কবি চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী -এর একটি কবিতা

আমি তো রেখেছি কথা 

 


নিজের দিব্যি করে বলছি আমি তো রেখেছি কথা 

ফুসফুস শুকিয়ে করেছি অর্জন শিক্ষাগত যোগ্যতা ।

লম্ফের আলোয় ভরেছি অঙ্কে যতসব সাদা খাতা 

পড়ে পড়ে দিন রাত জ্ঞানে পাঁকিয়েছি সতেজ মাথা ।

মা গয়না বন্ধকে দুধের রোজ করেছিল দুটি বেলা 

আমাকে পড়াবে বলে বাবা ভেঙেছিল মাটির ঢেলা ।

কষ্ট দেব না বলে মা উপোস চিবিয়ে রাখে মুখে হাসি 

কত সুখে আছি জানাতে বাবা বাজায় বাঁশের বাঁশি ।

যে দিন কাঁপিয়ে আকাশ উত্তীর্ণ হলাম ভালো ফলে 

এবার উঠোনে হাসবে ফাগুন মাস ওরা সব গেল বলে ।

মা দেখল স্বপ্নে তার ভাড়ার ঘরে চাঁদ হেসেছে উঠে 

বাবার যত ছিল অভাব সব নাকি গেছে ছুটে।

এখন আমি বেকার যুবক দিন মজুরী রোজ খাটি 

মনের যত স্বপ্নছিল সব গিয়েছে বেদনায় আজ টুটি।

মায়ের গায়ের পুরাতন শাড়ি রঙ অবিকল ফিকে 

শিক্ষিত করতে গিয়ে খুইয়েছে ধানজমি দুই বিঘে।

আমাদের ভাবনা নিয়ে তোমাদের থাকে কি মাথা ব্যাথা 

যুগে যুগে এমই ভাবে মরে ভূত হয় প্রতিশ্রুতির কথা।

আর বাজিও না বাজিও না তোমাদের তেরে না না না

একবার দাঁড়াও আয়নার সামনে দেখ লজ্জা লাগে কি-না? 

Comments

Popular posts from this blog

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩০ || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র || World Sahitya Adda Sarod sonkha 1430

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩১ || Sarod sonkha 1431 || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র