Thursday, February 10, 2022

বনদপ্তরে কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে || পশ্চিমবঙ্গে বনদপ্তেরে নতুন নিয়োগ || IFS Recruitment 2022 || WB Forest guard Recruitment 2022


 

** বনদপ্তরে কর্মী নিয়োগ**


ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরিচালিত ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস এক্সামিনেশনের মাধ্যমে বনদপ্তর এ কর্মী নিয়োগ হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের স্থায়ী পদে চাকরি এটি। যে কোন ভারতীয় নাগরিক এই পদে আবেদন করতে পারবেন।

শর্তসাপেক্ষে নেপাল ও ভুটানের বাসিন্দারা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।

এই পদে মোট শূন্যপদ--১৫১ টি।



এই পদে আবেদনের জন্য চাকরি প্রার্থীদের বয়স হতে হবে 21 থেকে 32 বছরের মধ্যে। সংরক্ষিত প্রার্থীরা (SC/ST/OBC) সরকারি নিয়ম অনুসারে বয়স সীমায় ছাড় পাবেন।


নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে গ্রাজুয়েশন পাস করে থাকতে হবে অথবা ব্যাচেলার ডিগ্রি এগ্রিকালচার ,ফরেস্ট্রি অথবা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। বিষয় গুলি হল--botany, physics, mathematics, chemistry, geology , zoology, statistics, animal husbandry and veterinary science


অফিসিয়াল ওয়েবসাইট লিংক--

https://upsconline.nic.in/mainmenu2.php



অনলাইনে চাকরিপ্রার্থীদের আবেদন করতে হবে। ইউনিয়ন ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে। চাকরিপ্রার্থীদের প্রথমেই অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদনের শেষ তারিখ 22 শে ফেব্রুয়ারি 2022


প্রথমে প্রিলিমিনারি এক্সাম হবে  

তারপর মেন পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নিয়োগ হবে।

তপশিলি জাতি, উপজাতি ,মহিলা প্রার্থী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থী বাদে অন্যান্যদের ক্ষেত্রে  আবেদন  ফি বাবদ 100 টাকা জমা দিতে হবে।

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাতেও পরীক্ষা কেন্দ্র আছে।


_________________________________________________




Wednesday, February 9, 2022

ছানার নিমকি রেসিপি || ছানার নিমকি কীভাবে বানাবেন || Chanar Nimki Recipe || Chanar Nimki Recipe made by Saptatirtha Mondal || cooking || রান্নার রেসিপি || Bengali cooking Recipes


 


বিভাগ- রান্না টাও শিল্প



**ছানার নিমকি রেসিপি



উপকরণ : 1 লিটার দুধ চিনি, ময়দা, নুন এবং সুজি, আর সাদা তেল.

 


  রান্নার প্রণালী : 1 লিটার মতন দুধ নিয়ে তাতে প্রথমে লেবু অথবা ছানা কাটা পাওডার দিয়ে দুধ ছানা কেটে নিতে হবে।


 ছানা কাটা হয়ে গেলে খুব ভাল করে জল ঝরিয়ে নিতে হবে এবং  হাতে করে চেপে কিছুটা শুকনো করে নিতে হবে।


 এরপর একটি পাত্রে  হাফ কাপ পরিমাণ সুজি এবং এক কাপ পরিমাণ ময়দা, হাফ চা চামচ বেকিং পাউডার এবং এক চামচ চিনি ও কিছু পরিমাণ নুন   মিশিয়ে নিতে হবে।


 শুকনো উপকরণ গুলি ভালো করে মেশান হয়ে গেলে তারপর জল ঝড়িয়ে রাখা ছানাটির সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে।


 পরবর্তী ধাপে আমরা কড়াইয়ে তেল গরম করতে দেব এবং  তেল গরম হয়ে গেলে সেই তেলের কিছু পরিমাণ তুলে নিয়ে ভালো করে ময়ান দিতে হবে।

 এরপর বেলুন চাকতির সাহায্যে পরোটার মতো করে বেলে একটি ছুঁড়ি দিয়ে নিমকি আকারে কেটে নিতে হবে।

  নিমকি আকারে কাটা হয়ে গেলে ছোট ছোট  টুকরোগুলি আমরা গ্যাসের ফ্লেম কমিয়ে দিয়ে ধীরে-ধীরে  ভাজবো।


