Posts

Showing posts from November, 2021

Photography by Sohini Sabnam

Image
 

Photography by Moushumi chandra

Image
 

লেখক শ্যামল চক্রবর্ত্তী -এর একটি গদ্য

  দুষ্টু শংকর                                   ‌‌              শংকর শিয়ালদা স্টেশন থেকে প্রতিদিন ডানকুনি যাতায়াত করে। কয়েকজন ডেলি প্যাসেনজার। কাজের সূত্রে প্রতিদিন সকাল আটটা পাঁচ এর গাড়িতে যায়। লোকাল ট্রেন। সঙ্গে ওর অনেকগুলো বন্ধু বান্ধব। ট্রেনে প্রতিদিন যাকাতের পরিচিত বন্ধু বা গ্রুপ থাকে। একদিনের মজার ঘটনা। একদিন দুপুর বেলা চারটে পাছে ডানকুনি লোকাল এর গ্রুপ ফিরছিল। শংকর: অজয় আজ একটা মজার ঘটন । অজয়: কি ঘটনা রে? শংকর: আমি আজকে প্রচুর পরিশ্রম করেছি। তুই তো জানিস আমি কুরিয়ার সার্ভিসে চাকরি করি। আজ প্রচুর চিঠিপত্র ছিল বস্তা বস্তা চিঠি সরাতে হয়েছে। হাতটা ব্যথা কালরাত্রি ঠিক করে ঘুম হয়নি। আজ প্রচুর ক্লান্ত আর খুব ঘুম আসছে। অজয় :তাহলে ঘুমাও, এটার কেমন কথা। এইটা আবার মজার ঘটনা নাকি? শংকর: আরে না না আমি একটা ঘটনার, ঘটতে চলেছে দেখ না। ওইযে ওইযে ওইযে দেখতে পাচ্ছিস যে ভদ্রলোক পাশে বসে আছে। আস্তে আস্তে!বলেছি আমি দক্ষিণেশ্বর চিনিনা দক্ষিণেশ্বর এলে আমাকে বলে দেবেন ,আমি নামবো। ভদ্রলোক বললো হ্যাঁ দাদা দক্ষিণেশ্বরে এলে আমি বলে দেবো আপনি নেমে যাবেন। অজয়: তুই মহা বজ্জাত তুই থাকিস ডানকুনিতে ও

লেখক সুজিত চট্টোপাধ্যায় -এর একটি গদ্য

  দর্পনে আত্মারাম   অন্তেষ্টিক্রিয়া শেষ করে ফিরেই , দাঁতে নিমপাতা কাটো, আগুনের তাপ নাও , লোহা স্পর্শ করে বিশুদ্ধ হও। জানা ই তো আছে নিশ্চিত , অতৃপ্ত আত্মা ঘুরঘুর করছে এখনো , এখানেই আসপাসে। এইতো ছিল আপনজনের দেহ। ভালবাসার আকুল প্রত্যাশায় মোড়া। তাহলে !  সেই দেহস্থ আত্মা অতৃপ্ত , বোঝা গেল কীভাবে ?  এইতো কথার মতো কথা ।  আরে বাবা,, নিজের সঙ্গে ধাপ্পাবাজি চলেনা। নিজের লোক। রক্তের সম্পর্ক। কোথায় ছিলে বাপধন ? কাজ গুছিয়ে সরে পরেছো। এখন রেড সিগনাল দপদপ করছে। অনুশোচনা,,,,?   পাপী শরীর । জ্ঞানপাপী মন।  কর্তব্যনিষ্ঠার পাঠ মুখস্থ , কন্ঠস্থ, মগজস্থ। শুধু পালনের অনিহা।  জীবিত কে ভয় নেই । সে বাৎসল্য বোধে ম্রিয়মাণ । কিন্তু , মৃত ভয়ানক । জীবিতের লৌকিক । মৃতের অলৌকিক ।  ক্ষমতা বড়ো লোভনীয়। শুধু নিজের জন্যে। অন্যের ক্ষমতা ঈর্ষনীয়। কর্তব্যপালন -ধর্ম , নিজের প্রতি । অন্যের প্রতি বর্জনীয়। অন্ধকার মনে সাপের বাসা।  দেহ পুড়লেই স্মৃতি বিলুপ্ত নয় । দেনা পাওনার হিসেব , চুটকি মেরে নিকেশ হয়ে যায়না ।  অশৌচ দেহ , অশৌচ মন।  ভেক ধরো, সাজো। নিখুঁত অভিনয়ে প্রমাণ করো তোমার কর্তব্যপরায়ণতা।  মালসায় হবিস্যি রাঁধো। মুখ ব্যাজ

লেখক অরবিন্দ সরকার -এর একটি রম্য রচনা

        রানীর দেশে             ইংরেজদের রানীর মত এক দেশের ,এক রাজ্যের রানী আছে। এখানে রানী সর্বময় কর্ত্রী।লণ্ডনের মত এখানেও রাস্তা জুড়ে লণ্ঠন জ্বলে। ওখানে টেমস্ নদী আর এখানে পর্বতের নদী। রানীমা ইচ্ছে বা মনে করলেই এখানকার আবহাওয়া লণ্ডনের মত হয়ে যাবে। তাঁর ইচ্ছা স্বর্গরাজ্য দখল। মন্ত্রী পারিষদ জো হুকুম আজ্ঞাবহ রাজকর্মচারী।সব দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী তার প্রেরণার কথা উল্লেখ করেন।না করলেই তার ইস্তফা দফারফা মন্ত্রীত্বে। রাজ্যময় তার ছবিশ্রী।ছবি যেন ভালো হয় দেখতে নইলে ঐ দপ্তরের আধিকারীকদের দূরে বদলি। সংসারের মায়া ত্যাগ করে সুদূরে তার প্রাণান্তকর অবস্থা। সরকারী পায়খানা তৈরীতে রানীমার প্রেরনা।ফিতে কেটে পায়খানার মধ্যে মন্ত্রীর বক্তব্য রানীর প্রেরনায় পায়খানা করলাম। গণবিবাহ অনুষ্ঠান তাঁর প্রেরনায়। সিঁদুর দান,বাসরসজ্জা এগুলোও। সন্তানের দায় দায়িত্ব তাঁর প্রেরনায়। প্রেমে উৎসাহিত করা তাঁর প্রেরনা। নিত্যপ্রয়োজনীয় মদের দাম কমানো তারই প্রেরনা। কলকারখানা ধ্বংস ও বন্ধে তার প্রেরনা। এরোপ্লেনে প্ল্যান পরিকল্পনা , অথবা পর্বতের মাথায় শৈলনিবাসে। দুমদাম আদর সোহাগ যাকে তাকে! রন্ধন শিল্পে পা

প্রাবন্ধিক সত্যেন্দ্রনাথ পাইন -এর একটি প্রবন্ধ

  মৃত্যু আসলে দৃশ্যমান পটপরিবর্তন   মৃত্যু কোনো বেদনা নয়, পরিপূর্ণ বিশ্রাম। কর্মক্ষম মানুষ অদ্ভুতভাবে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে অবধি নির্ঝঞ্ঝাট কর্মজীবন করতে ভালোবাসে। ইন্দ্রিয় সুখ, ভোগ- লালসা সবই হয় লীলায়িত মধুর।      শৈশব, কৌমার, যৌবন, প্রৌঢ়ত্ব,বার্দ্ধক্য এবং জরা সবই হোলো জীবনের ঐ ক্রমবিকাশের বিবর্তন। মৃত্যু তো আর একধাপ উন্নত পর্ব মাত্র।     ক্রমোন্নতির পথে এক শরীর অন্য শরীরের খোঁজে প্রস্তুতি নিতে গিয়েই আনে " মৃত্যু" নামক অহংকারহীন বিশ্রাম। তাই হয় দেহান্তর।      অর্থাৎ দেহের কর্মক্ষমতা কমলেই দেহধারী জীব অন্য দেহের সন্ধান করে। যেমন কোনও কিছু জড় বস্তুও যখন আর সক্রিয় বা সচল থাকে না আমরা তাকে বদল করি নির্দ্ধিধায়। এ- ও সেই রকমই দেহের বদল দেহ নিজেই করে। আমরা যার নাম দিয়েছি-- মৃত্যু।       তাই না! আমাদের ' শরীরের' বৃদ্ধি যখন ক্রমশঃ হতে থাকে আমরা মানুষরা কত আনন্দ পাই; বুদ্ধির বিকাশেও আমরা নত না হয়ে উন্নত বুঝি- তেমনি হাঁটি হাঁটি পা পা করে ইন্দ্রিয় সকল বিশ্রাম পেতেই দেহান্তরে যেতে চায়। এটাই তো আমাদের মৃত্যু ভয়।    কারণ, এই মুহূর্তে যাকে জীবন্ত দেখলাম, কথা বললাম, স

