চাঁদ রায়ের একটি প্রবন্ধ
লৌকিক ছড়া ও তার ভাষা
গ্রামবাংলার লোকজ উপাদান থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে এমন ছড়া গুলিই হল লৌকিক ছড়া। এইসব ছড়াতে রচয়িতার নাম জানা যায় না। এগুলি মুখে মুখে প্রচলিত এবং সাধারণত কোথাও লেখা থাকে না। পরে অবশ্য কেউ কেউ কিছু কিছু সংগ্রহ করে তাকে লোকসাহিত্যের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
তবে সব ধরনের লোকসংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত লৌকিক ছড়া গুলিকে সংগ্রহ করা হয়েছে এমন নয়। যেমন--ভাঁজেো, হাবু, ঘেঁটু বা ঠাকুমা দিদিমাদের আঞ্চলিক ভাষায় ব্যক্ত অনেক ছড়া।
লৌকিক ছড়া বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। ছেলে ভুলানো ছড়া, খনার বচন, নানা ধরনের নীতি মূলক ছড়া, ধাঁধার ছড়া এবং সর্বোপরি ব্রতের ছড়া। এগুলি কে শোলোক বলা হয়। এই সব শোলোক বা ছড়া গুলি সাধারণ মানুষের জীবনের সরস কাহিনী থেকে উদ্ভূত।
Tolstoy বলেছেন--"সাধারণ মানুষের জীবনের সরস কাহিনী কে বাদ দিয়ে অল্প কিছু মানুষের কথাকে পরিবেশন করা সাহিত্যের সামাজিক কর্তব্য পালন সঠিক নয় "। তাই Tolstoy আরও বলেছেন যে, " সাধারণ মানুষের কথা বাদ দিয়ে যে শিল্প তা কৃত্রিম ও অচল"। তিনি শিল্প কে দুটি ভাগে বিভক্ত করেছেন--1. Good art 2. Bad art.
তাঁব মতে, মানুষের মধ্যে ঐক্য স্থাপন করতে পারেFolk art. "Folk art is the best useful and helpful. So, folk art is good art".
লৌকিক ছড়া গুলির ভাষা সাধারণ মানুষের ভাষা। গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল বলেছেন--"মানুষের স্বভাবের মধ্যে রয়েছে কাব্যের সম্ভাবনা। ছন্দ ও সুষমা বোধ মানুষের সহজাত"। তাঁর মতে কাব্যের শ্রেণী দুই প্রকার--গভীর প্রকৃতির মানুষের দ্বারা রচিত রচিত প্রার্থনা ও স্তুতি মূলক কাব্য আর লঘু প্রকৃতির মানুষের দ্বারা রচিত লঘু চরিত্রের লঘু কাব্য তথা লৌকিক ছড়া।
আচার্য রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী বলেছেন, " ছড়া বাংলা সাহিত্যের একটি মূল ধারা"। সুতরাং একথা বলা যায় যে, ছড়া হল সবচেয়ে জনপ্রিয় লৌকিক সাহিত্য। সাহিত্যের অন্যতম এই প্রাচীন শাখার উৎস সাধারণ মানুষের সহ�
Comments