  ভাজা হয়ে গেলে লালচে রঙ বা বাদামি বর্ণ ধারণ করলে সেটি একটি পাত্রে আমরা তুলে নেব।

 আমাদের বিকেলের জল খাবার রেডি যা আমরা চা বা কফির সাথে পরিবেশন করতে পারি।



হেলথ টিপস: পুরুষের সুস্থতা, তারুণ্য আর বয়স লুকাতে কিছু খাবার খেতে পারেন।


  কিছু খাবারে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টে ভরপুর। এ ছাড়া তারুণ্য ধরে রাখতে ওমেগা-৩ ফ্যাট, লাইকোপেন, ভিটামিন-‘সি’ নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখা জরুরি।তারুণ্য ধরে রাখতে গ্রিন টি বা সবুজ চায়ের কদর দিন দিন বাড়ছে। সবুজ চায়ে রয়েছে একাধিক পুষ্টি উপাদান ও খনিজ পদার্থ।  


সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন বাদাম খেতে পারেন। বাদমে দরকারি ভিটামিন ও পুষ্টি আছে।


দইয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া শরীরের জন্য বেশ উপকারী এবং বয়সের কারণে হওয়া রোগগুলো প্রতিরোধে দই বিশেষভাবে কাজ করে।


ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ থেকে টমেটো শরীরকে সুরক্ষা দেয়। টমেটো ত্বকে কোলাজেন তৈরি করে এবং ত্বকে প্রোটিনের সরবরাহ বজায় রাখে।


________________________________________________



Tuesday, February 8, 2022

স্কুলে শিক্ষকও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ || Teacher Recruitment 2022 || Ssc recruitment 2022 || রাজ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ


 

 ##স্কুলে শিক্ষকও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ



যে কোন ভারতীয় নাগরিক তথা পশ্চিমবঙ্গের যে কোন জেলায় চাকরি প্রার্থীরা ক্লার্ক ,গ্রুপ-ডি সহ বিভিন্ন ননটিচি়ং ও শিক্ষক পদে আবেদন করতে পারবেন।


 টিজিটি শিক্ষক পদে ইংরেজি ,গনিত, হিন্দি, সংস্কৃত কম্পিউটার প্রভৃত্তি বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।


এই সমস্ত পদের ক্ষেত্রে আবেদন করতে গেলে প্রার্থীকে 50 শতাংশ নম্বর সহ গ্র্যাজুয়েট পাশ হতে হবে। তার সাথে প্রার্থীকে সি টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।


পিআরটি (প্রাইমারি) শূন্যপদ একটি। এই পদের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে অবশ্যই 50 শতাংশ নম্বর সহ গ্রাজুয়েট পাস হতে হবে আর তার সাথে দু'বছরের ডি. এল.ইডি  ট্রেনিং থাকতে হবে।



ক্লার্ক পদে আবেদনের জন্য প্রার্থীদের গ্রাজুয়েট পাস হতে হবে। এবং কম্পিউটারের ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। ক্লার্ক পদে শূন্য পদ হল একটি।


##জলপাইগুড়ি জেলার আর্মি পাবলিক স্কুলে শিক্ষকও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করা হবে।


কাউন্সিলর পদের জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই সাইকোলজি বিষয় নিয়ে গ্রাজুয়েট পাস হতে হবে। তার সাথে কাউন্সেলিং বিষয়ে দু বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করা থাকতে হবে। এছাড়াও ন্যূনতম 3 বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তবেই প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। কাউন্সিলর পদে শূন্যপদ হল একটি।


এছাড়াও অন্যান্য  পিওন, আয়া ,সুইপার, মালি ,ওয়াচম্যান, ড্রাইভার প্রভৃত্তি পদে নিয়োগ করা হবে। এই পদগুলির শিক্ষাগত যোগ্যতা এখনো অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়নি। পিওন পদে শূন্য পদ হল একটি, ওয়াচম্যান পদের শূন্যপদ হল একটি, মালি পদে শূন্যপদ হল একটি, সুইপার পদে শূন্য পদ হল দুটি, ড্রাইভার পদে শূন্যপদ হল দুটি।


প্রার্থীদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদন পত্র ডাউনলোড করে তার সাথে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংযোজন করে ইমেইলের মাধ্যমে আবেদনপত্রটি জমা করতে হবে 

apsbagrakote@awesindia.edu.in এই মেইলে।


আবেদনপত্রের সাথে আবেদন ফি হিসেবে 100 টাকার ডিমান্ড ড্রাফ্ট জমা দিতে হবে । আবেদনের শেষ তারিখ 8ই ফেব্রুয়ারি 2022