লেখিকা উম্মেসা খাতুন -এর একটি গল্প

  মৌনালির মনে দুঃখ                       স্বর্গীয়া ননীবালা দেবী অমিতের মা। তিনি কাঙালদের খুব ভালোবাসতেন। নিজে না খেয়ে কাঙালদের খাওয়াতেন। তাঁর আত্মার শান্তির উদ্দেশ্যে অমিত তাই একটা কাঙালি ভোজের আয়োজন করেছে। প্রায় শ' খানেক কাঙাল ভোজ খেতে এসেছে। তাদের সাথে তাদের ছোট ছোট বাচ্চারাও এসেছে। অমিত নিজ হাতে তাদের খাওয়াচ্ছে। আর মৌনালি গেটের কাছে একটা টুলে বসে রেজগি পয়সা বিতরণ করছে। হ‍্যাঁ, খাওয়াতে খাওয়াতে অমিত একটা বাচ্চার খাওয়া দেখে আশ্চর্য হল। বাচ্চাটার গায়ে কোন কাপড় নেই। পরনে শুধু ছেঁড়া একটা হাফ প‍্যান্ট রয়েছে। বাচ্চাটা কী সুন্দর করে খাচ্ছে! কেউ তাকে খাইয়ে দিচ্ছে না। বা খাওয়ার জন্য কেউ সাধাসাধি করছে না। আপন ইচ্ছায় সে নিজ হাতে কত সুন্দর করে খাচ্ছে, ঝাল তরকারি দিয়ে ভাত মেখে---- অথচ এই বাচ্চাটার মতন অমিতের নিজের একটা বাচ্চা রয়েছে। সে এখন ঘুমাচ্ছে। ফ্রিজে তার জন্য কত রকমের খাবার রাখা রয়েছে। তার যখন যেটা ইচ্ছা করবে সেটা সে খাবে বলে। কিন্তু সে সব সে কিছুই খায় না। ভাত তরকারি তো মুখেই করে না। যদিওবা করে ওই দু-একবার। তারপর খুব ঝাল বলে অমনি জল চায়। পরে আর একবারও মুখে করে না। ওকে কি আর খাবার খাওয়া

লেখক অমিত পাল -এর একটি গল্প

  রুমী                করালীবাবু নিজের ছেলের মতোই ভালোবাসেন কুকুরটিকে৷ নাম তার রুমী৷ খাঁটি দেশী কুকুর৷ বাজার করতে গিয়ে এই কুকুরটিকে কিনে বাড়ি ফেরেন৷ দাম তিন হাজার৷ করালীবাবুর বড় মায়া পরে গিয়েছিল কুকুরটির প্রতি৷ তাই করালীবাবুর স্ত্রী রমাদেবী কুকুরটি সম্পর্কে কিছু বলতে গেলেই করালীবাবু বলে ওঠেন---- 'সখের দাম লাখ টাকা৷' হঠাৎ একদিন করালীবাবুর বাড়িতে ডাকাত পড়ে৷ কিন্তু সজাগ রুমী ডাকাতদের বাড়িতে ঢুকতেই দেয়নি৷ বাঘের মতো চেহারা হয়েছে রুমীর, দেখলেই গা ছমছম করে৷ ব্যস এরপর থেকেই করালীবাবুর স্ত্রীর কাছে রুমী সন্তনের সমান৷ বহু বছর হল করালীবাবুর ছেলে বিয়েথাওয়া করে বউ-ছেলে নিয়ে বিদেশে চলে গেছে৷ এখন এই রুমীই করালীবাবু ও রমাদেবীর একমাত্র কাছের সন্তান৷

লেখক সিদ্ধার্থ সিংহ -এর দুটি গল্প

  বিষ গেটের মুখে জটলা। একটি মেয়ে ভেতরে ঢুকে দেখল মৃত স্বামীর মুখ থেকে গাঁজলা বেরোচ্ছে। মাথার কাছে বসে আছেন তাঁর স্ত্রী। সেই স্ত্রীকে মেয়েটি জিজ্ঞেস করল, আপনার স্বামী কী করে মারা গেছেন? স্ত্রী বলল, বিষ খেয়ে। মেয়েটি বলল, কিন্তু ওনার সারা গায়ে তো আঘাতের চিহ্ন দেখছি! স্ত্রী বলল, বিষ খেতে চাইছিল না তো, তাই... -------------------------- যাচ্চলে রেস্টুরেন্টের এ টেবিলে ও টেবিলে প্রেমিকদের মুখোমুখি বসেছিল বিভিন্ন মেয়েরা। একটি ছেলে মোবাইলে বেশ জোরে জোরেই বলতে বলতে ঢুকল, তোর প্রেমিকাকে তো দেখছি এখানে অন্য একটা ছেলের সঙ্গে বসে আছে... তার কথা শেষ হল কি হল না, দেখা গেল, যে মেয়েগুলো ওই ছেলেদের সঙ্গে বসেছিল, তারা যে যেভাবে পারল পড়ি কি মড়ি করে সোজা রেস্টুরেন্টের দরজা দিয়ে ঝটপট বেরিয়ে গেল। এই দৃশ্য দেখে ছেলেটি শুধু বলল, যাচ্চলে!

লেখক আব্দুস সাত্তার বিশ্বাস -এর একটি গল্প

  অন্ধ সমাজ                                          ।। এক।। প্রতিদিন সকাল পাঁচটার মধ্যে ঘুম ভাঙে নিহারুলের। আজকেও তার ব‍্যতিক্রম হল না। যদিও আজ তার ব‍্যতিক্রম হওয়ার কথা ছিল। শুতে যে তার অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। ফলে নিহারুল ধরেই নিয়েছিল যে, আজ তার ঘুম থেকে উঠতে দেরি হতে পারে। ও আজ তার হাঁটতে বেরনো নাও হতে পারে। তারপর নিহারুল মনের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করে নিয়েছিল যে, একটা দিন না হাঁটলে এমন কোন অসুবিধা বা ক্ষতি হবে না। আজ তিন বছর ধরে সে তো হাঁটছে। কোন দিন হাঁটা কামাই নেই। লিভারের চর্বি কাটানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শে নিহারুল কাজটা করে ভালো আছে। হ‍্যাঁ, ঘুম থেকে উঠে নিহারুল যখন হাঁটতে বেরনোর জন্য তৈরি হল অমনি তার ফোনটা বেজে উঠল। ছায়ার নম্বর থেকে ফোন। তবে কি ছায়ার লেবার পেন উঠেছে? সেটা জানাতে ফোন করেছে? কাল বিকালেই তো ছায়ার সঙ্গে তার ফোনে অনেকক্ষণ ধরে কথা হল এবং ডেট এর কথা জিজ্ঞেস করলে আগামী বাইশ তারিখের কথা বলল। আজ তো সবে বারো তারিখ হল। বাইশ তারিখ আসতে এখনও দেরি আছে। তাহলে কি অন্য কোন সমস্যা হল? ভাবতে ভাবতে নিহারুল ফোনটা ধরল," হ‍্যালো!" " কে, ভাই?" " কে, সজল?" &quo

লেখক রানা জামান -এর একটি গল্প

  কিশোর মুক্তিযোদ্ধা যতীন   উনিশ শ একাত্তর খৃস্টাব্দের এপ্রিল মাস।পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আগ্রাসী ইচ্ছা নিয়ে আস্তে আস্তে সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে।যেখানে যাচ্ছে সেখানে সহযোগীদের সহায়তায় আশেপাশের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে; লুটপাট করছে এবং হত্যা করছে অসহায় বাঙালিদের; ধরে নিয়ে যাচ্ছে মা-বোনদের-সম্ভ্রম নষ্ট করছে। অকুতোভয় বাঙালিরা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সেই ২৬ মার্চ হতেইপ যার যা অস্ত্র আছে তা নিয়েই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।ইন্ডিয়া থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধ করছে।গেরিলা যুদ্ধ, সন্মুখ যুদ্ধ। যখন যেখানে যেমন প্রয়োজন তেমন চলছে যুদ্ধ। এপ্রিলের ২৫ তারিখ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী প্যারাস্যুট নিয়ে বরিশাল জেলার ইছাকাঠি এলাকায় নামে।স্থানীয় থানা দখল করে ঘাঁটি গাড়ে।পরদিন থেকে শুরু হয় হানাদার বাহিনীর আক্রমণ ও জ্বালাও-পোড়াও।নথুল্লাবাদ হয়ে হাসপাতাল রোড থেকে চড়বাড়িয়া ইউনিয়নে লামছড়িতে চলে যায় পাক হানাদার বাহিনী। ঝুনাহার গ্রামে চালায় আক্রমণ।আগুন দিতে থাকে বাড়িঘরে।চলতে থাকে লুটপাট এবং বাঙালি হত্যা।হানাদার বাহিনী এসে ঢুকে উপেন্দ্রনাথ কর্মকারের বাড়িতে।তখন উপেন্দ্রনাথ ঘরের বারান্দায় বসা ছিলেন।পাশে কিশোর যতীন। পাকিস্তানি

লেখক আশীষ কুন্ডু -এর একটি গল্প

  দেবী "চাপ নিয়ো না বস্, "- ঘাড় ঘুরিয়ে বললো বউ।  আজ মেয়ের ফিজ্ জমা দেবার শেষ দিন। অমল সবে অবাক হতেই রীণা তার হাতে গুঁজে দিলো, পাঁচশো টাকার বান্ডিলটা। টাকা জমা দিয়ে দোলাচলে পড়লো অমল। এতদিন যাকে পকেটমার মনে করে অশান্তি করেছে, তাকে এখন দেবী ভাবার চেষ্টা করতে হবে।

Poet Pavel Rahman's two poem

 1.  Governance Of Almighty Man wants to rule other by atomic weapons, But the Almighty rules all by affection. Governance of Almighty Is really very sweety. His governance makes a human tidy. 2.  Please Control Own Greed Almost all have greed for something, My sister, even I have at least one greed. Seeing many I say it- “ Almost all have greed” Almost we all have at least a greed. For peace of every own, For all peace, let’s control Greed in own by controlling own deeds, Not by doing other any bad deed!

