বিক্রম দাসের একটি কবিতা

নির্যাতন

 

অনেক ছবি দেখলাম শহরের রাস্তায়

পথ শূন্য ছিলো তবু হারিয়ে গিয়েছিলাম ভিড়ে

হঠাৎ করে শুনতে পেলাম তুমি বেশ্যা নাকি

ভরসা করে বলবো তাকে কী মাথায় আসছিলো না

তখন প্রান হয়ে ছিলো মুল্যহীন তাঁতের দু্রত্ব বেশি ছিলো না

আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম তারাও ছিলো আমার মতন

কিন্তু তারা যৌবনের শিকার হয়েছিলো

এখন রাত হলেই বের হয়

এটা সত্যি বেঁচে আছে তারা

এখনো শহরের গলি গলিতে এক ঘরের আড়ালে

পায়নি তারা ন্যায় বিচার,

হ্যাঁ এটাই সত্যি ইচ্ছে করে হয়নি তারা

ভয় তো আমারও হচ্ছিলো তাঁদের মতোন

পরিচয় আমাকে দেবে না তো

আমার ব্যাথা তারা বুঝতে পেরে তারা

আমার হাতে মোমবাতি তুলে দিলো

আর গায়তে বলল তাদের গান আমি বেশ্যা আমি বেশ্যা

বলল তারা কানে তুমি প্রবিত্র তা না কেউ জানে

ওই দেখা যায় সাদা বাড়ি ওখানে তে সবার বাড়ি যাও রাত টা স্বপ্ন ভেবে ঘুমিয়ে যাবে

তারা অবুঝ ছিলো আমার ছলা কৌশলের কাছে আমি পুলিশ তা ওরা না জানে

কিন্তু কিছু খনের জন্যও আমি সেই পরিচয় হারিয়ে ফেলে ছিলাম আমি ও তো এক মেয়ে

ভয় আমারও লাগছিলো বহুরূপী সেই রাক্ষসদের কে দেখে

বুঝতে তো আমি তখনি পারলাম যখন একলা হয়ে রাতে রাস্তায় বের হলাম

আমি দেখতে পেলাম প্রতিকারহীন শক্তে অপরাধে বিচার বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে

আর দেখলাম বহু রূপী মানুষ নির্জন জায়গায় নারী যৌবন শিকার করে রাতে অন্ধকারে জোর করে 

সেই ধর্ষিত নারী ছবি পত্রিকায় পত্রিকায় বের হয় ভোরের সাথে সাথে বহুরূপী নিজের পরিচয় বদলে বলে

 আমি জানতাম সে ওই রকম আজ নয় তো কাল ওর সাথে এটা হবার ছিলো

সত্যি টা কে চাপা দিয়ে সব

প্রথমে এক অন্য ছবি সমাজে তুলে ওরা 

আর আমার মতন অজ্ঞাত হাজার হাজার মানুষ সেই মেয়ে টার চরিত্র নিয়ে যত কথা তুলি তা কাপুরুষের আত্মসম্মান ঢাকার জন্য অপরিসীমা বস্ত্র হয়ে যায়।


Comments

Popular posts from this blog

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩০ || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র || World Sahitya Adda Sarod sonkha 1430

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩১ || Sarod sonkha 1431 || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র