__________________________________________________

__________________________________________________


_______________________________________________





পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ও সাহিত্যরস পিপাসু পাঠক-পাঠিকাদের জন্য রচিত লোকসাহিত্য বিষয়ক নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ----------


'লোকসাহিত্যের স্বরূপ ও বাংলার লোকসংস্কৃতি চর্চা' -----

সংকলন ও সম্পাদনা ---- বরুণ রায়


বইটির প্রাপ্তিস্থান:---

বুড়োরাজ পুস্তকালয় , বর্ধমান

অনলাইনেও বইটি সংগ্রহ করতে পারেন।

মো-8167426365

_______________________________________________

Monday, February 7, 2022

Photography || Nilanjan de


 

Photography || Sohini Shabnam


 

রম্যরচনা || একান্নবর্তী নাকি অনু পরিবার || সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

 একান্নবর্তী নাকি অনু পরিবার



   

      পরিবার যদি যৌথ হয় অনেক কিছুই সহজলভ্য হয়। তাতে হয়তো কাউকে সামান্য আত্মকেন্দ্রিকতাকে বিসর্জন দিতে হয় কিন্তু লাভ হয় মানসিকতার এবং অনেক যৌথ প্রকল্পের। 

   অনু পরিবারে যেটা কখনোই সম্ভব নয়। ফলে অনু পরিবারের মানুষদের সন্তানেরা বেশি মাত্রায় আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে। নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করতে পারে সহজেই-- অন্যজনের তাতে কতটা ক্ষতি হলো তাদের কিছু যায় আসে না। 

ভীষণভাবে স্বার্থপর জীবন যাপন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বাবা মা জীবিত থাকলে তাদেরকে বোঝা মনে করে সবকিছুই ব্যাঙ্কের দোরগোড়ায় জমা দিয়ে বাবা মাকে ঠকিয়ে কাজ হাসিল করতে চায়। কতটা সম্পত্তি তার হিসাব করে নিজের দখলে আনতে বাবা মাকে নির্বিচারে মানসিক চাপ দিতে ব্যস্ত হয়।। এরা অবশ্যই বেশিরভাগই "শিক্ষিত সম্প্রদায়ের। যার জন্যে বাবা মা অনেক জটিল পরিস্থিতিতেও তাকে শিক্ষিত করলো তার হিসেব না রেখে বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রম পর্যন্ত ঠেলে দিতেও কুণ্ঠা করেনা বরং আনন্দই পায়। এরা বর্তমানে সামাজিক স্বীকৃতি পেয়ে বড় লিডার ( নেতা) সেজে বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়ায়। বাবা বা মা কী খেল এবং আদৌ খেল কিনা তাদের খবর নেবার সময়ই হয় না তাদের। অনেক বিদ্বজ্জন অবশ্য বলেন তারাও পরবর্তী জীবনে একই জ্বালা যন্ত্রনা ভোগ করবে। এব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত মত হলো কাউকে শাস্তি দিতে কানমূলে দিলে সেই ব্যক্তি যদি অন্যজনের কানের দেয় সেটা কি প্রথমজন বুঝতে পারলো কানমূলে দেবার যন্ত্রনা বা জ্বালা! অতএব এ পরম্পরা না থাকাই ভালো। বরং ছেলে একান্নবর্তী থেকে অন্যান্য ফ্যামিলি মেম্বারের খেয়াল রাখুক; একান্নবর্তী হোক্। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে পুত্র সন্তানের মোহে মানুষ কন্যা ভ্রুণ হত্যা করছে। কিন্তু ভেবে দেখুন--- মেয়েরা সম্পত্তির লোভে এতটা নৃশংস হয়না বোধহয়। 

    

 একান্নবর্তী পরিবারের সদস্যদের হাসি ঠাট্টা খুবই মজার বিষয় হয়ে আনন্দ বৃদ্ধি করে। তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেনা কেউ কাউকেই। হ্যাঁ, একান্নবর্তী থাকার সুবাদে কেউ হয়তো শারীরিক ভাবে ততটা শ্রম দিতে পারে না। কিন্তু সেটাও ধর্তব্যের মধ্যে ধরা হয় না। দাদা দিদি কাকা কাকীমা, জ্যেঠা জ্যাঠাইমা, ঠাকুমা, দাদুর আদর থেকে বঞ্চিত হয় না বরং লাভবান হয়। সামান্য তম স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে পরম প্রাপ্তি হয়। যৌথ পরিবার এখন যদিও দুঃস্বপ্নের -- তবুও ক্ষমতাহীন নয়। অনুসারে পরিবারের ঢেউ অবশ্যম্ভাবী ভাবে একদিন নষ্ট হবেই হবে। নদীর স্রোত বাধা পেলে যেমন সে গতিপথ খুঁজে আরও জোরালো হতে চায় তেমনি এই যুগের অনুসারে পরিবারের স্রোত গতি পথ বদলাবে -- এ ব্যাপারে আমি খুবই আশাবাদী।

