Posts

শেষের ধারাপাত - শুভজিৎ ব্যানার্জী || Seser Dharapat - Subhajit Banerjee || Kobita || Bengali Poems || Bengali poetry || Poems

  শেষের ধারাপাত                 শুভজিৎ ব্যানার্জী হঠাৎ করে থামতে হল মাঝে,  চটা ওঠা স্মৃতির গ্রাম্য ধূলো; ডাবের খোলায় তপ্ত দুপুর সাজে, নীরব কাঁদে আলতো শপথগুলো। রাগছে নরম আঁধার দূরের বনে, বাঁধের ধারে পাগলী বাঁধে ঘর; টুকরো আকাশ নীল পুকুরের কোণে, ইচ্ছেমত লুকোয় চরাচর। তোকে দিলাম সূর্য রাঙা ভোর,  একটা মেঘের আকাশ আমার থাক; ইচ্ছা হলে রাখিস খুলে দোর, আবছায়াটা ঢেউয়ে ভেসে যাক। পাখিগুলো আসবে নীড়ে ফিরে, ঝিম ধরানো অশথ বটের ছায়ে; সেদিনও কি থাকবি আমায় ঘিরে, লালচে হাসি ভুলেও যদি যায়? ভুলেই গেছি কিনতে কাঁচের চুড়ি,  ঝড়ের পরে ঝরে পড়ার মত; জলের উপর অবাধ্য সুড়সুড়ি, আসুক আবার দিন বদলের ক্ষত। শেষ ছিল এক শেষের ধারাপাতে,  নামতে গিয়ে নেমেছিলাম তাই; সব হারিয়ে সব পেয়েছির সাথে, ঐ নদীতে আদর খুঁজতে যাই।

শীত কথা - আবদুস সালাম || Sitkotha - Abdus Salam || Kobita || Bengali Poems || Bengali poetry || Poems

  শীত কথা আবদুস সালাম আমরা অপেক্ষা করি একেকটা বিবর্ণ শীতের ফেলে দেওয়া উচ্ছিষ্ট নবান্নের পিঠে পুলি ভক্ষণ করি শীতার্ত হৃদয় মন্দের ভালো খোঁজে পৃথিবীর সব সুখী মানুষের উচ্ছিষ্ট পড়ুক আমাদের পাতে জুবুথুবু শীত মুখ দিয়ে বেরোয় ভাপ রোজ আমরা লাল সূর্য দেখি সকালে রাতের আকাশে দেখি তারার লুকোচুরি বিছানা হীন ,বালিশ হীন ফুটপাত আমার কতো প্রিয় নিদ্রাহীন রাতের বিছানায় নগ্ন হাঁটুর ঠকঠকানী গোড়ালি আর ঠোঁট ফাটার শীতালী কাব্য পৃথিবীর সব সুখের মানুষের প্রতিকূলে দিলাম ঘৃণার অক্ষর তোমার আমার কবিতা পড়ে অনুভবের শীত কাব্য শীতের ভোরে খক,খক দলা পাকানো সর্দি নিয়ে লিখে দিলাম আমার কাব্য কথা সিমেন্টের বস্তার তোষক আর  চটের বস্তার বালিশ

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩০ || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র || World Sahitya Adda Sarod sonkha 1430

