Monday, November 1, 2021

প্রাবন্ধিক ভানু শঙ্কর -এর একটি প্রবন্ধ

 বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেঁড়ো 





একটা ভুলকে ঢাকা দিতে গিয়ে আবার একটা মহাভুলের পাহাড়! এ যেন সূর্যের কাছে পৌঁছতে না পেরে হ্যারিকেন- আলোর সন্ধান করা। বা মানব বন্ধন বাজির অনুমতি দেবার মতোই ঘটনা।যদিও আমার নামের আগে পরে কোনো সেলিব্রেটি তকমা নেই একজন অতি সাধারণ জীবিত নাগরিক মাত্র আমি। তাই -- কী বলছি খুলেই বলি -- জাতির মেরুদন্ড হচ্ছে শিক্ষা। সেই শিক্ষাটাকে জলাঞ্জলি দিতেই কি কোনও বিশ্ব নিয়ামক এই বিধান দিচ্ছে! মনে হয়। ইতিপূর্বে যাঁরা মারা গেছেন তাঁরা নাকি করোনায় ভুগে আক্রান্ত ছিলেন। ভুল। ভুল। ভুল। তাঁরা হয়তো অন্য কোনো রোগে মারা গেছেন। শুধু নামকরণে কী আসে যায়! গোলাপকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন সে তো সুগন্ধ দেয় সুগন্ধই দেবে। এই করোনা নামকরণটাও হয়তো চিন আবিষ্কার করেছে- হতে পারে। যেমন ঝড়ের আজকাল নতুন নতুন নামকরণ হচ্ছে। যে দেশ নাকরণ করলো ( আন্তর্জাতিক নিয়মানুসারে)ঝড়ের তীব্রতা তাতে কম না বেশি সেটা কি ঐ নামকরণের মধ্যে নিহিত থাকে ? সেই দেশটাই কি ঝড়ের উৎপত্তি স্থল! না। সেই রকম একটা নতুন রোগের নামকরণ করে কোনও বিশ্ব নিয়ামক সংস্থা শিক্ষাটাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যেতে তৎপর। না হলে বার, রেষ্টুরেন্ট , বাস, ট্রেন, বাজার খোলা আর শিশুরা স্কুলে গেলেই করোনা আতঙ্ক!

   আসলে, কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবী মানুষ নিজেদের কতৃত্ব কায়েম রাখতেই বোধহয় শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর এমন আঘাত করে তাকে শেষ করতে উঠে পড়ে লেগেছে। কারণ তাদের মস্তিষ্কের মধ্যে জেগেছে শিক্ষিত হলে যে বিচার বিশ্লেষণ এসে আঘাত করবে মনের দরজায়। তখন মানুষ ঠিক না ভুল বুঝতে পারবে। তাই শিশুদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করার কূট চক্রান্ত করে অশিক্ষিত রাখার প্রয়াস বলেই মনে হয় আমার। তাই স্কুল বন্ধ।

কেন এখনও স্কুলের দরজায় তালা!? করোনা বাড়ছে এই অজুহাত দিয়ে-- -- আবার বন্ধ বা লকডাউনের প্রস্তুতি নয়তো!? নাহলে নবম দশম শ্রেণী থেকে স্কুল খুলবে আর একদম শিশু মন আঙুল চুষবে? কে এমন বুদ্ধি যোগাচ্ছে!

   ওগো মনোবিজ্ঞানীগণ ! দয়া করে ভেবে দেখুন কী মারাত্মক ক্ষতি আমাদের আমরা করছি!? স্কুল খুলুক। ক্লাস চালু হোক--। একদম স্বাভাবিক হোক সবকিছু। সরকার ভাবছে হয়তোবা আমার কত ক্ষমতা! আমার নির্দেশ ছাড়া স্কুল কলেজ বন্ধ। হ্যাঁ এতে সরকারের তৃপ্তি উৎপাদন হচ্ছে হয়তো। কিন্তু সব যে শেষের পথে! খুলে দিন স্কুল। শিশুদের বাবা মা রা আনন্দে গা না ভাসিয়ে শিক্ষা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল হবার সুযোগ পাক।

    যদি সত্যিই করোনা বলে কোনও রোগ থেকেও থাকে তাকে নির্মূল করতে স্কুলের দরজা বন্ধই কি যথেষ্ট মনে হয়! কী ভাবছেন নেতা নেত্রী সহ সমস্ত সরকার বাহাদুর?!

    আমার মতো বেশ কিছু মানুষ জানেন-- করোনাটা কোনও রোগই নয়। এটা শুরু থেকেই ভাঁওতা। যে ডাক্তার বাবু অল্প ভিজিট নিয়ে ডাক্তারি করতেন তিনিও ঐ করোনা রোগের ভয় দেখিয়ে ভিজিট বাড়াতে পেরেছেন। হাতুড়ে ডাক্তার মাত্র ত্রিশ টাকার ভিজিট নিতেন এখন সেটা সত্তর টাকা; ভাবা যায়! কেননা করোনা আতঙ্ক! হঠাৎ কী এটা হয়!? এই রোগের নামকরণটাও হয়তো চিনই করেছে-- তাই হয়ত ভাবছি-- রোগটা চিন থেকে এসেছে। এটা সর্বৈব ভুল। ঝড়ের নামকরণ যে দেশই করুক না কেন ঝড়ের দায় কি তার!? না। সেটা যেমন সত্যি। এটাও তাই।

   অতএব কাউকে বিদ্রুপ বা কারোর বিরুদ্ধে বিষোদগার না করেই বলছি-- "শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড"ভেবে শিক্ষা চালু করা হোক-- এখনই এই মুহূর্তে।

   নইলে ঐ বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেঁড়ো হয়ে সবই মিথ্যে হয়ে যাবে!

        নবম শ্রেণী থেকে নয় সব স্কুল শ্রেণীর দরজা খুলে দেয়া হোক যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এখনই। এছাড়াও প্রাইমারি স্কুল শিক্ষকরা বসে বসে মাইনে গুনছে আর ছেলেদের মাথা খাচ্ছে কারণ --সুধা বিলিয়ে অন্তত যারা সমাজের ক্ষতি না করেও ভালো ছিল তাদেরকে বিলাসবহুল মদ বা কারণ সুধা খাইয়ে সমাজকে দূষিত করছে। । সেটাও বন্ধ হবে তাহলে। সবকা বিকাশ সবকা সাথ।বন্দে মাতরম। জয় হিন্দ। জয় বাংলা।

No comments: