Sunday, November 14, 2021

কবি প্রতীক হালদার -এর একটি কবিতা

 আতঙ্কেরে মেঘ  

 


সমাজটা কেমন যেন ঘোরের মধ্যে ,

আতঙ্কের মেঘ হানা দিচ্ছে বারবার,

প্রতিটি মুহুর্ত যেন মৃত্যুর সাথে লড়াই করা ,

হয়তো বা আছি বা এই নেই .....

আর কতদিন এই লড়াই চলবে?

মুক্তি দেবেনা কি করোনা এই জীবনে?

শিরদাঁড়া ভেঙে গেছে...

করোনার ঢেউ বারবার আছড়ে পড়ছে এই পৃথিবীর বুকে ।

এ - কোন জন্মের প্রতিশোধ নিচ্ছে করোনা?

ক্লান্ত শরীরের ক্ষমতা নেই মনকে শক্ত রাখার.......

মৃত্যুকে কি বরণ করে নিতে হবে?

অদৃষ্ট- ই এখন ভরসা....

 হয়তো একদিন ঘুম ভেঙে উঠে শুনব 

পৃথিবী সুস্থ হয়ে গেছে,

আর কোনো ভয় নেই, করোনা বিদায় নিয়েছে পৃথিবী থেকে ।

খুশিরা জানান দিচ্ছে তোমরা খুশিতে মেতে ওঠো , 

আর কোনো ভয় নেই ।

কিন্তু কবে সত্যি হবে এই স্বপ্ন?

আতঙ্কের মেঘ কেটে গিয়ে 

নতুন দিনের সূর্য উদিত হবে ...

কবি অভিজীৎ ঘোষ -এর একটি কবিতা

 এগরোলের বস্ত্রহরণ




যুগের সাথে তাল মিলিয়ে

ফাস্ট ফুডেতেই জীবন বাঁচে;

তাইতো এখন হকার মেলে

রাস্তা মোড়ে, গলির পিছে। 


যেইনা আমার নিদ্রা ভাঙে, 

 খুব সকালে দড়াম করে;

দন্ত পাটি বাগিয়ে ঘসে, 

ফাস্ট ফুডেতেই পেট যে ভরে। 


হঠাৎ করে বাদল দিনে

মনের মধ্যে জাগলো সাধ ! 

এগরোলেতে পেট ভরাবো,

 আর বাকি সব পরবে বাদ। 


মুরগি গুলো বলবে জানি, 

মানুষ গুলো নিপাত যাক। 

হংস ডিমে রোল বানাবে;

মুরগি মহল শান্তি পাক। 


হকার দেখি চটাং করে

মোর হাতে এক রোল ধরালো।

যেইনা আমি রোল ধরেছি, 

পয়সা চেয়ে হাত বাড়ালো।


হিসাব-নিকাশ সব মিটিয়ে, 

যেইনা রোলে কামড় দেবো! 

তাকিয়ে দেখি হাতের পানে, 

কামড় দিলেই কাগজ খাবো। 


খুলতে থাকি কাগজ খানি, 

টানতে থাকি জোরে;

বলতে থাকি বিড়বিড়িয়ে, 

"দুশাসন আয় ফিরে।


করতে হবে বস্ত্র হরণ, 

তবেই পাবো রোলের স্বাদ। 

নইলে শুধু মরবো টেনে

করতে হবে আর্তনাদ! "


 কৃষ্ণ রূপে হকার রেডি

অঢেল শাড়ির জোগান দিতে, 

শীর্ণ দেহে দ্রৌপদী আজ

নগ্ন হবে পেট ভরাতে। 


বস্ত্র হরণ সাঙ্গ হলো

দু-দশ মিনিট কাটার পরে। 

ক্রেতা মরে ক্ষিধের জ্বালায়

গাঁটের কড়ি খরচ করে। 


ফাস্ট ফুডেতে দারুণ মজা, 

 রোগ জ্বালাতে ভরছে দেহ;