Image
  সম্পাদকীয়:- শারদ প্রাতে নরম তুলার মেঘ, কাশে কাশে ঘন দাবদাহ, কোথাও ফ্যাকাসে আলো, কোথাও মুষলধারার অগ্নি স্নান। এমতাবস্তায় মায়ের দর্শন, মায়ের আশিষ লাভ ভাগ্যের ব্যাপার। যদি ঘরে ফিরে আসি, খাঁচার পাখি সোনার খাচায় কিংবা রুপার খাজায় বন্দী হই সেখানে শুধু দুদন্ড শান্তি দেয় সাহিত্য চর্চা। বিশেষত শারদ শুভেচ্ছার শারদ সংখ্যা গুলি। কল্পনা পিয়াসী কবি হৃদয়, আশায় ডুবে থাকা মধ্যবিত্ত পাঠক শুধু মুক্তির পথ খোঁজে যন্ত্র চালিত জীবনে থেকে পালিয়ে বাঁচার একটা নতুন আবেগ নিয়ে। এ শুধু তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এ সার্বজনীন। বাঙালির আবেগ দুর্গাপূজা। দেশ দেশান্তরের আকুল আকাঙ্ক্ষা হলো শারদ উৎসব‌। মা সবার। মায়ের আশিষ সবার প্রাপ্য। সাহিত্য চর্চার অমোঘ টান নিয়ে কেটে উঠুক দুর্গা পূজার আনন্দ। ভরে উঠুক বাঙালি তথা সমগ্র ভারতবাসীর হৃদয়। পরপর দুটি বছরের সন্ধিক্ষণ পেরিয়ে ২০২৩ এর শারদ শুভেচ্ছা নিয়ে হাজির হচ্ছে আমরা- আপনাদের সকলের কাছে। তাই সকলেই এর স্বাদ নিন। সাধ মিটিয়ে আত্মসাৎ করুন প্রতিটি গল্প, প্রতিটি কবিতা। পুরাতন গ্লানিকে ছুটি দিন। সাহিত্য চর্চায় মজে উঠুন। ওয়াল সাহিত্য আড্ডা আপনাদের কাছে এক আনন্দময় মা

অঙ্কন শিল্প - মৈত্রেয়ী মুখার্জী || চিত্র শিল্পী - মৈত্রেয়ী মুখার্জী || Photography

Image
 

মাতৃরূপেণ - তিলোত্তমা চ্যাটার্জি || Matrirupeno - Tilottama Chatterjee || মুক্ত গদ্য || রম্যরচনা || Rommo rochona

মাতৃরূপেণ   তিলোত্তমা চ্যাটার্জি দূরে ঢাকের শব্দ ভেসে আসছে ,বাইরের মাঠে দুলতে থাকা কাশগুলোর দিকে জানলা দিয়ে তাকিয়ে ছিল দেবদত্তা ।এমনিতে সব গুরু চেলাদের মধ্যে সে মানিয়ে নিয়েছিল একপ্রকার, আগে ভয় পেত বালিশে মুখ চেপে কাঁদতো কয়েক রাত ...কিন্তু এখন সে সব হয় না। হয়তো জীবনের এত ওঠা পডাতে নার্ভগুলো ওর স্ট্রং হয়ে গেছে। পুজো এসে গেছে নিঃসন্দেহে, চারিদিক আলোর রোশনাইতে সেজে উঠেছে এটাও ঠিক, কিন্তু ওর জীবনে আলো আসেনি এখনো বলা ভাল ওদের জীবনে..। হঠাৎ করে দমকা হওয়ার মত পুরনো স্মৃতিগুলো ভিড় করে দাঁড়ায় চোখের সামনে। ওর জন্মটা কিন্তু আমার আপনার মতই স্বাভাবিকভাবে হয়েছিল, এমনকি দুর্গাপূজা ওর খুব ভালোই কাটতো একসময় ,ব্রাহ্মণ বাড়ির প্রথম ছেলে সন্তান হলে যা হয় অবস্থা ।ওর স্মৃতিরা কথা বলতে চায় তারা মনে করিয়ে দেয় ওদের পরিবারে মা দূর্গার আশীর্বাদে এই প্রথম পুরুষ সন্তান এসেছিল ঘর আলো করে ঠাকুরমা তাই নাম রেখেছিলেন 'দেবদত্ত'। কিন্তু জীবন তো আর ওয়াই ইজ ইকুয়াল টু এম এক্স ফলো করা সরলরেখা নয় ,সমস্যাটা ধরা পরল আদরের দেবদত্ত যখন বড় হল ।প্রকৃতির আলো বাতাসে এই মায়ার সংসারে বেড়ে ওঠা দেবদত্ত পরি

দিদিমণি - দেবাংশু সরকার || DidiMoni - Debangsu Sarkar || মুক্ত গদ্য || রম্যরচনা || Rommo rochona

