজার হয়েছিলেন -- শুনেছি। গুটির ( হুগলি) তৎকালীন বিখ্যাত জমিদার পরিবারের সন্তান ছিলেন সেই শ্যামু কাকা। আমার দাদু মানে বঙ্কুবিহারী পাইন সেই জমিদার বাড়িরই জামাই। শুনেছি- পায়ে হেঁটে শ্বশুর বাড়ি যেতে হতো সেসময় প্রায় ১৪ কিমি।যাবার পথে রাস্তায় একদিন কোনো এক অজানা ভিক্ষুক দাদুর কাছে একটা কাপড় চাইলে দাদু তৎক্ষণাৎ নিজের ধুতি খুলে দিয়ে একটা গামছা পড়ে শ্বশুর বাড়ি যান। জমিদার বাড়িতে সবাই অবাক হলেও সব শুনে আর কিছু প্রতিবাদ করেননি। আমি সেই বংশজাত বলে বাবা তাই বারবার আমাকে অনুপ্রাণিত করতেন। যেটা নাকি আমাকে পরে সেই দাদুর উত্তরসূরি বা পুনর্জন্ম নেওয়া ভেবে আমাকে আমার নাম না ধরে 'বাপ'বলে সম্বোধন করা হতো। ঠাকুরদা আমি জন্মাবার মাত্র বছর দুই আগে যদিও মারা গিয়েছিলেন। আর ঠাকুমা মারা যেতেই আমাদের বেনে পাড়ায় যত পুজো অনুষ্ঠিত হতো( দুর্গা, অন্নপূর্ণা, বাসন্তী)সবই বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বাড়িতে দুর্গাপূজা হতো। এক বৎসর কোনও এক ব্রাহ্মণ এমন আরতি করেছিলেন-- যেটায় ঠাকুমা অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। কেননা, সেই বৎসর আমাদের কূল পুরোহিত মারা গিয়েছিলেন বলে অন্য ব্রাহ্মণ পুজো করেছিলেন। সেটা শুনে জেনেছি-যে জন্য আর পুজো হয়নি। যদিও আমি ঝোঁক ধরে অনেক বড় বয়সে বাবাকে জানিয়ে ই দুর্গাপূজা আনিয়েছিলাম। যেটা বেশি বৎসর অবশ্য চালাতে সক্ষম হইনি। বাবা মারা যাবার পরে পরে বছর দুই চালাতে পেরেছিলাম মাত্র। সেটা অবশ্যই পরের কাহিনী। আমি আমার খুব ছোট্ট বয়সে আমাদের বাড়ি থেকে লুপ্ত হয়ে যাওয়া কিছুটা উল্লেখ করতাম বলে আমার প্রতি একটা অন্য টান ছিল বাড়ির সবারই। যাই হোক্-- সেসবই অন্য ব্যাপার। 

   এখন শৈশবের পর্দা খোলা হয়েছে। সেটাই অভিনীত হবার কথা। তাই ওদিকে না এগিয়ে শৈশবের কথাই বরং বলি। যৌবনে একদিন হঠাৎই মা ডেকে এনে ছড়া লিখতে বলেন- সম্ভবত ১৯৬০/৬২ সালে। তার পরেই আমার কলমের পথ চলা বা এগিয়ে চলা। 

 লেখাপড়া চললো। স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করা হলো তৃতীয় শ্রেণীতে। বয়স তখন ৬ ( ছয়) হয়নি। তাই কিছুটা বয়স বাড়িয়ে ভর্তি হতে হলো। জন্ম আমার ১৯৫২সালের ১৯ এপ্রিল। করা হলো ১৯৫২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। সনাতন পন্ডিতের পরে শিক্ষক হলেন কাশীনাথ করাতি, পরে সত্য রঞ্জন সাধুখাঁ এবং সবশেষে দেবীপুর গ্রামের সুদেব