Monday, February 21, 2022

Poem || When Death Comes || Pavel Rahman

 When Death Comes




When there is no any hope for life,

Death comes in that time.

When greed to live is vanished,

Death comes in that moment.

Death is of two kinds: physical and mental.

Sunday, February 20, 2022

কবিতা ||‌‌ সারাদিনে একটু কিছু খুঁটে খেতে পেলেই হল || আব্দুস সাত্তার বিশ্বাস

 সারাদিনে একটু কিছু খুঁটে খেতে পেলেই হল




আমার শরীরে রয়েছে কবেকার পুরনো জামা

হাজার সেলাই মারা


আমাকে দেখলেই চিনে নেয় রাস্তার পাগলেরা

আমি যে তাদেরই দলের একজন লোক


কোনদিন দেখেছ কোন পাগলের গায়ে নতুন পোশাক, চকচকে কোন জিনিস

আসলে পাগলদের কোন শখ থাকেনা


সারাদিনে একটু কিছু খুঁটে খেতে পেলেই হল...

কবিতা || এ যুগের একলব্য || চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী

 এ যুগের একলব্য



ত্রিনয়ন নাইবা থাকলো কপালের মধ্যখানে

তাতে কিবা যায় আসে শুভক্ষণ কখনো দাঁড়াবে না হেসে জানি বলেই অলক্ষ্মীর ছায়া তলে রাখি উজ্জ্বল উপস্থিতি।

শুনো কৃষ্ণ কান খুলে শোনো

ধনাচার্যের ষড়যন্ত্রে কাটব না কিছুতেই কাটব না বৃদ্ধাঞ্জুলি

আমি এ যুগের একলব্য

সম্মুখে সমরে দেখিয়ে দেব

আমি অর্জুনের চেয়েও শ্রেষ্ঠ ধনুর্ধর।

কবিতা || জীবনের রূপ || দিলীপ কুমার মধু

 জীবনের রূপ



এ জীবন নাট্যশালা

আমরা তার কুশীলব ।

ঘাত-প্রতিঘাতে ভেঙে যায় মঞ্চ

সাক্ষী মহাকাল ।

আঘাতের ওপর আঘাত সয়েছে

যে বুর্জোয়া জাতি

আজ তারা ইতিহাসের অধ্যায় :

সারাজীবনই আসে আঘাত

আসে বেদনা... নিষ্ঠুর হয়ে ।


যে নক্ষত্ৰটি কয়েক যোজন দূরে রয়েছে

সেও নক্ষত্ৰ----

মনে হয় ভেসে আসা বিন্দু

মনে হয় হারিয়ে যাওয়া বিন্দু ।


কিছু যায় হারিয়ে....

        কিছু পাওয়ার জন্য ।

কবিতা || মন গোঁসাই || বন্দনা বিশ্বাস

 মন গোঁসাই




মন গোঁসাই তরে বসে রই পথ চেয়ে

কাল গণি আর এগোই শুধু দাঁড় টেনে

অকুল দরিয়ায় নাই যে তীরের খোঁজ

মিছে আশায় সাজি রোজ রোজ


জড়িয়ে পথ ছড়িয়ে রয়েছে মধুর মায়া

 নত হয়ে তাই তো রই ধুলার পথতলে

এ হৃদয় ভরাও জুড়াও ওগো দখিন হাওয়া

আগুন পলাশ হৃদয় পোড়ায় ফাগুন মাসে ।


প্রকৃতির জুড়ে রয়েছে নরম জোছনা

আজীবনের স্বপ্ন ছুড়ে দিলাম তোমার বিছানা

জাগবো সবুজ মোড়া হৃদয় অঙ্গনাতে

আসবে নতুন জোছনা চন্দন সুবাসেতে


মন গোঁসাই আবার ফিরবে কিগো

সবুজ ঘেরা আমার ভাঙা আবাস জুড়ে ।

কবিতা || সুরের জলসা ঘর || রানু রায়

 সুরের জলসা ঘর



সকাল থেকেই অবসাদ মন

সুরের আকাশে ইন্দ্র পতন

লতা থেকে সন্ধ্যা

সুরের জগত বন্ধা।

সুরের জগতের যাদুকর

নিজেই তিনি রত্ন আকর

অমৃত ধামে বসেছে আসর

ত্রয়ী দের নিয়ে জলসা ঘর।

কবিতা || ঝড়ের কাছে রেখেছিলাম হৃদয়টারে || শ্যামল চক্রবর্ত্তী

 ঝড়ের কাছে রেখেছিলাম হৃদয়টারে

         


ঝড়ের কাছে রেখেছিলাম হৃদয়টারে!