রম্যরচনা || সংকল্প এবং আমরা || সামসুজ জামান

 সংকল্প এবং আমরা

                             




সেই ছোট্ট বেলায় স্কুলের প্রার্থনার সময় থেকে আমরা সংকল্প করার নামে এর এত অপব্যবহার করি যে শেষ পর্যন্ত সংকল্পের মাধুর্যতাই আর আমাদের আকৃষ্ট করেনা । শব্দটা এলোমেলো ব্যবহারে ক্লিষ্ট হয়ে বোধহয় তার ব্যঞ্জনাটুকুও হারিয়ে ফেলে। অথচ তা হওয়ার কথা নয়। মণিমাণিক্যের থেকেও দামী এই শব্দবন্ধ আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের মতই অপরিহার্য হয়ে থাকার কথা। 

স্বামী বিবেকানন্দ এই সংকল্পের কথাটাই আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁর বাণীর মাধ্যমে - "Arise! Awake! and stop not until the goal is reached ". স্বপ্নের বাস্তবতা প্রাপ্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনক্রমেই না থামার এই ইঙ্গিত সংকল্পের আদর্শ পন্থা। মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন, না শুধু বলেননি, একেবারে জীবন দিয়ে করে দেখিয়েছিলেন যে “ আমাদের প্রত্যেকটি ছোট ছোট কাজের জন্যেও সংকল্প থাকা উচিত”। এই সংকল্প কি তিনি অন্য নামে বলেছেন-"করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে"। ভারতবর্ষের নারী শক্তির প্রকৃত ধারাবাহিক প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী একেই অন্য ভাষায় বলেছেন -"কঠোর পরিশ্রমের কোন বিকল্প নাই"। "কথা কম, কাজ বেশি" এই মন্ত্রের মাধ্যমেও ইন্দিরা গান্ধী সেই সংকল্পের ই পুনর্ঘোষণা করেছেন। মুখ থেকে যে বাক্যটি নির্গত হয়েছে, যে কোন মূল্যে তাকে পরিপূরণ করতেই হবে এই ছিল তাঁর বাণী। কিন্তু সে কথার মর্যাদারক্ষার ভাবনা কি আমাদের মর্মেও স্থান পায়? প্রতিদিন তাই সংকল্প আর বিশ্বাসভঙ্গের হাজার হাজার ফুলঝুরি।  

সংকল্পরক্ষার আদর্শে আমার বাবা তাঁর নিজের কাকার জীবনাদর্শে দীক্ষিত ছিলেন। নিজের ছাত্রাবস্থাতে দেশমায়ের শৃঙ্খল মোচনের সংকল্পরক্ষায় বিদ্যাশিক্ষা বিসর্জন দিয়েও নিজের পথে অটুট ছিলেন এবং এর জন্যে তাঁকে মূল্যও কিছু কম চোকাতে হয়নি। কেস চালাতে বিক্রী হয়ে যাওয়া জমিজমার শোকে শিক্ষায় অনগ্রসর ঠাকুমা , বাবাকে চোর-ডাকাতের মতই দেখতেন। তবে বাবার সেই সংকল্পকে আমি শ্রদ্ধা করি। তাইতো কাউকে কথা দিলে কথার খেলাপ করতে মন ছিঁড়ে যায় আজও। এইজন্যেই শিক্ষকতার পেশা নিয়ে চেষ্টা করেছি সংকল্পে অটুট থাকার। এই সংকল্পের গুণেই ছাত্র-ছাত্রীদের মণিকোঠায় আজও এত সমাদর!! সংকল্প কথাটি বড় ছোট্ট কিন্তু তার ব্যঞ্জনা বড় সুদূরপ্রসারী।



গল্প || তৃতীয় নয়ন || ডঃ রমলা মুখার্জী

  তৃতীয় নয়ন

 



জন্মান্ধ অর্কর জন্যে ওর গরীব বাবা-মায়ের চিন্তার শেষ নেই। তাঁদের অবর্তমানে পরাধীন হয়ে অর্ককে জীবন কাটাতে হবে। হয় তো ভিক্ষা করেই খাবার জোটাতে হবে তাকে! 


অর্ক কিন্তু হারে না। বহু লড়াই করে, অন্ধবিদ‍্যালয়ে পড়াশোনা শিখে অবশেষে সে প্রতিবন্ধী কোটায় একটি স্কুলে চাকরি পায়। 

    নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে তার মত অন্ধ গরীব বাচ্চাদেরও চোখে ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন আঁকার চেষ্টা করে চলে অর্ক অবিরত। বাড়িতে টেপ রেকর্ডার ও অন‍্যান‍্য শিক্ষণ-সহায়ক যন্ত্রপাতির সাহায্যে অন্ধ ও অন‍্যান‍্য পিছিয়ে পড়া গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের বিনা বেতনে পড়ায় সে, আবৃত্তিও শেখায়।

      গ্রামের সবাই গর্ব করে অর্ককে নিয়ে। মায়েরা তাদের সন্তানদের অর্ককে উপমা দিয়ে বলে, "দেখ তোরা চোখ থাকতেও অন্ধ, আর অর্ককে দেখ মনের আলোয় ও সবকিছু কত বেশি দেখে।"

      অর্ক আবৃত্তিও করে ভারি চমৎকার! বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সে কিন্তু ছোট থেকেই আবৃত্তিতে প্রথম হয়ে আসছে। অর্কর বাবা বীরেণবাবু নাটকপাগল মানুষ, তিনি ছোট থেকেই ছেলেকে বহু কবির কবিতার ক‍্যাসেট নাটকের দল থেকে এনে তাঁর ছোট্ট টেপ রেকর্ডারে ছেলেকে শোনাতেন। অসম্ভব শ্রুতিধর অর্ক সেগুলি শুনে শুনেই মুখস্হ করে ফেলত। বীরেণবাবু ছেলেকে আবৃত্তিগুলি সুন্দর করে শিখিয়ে দিতেন। নাটক নাটক করে বীরেণবাবু কোনদিন কোন চাকরিতে যোগদান করেন নি। ফলে বৃদ্ধ বয়সে এখন তিনি প্রায় কপর্দকশূন‍্য।


     বৃদ্ধ বাবা-মাকেও অর্ক মাথায় করে রেখেছে। অর্কের ছোট্ট সুন্দর বাড়িতে অর্কের ছেলে বুম্বাকে নিয়ে অর্কের বাবা-মায়ের শেষ জীবনটা পরম প্রশান্তিতে ভরে উঠেছে। বুম্বা ও পাড়ার আরও কয়েকটি কচি-কাঁচাকে নিয়ে বীরেণবাবু ইদানীং একটি শিশু-নাট‍্য দল "ক্ষুদে পালোয়ান" গড়ে তুলেছেন। টিভি, রেডিও, বিভিন্ন জনবহুল জায়গায় তারা ছোটদের উপযোগী নানা শিক্ষামূলক নাটিকা প্রদর্শন করে।  

  অন্ধ বলে অর্কের স্ত্রী সুতপার মনেও প্রথমে একটা কিন্তু ছিল। গরীবের মেয়ে সুতপা, চার বোন তারা, সুতপাই সবার বড়। তার বাবা যখন দাবীহীন অন্ধ সুউপায়ী পাত্রের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করলেন উপায়ান্তর না দেখেই বিয়েতে মত দিয়েছিল সুতপা। এখন কিন্তু সুতপার অর্ককে পেয়ে নিজেকে খুব ভাগ‍্যবতী মনে হয়। দৃষ্টি না থাকলে কি হবে তৃতীয় নয়নের আলোয় অর্ক যে একজন মহামানব!

অনুগল্প || দরদাম || সিদ্ধার্থ সিংহ

 দরদাম




বাজারে সবজির দোকানে গিয়ে মেয়েটি জিজ্ঞেস করল, টমেটো কত করে?

ছেলেটি বলল, আশি টাকা।

মেয়েটি বলল, আপনি দেখতে কী হ্যান্ডসাম...

ছেলেটি বলল, আশি টাকা।

--- আপনার চুলের স্টাইলটা কী সুন্দর...

ছেলেটি বলল, আশি টাকা।

--- আপনার বডিটা কিন্তু দারুণ...

