বিসর্জন
আগমন-কালে দিকে দিকে ছিলো আগমনী গানে ভরা
উমা এসেছিলো বাপের বাড়ীতে পড়েছিলো তারই সাড়া
শিউলি চুমেছে চরণদুখানি,শিশির ধুয়েছে পা
কাশফুল তাই সোহাগ-ভরে দুলিয়েছে তার গা।
জগজ্জননী মা আমাদের দনুজদলন করে
অশুভশক্তি হার মেনে তাই মায়ের চরণ ধরে
সন্তানেরা সব মেতে উঠেছিলো, আনন্দে মাতোয়ারা
আজ বিদায়ের সুর বাজে ঐ,সবাই আকুলপারা।
সপ্তমীতে এলো মা জননী চতুর্দোলায় চড়ে
মহা-অষ্টমীর সন্ধিক্ষণে সব পূজার মন্ত্র পড়ে
নবমী তিথিতে কতো কিছু 'বলি' অর্ঘ্য দিলাম তাঁরে
দশমী তিথিতে মিষ্টিমুখ আর বিদায় অশ্রু ঝরে।
আর দুটো দিন থেকে যাও মাগো ,ওগো আনন্দময়ী
তোমার প্রসাদে মর্ত্যবাসী যেন হতে পারে জয়ী
বাবা-ভোলানাথ বড়ো অভিমানী ,কৈলাস আছে ফাঁকা
পার্বতী বিনা শিব কি সেখানে থাকতে পারেন একা?
নন্দী-ভৃঙ্গী যতো অনুচর সবাই যে খোঁজে মা-কে
শিব-ঘরণী বিনা শিবের আলয়?যেতেই হবে তাঁকে
বিসর্জনের বাদ্যে বাজলো অতীব করুণসুর
আকাশে বাতাসে সেই সুর ভেসে চলে যায় বহুদূর।
আনন্দময়ীর আগমনে ছিল এ ধরণী মাতোয়ারা
মা চলে গেছেন, সন্তানেরা সব হয়েছে মাতৃহারা
আবার এসো মা-আনন্দময়ী অসুরনাশিনী তুমি
আসছে বছরে চরণপরশে ধন্য হবে এ ভূমি।
No comments:
Post a Comment