Thursday, May 12, 2022

কৃষি দপ্তরে গ্রূপ-সি কর্মী নিয়োগ || Recruitment of Group-C staff in the Department of Agriculture


 


ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের চাকরি প্রার্থীদের জন্য নতুন সুখবর। কৃষি দপ্তরে গ্রূপ-সি কর্মী নিয়োগ করা হবে। এটি ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান সংস্থার বিভিন্ন পোস্ট। সমস্ত ভারতীয় এখানে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। চাকরি সংক্রান্ত সম্পূর্ণ বিবরণ নীচে দেওয়া হল-





পদের নাম- অ্যাসিস্ট্যান্ট (ICAR Head quarter)[কৃষি অনুসন্ধান বিভাগ]


মোট শূন্যপদ- ৭১ টি। 



শিক্ষকতা যোগ্যতা- যে কোনো স্বীকৃত ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন পাশ করে থাকতে হবে তবেই আবেদন করার সুযোগ পাবেন।


বয়স- আবেদনকারী প্রতিটি প্রার্থীর বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হওয়া আবশ্যক। তবে সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন।


বেতন- ৪৪,৯০০ টাকা প্রতি মাসে।




পদের নাম- অ্যাসিস্ট্যান্ট (ICAR Institutes)


মোট শূন্যপদ- ৩৯১ টি।


শিক্ষকতা যোগ্যতা- যে কোনো স্বীকৃত ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন পাশ করে থাকতে হবে তবেই আবেদন করার সুযোগ পাবেন।


বয়স- আবেদনকারী প্রতিটি প্রার্থীর বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হওয়া আবশ্যক। তবে সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন।


বেতন- ৩৫,৪০০ টাকা প্রতি মাসে।





আবেদন পদ্ধতি- আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। 



তারিখ- আবেদন করার সুযোগ পাবেন ১ লা জুন, ২০২২ পর্যন্ত।



Official Website- 

Click here


apply Now-

Click here





উপন্যাস - লাস্যময়ীর ছোবল || সিদ্ধার্থ সিংহ || Lashamayir Chobol by Sidhartha Singha || Fiction - Lashamayir Chobol part -1


 

      লাস্যময়ীর ছোবল

                --সিদ্ধার্থ সিংহ


                         এক


হাওড়া স্টেশনের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের সামনে ঋজু আর পরমার্থ অপেক্ষা করছিল। ওরা একটু আগেই এসেছে। গত কাল রাত সাড়ে বারোটায় অফিস থেকে বেরিয়ে নীচে যখন ড্রপ কারের জন্য অপেক্ষা করছে ঋজু, তখন হঠাত্‌ই পরমার্থ ওর কাছে এসে বলল, এই রে, আশিস তোমাকে বলতে বলেছিল। একদম ভুলে গেছি। কাল দাঁতনে একটা উত্‌সব আছে। সেখানে কবিতা পাঠেরও ব্যবস্থা আছে। ও তোমাকে বারবার করে যেতে বলেছে। তুমি যাবে?
ঋজু কী ভাবছিল। ও কিছু বলছে না দেখে পরমার্থ ফের বলল, কাল তো তোমার অফ ডে। চলো না।
— কখন?
— কাল সকালে। সাতটার সময়। হাওড়া থেকে।

হাওড়া থেকে ঋজুর বাড়ি খুব একটা দূরে নয়, চেতলায়। ওখান থেকে একটাই বাস। সতেরো নম্বর। কখন আসে কোনও ঠিক নেই। তাই হাতে একটু সময় নিয়েই ও বেরিয়েছিল। কিন্তু রাস্তা পার হওয়ার আগেই দেখে বাস আসছে। ফলে সাতটা নয়, তার অনেক আগেই ও চলে এসেছে। এসে দেখে, অফিস থেকে অত রাতে বাড়ি গিয়েও এই সাতসকালেই সেই বিরাটি থেকে পরমার্থও এসে হাজির। ঘড়িতে তখনও সাতটা বাজতে মিনিট দশেক বাকি।
ও সামনে আসতেই পরমার্থ বলল, চা খাবে?
— ওরা আসুক না। একসঙ্গে খাব। ট্রেন ক’টায়?
— তা তো জানি না। আশিস তো বলল, সাতটার সময় এখানে দাঁড়াতে।
— এখানেই বলেছে তো?
— হ্যাঁ রে বাবা...
— সাতটা তো প্রায় বাজে।
— এখনও বাজেনি। আসবে তো সেই সল্টলেক থেকে। সবার বাড়ি তো আর তোমার মতো হাওড়া স্টেশনের পাশে নয়, যে বাসে উঠলাম আর হাওড়ায় পৌঁছে গেলাম। চা খাবে? ওই তো আশিস...
ঋজু দেখল, শুধু আশিস নয়, ট্যাক্সি থেকে একে একে নামছে আরও তিন জন। তার মধ্যে দু’জন মহিলা।
আশিস কাজ করে আকাশবাণীতে। পরের সপ্তাহে রেডিওতে কী কী অনুষ্ঠান হবে, সেই অনুষ্ঠান-সূচি আনতে প্রত্যেক সপ্তাহে পরমার্থকে যেতে হয় ওর কাছে। আনন্দবাজারের যে দফতরে ও কাজ করে, সেখানে প্রুফ দেখা ছাড়াও প্রতি সপ্তাহে ওই অনুষ্ঠান-সূচি এনে কম্পোজ করে দেওয়া ওর কাজ।
এই কাজ করতে করতেই আশিসের সঙ্গে ওর বেশ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। সেই সূত্রেই পরমার্থ যেমন জেনেছে, ও লোকসঙ্গীত গায়। কবিতা লেখে। দুটো কবিতার বইও বেরিয়েছে। শুধু ও একাই নয়, ওর বউ রিনাও কবিতা লেখে। তেমনি আশিসও জেনেছে, পরমার্থও ইদানিং কবিতা লিখতে শুরু করেছে। অনেক কবির সঙ্গেই ওর আলাপ আছে। ওর মুখেই ঋজুর নাম শুনে আশিস বলেছিল, উনি কি আপনাদের অফিসে কাজ করেন নাকি?
— কেন, আপনি চেনেন?
আশিস বলেছিল, না, আলাপ নেই। তবে ওর অনেক কবিতা পড়েছি। উনি তো প্রচুর লেখেন। এত লেখেন কী করে? আপনার সঙ্গে ওনার কী রকম সম্পর্ক?
পরমার্থ বলেছিল, ভালই। ও তো আমাদের ডিপার্টমেন্টেই আছে।
— তাই নাকি? পারলে এক দিন নিয়ে আসুন না, জমিয়ে আড্ডা মারা যাবে।

ঋজুকে সে কথা বলতেই ঋজু বলেছিল, ঠিক আছে এক দিন যাবখ’ন। কিন্তু আজ নয়, কাল নয়, করে আর যাওয়া হচ্ছিল না। তাই পরমার্থ এক দিন ওকে বলল, আরে বাবা চলো না, গেলে তোমার লাভই হবে। ও এখন অভিজ্ঞানটা দেখে। কবিতা পড়ার জন্য ওর পেছনে কত লোক ঘুরঘুর করে, জানো? আর ও নিজে থেকে তোমাকে ডাকছে, তুমি যাবে না? ওখানে কবিতা পড়লে পাঁচশো টাকা দেয়।
তাতেও খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছিল না দেখে ঋজুকে প্রায় জোর করেই ও একদিন নিয়ে গিয়েছিল আকাশবাণীতে। সেই আলাপ। তার পর এই।
ট্যাক্সির ভাড়া মিটিয়ে কাঁধের ব্যাগটা সামলাতে সামলাতে লম্বা লম্বা পা ফেলে ওদের সামনে দিয়ে যেতে যেতেই আশিস বলল, চলে আসুন, চলে আসুন। দেরি হয়ে গেছে।
ও আগে আগে। পেছনে ঋজুরা। তারও পেছনে ট্যাক্সি থেকে নামা বাকি তিন জন।
কাউন্টারে তেমন ভিড় ছিল না। টিকিট-ফিকিট কেটে ওরা ট্রেনে উঠে পড়ল। না। ট্রেনেও খুব একটা ভিড় নেই। ছুটির দিন। তাই ফাঁকা ফাঁকা। একটা খোপেই ওরা সবাই বসার জায়গা পেয়ে গেল। এ দিকের সিটে ঋজু, পরমার্থ আর ট্যাক্সি থেকে নামা কোর্ট-প্যান্ট পরা ওই ভদ্রলোক। বাকিরা উল্টো দিকের সিটে। ট্রেন ছাড়ার আগেই আশিস সবার সঙ্গে সবার আলাপ করিয়ে দিল। কোর্ট-প্যান্ট পরা ভদ্রলোকটাকে দেখিয়ে বলল, ইনি মহাদেব মোশেল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছেন। বিবাহের ইতিহাস নিয়ে গবেষণামূলক একটা বই লিখেছেন। এ ছাড়া ছড়া-টাড়াও লেখেন। আর ইনি হচ্ছেন কণিকা রায়। কলকাতা টেলিফোন্‌সে কাজ করেন। এখন টেলিফোন ভবনে, না? কণিকার দিকে তাকিয়ে নিজেই যেন তার কাছে জানতে চাইল। তার পরে বলল, ক’দিন আগে ওর একটা সুন্দর কবিতার বই বেরিয়েছে। আর এর পরিচয় কী দেব, ইনি আমার গিন্নি, রিনা গিরি।
ঋজু মহাদেববাবুর দিকে তাকাল। মহাদেববাবু আর কণিকার কথাবার্তা দেখে হঠাৎ কেন জানি ঋজুর মনে হল, ওদের মধ্যে কোনও একটা সম্পর্ক আছে।
বেশ কিছু দিন আগে স্কটিশ চার্চ কলেজের সামনে জটলা দেখে ও দাঁড়িয়ে পড়েছিল। জটলার মধ্যমণি মধ্যবয়স্ক এক ভদ্রমহিলা। তাঁর অভিযোগ, তাঁর স্বামী এই কলেজে পড়ান। তাঁরই এক ছাত্রীর সঙ্গে তিনি প্রেম করেন। তাঁকে বহু বোঝানো হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। তাঁর বড় বড় ছেলেমেয়ে আছে। তারা স্কুলে পড়ে। স্কুলের মাইনে পর্যন্ত উনি দিচ্ছেন না। সংসার খরচা তো নয়ই। সব ওই মেয়েটার পেছনে ঢালছেন। তাই শেষ পর্যন্ত উনি নাকি থানায় গিয়েছিলেন। থানা থেকেও ভদ্রলোককে ডেকে বলে দিয়েছে, যাতে তিনি ঠিকঠাক মতো সংসার করেন। বউয়ের গায়ে যেন হাত না তোলেন। অথচ তার পর থেকেই তিনি আর বাড়ি ফিরছেন না। তাই তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য উনি কলেজে এসেছিলেন। কিন্তু টিচার্স রুমের সামনে যেতেই উনি তাঁকে দেখতে পেয়ে যান। অমনি ঘর থেকে বেরিয়ে তাঁকে ধাক্কা মেরে এক দৌড়। ভদ্রমহিলা এখন বলছেন, উনি এ দিকেই এসেছেন, আপনারা কেউ কি দেখেছেন? ঘিয়ে রঙের জামা পরা। কালো প্যান্ট। চোখে চশমা। মাথায় পাতলা-পাতলা চুল...
ওই দৃশ্যটা মনে পড়ে গেল ঋজুর। মহাদেববাবু আবার সে রকম নন তো! ঘরে বউ-ছেলেমেয়ে সব আছে। আর বাইরে এর সঙ্গে... এরা নিশ্চয়ই স্বামী স্ত্রী নন। ওঁর পদবি তো রায়। আর এঁর মোশেল।
টুকটাক কথা হচ্ছিল। ঋজু কথায় কথায় মহাদেববাবুকে জিজ্ঞেস করল, আপনি কোথায় থাকেন?
উনি বললেন, সল্টলেকে।
— সল্টলেকে কোথায়?
— তেরো নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে।
— আর আপনি? কণিকার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করল ঋজু।
— আমিও সল্টলেকে।
— সল্টলেকে কোথায়?
— তেরো নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে।
— ও। দু’জনেই কাছাকাছি থাকেন?
হঠাত্‌ মহাদেববাবু বলে উঠলেন, কাছাকাছি নয়, খুব কাছাকাছি। একই বাড়িতে। একই ঘরে। আসলে আমি ওর বাড়িতে থাকি।
কথাটা শুনে একটু থতমত খেল ঋজু। এত দিন ও শুনেছে, ছেলেরা মেয়েদের রক্ষিতা রাখে। এ তো উল্টো কেস। মেয়েটা এঁকে রেখেছে! নাকি মেয়েটা তাঁর বাড়িতে পেয়িং গেস্ট চালায়! ঋজু ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না ব্যাপারটা কী? ও তখন মনে মনে ওর মতো করে দুই আর দুইয়ে চার করার চেষ্টা করছে।
তখন আশিসই বলল, এখনও বুঝতে পারলেন না, ওরা কর্তা-গিন্নি। ওদের আনতে গিয়েই তো এত দেরি হয়ে গেল।
কণিকা বলল, আমার কোনও দোষ নেই। আমি তো আসব না বলেই দিয়েছিলাম। কিন্তু রিনা গত কাল রাতে এত বার করে বলল যে, না এসে থাকতে পারলাম না। আর তা ছাড়া ছুটির দিনে এত তাড়াতাড়ি ওঠার অভ্যাস নেই তো...
ওকে মাঝপথে থামিয়ে মহাদেববাবু বললেন, আমি কিন্তু তোমাকে সাড়ে পাঁচটায় ডেকে দিয়েছিলাম।

ট্রেন চলছিল। কথা হচ্ছিল। জানালা দিয়ে হুহু করে হাওয়া আসছে। কণিকার কপালের দু’দিক দিয়ে নামানো দুটো লকস বারবার ওর চোখের উপরে এসে পড়ছে। হঠাৎ মহাদেববাবু তাঁর কোর্টের ভিতর পকেট থেকে একটা ছোট্ট পকেট-বুক বার করে ঋজুর দিকে এগিয়ে দিলেন— এটা বহু দিন আগে বেরিয়েছিল। তখন ছড়াই লিখতাম। এখন আর সময় পাই না।
ঋজু উল্টেপাল্টে দেখছে। একটা পড়তে গিয়েই হুচোট খেল। প্রচ্ছদ দেখে মনে হয়েছিল ছোটদের বই। কিন্তু এ কী! বইটা বন্ধ করে আশিসের দিকে এগিয়ে দিল। আশিস বলল, এটা আমি আগেই দেখেছি।
শব্দ ক’টার মধ্যে বইটা হাতে নেবার সামান্যতম সম্ভাবনা না দেখে রিনার দিকে বাড়িয়ে দিল ঋজু। বইটা হাতে নিয়ে রিনা বলল, এটা আমার পড়া। যখন বেরিয়েছিল, তখনই উনি দিয়েছিলেন। এখনও বোধহয় বাড়িতে আছে।
পরমার্থ বলল, ঋজুর কিন্তু অনেকগুলো বই আছে। তার পর ঋজুর দিকে তাকিয়ে বলল, সঙ্গে আছে নাকি?
— হ্যাঁ, আছে বোধহয়। বলেই, কাঁধের ব্যাগ থেকে দুটো বই বার করল ঋজু। একটা গল্পের আর একটা কবিতার।
পরমার্থ গল্পের বইটা নিয়ে আশিসের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, জানো তো, এই গল্পটা যখন সানন্দায় বেরোয়, তখন বিশাল হইচই হয়েছিল। ওর বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার মামলা হয়েছিল।
ঋজু একটু লজ্জার ভান করে বলল, না না। আমার একার নামে নয়। আমাদের পাঁচ জনের নামে পাঁচ কোটি। আমার নামে শুধু এক কোটি।
— তাই নাকি? কী হয়েছিল? মহাদেববাবু জানার জন্য উত্‌সুক হয়ে উঠলেন।
পরমার্থ বলল, সে সময় তো সমস্ত খবরের কাগজের প্রথম পাতায় এটা বেরিয়েছিল...
— তাই নাকি? ঋজুর দিকে তাকিয়ে মহাদেববাবু বললেন, কী হয়েছিল?
ঋজু বলল, আসলে আমি তখন সানন্দায় ফ্রিল্যান্স করি। মানে, লেখা ছাপা হলে টাকা পাই। না হলে, নয়। তো, সানন্দায় যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে সিদ্ধার্থ সরকার আর অনিরুদ্ধ ধর ছিলেন আমার খুব কাছের মানুষ। তা, ওঁরা ঠিক করলেন, উত্তমকুমারকে নিয়ে একটা টিভি সিরিয়াল বানাবেন। তো, আমিও ভিড়ে গেলাম ওঁদের সঙ্গে। লেখালিখি তখন মাথায় উঠেছে। কিন্তু না লিখলে আমার চলবে কী করে? অনিরুদ্ধদাকে সে কথা বলতেই উনি বললেন, গল্প লিখতে পারবি? আমি তখন কবিতা ছড়া লিখি। তবু বললাম, পারব। উনি বললেন, তা হলে আজকে রাতের মধ্যেই একটা গল্প লিখে ফেল। কাল বারোটা-সাড়ে বারোটার মধ্যে পিটিএসে ধরিয়ে দিস। পিটিএস মানে, যেখানে কম্পোজ হয়। আমি বললাম, তুমি দেখবে না? উনি বললেন, তোর লেখা আবার দেখার কী আছে? ঠিক আছে, প্রুফে দেখে নেব। তার পর যখন লেখাটা ছেপে বেরোল, স্টলে খোঁজ করতে গিয়ে দেখি, আশপাশের কোনও স্টলে সানন্দা নেই। সে দিনই বেলার দিকে লোকাল কাউন্সিলারের সঙ্গে আমার বাড়িতে এসে হাজির সৌগত রায়।
— কোন সৌগত রায়? আমাদের সৌগত রায়? অধ্যাপক?
পরমার্থ বলল, হ্যাঁ হ্যাঁ, কংগ্রেসের এমএলএ।
— তার পর? বলেই, সামনের দিকে আর একটু ঝুঁকে এলেন মহাদেববাবু।
— তার পর আর কী? আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে রাস্তায় নিয়ে গিয়ে চড়চাপড়, ঘুষি।
— সোজা কথায় বলো না, উত্তম মধ্যম। পরমার্থ ফোড়ং কাটল।
— হ্যাঁ, তার পর? নড়েচড়ে বসলেন তিনি।
— আমাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল লোকাল কাউন্সিলারের ডেরায়।
— কোন কাউন্সিলার?
— আমাদের ওখানকার।
— কী নাম?
— দেবু ঘোষ।
— ও। তার পর?
— আবার চড়চাপড়। সিগারেটের ছ্যাঁকাট্যাকা। তার পর হ্যাঁচড়াতে হ্যাঁচড়াতে আমাকে ওরা নিয়ে গেল তিন তলায়। চিলেকোঠার ঘরে আমাকে ঠেলে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে ছিটকিনি তুলে দিল।
— তার পর?
দম নিয়ে ঋজু বলল, আমার বাড়িতে তখন রাজু ছিল। রাজুকে মনে আছে? সুদীপার সঙ্গে যার বিয়ে হয়েছিল। সেই সুদীপা পাল, যে মা-বাবা-ঠাকুমাকে কালোজামের সঙ্গে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছিল। পরে রাজসাক্ষী হয়ে রেহাই পায়। যার জন্য ওর মাস্টার মশাইয়ের যাবজ্জীবন জেল হয়েছিল। মনে আছে?
— আপনি ওকে চিনলেন কী করে? উল্টো দিকের সিটে বসে প্রশ্ন ছুড়ে দিল আশিস।
— আসলে বারুইপুরে আমাদের একটা বাগানবাড়ি আছে। তার পাশেই থাকত রাজু। ছেলেটা এমনি কাজটাজ কিছু করত না। মাঝেমধ্যে ডাকাতি-টাকাতি করত। ধরাও পড়ত। ও তখন জেলে। সুদীপাও জেলে। একই দিনে ওদের ডেট পড়ত। জেল থেকে একই ভ্যানে করে কোর্টে নিয়ে যাওয়া হত ওদের। ওই যাতায়াতের পথেই ওদের আলাপ। তা থেকে প্রেম। এবং বিয়ে। বিয়ে করে থাকবে কোথায়? রাজুর মা অমন একটা খুনি মেয়েকে কিছুতেই বউ হিসেবে মেনে নেবে না। ওরা তখন আমার মাকে এসে ধরল। আমাদের ওই বাড়িতে অনেকগুলো ঘর তালা বন্ধ হয়ে পড়ে ছিল। মা ওদের থাকার জন্য একটা ঘর খুলে দিল। এমনিতে আমরা ওখানে খুব একটা যেতে-টেতে পারি না। ফাঁকা ঘর পড়ে থাকলে কে কখন কোথা থেকে দখল করে নেবে, তার কোনও ঠিক আছে? তাই কয়েকটা ঘর ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। রাজুকে বলা হল, বাড়ি ভাড়ার টাকা কেউ দিলে, তুই তোর কাছে রেখে দিবি। যখন সময় পাবি, ওই বাড়িতে গিয়ে দিয়ে আসবি।
যে দিন এই ঘটনা ঘটে, তার আগের দিনই বাড়ি ভাড়ার টাকা দেওয়ার জন্য ও আর ওর বউ আমাদের আলিপুরের বাড়িতে এসেছিল। গল্পে গল্পে রাত হয়ে গিয়েছিল। তাই মা ওদের বলেছিল থেকে যেতে।