Poet Namita Basu's one poem

 I am the care of  I am the care of obscure hope with a concealed juncture,  to set up let with a bride chamber by the nanogey beliefs.  Here the large gregarious trees and consonants startled the moment,  The placard brush are hanging on their nec,  Blue eyes, broken words are stumbling in front of famine,  Till the auspicious of being birth,  the empty practiced sounds Sa, Ni,Dha ,Pa, Ma, ga, re, Sa.  It's a cover file,  belief in a short dress,  Here the univers are reflected by only a point,  and the wonders is vibrated by the intellectual oblique.  If it's a food of hiron or a fox! so what? Till I am the exceptional age,  Here the river flows have losts it's characteristics,  Greens are attacked by the palace,  So shabby, please grown up in a paved,  and request the wind to push the sky by the two hands for reproduction. If the seeds are not transfusions,  it may be,  But I am now a care of Palm tree,  which stands with one leg in a so high that is non comparable. 

Poet Sunanda Mandal's one poem

  A line of Vermilion         We have a house, There are windows on both sides. Pride stuck on the door curtain on one side, Day and night naughtiness.   Hidden family in the middle Dust in the blink of an eye.   A little bit of happiness in the stalk And removed the mountain of pain I will find the vermilion of the soul.   Yet I have stuck to the lifeless mindless life In the bitterness of the whole day.

কবি সৈয়দ শীষমহাম্মদ -এর দুটি অনু কবিতা

৩) যদি আমার কিছু ভালো চাস ওরে - আমাকে বোঝ তবে আমার মতো করে । ৪) মানুষ হয়ে মানুষ সমাজে বাস করি, করোনার কালে মানুষ দেখে ভয়ে মরি।

কবি চাঁদ রায় -এর একটি কবিতা

  চঞ্চল নদীর মতোই কখনো চঞ্চল কখনো বা রক্তস্রোতে প্রাণ পাখি ঘাসের গোড়ায় মুখ নেই শূকরের মতো।  সমগ্র শরীরে গঙ্গা বয়ে যায় পাথর স্পর্শ করি কখনো অথচ পারি নি আকাশের শিষ্য হতে।  দুহাতে মেখেছি চন্দ্রাণু কখনো মাদুর বুনেছি মনের কাঠি মিশিয়ে তবুও গ্রীষ্মের প্রখরতা ঢাকিনি ছত্রছায়ায়।  আমি চঞ্চল হরিণের মতো চতুর্থ অবতারের বিষ্ণু ভক্ত কখনো ধ্বংসের মাঝে শান্তি মানি নি তবুও।

কবি অভিজীৎ ঘোষ -এর একটি কবিতা

  ডিগ্রীর ঝোলা তোমার আছে অনেক শেখা বুদ্ধিজীবী হইছো তাই,  আমার ঘটে গোবর ভরা বুদ্ধু হয়েই থাকতে চাই।  তোমার ফাইল ডিগ্রি ভরা তাইতো এত অহংকার,  আমার কাঁধে শূন্য ঝোলা জ্ঞানের আশায় নির্বিকার।  সংখ্যা ভেঙে অঙ্ক বানাও লেটার দিয়ে শব্দ,  আমার মতো অজ্ঞ যারা সেই কলেতেই জব্দ।  তোমার হাতের পেনের খোঁচায় বিশ্ব জোড়া হিসাব রয়,  আমার মতো মুর্খ হলে জীবন শুধু দুঃখময়।  জ্ঞানকে নিয়ে করছো খেলা খেলতে খেলতে খেলোয়াড়,  আমি শুধুই জানতে থাকি তাইতো আমি জানোয়ার।

কবি বিধান সাহা -এর একটি কবিতা

  অজান্তে   রীতিমতো উচ্ছ্বাসের প্লাবন বয়ে গেছে আমার অজান্তে চেনা অচেনার স্বপ্ন নতুন মায়ায় নতুন করে আলোকিত করেছে নিশ্চুপ মুহূর্তগুলো আলোকিত আবেগ নতুন ভাবনায় নতুন প্রত্যাশায় বুক ভরে দিতে চেয়েছে নতুন মাধুরীতে উচ্ছ্বসিত প্রলাপ জোয়ারের বিপুল স্রোতে ভাসিয়ে দিয়েছে পরিবেশ পরিস্থিতি সবই আমার অজান্তে ...

কবি শেখ নজরুল -এর একটি কবিতা

  পূর্ণিমার চাঁদ             আবার দুজনে হবে দেখা বিদায় লগ্নে, বলবো খুলে মনের কথা ভালোবাসার সন্ধিক্ষণে। নেমে আসবে সোহাগ পূর্ণিমার চাঁদ, দুজনার মনে অনুভব হবে ভালোবাসার স্বাদ। শরতের শিউলি ফুলের সুগন্ধে বাতাস যাবে ভরে, আমরা দুজন হারিয়ে যাবো প্রেম সাগরে। মন দিয়ে দেখবো তোমার ওই চাঁদ মুখ, ফিরে পাবো হাজারো অজানা সুখ। তোমার হাসিতে মুখরিত হবে সোনালী সন্ধ্যা, তোমাকে উপহার দেবো অঙ্কুরিত রজনীগন্ধা। সেই অঙ্কুর ফুটিয়ে তুলবো আমরা দুজন মিলে, সেই স্মৃতি গাঁথা থাকবে সারা জীবন দুজনার দিলে।

কবি ইব্রাহিম সেখ -এর একটি কবিতা

  সীমাহীন যাত্রা  যে যাত্রা করেছ শুরু উঁচিয়ে ভুরু কোন ঠিকানায়, কোথায় শেষ? আঁকাবাঁকা কানা গলি নিজের সার্থে সবাই চলি, দাঁড়াবার সময় নেই এক নিমেষ। তড়িঘড়ি তাড়াতাড়ি কুড়াই কড়ি বাড়ছে বোঝা পাপের রাশি, ঘুষের রাজা পায়না সাজা স্বর্গ সুখে বাজাই বাঁশি। বস্তাবন্দি দুরভিসন্ধি মগজ মাঝে নানান ছন্দে দ্বন্দ্ব বাধাই, ধনের তৃষা অতুল নেশা মনের ঘরে দু-চোখে তাই ঘুম হারায়। জীবন পাতার হিসাব খাতার উল্টো দিকে অনন্ত ঘুম, দিগ্বিজয়ের স্বপ্ন পুড়ে, আঁধার পুরে মরণ যজ্ঞের লেগেছে ধুম। শেষের-- শেষে,পরের দেশে যেতেই হবে সেই যাত্রার নেই ঠিকানা-- কেমন করে আঁধার ঘরে রইবে পড়ে কেউ জানো না,শেষ সীমা-না!

কবি উদয়ন চক্রবর্তী -এর একটি কবিতা

  জল শুকিয়ে যায় কখনও কখনও আগুন কে খায় মানুষ নির্লজ্জ নির্লিপ্ত নির্মমতায় নিসপিস করে মনের ভেতরে ঘুনপোকা অস্তিত্ব অস্বীকারে চোখ থেকে রক্ত ঝরে পড়ে কৃষ্ণ ধূসরতা রূপান্তরে মায়াবী যন্ত্রণায় কাতরায় আগুন ধুয়ে মুছে দেয় অস্তিত্ব  সেখানে দীর্ঘশ্বাস নুয়ে পড়ে বিতৃষ্ণায়। ধর্ষিতার ধর্ষণ হওয়াই ঠিক নিদেন দেয় গেরুয়া রঙের জীবন্ত রামেরা বাতাসে ওড়ে সভ্যতার ছাই জীবনের ভঙুর অহংকার ছুঁয়ে থাকে অন্ধকার  ছুঁয়ে দেয় সৃষ্টির ইতিহাস সংগোপনে। আগুনই ছিল প্রাণের সৃষ্টির ঐতিহ্যের  একান্ত প্রচেষ্টার নিয়ামক সেদিন -- আগুনই শেষ করে মানুষের ঔদ্ধত্য ছাই হয়ে জল শুকিয়ে যায় সময়ের ক্যানভাসে।