ছেলেটি বলল, আশি টাকা।

--- আমি যদি এ রকম ছেলে পেতাম না... সঙ্গে সঙ্গে বিয়ে করে নিতাম...

ছেলেটি এ বার রেগে গিয়ে বলল, আপনি আমাকে যতই পাম্প দিন, টমেটোর দাম কিন্তু এক টাকাও কমবে না।


Composition || LOVE, RELATION, WEAKNESS : A VIEW || Kunal Roy

 LOVE, RELATION, WEAKNESS : A VIEW

  



'Do you like me? '. ' Do you love me?'. Questions like such often become the source of disgust. Is it easy to love some one? Is it easy to steal someone's heart? Is it easy to impress someone? I strongly feel, 'No'. But still misunderstanding and misinterpretation creep into a relationship. A relationship is built on the foundation of mutual trust and belief, but at times these two words lose their significance and the bond crumbles into pieces. If the beloved thanks a man with a smile on her face, her lover changes the echoes of his face and consequently there is a silent war between the two! But why? True love or something else? It is obsession and the fear of losing somebody who is his favourite gets him into the web of insecurity that paves the path for further suspicion and if possible an indulged crime! Little does he know that love demands space and wishes to breathe in the open air. If love is the termination of one's freedom, than it is better not to love, not to hug and not to make promises! If you really desire to be in someone's tender arms, than you should try to rise above the banalities of life to make your tomorrow a better one!!  

Poem || Taking Care Of The Best Gem || Pavel Rahman

 Taking Care Of The Best Gem




The almighty has given us many gems,

Do you know what is best among them?

The best gem is heart,

Who has that, take care

Of that – oh friend, it is my request.

To keep heart tidy

Body must be tidy.

To keep pure heart, keep your body pure.

কবিতা || হটাৎ যখন হলো দেখা || চাতক পাখি

 হটাৎ যখন হলো দেখা

 



চারিদিকে ঘন কুয়াশা ,

বাসের ভিতর রয়েছি বসে 

একমনে গান শুনছি হেডফোনে।


গাড়িও চলছে তার নিজের মতো করে

আর আমিও চারপাশ দেখতে দেখতে 

ডুব দিয়েছি আপন মনে।


চারিদিক আঁধারে গেছে ছেয়ে

যেন প্রভাত কালে সন্ধ্যা নেমে আসে

সূর্যের মুখও যেন রয়েছে মেঘে ঢাকা ।


তাই পড়েছিল মনটা বেশ মুষড়ে

তারপরে কি জানি মনটা উঠলো নেচে

যখন হটাৎ করে হলো কারো দেখা।


না জানি এমনি এমনি 

জানালার কাঁচ হলো স্বচ্ছ ,

যেন কত চেনা 

চারপাশ কত পরিচিত।


যেন হটাৎ বাসের গতিও গেছে স্থির হয়ে

 পলকের দেখায়,

যেন থমকে গেলো চারিদিক

আর আমিও হলাম স্থিত।

কবিতা || রাঢ়-বাংলার ছিলা || চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী

 রাঢ়-বাংলার ছিলা




রুখা মাথার ভূখা পেটের-

আমরা রাঢ় বাংলার ছিলা

বেদম ক্যষে খেলতে পারি 

গুলি ডাংটার খেলা।

আঘন মাসে খেজুর গুড়ট,

দমে মারি চাট্যে

সোনা বউটা পাঁকাল ধানট,

ভালোই কাটে মাঠে।

গরম কালে গামছা বাঁধে,

ফুটাই পাহাড় টিলা

রুখা মাথার ভূখা পেটের 

আমরা রাঢ় বাংলার ছিলা।

চিকন-চিকন পিরীত চোখে,

পড়লে রোদের ছিটা

কুখড়া ডাকা বহুল ফুলটা 

বেবাক লাগে মিঠা।

খেজুর গাছের ভাড়টা ভাঙ্যে,

যুতাই মারি তাড়ি

উদাম ঘরে খড়ের ছাদন,

পাকাই পুয়াইল- দড়ি।

বাঁশের বাঁশি ভালোবাসি 

বাঁজাই মাঠে -ঘাটে

হাজার রকম পাখির গানট,

এমনি যায় গো জুট্যে।

সাদাসিধা কাদার মানুষ,

যেন চিকন কালা

রুখা মাথার ভূখা পেটের 

আমরা রাঢ় বাংলার ছিলা।