তা, ওই লোকগুলো আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে দেখে রাজু নাকি পেছন পেছন এসেছিল। আমাকে যে ওই বাড়িতে জোর করে ঢুকিয়েছে, সেটা ও দেখেছিল। কিন্তু অনেকক্ষণ হয়ে যাওয়ার পরেও আমি বেরোচ্ছি না দেখে ওর কেমন সন্দেহ হয়। হাঁটতে হাঁটতে ও সেই বাড়িটার পেছন দিকে চলে যায়। ওকে কেউ চেনে না। ফলে কেউ কোনও সন্দেহও করেনি। ওই বাড়িটার পেছনেই ছিল একটা পরিত্যাক্ত পুরনো ভাঙাচোরা বাড়ি। গাছগাছালিতে ভর্তি। কেমন যেন জঙ্গল জঙ্গল। কোনও লোকজন নেই। ওখানে সাপখোপ থাকতে পারে জেনেও ও কিন্তু এতটুকু ভয় পায়নি। আমাকে যে বাড়িতে ঢুকিয়েছিল, সেই বাড়ির জলের পাইপ বেয়ে তরতর করে ও ছাদে উঠে গিয়েছিল। সেখানেও নাকি কেউ ছিল না। চিলেকোঠার ঘরে তখন আমি একা। দুমদাম করে দরজা ধাক্কাচ্ছি। সেই আওয়াজ শুনেই ও ছিটকিনি খুলে দেয়। আমি বেরিয়ে এসে ওর সঙ্গেই পাইপ বেয়ে নীচে নেমে আসি। প্রথমেই ফোন করি সুদেষ্ণাদিকে। সুদেষ্ণাদি তখন সানন্দায় কাজ করেন। উনি বললেন, লোকাল থানায় একটা ডায়রি করে এখানে চলে আয়। কিন্তু লোকাল থানা আমার ডায়রি নিলে তো। অগত্যা সুদেষ্ণাদির কথা মতো সানন্দার অফিসে চলে যাই। আমাদের মতোই ওখানে লেখালিখি করত, আমাদেরই বন্ধু গৌতম চক্রবর্তী। ও তখন ওখানে ছিল। সুদেষ্ণাদি ওকে নিয়ে ফের থানায় যেতে বলল।
আমরা গেলাম। এবং অবাক কাণ্ড, ও.সির ঘরে ঢোকার পরে আমার নাম শুনেই ও.সি বললেন, আপনি তো আমাকে নিয়েও লিখেছেন। আমি তো অবাক। কিছুতেই মনে করতে পারছি না, ওঁকে নিয়ে আমি আবার কী লিখলাম! তখন উনি তাঁর টেবিল থেকে কালো ফোনটা সরিয়ে বললেন, দেখুন, ফোনের নীচে লোকনাথ বাবার ছবি। মনে পড়ে গেল, গল্পের এক জায়গায় ছিল, লোকাল থানার ওসি লোকনাথ বাবার খুব ভক্ত। কিন্তু সেটা যাতে কেউ বুঝতে না পারে, সে জন্য উনি টেবিলের কাচের তলায় লোকনাথ বাবার ছবি রেখে ফোন দিয়ে ঢেকে রাখেন। বুঝতে পারলাম, আমার অবস্থা শোচনীয়। যতই বানিয়ে বানিয়ে লিখে থাকি না কেন, সব কিছুই কেমন যেন কাকতালীয় ভাবে মিলে যাচ্ছে।
— তার পর কী হল? আশিসের পাশে বসে ছিল রিনা। সে উদগ্রীব হয়ে উঠল।
— তখন লালবাজারের ডিসিডিডি ওয়ান ছিলেন গৌতমমোহন চক্রবর্তী। তাঁর সঙ্গে দীপান্বিতাদির খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। দীপান্বিতাদি কাজ করতেন সানন্দায়। ফাটাফাটি দেখতে ছিলেন। যেমনি লম্বা, তেমনি ফর্সা। টানা-টানা নাক-চোখ। যে কোনও পুরুষকে ঘায়েল করার পক্ষে যথেষ্ট। তখন সানন্দার সম্পাদক ছিলেন অপর্ণা সেন। প্রথম প্রথম তো অপর্ণা সেনের সঙ্গে আমি ওনাকে গুলিয়ে ফেলতাম। উনি আগে ছিলেন ভট্টাচার্য। পরে আনন্দবাজারের ফোটোগ্রাফার অশোক মজুমদারকে বিয়ে করে হন মজুমদার। সেই বিয়ে বেশি দিন টেকেনি। পরে আরও অনেকের সঙ্গেই ওঁর ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছিল। শোনা যায়, সমরেশ বসুর সঙ্গেও নাকি ওঁর একটা সম্পর্ক ছিল। সেটা এত দূর গড়িয়েছিল যে, বিয়ে হয়-হয় আর কী। তখন তো মোবাইল ছিল না। চিঠি আর হাত-চিঠিই ছিল সম্বল। কত চিঠি যে সমরেশবাবু ওঁকে লিখেছিলেন! অনিরুদ্ধদার সঙ্গেও ওঁর যথেষ্ট মাখামাখি ছিল। ওঁদের প্রেম যখন তুঙ্গে, তখন নাকি দীপান্বিতাদি একদিন সোজা গিয়ে হাজির হয়েছিলেন অনিরুদ্ধদার বাড়িতে। অনিরুদ্ধদার বউ মিতা বউদিতে বলেছিলেন, তুমি ওকে ছেড়ে দাও। আমরা বিয়ে করব।
না। সে কথা শুনে মিতা বউদি এতটুকুও বিস্মিত হননি। বরং খুব ঠান্ডা মাথায় ওঁর কানের দুলটা দেখিয়ে বলেছিলেন, কোথা থেকে কিনেছ গো? দারুণ তো ডিজাইনটা...
তো, অনিরুদ্ধদার সঙ্গে ওঁর যেমন প্রেম ছিল, তেমনি ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে ঝগড়াও হত খুব। এক বার সমরেশ বসুকে নিয়ে ওঁদের মধ্যে খুব ঝামেলা হয়। দীপান্বিতাদি এত রেগে যান যে, তক্ষুনি বাড়ি গিয়ে আলমারির গোপন দেরাজ থেকে তাঁকে লেখা সমরেশবাবুর সব চিঠি বার করে এনে, সোজা হাওড়া ব্রিজের ওপর থেকে গঙ্গায় ফেলে দেন। ওগুলো থাকলে তরুণ গবেষকেরা নিশ্চয়ই সমরেশ বসুর পত্রসাহিত্যের উপরে ডক্টরেট করতে পারতেন! অনিরুদ্ধদার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরে উনি ফের আর একজনকে বিয়ে করেন। তখন হন নায়ার।
— তার পর কী হল? মহাদেববাবু প্রশ্ন করতেই ঋজু বুঝতে পারল, কথা বলতে বলতে ওর যেটা হয়, সেটাই হয়েছে। মূল বিষয় থেকে সরে গেছে ও। তাই তড়িঘড়ি নিজেকে শুধরে নিয়ে বলল, হ্যাঁ, কী যেন বলছিলাম, ও হ্যাঁ, মনে পড়েছে, তো, সেই দীপান্বিতা ফোন করে দিলেন গৌতমবাবুকে। সঙ্গে সঙ্গে উনি স্টেপ নিলেন। পর দিন খুব ভোরে, পাঁচটা-সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আমাদের বাড়িতে এসে হাজির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে আমাদের এলাকার আর এক কংগ্রেস নেতা বাবলা আইচ। তখনও তৃণমূল হয়নি। উনি বললেন, তুমি আমার ভাইয়ের মতো। একদম ভয় পাবে না। আমি যা বলার দেবুদাকে বলে দিয়েছি। উনি আর তোমাকে ডিসটার্ব করবে না। তোমার যদি কোনও দরকার হয়, আমাকে বলবে। যদি চাও, আমার ছেলেরা তোমার বাড়ি গার্ড দেবে।
কিন্তু তার আর দরকার হয়নি। সে দিনই আনন্দবাজার আর টেলিগ্রাফের প্রথম পাতায় বড় বড় করে ছাপা হয় সেই খবর। তার পর থেকে লোকাল কাউন্সিলার, তাঁর চেলাচামুণ্ডা, এমনকী সেই এম এল একেও আমাদের বাড়ির ত্রিসীমানার মধ্যে আর কখনও দেখা যায়নি।
ঋজু থামতেই পরমার্থ বলল, ওই গল্পের জন্যই তো ওর চাকরি হল।
কণিকা এতক্ষণ গোগ্রাসে ওর কথা শুনছিল। হঠাৎ বলল, তাই নাকি?
পরমার্থ ফের বলল, তার পর কত কাণ্ড, তার দিন কতক পরেই ছিল ফাইফোঁটা। আমি নিজে দেখেছি, অফিসে এসে মমতা ওকে রাখী পরিয়ে গেছে। শুধু ওকে নয়, ওর আশপাশে যারা ছিল, তাদেরও।
কণিকা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনছিল। শুধু বিড়বিড় করে বলল, তাই?
কথা বলতে বলতে কখন ট্রেন ঢুকে পড়েছে খড়্গপুরে, ওরা বুঝতে পারেনি। সেখানে অপেক্ষা করছিল উৎসব কমিটির দুটি গাড়ি। তাতে উঠে ওরা রওনা হয়ে গেল দাঁতনের দিকে।


