মধুপর্ণা বসু্র দুটি কবিতা

 বাউল


আমিও আজ বাউলা প্রেমিক

অনেক যত্নে সাজিয়ে রাখছি

আগামীর কবর,

এইযে মাটি চাপা দেওয়ার গল্পটা

বলে ফেললাম,

এও এক নেশা...

এখন যেন শেষ লাইনটা সত্যি ভাবতে

ভালো লাগা শুরু হয়েছে।

জীবন ভীষণ বেইমানী করে বিপরীত দেখাচ্ছে,

তার চেয়ে এই ভালো..

পাহাড়, নদী, ঝর্ণা, আকাশের পরিবর্তিত ব্যপ্তি।

সবুজের ছোঁয়ায় একা প্রশ্নহীন।

মুগ্ধতায় ডুবে গিয়ে লাল ধুলো রাস্তায়

তাল গাছের সারি ধরে হাঁটার অভ্যাস করছি,

একদিন ওই লাল ধুলো কাঁকর

নীল আলো ছড়িয়ে মাঠের

শেষে মিলে যাবে,

শেষের গল্পটা আগেভাগে লিখে ফেলতে

ভালো লাগে আজকাল। 

_________________________


নির্বাণ


তুমিও মৃত্যুর ঘ্রাণ পেয়েছো

জীবনের পিঙ্গল জটাজাল জুড়ে,

আমরা বিলাসে ডেকে আনি কি...

এই চলে যাওয়ার তীব্র কামনা ?


       একবার ফিরে চাই, আয়নায় অস্পষ্ট কিছু আঁকিবুঁকি লিখি দুটো হাতকে মেলাবার ভীষণ জেদে,


আসলে সব কিছুতে আকৃষ্ট হয়ে গোগ্রাসে গিলে ফেলে মন,

তারপর চোখের কনীনিকায় নিরাসক্তি..


তিলে তিলে ছেড়ে দিতে যে আত্মক্ষরণ হয়

তাতে শুদ্ধি ঘটে।

মায়া, সব মায়া দুহাতে সরিয়ে দিই চলে যাবার অছিলায়। 


Comments

Popular posts from this blog

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩০ || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র || World Sahitya Adda Sarod sonkha 1430

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩১ || Sarod sonkha 1431 || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র