তবুও দেখি লাইন দিয়ে

রোগ কিনে সব যাচ্ছে গৃহ।

কবি সোনালী মীর -এর একটি কবিতা

 নিভন্ত এক কবিকে



কবে থেকে শুরু হয়েছিল শাব্দিক খেলা

তারপর মাঠে ঘাটে নেমে এল বেলা

নদীর বালি করল চিকচিক

বনে বনে জোনাকির ঝিকিমিক

আর ফুলেদের ঢুলঢুল

ঘর ফিরতি চিল শামকুল

ওপারে মেচেতার ভুঁয়ে ঘাস

হৃদয় কলোনিতে দুখ পরবাস


কবি ফিরে এল এপারে

আঁধারের দেবতারা চারধারে

ওপারে বাতাসের প্রতিধ্বনি,

কবি নদী জলে ধুয়ে নিল পা খানি

কাদা মাটি লাগা দুখভোগা,

এই নদী চেনে তাকে।দিনজাগা

সূর্যের মুখে রক্ত;আমিও তোমাকে চিনি

কবিতার হাটে তোমার বিকিকিনি

এখন নেই আর;তবুও মেঠোফুল ছাড়েনি

তোমাকে;হেরে যাওয়া উজ্জ্বল চোখের চাহনি

শান্তিনিকেতনী ব‍্যাগে ছেঁড়া স্বপ্ন,কালো পেন

কবিতার খাতা,ভাবনার সাথে লেনদেন-

তৃষিত ওরা।দারুন অসময়

পাহারাদার অলীক জ‍্যোৎস্নার ছায়ায়।

জল খুঁজছে তোমায় কবি...পিছল পিছল

পিছল নদীপথ,পিছল ঘাটে বাসন্তী আঁচল

কোন্ রমনী বসে সেসব তোমার দেখতে নেই।

ক্ষয়াট জুতোর সুকতলার ঘুম নেই;


ঘুম চাও তুমি গভীর ঘুম?

নিরালা এই নদীর ধারে বিক্ষতমনা নিঃঝুম


তবে বয়ে যাও জলঙ্গীর কালো জলে ভেসে

বয়ে যাও সেই খোলা সাগরের দেশে

যেখানে কেবলি ফেনায়িত সাদা ঢেউ 

শরীরে মোড়া জলের পোশাক,খোঁজ রাখেনা কেউ।

কবি কমল মন্ডল -এর একটি কবিতা

 চিত্র



ঘন ঘন রং পালটাই চিত্রকর মাছরাঙাটার

কখনো সে মাছ ধরে কখনো মনুষ্যত্ব 

সুযোগ পেলে কাঁকড়াও ধরে নয়তো সে ফানুস। 

চিত্রকর চিত্র আঁকে সৃষ্টি তাঁর বিষ্ময়কর 

বিবেক তাঁর তুলির টান আঁকে সময়ের বিবর্তন 

সব রং এক হয় কানামাছি আমরা যখন। 

কবি সৌমেন্দ্র দত্ত ভৌমিক -এর একটি কবিতা

 বিষন্ন-মোহর




কবি-মন পুষ্ট হল বিষন্নতার ষোলো আনা

চর্বনে বমনে।

অতঃপর আঁধারের দরজাখানি ঝাঁড়পোছে সাফসুতরো,

তাতে পুঁতি অক্লেশে অনামী চারাগাছ।

বায়ুহীন পরিবেশ স্বপ্নের ঔরসে যে যে ভাবনায় ও

ভাষায় করে দারুণতম চূণকাম।

সেখানে পুষ্টিতে ক্রমশ বাড়ন্ত দিনে দিনে অতিথির

অঢেল গর্ভস্রাব।

লব্ধ শ্বাস-প্রশ্বাসে মাছের চোখ যেন কবি-প্রাণ,

ব্যস্ত খুব খুব সন্তরণে,

তখুনি ঠিক তখুনি শুরু মোহর-চাষ।

কবি রানা জামান -এর একটি কবিতা

 একান্ত

    