                                               ক্রমশ...


দ্বিতীয় পর্ব টি পড়তে ক্লিক করুন নীচে দেওয়া লিংক টি---

Wednesday, May 11, 2022

বিভিন্ন ব্যাক্তির আসল নাম ও পরিচিত উপনাম || General knowledge for all Competitive exams || part-2

 


অন্য নামে বিখ্যাত ব্যক্তিদের পরিচিতি



পরিচিত নাম                      উপনাম 



•এশিয়ার মুক্তি সূর্য ----    ইন্দিরা গান্ধি

 ● মাস্টারদা ----    সূর্য সেন

● মহীশূরের বাঘ ---- টিপু সুলতান

 ● শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ----   গদাধর চট্টোপাধ্যায়

 • ভারতের তোতাপাখি ----     আমির খসরু

 • চৈতন্য ---- বিশ্বম্ভর মিশ্র

 •ভারত পথিক ----         রাজা রামমোহন রায়

 •ভারতের পক্ষীমানব ---- সেলিম আলি

 • মহারাষ্ট্রের সক্রেটিস ----      এম.জি.রানাডে

 ● দেশপ্রাণ ----            বীরেন্দ্রনাথ শাসমল

• সারেন্ডার নট / রাষ্ট্রগুরু ----      সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী

 • কালী মির্জা ----         কালীদাস চট্টোপাধ্যায়

 • বাবাসাহেব ----        ভীমরাও আম্বেদকর

  • কাকাবাবু ----        মুজফ্ফর আহমেদ

 • এশিয়ার আলো ----        গৌতম বুদ্ধ

• স্বর কোকিলা ---- লতা মঙ্গেশকর

• ফুটবলের আইনস্টাইন ----     ডেভিড বেকহ্যাম

• ভারতের নাইটিঙ্গেল ----     সরোজিনী নাইডু 

 ● লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প ----     ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল

 • তানসেন ----     রামতনু মিশ্র 

 • ভারতের শেক্সপিয়র ----      মহাকবি কালিদাস

 •ভারতের নেপোলিয়ান ----    সমুদ্রগুপ্ত

• ভারতের ম্যাকিয়াভেলি ----    চাণক্য

 • কাশ্মীরের আকবর ----      জয়নাল আবেদিন

● মহামতী ---- গোপালকৃষ্ণ গোখলে

 •আন্না        ----        সি এন আন্নাদুরাই

 •উড়ান পরি/সোনার মেয়ে ----    পি টি ঊষা

 •উইজার্ড,হকির জাদুকর ----    ধ্যানচাঁদ

 • হরিয়ানা হ্যারিকেন ----      কপিলদেব নিখাঞ্জ

 • ভারতীয় জাতীয়তাবাদের দাদিমা ----    অ্যানি বেসান্ত

 •ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জননী ----    মাদাম কামা

• ভারত ছাড়ো  ----                অরুণা আসফ আলি
  আন্দোলনের নায়িকা              


•ভিশি      ----               গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথ

 • চিকা   ----             কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্ত

 • টারবুনেটর, ভাজ্জি ----      হরভজন সিং

 • স্মোকিং জো ----             ভিভ রিচার্ডস

• রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস ----     শোয়েব আখতার

 • ইম্মি লায়ন অব্ লাহোর ----      ইমরান খান

● স্মাইলিং অ্যাসাসিন ----           মূরলিথরন

•পান্টার, চায়নাম্যান ----           রিকি পন্টিং

•ফুটবল সম্রাট, ও রেই ----     পেলে

 • ইউরোপের পেলে, কালো চিতা ----         ইউসেবিও

• কাইজার   ----          ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার

• গ্যালোপিং মেজর, গোলমেশিন ----      পুসকাস

• দাদা, মহারাজ ---- সৌরভ গাঙ্গুলি 

● চাইনিজ ওয়াল/চিনের প্রাচীর ----     গোষ্ঠ পাল                                    

Monday, May 9, 2022

পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে স্থায়ী পদে গ্রুপ-ডি পিয়ন নিয়োগ || punjab national bank recruitment 2022 || মাসিক বেতন 14,800 টাকা থেকে 28,200টাকা




##পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে জেলায় জেলায় পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের সাব অর্ডিনেট ক্যাডারে পিয়ন (Peon) পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে। বর্তমানে মুর্শিদাবাদ জেলার সার্কেলের ব্যাংক গুলি তে পিয়ন পদে কর্মী নিযুক্ত করা শুরু হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য নীচে দেওয়া হল-




পদের নামঃ পিয়ন (Peon)



মাসিক বেতনঃ প্রতিমাসে 14,800 থেকে 28,200 টাকা বেতন পাবেন ‌ এছাড়া পাবেন অন্যান্য ফেসিলিটি।


 

বয়সঃ বয়স অবশ্যই 18 থেকে 24 বছরের মধ্যে হতে হবে। ST, SC, OBC সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন।


 
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ উচ্চমাধ্যমিক পাশ। এছাড়া ইংরেজি পড়া এবং লেখার ক্ষমতা থাকতে হবে। সঙ্গে থাকতে হবে কম্পিউটার সার্টিফিকেট।



 
নিয়োগের স্থানঃ পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ব্রাঞ্চে নিয়োগ টি হবে।



শুন্যপদঃ ৮টি। 




আবেদন প্রক্রিয়াঃ

দরখাস্তের আকারে একটি ফর্ম বানিয়ে নিতে হবে। দরখাস্তে তে সমস্ত তথ্য দিতে হবে তা নীচে দেওয়া হল। এই দরখাস্তের দরকারি নথিপত্র সেঁটে দিতে হবে। একটি খামে ভরে খামটি নীচে দেওয়া ঠিকানায় পাঠাতে হবে।

খামের উপর লিখতে হবে- ‘‘সাব অর্ডিনেট ক্যাডারে পিওন পদের জন্য দরখাস্ত’ ।


নিয়োগ পদ্ধতি-
আপনাকে কোনো লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে না, কোন রকম ইন্টারভিউ দিতে হবে না। প্রার্থীবাছাই হবে প্রার্থীর বয়স এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার মানের ভিত্তিতে । 



 
আবেদন পত্র জমা দেওয়ার ঠিকানাঃ
To Circle Head, Punjab National Bank, Murshidabad Circle Office , Murshidabad, 26/11, Shohid Surja Sen Road , PO - Baharampur, Murshidabad, Pin -742101.





 
দরখাস্তে যেসমস্ত তথ্য দিতে হবেঃ

( ১ ) স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট ও স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেটের প্রত্যয়িত নকল , 

( ২ ) বয়স , শিক্ষাগত যোগ্যতা , কাস্ট সার্টিফিকেটের প্রমাণপত্রের প্রত্যয়িত নকল,

( ৩ ) এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ডের প্রত্যয়িত নকল (যদি থাকে) , 

(৪) এখনকার তোলা ১ কপি পাশপোর্ট মাপের রঙিন ফটো ( দরখাস্তের নির্দিষ্ট জায়গায় সেঁটে ) , 

(৫) পান কার্ড বা , আধার কার্ডের প্রত্যয়িত নকল ,

( ৬ ) নিজের নাম - ঠিকানা লেখা ও উপযুক্ত ডাকাটিকিট সাঁটা একটি খাম ।


 
শেষ তারিখঃ 20 মে, 2022



Official Website: 

বিভিন্ন ব্যাক্তির আসল নাম ও পরিচিত উপনাম || General knowledge for all Competitive exams || part-1


 

অন্য নামে বিখ্যাত ব্যক্তিদের পরিচিতি



আসল নাম                   ‌‌পরিচিত উপনাম 



*টি প্রকাশম :-                     অন্ধ্র কেশরি

*লালবাহাদুর শাস্ত্রী :-          ভারতের শান্তিমানব,                                                শাস্ত্রীজি

*লালা লাজপত রায় :-        পাঞ্জাব কেশরি

*রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর :-           গুরুদেব, কবিগুরু,                                                 বিশ্বকবি

*আশুতোষ মুখার্জী :-         বাংলার বাঘ

*শেখ মহম্মদ আবদুল্লা :-    শের - ই - কাশ্মীর

*চিত্তরঞ্জন দাশ :-                দেশবন্ধু

*শেখ মুজিবুর রহমান :-       বঙ্গবন্ধু

*বাল গঙ্গাধর তিলক :-         লোকমান্য

*পণ্ডিত মদনমোহন :-            মহামান্য
মালব্য

*জয়প্রকাশ নারায়ণ :-         লোকনায়ক , জে পি

*ড . রাজেন্দ্র প্রসাদ :-         দেশরত্ন , অজাতশত্রু

*ভগৎ সিং :-                        শহিদ - ই - আজম

*মোহনদাস করমচাঁদ :-       বাপু , মহাত্মা
গান্ধি

*খান আবদুর গফফর:-      সীমান্ত গান্ধি , বাদশা খান

*দাদাভাই নৌরোজি:-        গ্র্যান্ড ওল্ড ম্যান অব্                                                ইন্ডিয়া

*সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল :-   ভারতের লৌহমানব/                                                ভারতের বিসমার্ক