গাঙ্গুলী মহাশয়। যখন লেখা চলছে অর্থাৎ ১৪২৮ বঙ্গাব্দেও যিনি জীবিত আছেন। সেখান থেকেই সোজা কলেজের পান্থ দেশে। এর আগে চতুর্থ শ্রেণীর বৃত্তি- পরীক্ষায় অবশ্য উত্তীর্ণ হতে পারিনি। শ্যামলী দিদি ও আমি ক্লাসে প্রথম ও দ্বিতীয় হলেও দুজনেই কিন্তু চতুর্থ শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষায় ফেল। তারপর পঞ্চম শেণীতে ভর্তি হলাম। শ্যামলী দিদি র পড়া হলো না। কেননা, নারীদের পড়াশোনা করার পক্ষে তখন কেউ ছিলেন না। স্কুলও ছিল না। আমি ভর্তি হলাম গড় ভবানীপুর রামপ্রসন্ন বিদ্যানিকেতনে। যেটি আর এক স্থানীয় জমিদার (রায় )বংশেরই একজন ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা।

    এখানে এই স্কুলে স্বয়ং বিদ্যাসাগর মহাশয় একবার পদধূলি দিয়েছিলেন, রাত্রি যাপনও করছিলেন-- শুনেছি তাঁর হস্তাক্ষরের নমুনা আজও বিদ্যমান।( আমি পরে এই স্কুলেই বিনা বেতনে শিক্ষকতা করেছি। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছি)! যাক গে সে কথা। ভর্তি হবার পর থেকেই আমি সকল শিক্ষকদের খুব অনুগত এবং গুণগ্রাহী ছিলাম। কারণ কী অবশ্য কোনও দিনই জানতে পারিনি। বাবার উঁচু মাথা নাকি আমার ব্যবহার বোঝা যায়নি। যদিও ক্লাস ফাইবের ফাইনালে আমি বিজ্ঞানে অকৃতকার্য হই। বাবা আমাকে ষষ্ঠ শ্রেনীতে তুলতে রাজি হননি। আমি কেঁদে কেঁদে যখন অন্যরকম তখন স্কুলের শিক্ষকদের আব্দারে বাবা ষষ্ঠ শ্রেণীতে তুলে দেন একপ্রকার বাধ্য হয়েই। আবার সেই শ্রেণীতে হাফ ইয়ারলি পরীক্ষাতেও আমি বিজ্ঞানে ফেল করি। তারপর ফাইনালে যদিও আমি পঞ্চম হই। প্রগ্রেস রিপোর্ট দিয়ে তাই সেই সময়কার মাষ্টার মশাইরা বলেছিলেন-- দেখুন দেখুন , গার্জেন যদি লক্ষ্য করেন তাহলে "সঠিকটা" কেমন সম্ভব। তারপর থেকে শুধুই উঁচুতে ওঠা। পরপর ক্লাসে উন্নতি। শেষ পর্যন্ত তৃতীয় হয়ে হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষায় বসা। এবং সেখানে দ্বিতীয় হওয়া। মাঝে অনেক কিছুই ঘটে গেছে। যদিও এটা এখন সম্ভব কিনা আগামী ভবিষ্যৎ ই বলবে। এখনকার ছেলে মেয়েরা তো বাবার মায়ের শসন মানতেই চায়না। তারা উচ্ছৃঙ্খল কিনা বলতে পারবো না। কিন্তু বড়ই অবাধ্য। কিছু একটা চেয়ে না পেলেই আত্মহত্যা করতেও পিছপা হয়না। একবার আমি বাবার কাছে একটা জুতো আব্দার করলে বাবা দূর অদৃশ্যের দিকে আঙুল বাড়িয়ে বলেন দাখো একট লোক হাঁটছে। একটা পা নেই। তোমার দুটো পা আছে একজোড়া জুতো আছে। আবার কিসের দরকার!?

     ভর্তি হতে গিয়ে বাসে মামার পকেট থেকে টাকাকড়ি সহ সমস্ত সার্টিফিকেট খোয়া যায়। । আবার ডুপ্লিকেটের জন্যে কলকাতা থেকে এসে স্কুল থেকে ফের ভর্তি হতে যাওয়া। আবার ভর্তির ঠিক পূর্ব মুহুর্তে কলেজের ক্যাশ কাউন্টার থেকে বাবাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হয় "কোথায় ছেলে থাকবে"!? বাবা অকপটে কলেজ হোষ্টেলের কথা বললে-- কাউন্টার থেকে ফেরত দেয়া হয়। বলা হয়" আগে ঘর দেখুন। তারপর ভর্তি। এখানে থাকলে ছেলে মরে যাবে।" ঘর খুঁজে তারপর ভর্তি হলাম। একা একা রান্না করে কলেজ করার অনুমতি নিয়ে। ভাবাই যায় না। যে --আমি এর আগে কোনো দিনই কিছুই করিনি,-- জল খাওয়া , স্নান করা, জামা প্যান্ট পড়া কিচ্ছু না সেই আমি সূদুর কলকাতায় এক্কেবারে একা! বাবার ভগবানের ওপর ভরসা আর মায়ের বিদায় কান্না আজও বড় মনে পড়ে। যেন মেয়েকে শ্বশুর বাড়ির পথে এগিয়ে দেওয়া। সেটা ১৯৬৭ সালের কথা। অবশ্য প্রথম বছর হাওড়ায় পিসিমার ভাড়া বাসায় থেকে পড়াশোনা শুরু। পিসিমা ছিলেন বিধবা এবং খুবই গরীব। কিন্তু "সেজদা "র ছেলে হিসেবে যথেষ্ট যত্নশীল ছিলেন আমার ওপর। পিসিমার ছোট ছেলে খোকন পড়াশোনায় একেবারেই ভাল ছিল না। তবুও আমার সাথে নিবিড় ভাবে যুক্ত ছিল। বয়সে আমার থেকে একবছরের বড়ো। কিন্তু বোকা হাঁদা যেন। একসাথে রেশন তুলতে, বাজার করতে যেতাম-- হাওড়ার তাঁতিপাড়া লেনে। যেখানে নকশাল আমলের বেশ কিছু ছেলে আমাকে খুব ভালোবাসতো ও চোখে চোখে রাখতো। পুলিশ এলে অবশ্য তেমন আমার সাহায্য ও সহযোগিতা পেত। তারপর অনেক ইতিহাস স্বাক্ষী করে আমি প্রথম বছর কাটিয়েছি। কিন্তু অনার্স পরীক্ষায় আবার ফেল। ফলে একই বছরে পুনপদার্পণ। সেই থেকে ১৯৬৮ সালের ১৫ আগষ্টে কলকাতার তালতলা লেনে একা একা পড়াশোনা করা। অনেক মেয়ে বন্ধু এসেছে। আমাকে শয্যা সঙ্গী হিসেবে পেতেও চেয়েছে কেউ কেউ-- ফলপ্রসূ হয়নি। ছেলে বন্ধুরা অবশ্য আমাকে নীতিশিক্ষা বা জটিল শহরের আদিখ্যেতা বোঝাতো সবসময়। এমনিভাবে কেটেছে বেশ কয়েকটা বছর। অনার্স পেয়ে পাশ করেছি। কিন্তু পরবর্তী মাষ্টার ডিগ্রিতে (মাত্র সীমিত সিটের জন্যে)আবার অকৃতকার্য হওয়ায় পড়া হয়নি। পলিটিক্যাল সায়েন্স নিয়ে পড়তে চাইলাম। বাবার হুকুমে দেশে ফিরে আসতে হলো১৯৭৩ সালে। বাবার ধারণা হয়েছিল-- আমি কামিনী মোহে মশগুল। কারণ, বাবার মনে দৃঢ় হয়েছিল-- আমি কামিনী অনুরাগী নাহয় সন্ন্যাসী হবার পথে অগ্রণী।তাই ছেলের অন্তর্দশা কাটাতেই ফিরিয়ে আনা। ততক্ষণে ১৯৬৯ সালে ভাই পুশান( প্রশান্ত) হায়ার সেকেন্ডারি পাশ করেছে। তাকেও বাধ্য হয়েই একপ্রকার কমার্সের জন্য গোয়েঙ্কা কলেজে ভর্তি হতে হয়েছে এ্যাকাউন্টেসি অনার্সে। যদিও আমরা স্কুলে দুজনেই ছিলাম আর্টসের ( কলা বিভাগের) ছাত্র। কারণ, স্কুলটায় তখন সায়েন্স বা কমার্স কিছুই স্বীকৃতি পায়নি। এটা আর একটা দুর্ঘটনা বলা যেতে পারে। বহুদূরে গিয়ে পড়লে জাড়তুতো রেনু দিদির বাড়িতে ঝিখিরায় - পড়তে হতো -- যেখানে স্কুলে সায়েন্স ছিল। দিদি রাজিও ছিল। বাবা রাজি