তোফায়েল তফাজ্জলের দুটি কবিতা

 তেতো কথা 


জানতাম, উচিত কথা তেতো – তা গ্রহণে আগ্রহী কানের সংখ্যা 

হাজারো ঝিনুক খুঁজে মুক্তার সন্ধান; 

গলদঃকরণে অনেকেরই বমিভাব। 

কিন্তু ইদানিং মুখের গহ্বর ছেড়েছুটে আসা যুত্সই শব্দ বা গোছানো কথাকে 

ভাবা হয়, চলাচল পথে খাড়া করে রাখা কাঁটা, ব্লেড, চাকু 

কিংবা নিশানসই গুলির চেয়েও অধিক হুমকির।

এসবের প্রধান কারণ, নষ্ট-পঁচা, ভেজাল, অবৈধে দখল নিয়েছে 

বাসিন্দার রুচিবোধে ।লালসার রসে পেয়ে বসা  

মনের তালিকা হচ্ছে লম্বা, যোগদানেও আছে সমগোত্রীয়রা সারাক্ষণ।

রক্ত কণিকায় মিশে যাচ্ছে বাসি-বর্জ্য আশংকাজনক হারে

এবং বিবেকে পড়ছে পর্দা: আবর্জনা-আস্তরণ। 


এর মুক্তি ? জাতিকে জরুরি গিলে যেতে হবে আত্মশুদ্ধি-বড়ি 

যদিও তা রুচিতে রক্তিম বাদ সাধবে।


____________________


নষ্ট স্বীকারোক্তি


বাঘ, সিংহ শিকারেই যেখানে কাঁপেনি হাত 

সেখানে শেয়াল, শাখামৃগ, কাক, চিল, শকুনের বংশধর 

নির্বংশের আগাগোড়া ছক এঁকে মাঠ ঠিক রাখা, 

পথের শৈবাল পিচ্ছিলতা দূরে ঝাড়ু-ঝাঁটা মারা

কিংবা রক্তের গরম ঢালা

দৈনন্দিন দায়ের মাঝেই অগ্রগণ্য;

এমন চরিত্র ইদানিং কাড়ছে দৃষ্টি সকলের 

এবং এসব অপকর্ম হাটে-বাজারেও চলছে চড়া দামে!

তাই, রথ পড়বার পূবের বেলাতেই

আবহাওয়া অনুকূলে ধরি ছাতা, পরি পরিচ্ছদ। 

আর তুমি স্খলনের ইটালিক বাঁকা অজুহাত খাড়া করে

না শুনলে আমার কথা, না হাঁটলে পদাঙ্কে,

নিজ কানে তুলো এঁটে থেকে গেলে বধির, সেকেলে। 


এই যমানায় ঠিক পথেই আছে পা – কী বলেন ?

Comments

Popular posts from this blog

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩০ || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র || World Sahitya Adda Sarod sonkha 1430

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩১ || Sarod sonkha 1431 || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র