*জওহরলাল নেহেরু:-     চাচা , পণ্ডিতজি

*সুভাষচন্দ্র বসু:-        নেতাজি , দ্য স্প্রিং টাইগার

* স্বামী বিবেকানন্দ :-       স্বামীজি

*জগজীবন রাম :-                   বাবুজি

*চক্রবর্তী রাজাগোপালচারি :-     রাজাজি , সি আর

*এম এস গোলওয়ালকর :-       গুরুজি

*দিয়েগো মারাদোনা:-            ফুটবলের রাজপুত্র

*আর্থার অ্যাশ :-                 দ্য শ্যাডো

*মহম্মদ আলি :-                 দ্য গ্রেটেস্ট

*হো চি মিন :-                    আঙ্কেল হো

*উইলিয়াম শেক্সপিয়র :-   বার্ড অব্ অ্যাভন

*এডমন্ড স্পেনসার :-        কবির কবি

*প্রথম এলিজাবেথ :-        কুমারী রানি

*মেজর জেনারেল :-         চড়ুই পাখি(sparrow)   রাজিন্দার সিং                  

*জেনারেল আরউইন রমেল :-    ডেজার্ট ফক্স

*তেনজিং নোরগে :-      তুষার ব্যাঘ্র /শের-ই- তুষার 
 
*বেনিটো মুসোলিনি :-     দ্বিতীয় ডিউস 

*জোয়ান অব্ আর্ক :          মেড অব্ অরলিয়ান্স

*নেপোলিয়ান বোনাপার্ট :-      ম্যান অব ডেস্টিনি,                                                 লিট্ল করপোরাল

*অটো ভন বিসমার্ক :-        ম্যান অব্ ব্লাড অ্যান্ড                                                     আয়রন

*আলফ্রেড হিচকক :-        মাস্টার অব্ সাসপেন্স

*সেন্ট নিকোলাস :-             সান্তাক্লস

*অ্যাডলফ হিটলার :-          ফ্যুয়েরার

*ডেভিড আইসেনহাওয়ার :-    আইক

*আর্ল অব্ ওয়ারউইক :-         কিং মেকার

*শচিন তেন্ডুলকর :-              লিট্ল মাস্টার,                                                        মাস্টার ব্লাস্টার

*মাইক প্রোক্টর মনসুর:-         টাইগার
আলি খান পতৌদি 

 *ব্রায়ান লারা :-                    প্রিন্স
 
*অনিল কুম্বলে :-                জাম্বো

* সুনীল গাভাসকর:-           সানই

*মহিন্দর অমরনাথ :-           জিমি 

Sunday, May 8, 2022

খেলো ইন্ডিয়ার আন্ডারে ইয়ং প্রফেশনাল পদে নিয়োগ || Sports Authority of India Recruitment 2022 || SAI Young Professionals Recruitment 2022 || Govt jobs news




 
আবার একটি সুখবর নিয়ে হাজির হয়েছি। স্পোর্টস অথোরিটি অফ ইন্ডিয়ার কদিনে ইয়ং প্রফেশনাল পদে নতুন কিছু লোক নেওয়া হবে। চাকরি প্রার্থীদের জন্য এটা একটা নতুন সুখবর। প্রতিবছর  ভারতের খেলো ইন্ডিয়ার আন্ডারে ইয়ং প্রফেশনাল পদে নিয়োগ করা হয়। এবছর ও তাই হতে চলেছে। তাই দেরি না করে চাকরি সংক্রান্ত সম্পূর্ণ বিবরণ নীচে দেখে নিন।




পদটির নাম-  
ইয়ং প্রফেশনাল (Young Professionals- General Management)

বেতন- 40,000 60,000 টাকা প্রতি মাসে।


বয়স-  
আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স 35 বছরের কম হওয়া আবশ্যক।


 
শিক্ষাগত যোগ্যতা-
প্রার্থীর থাকতে হবে রে কোনো স্বীকৃত ইউনিভার্সিটি থেকে দুই বছরের পোষ্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি। 


মোট শুন্যপদ- 50 টি ।

আবেদন পদ্ধতি-
উপরে উল্লেখিত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে স্পোর্টস অথোরিটি অফ ইন্ডিয়ার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট লিংক নীচে দেওয়া হয়েছে।


গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট-


(1) post-graduation course Certificate.
(2) date of birth certificate.
(3) postgraduate degree Mark sheet.
(4) graduation degree Mark sheet.
(7) graduation course Certificate.
(8) Work experience Certificate.
(9) sports achievement Document if any.

এই সমস্ত ডকুমেন্ট স্কান করতে হবে। সব শেষে অনলাইন এ ফর্ম ফিলাপ এর প্রিন্ট আউট নিয়ে নেবেন।


গুরুত্বপূর্ণ তারিখ-
আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ২৪ শে এপ্রিল এবং আবেদন চলবে ১২ ই মে পর্যন্ত।


Official Website-



Official notice-



উপন্যাস - পদ্মাবধূ || বিশ্বনাথ দাস || Padmabadhu by Biswanath Das || Fiction - Padmabadhu Part -1


 

পদ্মাবধূ

    --বিশ্বনাথ দাস.                  পর্ব - ১



            এক



শুভাশিষদার কথায় রমা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলো। আপনাকে দাদার মতো মানি, আমার পঙ্কিলময় জীবনের ইতিহাস শুনে কি করবেন? তাছাড়া আপনি কার । কাছে অবগত হলেন যে , আমি একজন নরকের কীট নীতি ভ্রষ্টা । সমাজের কাছে ঘৃণ্য , বারবণিতা । নিত্য নতুন পুরুষের সাথে সঙ্গ দিতে হত । ঐ দিনগুলো মনে পড়লে শোকে , অভিমানে আমার দেহমন খন্ড - বিখন্ড হয়ে যেত । যন্ত্রণায় আমি কাতরাতাম । সেই সময় এক মুহুর্তের জন্য আমি স্থির থাকতে পারতাম না । যে দিন গুলো মন থেকে মুছে দিয়েছি , সে স্মৃতিকে আমার চোখের সামনে হতে আড়াল করেছি , তা নতুন করে চোখের সামনে উদ্ভাসিত করতে চাই না । আমার ঐ মৰ্ম্মস্পর্শী দিনগুলো আপনার সামনে প্রকাশ করতে পারলাম না বলে আপনি আমায় ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন এই আশা রাখি । রমার চোখ দুটো দিয়ে ফোঁটা ফোঁট অশ্রু ঝরতে থাকলো।

 রমা এক রকম দৌড়ে ঘর হতে প্রস্থান করতে দেবীদাস প্রবেশ করে ওকে আটকে বললো, পালিয়ে যাচ্ছো কেন? আমি শুভাশিষকে আসতে বলেছিলাম । শুভাশিষ আমার ভালো বন্ধু , তোমার অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবন কাহিনী শুনে সমাজের হয়তো চক্ষু খুলতে পারে । আমি তোমার স্বামী আমি যখন অনুমতি দিচ্ছি তবে তোমার দ্বিধা কেন?
   