        দিদিমণি               দেবাংশু সরকার      কয়েক বছর হলো শ্যামা সুন্দরী বালিকা বিদ্যালয় বেশ সুনাম অর্জন করেছে। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকে বেশ ভাল ফল করেছে স্কুলের ছাত্রীরা। বড় দিদিমণি কমলিকা রায়ের কঠোর পরিশ্রমের জন্যই এই সাফল্য এসেছে। কমলিকা রায়ের বড় দিদিমণি হওয়ার আগে স্কুলটা যথেষ্ট এলোমেলো ছিল। পড়াশোনা একেবারেই হত না। বিভিন্ন পরীক্ষার ফল হত বেশ খারাপ। দুর্নাম ছড়িয়ে পড়েছিল স্কুলটার। অভিভাবকরা তাদের মেয়েদের এই স্কুলে পাঠাতে চাইতেন না। ক্রমশ ছাত্রী সংখ্যা কমতে শুরু করেছিল।       ঠিক এই সময় এক সঙ্গে কয়েকজন দিদিমণি অবসর গ্রহণ করলেন। তাদের জায়গা নিলেন কয়েকজন কমবয়সী দিদিমণি। প্রমোশন পেয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে লাগলেন বড় দিদিমণি কমলিকা রায়।       প্রথম জীবনটা কমলিকার বেশ কষ্টে কেটেছিল। বিধবা মায়ের সামান্য পেনশনের টাকায় সংসার চলতো না। পিতৃহীনা কমলিকা ছাত্রাবস্থাতেই প্রচুর টিউশনি করে নিজের এবং তার ভাইয়ের পড়ার খরচ চালাতেন। সেই সঙ্গে সংসার খরচের অনেকটা সামাল দিতেন। এইভাবে লড়াই করতে করতে কলেজ, ইউনিভার্সিটির গন্ডি টপকানোর কিছুদিন পরে স্কুলের চাকরি পেতে হাল ফেরে তাদের সংসার

চোখের জল - শিবানী বাগচী || Chokher Jol - Shibani Bagchi || Muktogoddo || মুক্ত গদ্য || রম্যরচনা || Rommo rochona

  চোখের জল       শিবানী বাগচী এক ফোঁটা চোখের জলের দাম বুঝতে, বড়ো দেরী হয়ে গেলো ! অভিমানে গুমড়ানো চোখের জলে পেলাম যেন সাগরের নোনা স্বাদ ! কখনও তা চিকচিক করে চোখের কোনে, কখনওবা ঝরে পড়ে অনাদরে ; নয়তো বিরহে উদ্বায়ী হয়ে গুমড়ে মরে বুকের মাঝে ; আবার বাঁধ ভাঙা উল্লাসে সাঁতার কাটে ছলাৎ ছলাৎ চোখের আড়ে !         একদিন ঢেউয়ের কাছে জানতে চেয়ে ছিলাম ভালো থাকার মানে। সে তো অপেক্ষাতেই দোল খেতে থাকলো, অসংলগ্ন ঢেউ হয়ে চোখের জলে ? যদি কোনদিন তোর কাছে মেঘ চাই আমায় দিবি ; বৃষ্টি জমাবো ওতে ! দুফোঁটা চোখের জল আর স্নান ঘরে উপচানো বাষ্পীয় শোক, যেখানে চশমার কাঁচ মন খারাপের কুয়াশা মাখবে রোজ ! আর আমি নির্জনে জল ছপছপ চোখে লিখবো আমার যাপন ছোঁয়া কবিতা !        গোধুলি হলেই নতুন করে কিছু হারিয়ে ফেলার বড়ো ভয় হয় রে ? যদিও হারাতে হারাতে, হারানোর আজ আর কিছু নেই । তবু খোলা চোখের জমা জলে দেখি কিছু অপ্রত‍্যাশিত ইচ্ছে, যা ঝাপসা কাঁচের আবছা আলোয় মেঘ হয়ে জমে, আর ঝরে পরে অঝোরে চোখের জল হয়ে !        সর্বনাশ জেনেও প্রাক্তনের হাত ধরে সেদিন ছেড়েছি ঘর, আগুনে সঁপেছি দেহ, হয়েছি লুট ! মান অভিমান আর চোখের জল মিশিয়ে পাষান হৃদয় গলিয়েছি ; ভ