                    কি পাপ করেছি মোরে।

বেগবতী বাতাস তারে,

                     দিল চুরমার করে।

রঞ্জিনী হলাম কোথায়,

                     বাজে কানে কিঙ্কিণী শব্দ যে।

রেখেছিলাম পিঞ্জরে,

                    তার হৃদয় টারে।

হয়তো পারিনি সুরভী দিতে ,

                   উপনীত হতে ।

এখনও রাতের আকাশ ভাবে ,

                   কখন ভোর হবে।

তবু তো স্বপ্ন দেখে,

                 এখনো বারে বারে।

ঊষার পাখি ডেকে বলে যাবে।

                   নিঝুম রাতের গভীর তন্দ্রা।

কেন স্বপ্ন ও ভাঙবে এবার।

কবিতা || বৃদ্ধ ইজিচেয়ার || উদয়ন চক্রবর্তী

 বৃদ্ধ ইজিচেয়ার




দেওয়ালের পলেস্তরা খসে পড়ছে

সেখানে আঁকা হচ্ছে টিকটিকির রমনের

ছায়া চিত্র এক বাধ্য ধারাবাহিকতায়


আমার চিলে কোঠা থেকে উড়ে যাচ্ছে পথহারা চিলের কান্না ধূসর রঙ মেখে

আমি কী খুঁজছি না জেনেই ছিপ ফেলছি 

বারবার যদি ধরা দেয় সুখ


বৃদ্ধ ইজিচেয়ার বসে আছে শূন্যতায় চোখ রেখে নতুন কেউ এহে বসার অপেক্ষায় দহন মেনে নিয়ে 

কবিতা || পরস্পর || জয়িতা চট্টোপাধ্যায়

 পরস্পর



দূরের মানুষটার কোনও সুখবর পাই নি বহুকাল হল

খবর নিয়ে আসেনি ডাক পিওন, 

শুকনো মুখে টেবিল ঘিরে বসে আছে ঘরের মানুষ

দূরের মানুষটা হয়তো হাঘরের মতন রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, একটা চিঠি পাওয়ার আশায়

বহুকাল আমার উঠোনের বকুলের ডালে রোমাঞ্চ নেই, অনেক দিন দাওয়াত শুয়ে থাকা বেড়াল ঘর ছাড়া, কেটে যাচ্ছে দিনের পর দিন বছরের পর বছর

কেটে যাচ্ছে বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়ে

তেতে উঠেছে গরমে শরীর, আবার কুঁকড়ে যাচ্ছে ঠান্ডায়, এই ভাবে বদলে যাচ্ছে সময়

হয়তো ভালো আছে দূরের মানুষ

যেমন এখানে ভালো আছি আমি

ভালো আছে আমার ঘরের মানুষ।

কবিতা || ভালোবাসার একটি গোলাপ || অশেষ গাঙ্গুলী

 ভালোবাসার একটি গোলাপ


                  



তোমার আমার ভালোবাসার একটি গোলাপ

দাম যদিও হোক না মাত্র কুড়ি।

ক্ষতি নেই আমার তাতে।

তোমার আমার ভালোবাসার একটি গোলাপ

কুড়ি লক্ষ লাল গোলাপের থেকেও হয়

যেন চিররঙীন চির উজ্জল।

গোলাপের একটি পাপড়ি হয় যেন আমাদের

এই ভালোবাসার চিরসঙ্গী।

গোলাপের এক - একটি পাতাতে লেখা থাকুক

তোমার আমার ভালোবাসার সূত্রগুলি।

ভালোবাসার ওই সূত্রতে থাকবে না কোন বিয়োগ

থাকবে না কোন ভাগ।

থাকবে শুধু ভালোবাসার নিবিড় যোগাযোগ ।

গোলাপের প্রতিটি শিরায় শিরায় থাকবে

শুধু ভালোবাসা অনেক চিহ্ন।

প্রতিটি চিহ্ন দেবে তোমার আমার ভালোবাসার প্রমাণ


তোমার আমার ভালোবাসার একটি গোলাপ

কোন দিন হবে না গো পুরোন।

প‍্রতিদিন প্রতিনিয়ত হবে গো

তোমার আমার ভালোবাসার মতো হবে চির নতুন। 

কবিতা || এগিয়ে যেতে হবে || রঞ্জিত মল্লিক

 এগিয়ে যেতে হবে



        এলোমেলো পথ , আঁকাবাঁকা জ্যামিতি

         কখনো চড়াই বা কখনো উতড়াই - 

           তবু এগিয়ে যেতে হবে

          মুঠোয় নিয়ে প্রাণ , বিপদের ঝুঁকি

 সামনে আরো সামনের দিকে ক্রমাগত।

       আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা

         ঝড় আসছে ; উত্তাল নদী , সমুদ্র

         মাঝে মাঝে অশনি সংকেত

         পদে পদে মৃত্যুভয় , বাড়ছে শঙ্কা

          জানি এ পথ বড় কঠিন , দুর্গম!