      রমা বলল , আমি তোমার করুণাত্মক কাহিনী মুখে প্রকাশ করতে পারব না । আমি ডায়েরী খাতায় লিখে রাখবো শুভাশিষদা সুন্দর করে সাজিয়ে জন সমুদ্রে ভাসিয়ে যদি সমাজের চক্ষু খুলতে পারেন ও পাঠক / পাঠিকাদের মানস সরোবরে এই “ পদ্মাবধু ” কে ক্ষণিকের জন্য ভাসিয়ে রাখিতে পারেন তাহলে জানবো তার লেখা সার্থকতা পেয়েছে । শত অনিহা থাকতেও দেবী দাসের গভীর চাপের জন্য আমাকে কলম ধরতে হলো। 

   আমি একজন পতিতা ছিলাম । এবার বুঝতে পারছেন আমার জীবন কি ভাবে কাটতো । তবে আমি পাঠক / পাঠিকাদের জানাচ্ছি , আমি একজন উচ্চ পরিবারের সম্ভ্রান্ত বংশের বধূ ও সংসারী হয়েছি।
  
      যে অতীতকে আমি মন থেকে মুছে ফেলেছি নতুন করে চোখের সামনে ফুটিয়ে তুলতে কষ্টতো হবেই। জানি না ঠিক মতো লিখতে পারবো কিনা।

 মানুষের জীবনের প্রতি মুহুর্ত নদীর স্রোতের মতো বয়ে যায় । কখনো আসে অপরিসীম আনন্দ , উদ্দাম , কল্লোল , আবার কখনও আসে রোদন ভরা বসন্ত। সেই রূপ আমর জীবনে অধিকাংশ দিনগুলো রোদনের মধ্যে কেটে গেছে । ঘরের নিভৃত এক কোণে মুখে কাপড় গুজে ডুকরে ডুকরে কাঁদতাম । সেই সময় অতীত মনে পড়লে মনে হত শানিত অস্ত্র হয়ে বুকে বিঁধতো। বেদনায় বুকটা টন - টন করত। চোখ দিয়ে দরদর করে জল বেরিয়ে আসতো সমস্ত বেদনা, যন্ত্রণাকে আঁকড়ে ধরে বিছানায় লুটিয়ে পড়তাম।  

       ধীরে ধীরে সব বেদনা, যন্ত্রণা সহ্য হয়ে গিয়েছিল । কিন্তু সহ্য হত না বাবুগুন্ডার চাবুকের ঘা। ওদের কথা না শুনলে চলত বাবু গুন্ডার চাবুকের মার । অকথ্য অত্যাচার , আমার পাশে থাকুন সব জানতে পারবেন । যতখানি এগোবেন ততখানি এই উপন্যাসে ভয়ানক রূপ নেবে । তাহলে বাগদেবীর আশীর্বাদে গৌরচন্দ্রিকা না করে প্রথম অংকে প্রবেশ করলাম।

    যখন পতিতা ছিলাম , তখন নিত্য নতুন পুরুষরা বিভিন্ন নামে ডাকতো , কেউ বলতো পাপিয়া , কেউ চন্দনা , কেউ চামেলী , কেউ শিউলী ইত্যাদি। আমাদের বস্তীর সখীরা আমাকে পদ্মাকুমারী বলে ডাকতে আমি খিল খিল করে হেসে উঠতাম । আমার আবার কুমারীত্ব । সর্বস্ব আমার মুছে গেছে , সতীত্ব , কুমারীত্ব , কোনটাই আমার নেই । তাহলে কুমারী বলে ডাকা কেন? 

     পতিতা খাতায় যখন আমর নাম নথীভুক্ত হয়ে গেছে, তখন সমাজে আমি কলঙ্কিতা , ভ্রষ্টা , নষ্টা মেয়ে তা অস্বীকার করব না । সমাজ আমাকে ঘৃণা করবে । দূর থেকে ইঙ্গিত করবে ঐ দেখ মেয়েটা সেজে গুজে যাচ্ছে ওদের আমার সাজ - সজ্জা!

    অনেকেরই কাছে একথা শুনেছি । কিন্তু যারা আমাকে দিনের আলোয় ভর্ৎসনা করেছে তারাই আবার অনেকে রাতের আলোতে কামনার জ্বালা মেটাবার জন্য লজ্জা মান বিসর্জন দিয়ে এগিয়ে এসেছে । সেই জন্য অনেক সময় ভাবতাম যদি আমরা না থাকতাম তাহলে ওরা কি করতো?


    আমি সমাজের কাছে রাজহংসের মতো মুখকে উঁচু করে জোর গলাতে বলতে পারি পতিতাদের জন্য সমাজের সুস্থ পরিবেশ বজায় থাকে। অবশ্য ও কথা বেশী রঞ্জিত করতে চাই না । আমার লেখনীতে ফিরে আসি।

      লোকে বলে আমি অপূর্ব সুন্দরী, নন্দন কাননের পারিজাত ফুল , ডানা কাটা পরী , অনুপম সৌন্দর্য্য। সুতরাং সহজেই আমি ছিলাম পুরুষের কামনার বস্তু ও লালসার ধন। তাই স্তাবকের আমার অভাব ছিল না।
 
      পোষাক ছিল আমার অতি সাধা - সিধে। সেই সময় প্রচুর রোজগার করতাম । কোন কিছুর অভাব ছিল না । অভাব ছিল শুধু ভালোবাসার , পুরুষের প্রেমের। কোন পুরুষের কাছে প্রেম পাইনি । শুধু পুরুষের নিকট থেকে কৃত্রিম ভালোবাসা । আমাকে শুধু ব্যবহার করতো ওদের কামনার আগুন নেভাবার জন্য। 

    অবশ্য সে সময় কোন পুরুষ যদি প্রেম নিবেদন করতো, সে হতাশ হয়ে ফিরে যেতো। কারণ পুরুষের ভালোবাসার মধ্যে কোন আন্তরিকতা দেখিনি। তখন চোখের সামনে ভেসে উঠতো আমার পরম পূজনীয়, পর উপকারী রন্টুদার মুখচ্ছবি।


   ঐ লোকটাই আমাকে নীতি ভ্রষ্ট করেছিল এবং এই পথে আমাকে নামিয়ে ছিল। কিন্তু যখন অন্য পুরুষের কাছে আদর - আবদার ভালোবাসা পেলাম , তখন চিন্তা করেছিলাম এই পুরুষ জাতের মধ্যে কত পার্থক্য । কেউ মানব, কেউ দানব।

     যেদিন দেবী দাসের কাছে আশ্রয় পেয়েছিলাম পদ্মাকে বধূ বলে স্বীকার করেছিলো, সেদিন গলবস্ত্রে সৃষ্টি কর্তাকে আমি প্রণাম জানিয়ে ছিলাম। তারই অনুপ্রেরণায় এক জমিদারের নাতনী অর্থাৎ প্রভাবশালীর ব্যক্তির কন্যা রমা সমাজের কাছে ও সমাজের খ্যাতনামা বংশধরের বধূ হয়েছি।  

    সেই জন্য এই উপন্যাসের নাম ‘পদ্মাবধূ’ হওয়া উচিত। যদিও আমার কলঙ্কিত জীবনের রেশ তখনও ছিল। আমার এই কাহিনী লিখতে লিখতে সহস্ৰ অশ্রুবিন্দ একত্রিত হয়ে এক জলাশয়ের সৃষ্টি করলেও লিখে চলেছি আমার সেই অতীত যা এখনো জাজ্বল্যমান। 

   আমি কে, কি আমার পরিচয় কোন বংশের দুহিতা , প্রকাশ না করলে এই উপন্যাসের অঙ্গহানী হতে পারে। তাই প্রথমেই পরিচয় দিই , আমার ঠাকুরদার নাম , ব্রজকিশোর সিংহ । তিনি জমিদার বা প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন । যার দাপটে একসময় বাঘে বলদে এক ঘাটে জল খেত। ঠাকুরদার ব্রজের মতো হুঙ্কার এখনো আমার স্মৃতিহতে মুছে যায়নি । তিনি কঠোরভাবে শাসন করতেন, কিন্তু গ্রামবাসীদের প্রতি কোন মুহুর্তের জন্য অন্যায় আচরণ করতেন না। তার কাছে ছিল দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন । অন্যায়কে কোন প্রকারে প্রশ্রয় দিতেন না । যদি দিতেন , তাহলে মনে হয় আমার জীবনে এই রূপ করুন পরিণতি নেমে আসতো না। এমন কি আমার বাবার শেষ জীবনে ফুটপাতই একমাত্র আশ্রয় স্থল হত না।  

    আমার ঠাকুরদার তিন ছেলে । বড় ছেলের নাম সীতাংশু শেখর সিংহ , মেজছেলের নাম হিমাংশুশেখর সিংহ , ছোট ছেলের নাম প্রেমাংশুশেখর সিংহ । বড় পুত্র সীতাংশুবাবু সর্বদাই শিকারে মত্ত থাকতেন । সম্পত্তির দিকে কোন নজরই ছিল না । দেখাশুনাতো দূরের কথা। ‌‌