পুরোনো ডায়রিটা খুঁজে পাবে না তোমরা

যতই পুরোনো বান্ধব হও না কেনো

নখ কি জানে নিচের মাংশ কতটুকু জ্যান্ত

বা মরা; একান্ত কিছু বিষয় জানে না শয্যাসঙ্গিনীও

পিরামিড থেকে শুরু করে প্রত্নতত্ত্ব

ব্যবচ্ছেদ করে জেনেছি অস্তিস্তে বিলীনের মতো

আপন হয় না কেউ; সর্বংসহা পৃথিবীও

মাঝে মাঝে উদগিরন করে লাভা

অথচ অলিন্দে বাসরত তুলাংশ

রক্তচক্ষু সহ্য করে না একদম

বুথে বুথে যেতে হয় বাণিজ্য রক্ষায়

কত যে বিচিত্র মানুষের ব্যবহার

কেউ কোকিল, খরগোস কেউ

কখনো শেয়াল কখনো বা গর্দভ

মানুষ সকল প্রকার প্রাণীর

স্বভাব ধারন করে স্বার্থটা আদায় করতে

এই শূন্যতা ভেতরে নিয়ে বসি তাঁতে

দাড় টেনে এগোই অজানা-জানা সামনে

অদৃশ্য ডায়রিতে মাঝে মাঝে লেখা হয় 

ছান্দিক অক্ষর যা একান্ত থেকে যায় আজীবন।

কবি আবদুস সালাম -এর একটি কবিতা

 মুখোমুখি



আকাশের বুকে মেঘ বারবার জমে

প্রান্ত বরাবর তার আবেদন

বাঁকে বাঁকে জমে আছে ক্ষয়


প্রতিটি স্টেশনে ভরে নিই জ্বালানি

মুঠো বন্দী পতন পতাকা ওড়ায়

ফিরে আসি সংসারের টানে

চুমুতে চুমুতে ভরে দিই উঠোন

অপ্রতিরোধ্য মনন

মন্থনে মন্থনে উঠে আসে গরল

সহবাস কথা মেনে সংসারান্ত উতল হাওয়া


নক্ষত্রের গায়ে লিখে রাখি গোলাপী ব‍্যাথা

পরতে পরতে বাঁধা পাস ফেলের উপাখ্যান

প্রবাহিত যমুনায় ভাসছে চাঁদের নূপুর

লোকেরা পালা করে গাইছে মৃত্যুর গান


খুচরো খুচরো অবক্ষয় আর দুঃস্বপ্নের সিলেবাস

অলিখিত জীবন জন্মের আগেই মরে যায়

মৃত্যু গহ্বর থেকে উঠে আসে চাওয়া পাওয়ার অনুরোধ

পেছনের দরজায় ধ্বনিত হয় কীটদ্রষ্ট গোপন অভিসার


চাঁদের মাটিতে জোয়ার এলে আবার মিশে যায় সীমাহীন অভিমানে।

কবি নবকুমার -এর একটি কবিতা

 ভাই ফোঁটা 




অন্যান্য দিনের প্রাত্যহিক সূচী

ভেঙে ভোরে উঠে বাথরুমের জলে

সমস্ত ময়লা ঘষে ঘষে উঠিয়ে

পরিশুদ্ধ হয়ে উঠি ।

তারপর নতুন পা'জামা-পাঞ্জাবি পরে 

দাঁড়িয়ে থাকি বাসস্টপে

যেন কারও অপেক্ষায় ---।


বাস-টোটো থামে--

হুড়মুড়িয়ে নেমে পড়ে শত শত শত ভাই-বোনেরা

মিষ্টির দোকানেও ব্যস্ততা চরম ।

আমি দাঁড়িয়ে থাকি

আর ঝলকে ঝলকে পাড় ভাঙে

অতীতের স্মৃতিগুলো ---।

চারদিকে এত ভাই-বোন--

কেউ তো কারও ভাই-কেউ তো বোন

একথা বোঝেনা মানুষ --

তাই শ্বাপদ হাত রক্তে মাখাতে চায় আঙুল !


