কবি মিলি দাস -এর একটি কবিতা
অর্ধসমাপ্ত শক্তি
পুরোনো জীর্ণ সংসার ফেলে হারিয়ে গেলে গৌরী পাজামার দেশে,
ক্ষতি হয়ে গেল একটা জীবন,
তবুও বলেছিলাম দাও, কিছু দিয়ে যাও।
বাঁচিয়ে রাখার জন্যই তো কিছু দিয়ে যেতে চেয়েছিলে।
প্রস্ফুটিত রজনী গন্ধার আবেশে কেটেছে কত দিনরাত,
কিশোর বেলার ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখি, বিজয়া দশমীর বিসর্জনের বিষাদের সুর একাত্ব হয়ে মিশে গেছে ঘরের আনাচে কানাচে।
এ বয়সে কোন উৎসবেই যেন কিছু নেই এর ছবি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
মধ্যরাতে শক্ত পাথর ভাঙা ছেলেটি তাঁর সর্বস্ব বিকিয়ে দিয়ে সমাধিতে শুতে এসেছে আজ।
এইটুকু জীবনে অর্ধসমমাপ্ত গভীর সুখ আর কত পোড়াবে!
বৃষ্টি এলে ক্ষুরের ঝড়ের মত দাগ লেগে থাকে নিজস্ব ফুলের জঞ্জালে।
জুঁই মাধবীর দিকে তাকিয়ে বলি প্রেম দাও প্রেম দাও,একাকিত্বের জনতার ভীড় থেকে একটু প্রেম এনে দাও।
আমি দেখতে পাই -
ফিরে যাওয়ার উৎস দেখে মানুষ ভয় পেয়েছে।
চিঠি লিখে জানতে চেয়েছিলাম গভীর দুঃখের মাঝে কোন সুখ লুকিয়ে আছে?
নির্ভয়ে চেয়ে থেকে বলেছিলাম ,
আজ তবে থাক,আবার আসছো কবে?
কিসের এত কাজ ,কেন এত দূরে দূরে থাকা?
বলেছিলে ধান কোটা শেষ হলে,
নেমে আসা অন্ধকারের মাঝে একটি কবিতা টাঙাতে হবে।
তখনই সকলকে বলবো আমায় এবার নিয়ে চলো।
আমি চিৎকার করে বলবো
আমাকে জাগাও, আমাকে জাগাও।
আমি দেখতে চাই কে বেশি সুন্দর?
এভাবেই উন্মাদনার কীর্তনগুলো শেষ হয়ে যাবে একদিন,
এভাবেই শেষ হয়ে যায় অর্ধসমাপ্ত গল্পগুলো।
Comments