কবি অরবিন্দ সরকার -এর একটি কবিতা

  বুদ্ধিজীবী     বুদ্ধি বেচেই জীবিকা তাই বুদ্ধিজীবী, নাটক যাত্রায় শিল্পী পেশাদার বটে, পালাবদলে ভূমিকা দিবি আর নিবি, তুলি কলমে অঙ্কন সব এক ঘাটে। শিল্পধ্বংসে উজ্জীবিত শিল্পে তালাচাবি, বেকারের স্বপ্ন চূর্ণ বুদ্ধি লোপ ঘটে, বুদ্ধিজীবী নেতা মন্ত্রী নাড়িয়ে পৃথিবী, গুনগানে দলভুক্ত বেহায়া পা চাটে। অমেরুদণ্ডপ্রাণীর শিরদাঁড়া উবি, পথের লড়াই ভুলে পয়সা পকেটে, কলমের নিব্ ভোঁতা সে যে রাজকবি, বুদ্ধিজীবী পদলোভী এ দুর্নাম রটে। গিরগিটি বুদ্ধিজীবি রঙ বদলায়, আত্মসম্মান হারিয়ে শুধু খায় খায়।

কবি আবদুস সালাম -এর একটি কবিতা

  কৌশল বিষয়ক সভ্যতার রকেটে চড়ে বিষ্ফোরণের কবিতা লিখি ছন্নছাড়া শব্দগুলো অনাথ হলে আনকোরা ইতিহাস শিখি দীর্ঘ পথের অনুভূতি ছুঁয়ে যায় হৃদয় কথা বিবেকের ক্ষয়িষ্ঞু সূর্য ছায়া ফেললে মরমী বাতাসে বাজে তা সভ্যতার পঙ্কিল অভিমান ডিগবাজি খায় অনাদরে বিষাক্ত রক্ত কনিকা জাগে,ব্যস্তানুপাতিক ইতিহাসের গহবরে ইতিহাসের ঐতিহ্য পাল্টে যায় দহনের বেড়াজালে জন্ম দাগ ধূসর হয় প্রয়োগশালার কূটচালে রক্তে মিশে অবিশ্বাস, লাজুক নগর আজ ভাঙনের কবলে মোহময় অন্ধকার তাকিয়ে আছে , জাতিতত্বের বেড়াজালে।

কবি জয়িতা চট্টোপাধ্যায় -এর একটি কবিতা

  নদীহীন যে শহরে এনেছ ফেলে সেই শহরে কোনো নদী নেই প্রতিদিন হা হা শব্দে নদী খুঁজেছি তবুও লিখিনি কোনও নৌকার কবিতা ভিজতে চেয়েছি প্রতিবর্ষায় থৈ থৈ হাঁটু জলে ভাসিয়েছি আমার কাগজের নৌকা দমকা বাতাস এলোমেলো করে দেয় আমায় উল্টোনো নৌকাকে সোজা করে ঠেলে দিই নদীহীন শহরের খাঁ খাঁ বুক ওকেই আমি আপন করে নিই।

কবি মিঠুন রায় -এর একটি কবিতা

  রোজনামচা   কথাটা হয়তো অনেক আগেই বলার প্রয়োজন ছিল কিন্তু বলতে পারিনি। যদিবা নিজের স্বার্থে আঘাত আসে,তার জন‍্য তবে কি আমিও ঘৃণ‍্য পশুর মতো হয়ে গেছি না,ভেতরের মানুষটা এখনো যে জেগে আছে। তাইতো এখনো রাত জেগে লিখে রাখি দৈনন্দিনের রোজনামচা  ভোরবেলায় বাউলের একতারার সুরে গেয়ে উঠি মানবতার গান।

কবি মিলি দাস -এর একটি কবিতা

  পরাজয় সুখ সান্ধ্য সরণির আলোটা জ্বলেছে সরোদ ঘুমিয়ে আজও, এ কোন ব্যথা বাজে বুকে তার? চেতনার রঙে ঢাকে লাজও। ক্লান্ত প্রিয় মুখ ইশারায় গোপনে সংযত দৃষ্টি হাজারো যুদ্ধ চলেছে তবুও কেন অনাসৃষ্টি? বোঝেনি আকাশের মুখ ভার দিয়েছে যা ছিল শরীরে কিসের মালা আজও গাঁথছো? জ্যোৎস্না চলে গেছে বহুদূরে। ভেবেছ ভাঙবে অনুভূতি অক্ষর মিশে যাবে স্রোতে এখনো অভিমান হয় প্রিয় দুঃখ টা যায়নি তো মোটে। পুড়তে নেই কোন বিশ্বাসে রাখতে নেই মনে আশা গোলাপ ফুঁটেছে মরুভূমিতে বিবেকশূন্য খেলা পাশা। এখনও লোভ জাগে দুচোখে আগুনে চমকে ওঠে বুক নেশার ঝাপসা এ দুনিয়ায় এ কোন পরাজয় সুখ।

কবি সুমিত্রা পাল -এর একটি কবিতা

  মৃত্যুর হাতছানি মৃত্যু, তুমি হাতছানি দাও কেন বারবার ? আগেও ডেকেছো কত, তাও মানিনি হার। যতই ডাকো হারবে তুমি, করব বাঁচার লড়াই, থাকবেই ঘাত প্রতিঘাত, তাকে না ডরাই। চলার পথ তো কঠিন হবেই ,পাই না ভয়, সব বাধা সরে গিয়ে একদিন হবেই জয়। মৃত্যু তুমি কেন বারবার কড়া নাড়ো দ্বারে? তোমার বিষাক্ত নিঃশ্বাস কেন পিঠে ঘাড়ে? যাও যাও যাও তুমি, যাও যাও ফিরে। কেন তুমি জাল বিছাও আমাকে ঘিরে? কারণে-অকারণে ছল করে ,আসো ঘুম ঘোরে, দরজায় দিয়েছি খিল, এসোনা আমার ঘরে। হারবো না তোমার কাছে ,আছে মান হুঁস, আমি নই মেরুদণ্ডহীন ভীরু কাপুরুষ। হারিয়ে যাক যতই ,ঠোঁটের কোণে হাঁসি, তবুও তোমার লোভের থাবায় ঝুলবনা ফাঁসি। সুখ-দুঃখ দুই ভাই ,থাকে তারা কাছাকাছি, দুঃখ যদি থাকে, সুখও আসবে পাশাপাশি।

কবি সৌমেন্দ্র দত্ত ভৌমিক -এর একটি কবিতা

  একুশ শতকের শিশুটি বাঁধন ভেঙে আসছে ভোর আলোক-শিশু বাড়ছে গর্ভে ভ্রূণের বুকে না মেরে লাথি বরং এসো খুশীতে মাতি। শুকনো মুখে কাটুক দুদিন অথবা ঝাঁপাক অনটন নাচার বসে থাকাই ভালো যেহেতু দুহাত অনেক কালো। সব কালি যে যাবেই মুছে একুশ শতক দুলুক আলোয় তেমন শিশুর শুনছি হাসি হৃদয় যখন সর্বনাশী।

কবি নীতা কবি মুখার্জী -এর একটি কবিতা

  কুচবিহারের রাসমেলা আমরা যাবো রাস দেখতে কুচবিহারের রাজবাড়ী পর লো তোরা, পর লো সবাই মিলে হাজার টাকার ঢাকাই শাড়ী। কতো লোক যে আসবে যাবে ইয়াত্তা তার নাই হাতে হাতে ধরে থাকবি, একলা যাবি নাই। মেলা মানেই খুশীর আঁগন, খুশী লুটে নাও ভালো ভালো জিনিষ কেনো,রকম রকম খাও। জামাকাপড়, কাঁসার জিনিস, শাল,কম্বল কত আশেপাশে গাঁয়ের লোকে জুটিয়ে আনে যত। মেলায় থাকে অনেক মজা থাকে পাঁপড় ভাজা বড় বড় জিলিপি আর থাকবে ঢাউস খাজা। চটপটি আর রোলের গন্ধে নাক করে 'ম' 'ম' নানা রকম আওয়াজেতে কান করে ভঁ ভঁ। বেলুন আছে খেলনা আছে, তাল পাতারই সেপাই চোর ধরতে ঘুরছে সেথা বড় বড় সেপাই। আসুন দাদা দেখুন বলে ডাক দেয় সব দোকান একটু আলগা দিলেই তারা কাটবে তোমার দু-কান। বড় বড় দোলনা আছে, আছে ডিস্কো ড‍্যান্সার আরো অনেক রাইড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সার সার। চুড়ি, কানের, হাতের বালা, নানান রকম মালা কচি, বুড়ো সবাই কেনে, পূজোর থালা। পাথর বাটি, মাটির সরা, নকশা করা বাসন কেউ বা কেনে ফুলের সাজি, কেউ কিনছে আসন। দোকানে থাকে বড় বড় জিলিপি, পান্তোয়া, লেডিকেনি ভাজছে খাজা গরম গরম দিয়ে গাদা চিনি। রাধাকৃষ্ণের মিলন দিনে সবাই খুশি মনে সবাই যে যায়

কবি মহীতোষ গায়েন -এর একটি কবিতা

  কথোপকথন শরীর জুড়ে মহুয়া ফুল শরীর জুড়ে কালো 'ও' মেয়ে তোর শরীরে কি বিদ্যুৎ চমকালো? শরীর জুড়ে কাশফুল তোর শরীর জুড়ে আলো 'ও' ছেলে তোর সন্ধ্যেবেলার চরিত্র কি ভালো?