হননি। ফলে-- অগত্যা--- আর্টস পড়ে ইকনমিক্স, আর কমার্সের পথে এগিয়ে চলা আর কি! হায়ার সেকেন্ডারিতে তারপরে দ্বিতীয় ডিভিশনে পাশ করে ইকনমিক্স পড়তে সোজা কলকাতার পথে সেন্ট পলস কলেজে। অধিকাংশ কলেজেই সেসময় ইকনমিক্স ছিল না বলে। তাছাড়া যখন হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষা দিই তখন সিট পড়েছিল এই এখানে সুদূর সেন্ট পলস স্কুলে। সেটাতেই এই কলেজের প্রতি একটা আলাদা টান ছিলই। খুব পছন্দ হয়েছিল ক্যাম্পাস টা। আবার নিয়তির বিধানে অন্য কলেজে ভর্তি হতে না পারাটাও মনে হয় সাহায্য করেছিল আমায়।। 

   আমি কামিনী কাঞ্চন ভোগী কিনা-- সেটায় দ্বিমত নেই। কিন্তু "কাঞ্চনের "প্রতি অতটা টান ছিল না মনে হয়। আজও নেই। কিন্তু কামিনী যেন আজও আমাকে কুরে কুরে দংশন করে সদা সর্বদা। স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ছিলেন -- শান্তিনিকেতনের ছাত্র বাসুদেব ইন্দ্র মশাই। তাঁর সৌম্য চেহারা এবং শান্তিনিকেতনীয় শিক্ষায় আমি প্রলুব্ধ ছিলাম। তাঁর চেষ্টায় ও আমার বাবার ঐকান্তিক ইচ্ছায় ক্লাস নাইন থেকে নারী শিক্ষার প্রসার চালু হলো। আমিও ছিলাম এব্যাপারে যথেষ্ট পরিমাণে সহযোগী। জানিনা এটা কামিনী মোহ নাকি নারী শিক্ষার প্রতি অনুরাগ বোঝাতে পারবো না। এরপরে অনেক অত্যাচার সহ্য করেছি। স্কুলে ছাত্ররা আমাকে "একঘরে" করে বসতে জায়গা দিত না। বেশ কিছু দিন এভাবে চলার পরে একদিন জানলার ধারে দাঁড়িয়ে (তখন প্রায় রোজই) ক্লাস করছি। জয়দেব বাবু (এক শিক্ষক)আমার বিরুদ্ধে বাবাকে নালিশ করেন। সেটা বিভিন্ন ভাবে প্রধান শিক্ষক বাসুদেব বাবুও জানতে পেরে শান্তিনিকতনীয় ঢংয়ে অন্যান্য ছাত্র বন্ধুদের নীতি শিক্ষায় শিক্ষিত করে আমাকে পুনর্জীবন দান করেন। মেয়েরা অবশ্য এতে আমার জন্য দুঃখ পেত কিনা না জানলেও আমার মুক্তিতে যথেষ্ট আনন্দ পেয়েছিল --বুঝেছিলাম। বুঝোছিলাম -- প্রত্যেক শরীরের অংশই বুঝিবা সবসময় ভালোবাসা পেতে আগ্রহী। 

কিন্তু বাবা যেহেতু "আমার বাবা" তাই তাঁকে পীড়া দিত কামিনী মোহের ব্যাপারে।আর কলেজ জীবনে যখন আর এক নারী আমার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যাচ্ছিল সেখানে বাবার কর্তব্যে একটুও ভুল হয়নি বোধহয় আমাকে মুক্ত করার। তাই ফিরিয়ে আনা আর কি। তাছাড়া বাবার মনে বদ্ধমূল ধারণা ছিল--( কুষ্ঠি অনুযায়ী )আমি কামিনী লোভী। তাই মেয়েদের থেকে দূরে দূরে রাখতে সর্বদা খুবই সচেষ্ট ছিলেন। আমি গয়না বা অলংকার খুব একটা ভালোবাসতাম না। একটা আংটিও হাতে কোনও দিন পরতাম না বলে মায়ের মনে কষ্ট হতো। কোনও দিন( এখনও) বিড়ি সিগারেট বা চা পান করিনি বলে মা মনে হয় ব্যাথা পেয়ে আমাকে সিগারেট পানে অনুপ্রাণিত করতে বলেছিলেন-- খাবার পর একটা অন্ততঃ খাবি বাবা, তবে পুরুষ বলে মানাবে। যদিও তার উত্তরে আমি বলেছিলাম--" মা আমি খাইনি বলে তুমি খেতে বলছো। খেলে বারণ করতে।" এখানে অন্ধভয় বা অন্ধপ্রীতি নয় নিরাপদ স্থানে অবস্থান বোঝায়। আমার চেয়ে যাঁরা বড়ো তাঁরা বলতে পারবেন হয়তোবা সত্যি কোনটা।