কন্যা সন্তা
কন্যা, সেও তো বাবা-মায়ের এক সন্তান,
তবুও বিবাহের সময় তাকে করতে হয় দান।
জন্ম থেকে কত আদর যত্নে সে বড় হয়,
তবে কেন সে বিবাহের পরে বাবা-মায়ের নয়?
কন্যার সুখের জন্য চলে কত কিছু আয়োজন,
মেটায় তার সব চাহিদা যা কিছু প্রয়োজন।
একটাই ইচ্ছা যেন তার মুখে হাসি থাকে সারাক্ষণ,
দুঃখের পরশ যেন না লাগে সুখে থাকে সারা জীবন।
কন্যার মুখের হাসি দেখে যারা জীবন কাটায়,
অথচ একটি বিবাহ বন্ধনে বুক খালি হয়ে যায়।
থাকে না আর তার প্রতি আর কোন অধিকার,
তাকে কাছে পেতে গেলে লাগে দিন ,ক্ষণ ,বার।
একদিন যে ঘর ভরে থাকতো হাসিতে খুশিতে,
কন্যা বধূ হয়ে সে খুশি নিয়ে যায় অন্যের ঘরেতে।
পড়ে থাকে শুধু তার রেখে যাওয়া স্মৃতি গুলো,
মেয়েকে খুঁজে পেতে মোছে বইয়ের বালি ধুলো।
সময় কাটাতে মেয়ের ভাঁজ করা জামা গুলো খোলে,
আবার নতুন করে ভাঁজ করে আলমারিতে তোলে।
ভুল করে নাম ধরে যখন তাকে আদর করে ডাকে,
হঠাৎ ভুল ভাঙে, মনে পড়ে ডাকলেও পাবেনা তাকে।
বুকের ভিতরটা ব্যাথায় কষ্টে দুমড়ে-মুচড়ে যায়,
কষ্টগুলো অশ্রু হয়ে চোখের কোণ দিয়ে বায়।
হৃদয় হয় উথাল পাথাল বোঝেনা তো কেউ,
ঘরময় রেখে যাওয়া স্মৃতি গুলো শুধু তোলে ঢেউ।