কবি তৈমুর খান -এর একটি কবিতা

  জলগান কৌতুক জলের কাছে বিজ্ঞাপিত হই বিম্বিত ছায়ার হাসি মিশে যায় জলে  জলও হাসে, জলের ঔরসে আত্মজনেষু মায়া জন্মায় অন্তরালে জীবন সত্যের কাছে অন্ধ বাউল  দ্যাখে শুধু জলোচ্ছ্বাস, নত অন্ধকার  চারপাশে ভিক্ষার দেওয়াল দেওয়া ঘর ঘরে ঘরে মুণ্ডুহীন ধড়, নিঃস্ব করতল হাততালি তোলে ঢেউ, ভেজা অভিমান দুপুরও ভেঙে যায়, নৌকায় প্রজ্ঞা পার হয় কতদূর এসে তারপর জেগে ওঠে মূর্খ হৃদয় বাঁশ ও বাঁশির কাছে তবু জল ভেজা জলগান  

১৮ তম সংখ্যার সম্পাদকীয়

Image
                        অঙ্কন শিল্পী- মৌসুমী চন্দ্র সম্পাদকীয়: মানসিক উত্তেজনায় বিকারগ্রস্থ মানুষের হৃদয় থেকে কবিতা বের হতে পারে। ভাববার বিষয় তার কাছে প্রেম ও আছে আবার বেকারত্বের আর্তনাদ আছে। তাই কবিতার কাঁচামাল হিসেবে এর থেকে ভালো আর কি হতে পারে! এক আকাশ ভাষান্তরে জর্জরিত না করে একটি গাছের পাতা গুণতে থাকার সমান শব্দ প্রয়োগে কবিতা গুচ্ছ হয়ে ওঠে আরও বেশি উজ্জ্বল এবং বেদনাদায়ক। ভালোবাসার আর অন্তর্নিহিত আর্তনাদ বলেও একটি কথা আছে। সেই নিয়ে কবি মন আরও বেশি উৎসুক। তাই লিখুন নতুন নতুন প্রেম। ভালোবাসার নরম ও বেদনাদায়ক চাদরে ভরে উঠুক আমাদের সকলের প্রিয় পত্রিকা World Sahitya Adda. ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। পাশে থাকুন আমাদের।                                            ধন্যবাদান্তে                                  world sahitya adda ______________________________________________ ##Advertisement (বিজ্ঞাপন): ১) ___________________________________________________ ২) বইটি সরাসরি পেতে-- 6291121319 ___________________________________________________ ৩) ##উত্তরপাড়া,সিঙ্গুর এবং কোলকাতার বেহালায়

১৮ তম সংখ্যার সূচিপত্র ( ৩২ জন)

  সম্পূর্ণ সূচিপত্র: বাংলা কবিতা ও ছড়া--- তৈমুর খান, মহীতোষ গায়েন, নীতা কবি মুখার্জী, সৌমেন্দ্র দত্ত ভৌমিক, সুমিত্রা পাল, মিলি দাস, মিঠুন রায়, জয়িতা চট্টোপাধ্যায়, আবদুস সালাম, সৈয়দ শীষমহাম্মদ, অরবিন্দ সরকার, উদয়ন চক্রবর্তী, ইব্রাহিম সেখ, শেখ নজরুল, বিধান সাহা, অভিজীৎ ঘোষ, চাঁদ রায়।  বাংলা গল্প--- আশীষ কুন্ডু, রানা জামান, আব্দুস সাত্তার বিশ্বাস,  সিদ্ধার্থ সিংহ, অমিত পাল, উম্মেসা খাতুন। প্রবন্ধ---- সত্যেন্দ্রনাথ পাইন বাংলা গদ্য তথা রম্য রচনা--- অরবিন্দ সরকার, সুজিত চট্টোপাধ্যায়, শ্যামল চক্রবর্ত্তী। ইংরেজি কবিতা-- Sunanda Mandal, Namita Basu Pavel Rahman Photography--- Moushumi chandra,  Sohini Shabnam.

Photography by Moushumi chandra

Image
 

Photography by Sohini Sabnam

Image
 

লেখিকা মৌসুমী চন্দ্র -এর একটি গদ্য

  সেই দিন "আপনি একটু দেখা করবেন আমার সাথে, বিশেষ প্র‍য়োজন আছে", স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দীপক বাবুকে সেদিন স্কুল শেষে ডেকে পাঠালেন। দীপক বাবু ভীষণ কৌতুহল নিয়ে প্রবেশ করলেন প্রধানা শিক্ষিকার ঘরে।  প্রধানা শিক্ষিকা, দীপক বাবুকে বসতে বললেন। দীপক বাবু বললেন, " আমার মেয়ে কেমন পড়াশুনা করছে? আমি তো বেশীক্ষণ ওর কাছে থাকতে পারি না,ও নিজেই বেশীরভাগ পড়াশুনা করে। প্রধানা শিক্ষিকা বললেন, " এ বারের বাংলা পরীক্ষায় ওদের রচনা লিখতে দেওয়া হয়েছিল, তোমার কাছে মা দুর্গার রূপ। আপনার মেয়ে যা লিখেছে একটু পড়ে শোনাই, "।  দীপক বাবু ভীষণ ঘামতে শুরু করলেন বললেন জোর হাতে, " আজ্ঞে ম্যাডাম আমার মেয়ের মা নেই বড় অভিমানী মেয়ে আমার, যদি কিছু অন্যায় করে.... "। কথার মাঝেই হেড ম্যাডাম থামিয়ে দিয়ে বললেন আগে শুনুন আপনার মেয়ে এই খানে লিখেছে, আমি মন্ডপে যতবার দেবী দর্শন করি, মনে মনে দেবীর রূপ কল্পনা করি, আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে আমার বাবার মুখ। আমার বাবা দেবী দশভূজার মত  সংসারের সব কাজ সামলায়, আমায় মাতৃস্নেহে বড় করছেন। আমার বাবার স্নেহ পেয়ে আমি ভবিষ্যৎ জীবনে সত্যিকারের মানুষ হতে চাই। আমার

প্রাবন্ধিক সত্যেন্দ্রনাথ পাইন-এর একটি প্রবন্ধ

  আধুনিক বাংলা সাহিত্য কি accidental? " কি ভাষা, কি সাহিত্য কোনোদিক দিয়ে আমরা সেই মন্দিরে একটি নূতন চুড়া তুলিতে পারি নাই, বরং তার ভিৎ জখম করিতেছি "! __ মোহিতলাল মজুমদারের এই আক্ষেপ কৌতূহল নয়, কাব্য সাহিত্যের রস যথেষ্ট না থাকার বেদনা।।         আমার এই আলোচনায় essential বা সব থেকে প্রয়োজনীয় যেটা সেটা হোলো কাব্য সৃষ্টি বা সাহিত্য সৃষ্টির রহস্য সম্বন্ধে আমাদের মনে যে রসবোধ জাগে সেটার যথার্থ প্রয়োগ। এই রসসৃষ্টি স্বাধীন অন্তরের পরাজয় নয়, প্র লাপ ও দুঃস্বপ্ন নয়--- তড়িৎ গতি র প্রবৃত্তি ও আঁচলে বাঁধা ভাবনার আত্মপ্রসার। সেটা এখন বস্তু পীড়িত উদভ্রান্ত কলোচ্ছ্বাসের রূপ নিয়েছে। Emotion কে সুদৃঢ়ভাবে শব্দবদ্ধ করে সাহিত্যে খেয়াল খুশির জন্ম দিয়েছে। ফলে ভাষা ও বক্তব্য দুটোই অসংলগ্ন ও পরস্পর বিরোধী।        সাহিত্য আঙিনায় এখন অনেকেই আল্পনা দিতে বসে সাহিত্যে র দর্পনে আত্মচরিত্ লেখায় ব্যতিব্যস্ত হওয়ায় নৈর্ব্যক্তিকতা ও জাতীয়তাবোধ জন্ম নিতে পারছে না। তাই বঙ্গ লক্ষ্মী ঘণ ঘণ মেঘের গর্জনে মমতাময়ী না হয়ে একধারে ক্রন্দনেই আকুল যেন।     আমরা মাইকেল, বঙ্কিম,, শরৎ, সত্যেন্দ্রনাথ