             তবু আমাদের এগিয়ে চলতে হবে

             জোরে , আরো জোরে সামনের দিকে।

              বন্ধুর এ পথে পিছনে তাকানো যাবে না -

             পিছন ফেরা মানেই পরাজয় নিশ্চয়।

              রুগ্ন শরীরে , পেটে বুরুণ্ডির ক্ষুধা -

              হৃদয়ের ভিসুভিয়াস জ্বলছে দপ দপ করে।

            বিপ্লবের আঁচ পড়ছে ছড়িয়ে চোখে মুখে

            মুঠোয় ভরে প্রাণ ছুটতে হবে দুর্নিবার গতিতে

           তবেই আসবে জয়, ফুটবে শুকনো মুখে হাসি।

            আসবে রক্তিম ভোর , উড়বে বিজয় কেতন।

কবিতা || রক্ত দিয়ে বাঁধা রাখী || সামসুজ জামান

 রক্ত দিয়ে বাঁধা রাখী 

 


বাংলা ভাষার গর্বের দিন একুশে ফেব্রুয়ারী।

আর যা কিছু ভুলিনা কেন তাকে কি ভুলতে পারি?

মাতৃভাষার স্বীকৃতিতে সেদিন মানুষজন

ঢাকা শহরটাকে গড়ে তুলল রণাঙ্গন।

অত্যাচারী পাকিস্তানী শাষক-পুলিশ মিলে

তরতাজা পাঁচ ছেলের রক্তে গঙ্গা বইয়ে দিলে।

বরকত,জব্বার,রফিক,সালাম,সফিউর তাদের নাম।

শহীদ হয়েই বোঝাল তারা বাংলার কী সম্মান।

ভাষাযুদ্ধে সামিল হল পদ্মার এ পার,ও পার,

আজিমপুরের গণকবরে সাক্ষ আছে তার।

মাতৃভাষার নামে মানুষের এতখানি দরদ!

তাইতো মনে প্রাণ উৎসর্গের আসে শুভবোধ।

কেউ মরেনি, কেউ মরেনি, সবাই শহীদ হল।

তাদের নামে মাতৃভাষার জয়ধ্বনি তোল।

ইউনেস্কো শ্রদ্ধায় তাই করল মাথা নত।

স্বীকৃতি দিল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ব্রত।

মাতৃভাষার মর্যাদা কেউ দিতে ভুলোনা ।

রক্তের বিনিময়ের রাখী কখনও খুলোনা। 

কবিতা || সেই আগের মতো || চাতক পাখি

 সেই আগের মতো..




ওরে ওই সই 

চল না যায় আবার 

সেই সবুজ ঘেরা মাঠের পাড়ে

জংলা নদীর ধারে।


সেথায় গিয়ে আবার খেলি 

খেলাম পাতি খেলা,

সেই ছোট ছোট পাথর বাটি নিয়ে 

আর পায়ে ঘাসের নূপুর পড়ে।


আর আমি সেই আগের মতই

বলবো না হয় তোকে আবার 

কাজ থেকে ফেরার ভান করে,

-"কি রে খাবার হলো।"


ওমনি তুই বলবি আমায় 

"দাড়াও, একটু আগেই ভাত চড়িয়েছি 

হাত পা তো ধও দেবো ,

ছাড়ো না হয় এখন জামা গুলো।"


আর আমিও তাই ব্যস্ত মতো

ভান করে ওই 

সারা গায়ে জল ছিটিয়ে

বসবো আসন পেতে।


আর তুই কচুর পাতায়

 জল গড়িয়ে

ঘেটু পাতার থালা করে

দিবি আমায় খেতে।


আর আমিও খাবো তাই

 দিব্যি মনের সুখে 

খাওয়ার মত

ভান টি করে মুখে।


আর তুই পিছুন হতে কলা পাতার বাতাস দিয়ে

বলবি আমায় -" আর দেবো"

আমি বলব -" না না,

এই টুকু তো পেট বলো আর কতো ঢুকে।"