    মেজভাই হিমাংশ গোপনে সমস্ত সম্পত্তিটুকু আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছে সেদিকে তার কোন ভ্রুক্ষেপ ছিল না। হিমাংশুবাবু ছিলেন মীরজাফর । কি করে সম্পত্তি নিজের নামে করা যায় তারই প্রচেষ্টা ছিল বেশী।

    একদিন তার চেষ্টা সফল হয়েছিল। একদিকে ছোট ছেলে প্রেমাংশু শহর হতে কলেজ জীবন শেষ করে বাড়ীতে এসে ছোটজাতদের জ্ঞান - বুদ্ধি দিয়ে অন্ধকার হতে আলোতে আনার চেষ্টা করছে, সেই জন্য সর্বদা বাগদী পাড়ায় পড়ে থাকতো । কোন কোন দিন ওদের পাড়াতে রাত কাটাতো। সেই সময় দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে যতীন বাগদীর মেয়ে পুষ্প সর্বস্ব খুইয়ে নিজের গর্ভে ধারণ করেছিল ছোট কাকার ঔরসজাত সন্তান। ধীরে ধীরে সব জানতে পারবেন কিভাবে আমাদের জীবনে অন্ধকার বিভীষিকা নেমে এসেছিলো। কি করে হয়ে ছিলাম দেহ বিতরিনী নিশিকন্যা।

         


                                                     ক্রমশ...



দ্বিতীয় পর্বটি পড়তে নীচে দেওয়া লিংক টি ক্লিক করুন-

 

Saturday, May 7, 2022

ভারতীয় রেলে নতুন নিয়োগ || Indian railway Recruitment 2022 || RRB kolkata


 




ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের চাকরি প্রার্থীদের জন্য নতুন সুখবর। আবার রেলে নতুন নিয়োগ হতে চলেছে।
ভারতের দক্ষিণপূর্ব - মধ্য রেলের অধিনস্ত রাইপুর ডিভিশন ও রাইপুর ওয়াগন রিপেয়ার শপে 'অ্যাপ্রেন্টিস' হিসাবে ১,০৩৩ জন লোক নেওয়া হবে। চাকরি সংক্রান্ত সম্পূর্ণ বিবরণ নীচে দেওয়া হল-



অ্যাপ্রেন্টিস পদের নাম- 

ফিটার, ওয়েল্ডার, ইলেক্ট্রিশিয়ান, টার্নার, ইংলিশ স্টেনোগ্রাফার, হিন্দি স্টেনোগ্রাফার, কম্পিউটার অপারেটর অ্যান্ড প্রোগ্রামিং অ্যাসিস্ট্যান্ট, হেলথ অ্যান্ড স্যানিটরি ইন্সপেক্টর, মেকানিক ডিজেল, মেশিনিস্ট,  মেকানিক রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনার, মেকানিক অটো ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স। 


মোট শুন্যপদ-  ১,০৩৩ জন।


শিক্ষাগত যোগ্যতা-

মোট অন্তত ৫০% নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাশ হতে হবে। এর সাথে দরকার এন.সি.ভি.টি.র অনুমোদিত আই.টি.আই. হিসেবে সংশ্লিষ্ট ট্রেডের সার্টিফিকেট কোর্স পাশ করে থাকলে তবেই আবেদন করার সুযোগ পাবেন।


বয়স-
প্রার্থীর বয়স অবশ্যই ১৫ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন।


বেতন - ট্রেনিং চলাকালীন স্টাইপেন্ড পাবেন। তবে ট্রেনিং শেষে চাকরি পেতেও পারেন নাও পারেন।


 
নিয়োগ পদ্ধতি-

প্রথমে প্রার্থীর মাধ্যমিকে পাওয়া নাম্বার অনুযায়ী এবং আই.টি.আই. পাশের সার্টিফিকেটের সাথে অন্যান্য প্রমাণপত্র দেখে একটি মেরিট লিস্ট তৈরি হবে। তারপর হবে শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা।  সবথেকে বড় ব্যাপার এখানে কোনো লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে না, আর কোনো ইন্টারভিউ দিতে হবে না।



আবেদনের শেষ তারিখ- ২৪ শে মে'র মধ্যে । অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন নীচে দেওয়া অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে।


Official Website-




 

Friday, May 6, 2022

জেলা আদালতে স্থায়ী পদে গ্রুপ-C, D ও ক্লার্ক নিয়োগ || District court Group-C, D & Clark Recruitment 2022 || WB job News




পশ্চিমবঙ্গের চাকরি প্রার্থীদের জন্য আবার নতুন একটি সুখবর। বীরভূম জেলা আদালতে গ্রুপ-D, গ্রুপ-C, ক্লার্ক 
 নিয়োগ করা হবে। তবে পশ্চিমবঙ্গের সব জেলার ছেলে মেয়েরাই আবেদন করতে পারবেন। ইতিমধ্যেই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তি টি প্রকাশিত হয়েছে কোলকাতা হাইকোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। চাকরি সংক্রান্ত সম্পূর্ণ বিবরণ নীচে দেওয়া হল-



নোটিশে তারিখ:  27.04.2022 তারিখে নোটিশ টি প্রকাশিত হয়।




কোন কোন পদে নিয়োগ হবে:-

1) Group-c
2) Group-D
3) Clark
4) Group-B

সম্পূর্ণ বিবরণ নীচে দেওয়া হল-

(1) ইংলিশ স্টেনোগ্রাফার, গ্রেড-||| (Group-B)

বেতন- 32,100 – 82,900 টাকা প্রতি মাসে।

বয়স- 18 – 39 বছরের মধ্যে হওয়া বাঞ্ছনীয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা- মাধ্যমিক পাশ। শর্টহ্যান্ডে 80 WPM এবং কম্পিউটারে 30 WPM টাইপ করার দক্ষতা থাকতে হবে। 
 
মোট শুন্যপদ- 5 টি।




(2) বাংলা ট্রান্সলেটর (Group-B)

বেতন-  28,900 – 74,500 টাকা প্রতি মাসে।

বয়স- 18 – 39 বছরের মধ্যে হওয়া বাঞ্ছনীয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা- 
English to Bangali, Bengali to English এ ট্রান্সলেট করার দক্ষতা থাকতে হবে।

এছাড়া ইংরেজি অথবা বাংলায় অনার্সে গ্রাজুয়েট হতে হবে। থাকতে হবে বেসিক কম্পিউটার জ্ঞান।

মোট শুন্যপদ- 3 টি


(3) লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক (Group-c)

বেতন- 22,700 – 58,500 টাকা প্রতি মাসে।

বয়স- 18 – 40 বছরের মধ্যে হওয়া বাঞ্ছনীয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা- মাধ্যমিক পাশ। থাকতে হবে বেসিক কম্পিউটার জ্ঞান ও কম্পিউটার সার্টিফিকেট।

মোট শুন্যপদ- 28 টি


(4) প্রসেস সার্ভার (Group-c)

বেতন- 21,000 – 54,000 টাকা প্রতি মাসে।

বয়স- 18 – 40 বছরের মধ্যে হওয়া বাঞ্ছনীয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা- অষ্টম শ্রেনি পাশ। থাকতে হবে বেসিক কম্পিউটার জ্ঞান।

মোট শুন্যপদ- 8 টি


(5) পিয়ন/ নাইট গার্ড (Group-D)

বেতন- 17,000 – 43,600 টাকা। 

বয়স- 18 – 40 বছরের মধ্যে হওয়া বাঞ্ছনীয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা- শুধু মাত্র অষ্টম শ্রেনি পাশ।

মোট শুন্যপদ- 49 টি 


নিয়োগ প্রক্রিয়া: সর্বপ্রথম হবে লিখিত পরীক্ষা, তারপর কম্পিউটার টেস্ট সবশেষে পার্সোনালিটি টেস্ট। আরও বিস্তারিত জানতে নীচে দেওয়া অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ ক্লিক করুন।



আবেদনের পদ্ধতি: আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। নীচে দেওয়া অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।


আবেদন ফি:

 




তারিখ:

আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে  28.04.2022 তারিখে, 
আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হবে 12.05.2022 তারিখে।




Official Website-

Official notice Download-


Apply Now-