আজকের দিনে তুই চন্দন ঘষে ধান-দূর্বা-শঙ্খ

প্রদীপ জ্বালিয়ে দাদাদের অপেক্ষায় থাকতিস ।


আজ কেউ নেই-

আমার কপাল শূন্য--কাঁদি

চোখের জলে তোর অতীতের ফোঁটাগুলি 

টিপ টিপ জ্বলে ভরে দেয় আমার কপাল ,

তোর স্নেহের ভাইফোঁটা ...

কবি সেখ নজরুল -এর একটি কবিতা

 অভাগী

      

     


সাধারণ পরিবারের মেয়ে আমি,

তবুও তোমাকে অসাধারণ ভালোবেসেছিলাম।

এটাই কি আমার অপরাধ?


জীবনের শেষ লগ্নে এসে,

কেন যে এখনো সেই ভালোলাগা স্মৃতি মনে পড়ে বারবার আজও আমার অজানা।


হয়তো ভালোবাসাটা আমার সাধারণ ছিলো না,

কিন্তু তোমাকে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা হয়তো সাধারণ ছিলো।

বিশ্বাস করো আমি সাধারণ হলেও,

তোমাকে অসাধারণ করে রাখতাম।

কি আর করব বলো!

এভাবে বাকি জীবনটা তোমাকে ছাড়া কাটিয়ে দিতে হবে।

যখন তুমি আমায় ভালোবেসেছিলে,তখন তুমিও আমার সাথে সাধারণভাবে এসেছিলে।

আজ তোমাকে পাওয়া তো দূরের কথা,

তোমার কথা ভাবতেও আমাকে করেছে মানা, কারণটা আজও আমার অজানা।


জীবনে চলার পথে তুমি রেখেছিলে আমার হাতে হাত, কখনো ভাবিনি সেই মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে অন্যের সাথে ঘর বাঁধবে।