লেখিকা উম্মেসা খাতুন -এর একটি গল্প

  নমস্য                                           ভোরের আযান শেষ হয়েছে, জামিন মিয়ার ঘুম ভাঙলো। তারপর সে খানিক আলস‍্য কাটিয়ে বলদ দুটো নাদে বেঁধে দিয়ে এক ডালি শুকনো খড় ঢেলে দিল," লে, একটু জলখাবার খাইয়‍্যা লে, ম‍্যালা দিন তোধের দিইয়‍্যা কুনু কাম করাই নি, আজ একটু কাম করাব। শিষ‍্যার মাঠে আমার একটা এ্যাক বিঘ‍্যা ভুঁই আছে, ভুঁইডা চষতে হবে। এ্যাখুন এ্যাক চাষ দিইয়‍্যা ফেল‍্যা রাখব। তাহিলে ঘাস যা আছে সব মইর‍্যা যাইয়‍্যা ভুঁইডা পরিষ্কার হইয়‍্যা থাকবে। পরে আর এ্যাক চাষ দিইয়‍্যা বাতাল কইর‍্যা রাই বুনব। এই ভুঁইডায় রাই খুব ভালো হয়। নাহিলে ত‍্যালের যা দাম ত‍্যাল কিইন‍্যা খাতি পারব না। আমার মুতোন মানুষ জ‍্যান্ত মইর‍্যা যাবো। হ‍্যাঁ রে, সত্যি বুলছি। লে, তাড়াতাড়ি খাইয়‍্যা লে!..."                              মাঠে গিয়ে লাঙ্গল জুড়ে অর্ধেক ভুঁই চাষ করে জামিন মিয়ার খুব খিদে আর জল তেষ্টা পেয়ে গেল। লাঙ্গল ছেড়ে দিয়ে জামিন মিয়া তখন ভুঁইয়ে একটা বাবলা গাছতলায় বসল, এ্যাখুন এ্যাক থালি পানি দ‍্যাওয়া বাসি ভাত পালে খুব ভালো হতো, জানডা ঠাণ্ডা হতো। কিন্তু সাকিনা আজ বাড়ি লাই। কাল তার মা'র বাড়ি গেলছে। বাড়িতে

লেখক অমিত পাল -এর একটি গল্প

  নতুন জামা                        "কমল তোর জামার দাম কত?"--- পূজা মন্ডপে ভিড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে রিজু বলে উঠল। "তিন হাজার টাকা ব্রাদার, তোরটা কত?" "পাঁচ হাজার টাকা"--- রিজুর মুখে এই কথা শুনে সুজয় কোনো কথাই বলতে পারল না। আসলে তার জামার দাম যেমন কম তেমনই পুরাতন। গতবছর পূজোর সময় সুজয়ের বাবা দু'শো টাকা দিয়ে তার জামা কিনে এনেছিল। এই বছর পূজোয় কোনো দামি জামা তো দূরের কথা, কোনো নতুন জামাও কিনতে পারেননি।

লেখক সিদ্ধার্থ সিংহ -এর একটি গল্প

  ফোন কল স্বামী-স্ত্রী রাত্রিবেলায় খেতে বসেছেন। দু'জনেরই মোবাইল টেবিলের উপরে। তখনও তাঁদের খাওয়া অর্ধেকও হয়নি। ঘনঘন রিং বাজতে লাগল স্বামীর মোবাইলে। এই সময় রোজই তাঁর ফোন আসে। আজকে দেরি করে খেতে বসেছে দেখে। না হলে এই সময় ও শোওয়ার ঘরেই থাকে। এদিককার টুকিটাকি কাজ সেরে যতক্ষণ না বউ ওই ঘরে যাচ্ছে ততক্ষণ ও কথা বলে যায়। বউও জানে কার ফোন। তাঁর স্বামী একদিন তাকে বাড়িতেও নিয়ে এসেছিলেন। তাঁর স্বামী ফোন ধরছে না দেখে এর মধ্যে কবে যেন ওই মেয়েটি তাঁকে ফোনও করেছিল। বউ বুঝতে পারল, সে সামনে বসে আছে বলেই তাঁর স্বামী ফোনটা ধরছে না। ফোনটা ননস্টপ বেজে যাচ্ছে। না, এ বার আর স্বামীর নয়, বেজে ওঠল তার ফোন। বউয়ের ফোনে রিং হতেই তাঁর স্বামী তড়িঘড়ি করে বলল, কেউ যদি আমার খোঁজ করে বলবে বাড়িতে নেই। বউ কলটি ধরেই বলল, আমার স্বামী বাড়িতে আছে। বলেই, লাইনটি কেটে দিল। স্বামী অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে বলল, তোমাকে বললাম না, বলে দিও আমি বাড়িতে নেই? বউ তাঁর স্বামীর দিকে তাকিয়ে বললেন, এটা তোমার ফোন নয়, আমার।

Poet Pavel Rahman's one poem

  Cause Of Living If you don’t get anyone’s love, If all hopes to live are vanished, Nonetheless, you will have to live- For saving others from danger. Though night is coming deeper, Though there is no any hope to live, Nonetheless, say to your mind- “ I will have to live for saving others.”

Poet Sunanda Mandal's one poem

  Catalyst         We don't have society, No struggle for existence. In the present civilization A mixture of anxiety and pain, A kind of catalyst. The smell of rotten meat emanating from life.

কবি তহিদুল ইসলাম -এর একটি কবিতা

  তুমি বলে ছিলে তুমি বলে ছিলে, বৃষ্টি ভালোবাসো কিন্তু যখন বৃষ্টি ঝরে ,তুমি আশ্রয় খুঁজে পাও তুমি বলে ছিলে, সূর্য ভালোবাসো চোতের বিরহকাতর মাঠের বুকফাটা রোদে তুমি হাফ ছেড়ে বাঁচো ,ছায়া খুঁজে নাও আমি বড় চিন্তিত, তুমি যখন বলো, " আমি তোমাকে ভালোবাসি"। তুমি বলে ছিলে ,চাঁদ ভালোবাসো আবার জোছনা রাতে ,তার কলঙ্ক খুঁজতে যাও তুমি বলে ছিলে, গোলাপ ভালোবাসো গোলাপ বনের কাঁটা দেখে থমকে দাঁড়াও। আমার ভয় করে তুমি যখন বলো, " আমি তোমাকে ভালোবাসি"।             

কবি সেখ নজরুল -এর একটি কবিতা

  ভালোবাসা অন্ধ সত্যি ভালোবাসা অন্ধ, চোখে দেখা যায় না। মন দিয়ে অনুভব করতে হয়।। আমি যখন মাতৃগর্ভে ছিলাম, তখন মা আমাকে না দেখেই মনে মনে অনুভব করে,আমাকে নিয়ে হাজার ছবি আঁকতেন। আমার খোকার এরকম হবে, তার চোখ দুটো এরকম হবে, তারা হাত দুটো এরকম হবে, তার পাদুটো এরকম হবে,তার নাকটা এরকম হবে। অনেক সময় আমরা অজানা মানুষের ছবি মনের মধ্যে এঁকে ফেলি এবং পাগলের মতো ভালোবাসি। সত্যি ভালোবাসা অন্ধ, চোখে দেখা যায় না, মন দিয়ে অনুভব করতে হয়।যখন আমরা বাইরে থাকি, মা ভাবতে শুরু করে, আমার খোকা কিছু খেয়েছে কিনা,আমার খোকা কি করছে,,কখন বাড়ি ফিরবে। সত্যি ভালোবাসা অন্ধ, চোখে দেখা যায়না,, মন দিয়ে অনুভব করতে হয়। কাউকে দেখে তার প্রতি মন কেঁদে ওঠে, এটা ভালবাসা নয়,,ভাললাগা। আমরা সৃষ্টিকর্তাকে কোনোদিন চোখে দেখিনি, তবুও উনার প্রতি আমাদের মন কেঁদে ওঠে এবং দুটি হাত তুলে সব সময় উনার কাছে কিছু চাইতে থাকি। সত্যি ভালোবাসা অন্ধ, চোখে দেখা যায় না, মনে দিয়ে অনুভব করতে হয়।

কবি অভিজিৎ দত্ত -এর একটি কবিতা

  মৃত্যু হে পথিক করিও স্মরণ  জীবনের শেষে আসবে মরণ মৃত্যু জীবনের চরম সত্য  অথচ এই সত্যটিকে আমরা কেন ভুলে যায় অবিরত? লোভ,হিংসা,মারামারি একে অপরকে বঞ্চিত করার জন্য  করি শুধু বাড়াবাড়ি  এমন কী এজন্যই পিতামাতাকে  পর্যন্ত ছাড়তে হয়েছে ঘর-বাড়ি। মানুষের দুর্নীবার লোভ গ্রাস করেছে সবকিছু অথচ কিছুই যাবে না সঙ্গে কবে বুঝবে মানুষ এই সত্য? অন্যায়, অবিচার, দেবেন,হিংসা  সবই লোভ পেতো যদি মৃত্যুভয় স্মরণে থাকতো। মানুষের বিবেক যদি হয় জাগ্রত  সব অন্যায় হবে পরাভূত। মৃত্যুকে গ্রহণ করো হাসিমুখে মৃত্যুঞ্জয়ী হয়ে যাও শুভ কার্যের সাথে।