আজ তোমাকে বলার কিছু নেই,

তবে একটি কথা বলার ছিলো,

আমি সাধারণ হলেও তোমাকে অসাধারণ ভালোবেসেছিলাম।

কবি নীতা কবি মুখার্জী -এর একটি কবিতা

 চতুর্দশীর ভূত




ভূত নয়, ভূতনী শেওড়া গাছে থাকে

ডজন-খানেক বাচ্চাকে সে ডালে ঝুলিয়ে রাখে

রাত্রি যত বাড়ে তত ভূতের নাচন বাড়ে

পাড়ার লোককে দেখলেই সে ভয় দেখিয়ে তাড়ে।


রাত্রি হলেই কড়মড়িয়ে মানুষ মাথা খায়

নিশিভোরে বন্ধু সেজে গেরস্থ-বাড়ি যায়

বন্ধুর গলা নকল করে মানুষ ডেকে আনে

ঘাড়খানাকে মটকিয়ে সে চড়চড়িয়ে টানে।


রাত বাড়লে হলো ভূতের বাচ্চা হাঁই-মাঁই-খাঁই করে

বলে, মাঁগোঁ পেঁট জ্বঁলছে, মাথাখানা দাও ধরে

ওমনি ভূতনী টানতে টানতে মানুষটাকে আনে

মানুষ তখন আধ-মরা হয়, মরে নাকো জানে।


বাচ্চারা সব আনন্দে খায় লজেন্স, চকলেট যেন

আঙ্গুলগুলো খায় যে তারা কাঠি লজেন্স হেন

ভূতের বাচ্চার পেট ভরলে ভূত, ভূতনী বসে

আনন্দে হয় মাতোয়ারা, রক্তটা খায় কষে।


এমনি করে ভূতনী মানুষ ধরে খায় 

ভূতের কাছে ভাঙ্গাঘরই অট্টালিকা হয়

দিনের বেলা লুকিয়ে থাকে, কেউ পায় না টের

রাত্রি হলেই ভূতের নাচন, মজা মারে ঢের।


মামদো ভূত, গেছো ভূত, ভূতের রকমফের

দিনে দিনে বাড়বাড়ন্ত, বাড়ছে ভূতের ঢের


চোদ্দটা শাক রান্না করো, চোদ্দ প্রদীপ জ্বালো

তবেই এ ভূত জব্দ হবে, জীবনে জ্বলবে আলো।

কবি আশীষ কুন্ডু -এর একটি কবিতা

 দৃষ্টিপথ 



দৃষ্টি আচ্ছন্ন অগ্নিপথের লাল গোলাপ 

দাঁড়িয়ে যেন বিস্মৃত 

এক বুক পার্বত্য অভিমান 

যেখানে শব্দ গাঁথার ছল ব্যর্থ 

যেখানে বাতাসের অভিসার মিছে 

ঝরণার পাশাপাশি মেলায়

হলুদ সবুজ নীল প্রজাপতি 

মেঘের সঙ্গম হয়েছিল পর্বত শিখায়

তবু দৃষ্টিপথ নমনীয় হয়নি

অভিমানী বিকেল প্রসারী উপত্যকায়। 

কবি মহীতোষ গায়েন -এর একটি কবিতা

 আমরা ভারতবর্ষের মেয়ে




আমরা হিন্দু ভারত,মুসলিম ভারত,

খৃষ্টান ভারত,বৌদ্ধ ভারত,

জৈন ভারত,সর্ব ধর্ম ভারতের মেয়ে...

ভারতবর্ষ আমাদের মা,আমাদের বাবা।


আমরা অসাম্প্রদায়িক ভারতবর্ষে

জন্মেছি,বেড়ে উঠেছি তার জল

হাওয়ায়,খেলেছি তার মমত্বের

মাঠে,আমরা দাঙ্গা থামাতে জন্মেছি।


আমরা অসহায়,বঞ্চিত মানুষের মুক্তির

জন‍্য সংগ্রাম করি,আন্দোলন করি,

লড়াই করি রাস্তায় নেমে,কারণ আমরা

মানুষের সুখ চাই,জীবিকা চাই,শান্তি চাই।


আমরা হিন্দু নই,মুসলিম নই,খৃষ্টান নই,বৌদ্ধ

নই,জৈন নই;আমরা সেই সব সাধারণ মেয়ে,

আমরা ভারতবর্ষের মেয়ে,প্রয়োজনে জ্বলে

উঠতে পারি,দাঙ্গার আগুন নেভাতেও পারি।


আমরা রান্না করি,গান গাই,লিখি,কবিতা লিখি,

গল্প লিখি,প্রশাসন চালাই,যুদ্ধে যাই,লড়াই করি,

বিমান চালাই,বাস চালাই,ট‍্যাক্সি চালাই,আমরা

প্রতিবাদ করতে জানি,প্রতিরোধ করতে জানি।


হ্যাঁ,আপনাকে বলছি,আপনাদের বলছি,আমরা

রুখে দেব ধর্ষণ,রুখে দেব জাতপাত,রুখে দেব

যাবতীয় অত‍্যাচার,যাবতীয় ভণ্ডামি,মুখোশ টেনে

ছিঁড়ে ভারতবর্ষের পতাকা ওড়াবো সারা বিশ্বে।

কবি তৈমুর খান -এর একটি কবিতা

 বৃত্ত

 



 ইঁটের সারির নিচে মৃদু জলাশয়

 আমি আর মৎসগন্ধা থাকি

 প্রহরে প্রহরে সঙ্গম

 বিকেলে চায়ের কাপ হাতে

 সান্ধ্য ঢেউয়ে ভিজে যাই আমি

 খেলা তবু বৃত্তের পরিধি

 দৈনন্দিন সূর্যের হাসিতে গতানুগতিক দিন

 গড়াতে গড়াতে নীলাচলে

 উড়ে যায় প্রভুর ক্যালেন্ডার

 মৃত না জীবিত আমি? হে গল্পের ঈশ্বর!

 গলায় পান আঁকা মাদুলি

 বিবাহ বার্ষিকী তেইশে ডিসেম্বর!