কবি অরবিন্দ সরকার -এর একটি কবিতা

  গুরু                           লালন পালনে গুরু তাঁরা মাতাপিতা, গোরু পালনে গোপাল সে পরমগুরু, দলের নেতা ভোম্বল সেও কাটে ফিতা, ডাকাত দলে সর্দার নাম তার হীরু। গুরু মশাই শিক্ষক তিনি পাঠদাতা, বস্ত্রহরনে খচ্চর তার হাতে নাড়ু, সব শালায় কর্মের গড়েন বিধাতা, যত শালা আছে তারা, সবে ধর্মভীরু। পশুরাজ সিংহ গুরু নয় পরিত্রাতা, স্রষ্টা গুরু প্রজাপতি হাতে নিয়ে গারু, জীবের কল্যাণে ব্রতী তিনি বিশ্বপিতা, স্বর্গ মর্ত্য পাতালেতে বাজাবে ডমরু। পাঠশালায় শিক্ষক গোশালায় গোরু, কামার কুমোর শালা না থাকলে মরু! ___________________

কবি নবকুমার -এর একটি কবিতা

সমস্ত প্রতারণাগুলি   সমস্ত প্রতারণা গুলি লিখে রাখি বুকের দেয়ালে । যেখানে গেছি পেয়েছি শুধুই প্রতারণা  কেউ দেয়নি স্নেহে একটু শীতল জল । মরুভূমির ভেতর হেঁটে হেঁটে  ফোস্কা পড়েছে পায়ে  কেউ বলেনি ডেকে -এসো ,একটু জিরিয়ে নাও শীতল ছায়ায়। যা-ই ধরতে গেছি পিছলে পিছলে গেছে অসময়ে রজ্জুও সাপ হয়ে মাত করে  ছোবলে ছোবলে । সমস্ত প্রতারণা গুলি লিখে রাখি বুকের দেয়ালে ।

কবি সৈয়দ শীষমহাম্মদের অনু কবিতা

 ১ লাঙ্গল ঘাড়ে কৃষক আমি  মুখে তুলে দিই অন্ন, দিসনা বাধা আমার কাজে  তোর সাথে নই ছিন্ন । ______________ ২ ভাত ঘুমের ব্যার্থ চেষ্টা হলো  ঘুম যে গেল চলে, তিনটে শালিক ঝগড়া করে  রান্না ঘরের চালে l

কবি কমল মন্ডল -এর একটি কবিতা

  চেনা গন্ধ                      সুন্দরতাকে উপেক্ষা করে তুমি চলে গেছো সাফল্যে আমি জানি, তুমি চলে যাবে স্নান ঘরে  শরীর ভিজিয়ে ভাববে নাতো আমায় স্বপ্ন খুঁজে পাওয়া যায় সকল মধু  আমি ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ি নরম শাড়িতে। চুড়ির চেনা শব্দ কানে বাজে আমার  কেউ কোথাও নেই  কে ওখানে দাঁড়িয়ে। কেউ কোথাও নেই  একটা খুব চেনা গন্ধ ঘরময় ছড়িয়ে  আমাকে জড়িয়ে ধরলো, গলা শুকিয়ে গেছে  কাঠগলায় বললাম কে ওখানে দাঁড়িয়ে  কোনো আওয়াজ নেই! মেয়ের কান্নায় ঘুম ভেঙে যায়। 

কবি আবদুস সালাম -এর একটি কবিতা

  অবিশ্বাস মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে অবিশ্বাসের ছাতা মাথায় দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি ধর্ম প্রচারের দ্বায়ীত্বে আছেন ধর্ষক বাবা অসহায় রাস্তায় পাহারা দিচ্ছে পঙ্গু পুলিশ ধর্ম প্রাণ মানুষ পুলিশের হাতে গুঁজে দিচ্ছে বরাদ্দ মাসোহারা এটাই নাকি অলিখিত সংবিধান ইহকাল নিয়ে বিজ্ঞাপনের পাতা ভরাট হয় সংকেত পাঠাচ্ছে পরকাল দীর্ঘরাত অসহায় বারান্দায় ঘুমায় বয়ঃসন্ধির বিজ্ঞাপন ঝুলছে ধর্মবেদীর দূয়ারে সকাল সন্ধ্যা পূজা করি যৌন মানবের অসহায় ঝরে পড়ছে বিবেকের বারান্দায়

কবি সুব্রত মিত্র -এর একটি কবিতা

  রোষের মুখে কালক্রম উদঘট পাথরে জীবনের নাম লেখা জীবন দরিয়ায় মায়া-মমতার ছবি আঁকা; কল্পনার বিষ পাথরে তামাশারা গল্প লেখে পরিণতির পরিহাস সদাহাস্য বারো মাস-- বাস্তবের কালিমা আছে গায়ে মেখে। সৃষ্টির লীলাভূমি তুমি মোর প্রিয়তম শত দুর্গতি এসে যায় কপালে তবু --- --- তবু যেন হও তুমি স্বর্গ সম, এখনো তো ঝড় হয়; ভাঙে ঘরবাড়ি; আমি অদ্ভুদ স্রোতের মাঝে অলিখিত প্রতিরোধ এক অদৃশ্য শক্তির সহযোগে রুখে দাঁড়াই আড়াআড়ি। সরল আর সহজের হাটে সাধনারা ফিকে হয় দূর্মূল্যের বাহারি রংমশাল আজকাল বড় সম্মান পায়, অবচেতনার সিঁড়ি বেয়ে প্রজন্ম ক্রমশ ঝরে পড়ে সময়ের পায়ে কর্মেরা আগাছার দিকে তাকায়; বিচ্ছিন্ন গতিপথে মানুষেরা সংঘবদ্ধতা হারায়, ব্যবধান লেখা থাকে মানুষের চেতনায় ব্যবধান লেখা থাকে মানুষের ভাবনায়, তৎক্ষণাৎ উর্বর গতি রেখার দিকে সকলে ধেয়ে যায় ক্রমান্বয়ে দূরদর্শিতার অভাব দেখা যায় এই সময়। এই সকল ভাবনার ঊর্ধ্বে উঠে--------- কালের জয়ের কথা রেখে গেলে কালজয়ী হওয়া যায় সমকালে কোনদিন যদিও জীবন হয় অমলিন নাভিশ্বাস আর দীর্ঘশ্বাস আসবে না কোনদিন; তবু তারা কেহ কেহ ছুটে যায় প্রান্তকে ভেদ করে মর্মবাণীর 'পরে মর্ম

কবি জয়িতা চট্টোপাধ্যায় -এর একটি কবিতা

  আমার অসুখে আমার অসুখ বেড়ে ওঠে যেমন বেড়ে ওঠে লতা পরম গুহায় নামে তুমি নামের বৃষ্টি দুচুমুক স্নান করে আমার কবিতা তোমার কাছে রেখে যাই দংশনের দায় দুঃখ ভিজে যায় পুরনো পাতার মতো আয়ুর মতো জেগে থাকে ঘুম ঠায় তুমি এসে চলে যাও নিজের আড়ালে স্রোত থেকে স্রোতে প্রেম কাঁদে প্ররোচনা দেয় অসুখ শরীর সামনে এসে দাঁড়ালে মিশে যাও তুমি আর তোমার পাঞ্জাবি আকাশের নীলে বৃষ্টির মুদ্রিত রূপ আমার কবিতায় আমায় অসুখ নিয়ে তুমি জড়িয়েছিলে সমস্ত মৃত্যু আজ লেগে থাকে শ্রাবণের গায়ে আমার অসুখে পৃথিবী আজ নিজেকে লুকায়।

কবি সুমিত্রা পাল -এর একটি কবিতা

 কি চায় জনগণ ওগো নেতানেত্রীগণ, শোনো দিয়া মন, আমরা চাইনা ভিক্ষার দান, সে দানে বাঁচেনা প্রাণ! আমরা চাই উন্নয়ন , আমরা সাধারন জনগন। ওগো নেতানেত্রীগণ, শোনো দিয়া মন, চাকরির আশায় খইছে জুতো, আমরা চাই নাই এই বেকারত্ব। আমরা চাইনা অবিচার ! চাই আমাদের ন্যায্য অধিকার। ওগো নেতানেত্রীগণ , দাঁড়িয়ে যাও কিছুক্ষণ! কি চাই দেশের জনগণ? বাবা-মা-ভাই-বোন , বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজন , শোনো দিয়া মন। ওগো নেতানেত্রীগণ, একটু বোঝো কি চায় জনগণ! আমরা চাই না ঐ সিংহাসন! শুধু চাই, বেঁচে থাকার মতো উপার্জন। চাই কর্মব্যস্ত জীবন, চাই সুস্থ শরীর, সুস্থ মন। ওগো নেতানেত্রীগণ , আমরা চাই নিরাপদ জীবন। আমাদেরও আছে আত্মসম্মান, চায়না চলে যাক তাজা প্রাণ । চাই মানুষ হওয়ার দীক্ষা, পেতে চাই সঠিক শিক্ষা। এটুকু তো চাওয়া, তাও হয় না পাওয়া! ওগো নেতানেত্রীগণ, করো একটি পণ,  পেয়ে বিজয় সিংহাসন ভুলবেনা ধর্ম , ভুলবেনা নিজের কর্ম । মনে রেখো, সকল মানুষজন,  সবাই তোমার আপন জন।

কবি অভিজীৎ ঘোষ -এর একটি কবিতা

  চাওয়া-পাওয়া চাইলি কেন হাসনুহানা,ভাবছি  তোকে গোলাপ দেবো; বাইক চড়ার সখ ছিল তোর,  পক্ষীরাজে সঙ্গে নেবো।  খেয়াল বশে বায়না সেদিন,প্যারিস  নাহয় ফ্রান্সে যাবি; নিয়ে গেলুম নরওয়ে, বললি  সেথায় ফুচকা খাবি।  আবার প্রাণে শখ ছিল তোর নাইতে যাবি নায়াগ্রাতে,  স্নানের শেষে মিশর যাবি প্রখর রোদে চুল শুকাতে।  যেতেই হলো আফ্রিকাতে তোরই অভিমানের বশে,  ফিরতে হলো অস্ট্রেলিয়ায় প্রেম-পিরিতির দারুণ জোশে।  আমার শুধু চাওয়ার ছিল তোর সঙ্গ দু-দশ জনম; হৃদয় ভরা সেই ক্ষতটা, ঢাকতে যে তুই লেপলি মলম।

কবি সৌমেন্দ্র দত্ত ভৌমিক -এর একটি কবিতা

  দিশান্তর জহান্নমের তখতে বেশ বেশ আছি বসে। ফুরফুরে ফুলেল আমেজ মগজের কোষ-কোষান্তরে যেন হাসাহাসির ফুলঝুরি। এরপর আধবোজা চোখে ঢুলঢুলু বিক্রম ত্রাস ছড়ায় নাভিশ্বাসে। চকিতচপলা মুহূর্তের ঘরে অতিঘন অকাতরে বাজে দুন্দভি, হঠাৎ ওড়ে রাতজাগা ত্রস্ত পাখী, বিষ-বিষয়ে নারাজ আকুলতা তথাপি খোঁজে একখণ্ড বাতিল অনাবাদী জমি- সেখানেই আবার আবার বসত-নির্মাণ, নির্মিত ইমারতে একমুঠি বাচাল অকাল আকাশকুসুমে ভর্তি হাওয়ায় শুধুই কালাতিপাত, ধোঁয়াশায় এখনো অন্তরাল স্পষ্ট স্পষ্টতর যেদিকে প্রত্যাশায় জন্নত-সরণী।

কবি রানা জামান -এর একটি কবিতা

  ময়ূর      পালক খসিয়ে চলে যায় ময়ূর সুদূরে মুঠো ফসকে; চড়ুই সামান্য দানাপানি খেয়ে খড়ের বাসায় থাকে ঘুমিয়ে; পেছনে ফাইভস্টার হোটেলের খাদ্যের সুবাসে জিভ থেকে লালাটা ঝরায় না টোকাই প্রাকৃতিক নিয়মে ঘাসের ডগায় শিশির বসে পাওনাটুকু বুঝে নেয় সূর্যালোক থেকে; কৃষকের উদাসিনতার সুযোগে কিটানু হুল বসায় কোলের ফসলে; গ্রহণ লাগে ভরা পূর্ণিমায় দিন যায় রাত আসে; এর চক্রে প্রতিনিয়ত কতক তারা খসে; কিছু অনাঘ্রাতা গাড়িতে আগুন লাগিয়ে ধরায় সিগারেট।

কবি নীতা কবি মুখার্জী -এর একটি কবিতা

  শিশু-মঙ্গল শিশু দিবসের মহান লগ্নে শিশুদের ভালোবেসে স্নেহ চুম্বন দিয়ে যান যেন দেবতা মাটিতে এসে। মাতৃহারা, অনাথ শিশু সহায় সম্বলহীন একটু সহায় হবে কি তোমরা?শোধ হবে মনুয‍্যত্বের ঋণ? হোটেলে , বাজারে ,রেস্তোরাঁতে যত শিশু মজদূর ছিঁড়ে ফেলে দাও শৃঙ্খল তার, অবহেলা করো দূর। শিশুরা হাসবে, খেলবে, গাইবে, আনন্দে মতোয়ারা সেই সুযোগেই শিখে নেবে তারা জীবনবোধের ধারা। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হোক বা না হোক মানুষ তো হোক আগে বিবেক- বুদ্ধি, পরোপকার আর মনুষ্যত্ব যেন জাগে। বিদেশে গিয়ে টাকা রোজগারের যন্ত্র যেন না হয় আর্ত-দুখীর পাশে থেকে যেন সমাজের ভার বয়। এই সমাজের পিতা মাতা আর অভিভাবকের দল  চাপিয়ে দিচ্ছে প্রত‍্যাশার বোঝা,শিশুরা যে টলমল। সুন্দর আর নিষ্পাপ শিশুকে ঠিক মতো দাও বাড়তে অতিরিক্ত আকাঙ্খার বোঝা চাপিও না তাকে মারতে। ছোট্ট কুঁড়িরা হতাশায় ভোগে প্রতিযোগিতার ভিড়ে মৃত্যুর কোলে সঁপে দেয় তাদের, অসহায় নিজ নীড়ে। একটি ফুলকে যত্ন করে পালন করো গো মা বিদ্যাসাগর, নেতাজীর মতো করে তোলো উপমা। আমার দেশের, আমার মাটির ছোট্ট কুঁড়িশিশু যত ফুটে ওঠে যেন কোমল কুসুম, শতদল শত শত। স্বার্থপর এই দুনিয়াটাতে পথশিশু আজ বড়ো বিপন্ন ঘরে

কবি আশীষ কুন্ডু -এর একটি কবিতা

  আলোর পথে   আলোর সিঁড়ি বেয়ে চুপ সময় ওঠা নামা প্রহর গোনে মনোময় সুখ আকাশ এক ঝাঁক পায়রার  সফেদ মেঘের ভেলায় ফেরার টুকরোয় নামে আলোর বাসর হাটের সীমানায় নাবাল প্রান্তর তোমায় লিখবো ভেবে সাদাপাতা এক ঝাঁক শব্দের খাঁচায় খাতা মন কি বলে সবটাই হয় না শব্দে আরও কিছু ঝকমারি শব্দজব্দে।

কবি মহীতোষ গায়েন -এর একটি কবিতা

  সানাই রাত খুন হয়ে যাচ্ছে আর গাছের তলায় বসে সানাই বাজাচ্ছে মাতাল প্রেমিক, প্রেমিকা বাসবদত্তার বাসর পুড়ছে লোভের আগুনে...       

কবি তৈমুর খান-এর একটি কবিতা

  সংশয়ের সিলেবাস   নিজেকে গড়ানোর প্রক্রিয়া কী সমাজের কীভাবে উন্নতি হবে কল্যাণ কল্যাণ বলে যাকে ডাকি সে কি প্রকৃত কল্যাণ? এসবই সংশয়ের সিলেবাস রোজ সূচিপত্র দেখে দেখে ধ্বংসাবশেষ হাতড়াই সময়ের মরালাশ বজ্রের আলোয় চকচকে বিভূতি উড়িয়ে দেখি শুধু হাড় বেঁচে থাকা যদি নদীর মতো হয় বিশ্বাস যদি পাহাড়ের মতো তাহলে ধ্বংসাবশেষই সংশয় আলো জ্বেলে কিছুই দেখা যায় না অথচ অন্ধকারে স্পষ্ট হয় কল্যাণের মুখ।

১৭ তম সংখ্যার সম্পাদকীয়

Image
                                          অঙ্কন শিল্পী- মৌসুমী চন্দ্র ___________________________________________________ সম্পাদকীয় নদীর মত বয়ে যাওয়া ভাষাশৈলী কে বুঝতে হলে প্রয়োজন সমুদ্র সুলভ মন। কারণ একটাই নদীর শেষ ঠিকানা সমুদ্র। আজ এগারোতম সংখ্যা প্রকাশিত হল। এতদিন লিখছেন, পড়ছেন আমাদের ব্লগ ম্যাগাজিন। পাশে আছি আমরা পরস্পরের কাছে। ভালোবেসে পড়ুন পত্রিকা। লেখা গুলি হৃদয়ে অন্তর্নিহিত করে তাৎপর্য বুঝতে শিখুন। জানান প্রতিটি লেখার মন্তব্য। তাই আমাদের ওয়েবসাইট ম্যাগাজিনে লেখা পাঠান, অন্যের লেখাকে গুরুত্ব দিয়ে পড়ুন। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। পড়তে থাকুন আমাদের পত্রিকা।                                           ধন্যবাদান্তে                      World sahitya adda সম্পাদকীয় ___________________________________________________ **Advertisement    (বিজ্ঞাপন): ১) ___________________________________________________ ২) বইটি সরাসরি পেতে-- 6291121319 __________________________________________________ _ ৩) ##উত্তরপাড়া,সিঙ্গুর এবং কোলকাতার বেহালায় এছাড়াও যে কোনো প্রান্ত থেকেই যেকোনো ক্লাসই অনল