লেখক তুলসী দাস বিদ -এর একটি গল্প

অনুভব



এতদিন যা গোপনে - আড়ালে আবডালে চুপিসারে হতো এখন আর তার দরকার হয় না। হবেই বা কেন? উন্নত প্রযুক্তি, উন্নত মস্তিষ্ক - উন্নত সভ্যতা - তার কি কোনো মূল্য নেই।কে বলল নেই? আলবাৎ আছে। অতি আধুনিক যুগের ছেলেমেয়েরা তাদের হাতের মুঠোয় সারা পৃথিবী। আমাদের মত প্রাচীনপন্থী কেন হবে? কথায় কথায় ওরা একগাল হেসে বলে "ও তোমরা বুঝবে না, সেকেলে ব্যাকডেটেড মানুষ। সত্যি তো এত ভারি বয়সে ওসব বোঝারই বা কী দরকার? এরকম রঙ্গলীলার চিত্রনাট্য বুঝব - এমন সাধ্য আমার বাপেরও নেই। তর্জনীতে বোতাম টিপে টিপে টিক - টিক - টিক - এ ভাষা বইতে আর চর পুষতে হয় না। নিমেষে সব হাসিল হয়ে যায়।


 যায় হোক বাজার থেকে বাড়ি ফিরছি, জনবহুল রাজ্য সড়কের উপর প্রকাশে দুজন... রোদ ঝলমল করছে। চোখের পর্দায় ভেসে উঠলো সুলভ দৃশ্য।ছেলেটা না চেনার ভান করে ঘুরে দাঁড়ালো। আমিও দশ পা এসে অছিলায় নয় নির্লজ্জ কৌতুহলী হয়ে আবার ফিরে চাইলাম - সে এক কুচ্ছিত-বেল্লালাপনা। ছেলেটা খুব পরিচিত, হতদরিদ্র, সুপুরুষ, পুরোনো মেধাবী ছাত্র। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে কলেজে পড়তে এসেছে। বাবার কায়িক পরিশ্রমের রোজগারের যথার্থ ব্যবহার করছে ছেলে। অনুমান করলাম - আমার প্রিয় ছাত্র - সেই অনুভব। পরের দিন - একই পর্ব - বুকে একটা ব্যথা অনুভব করলাম - আমিও প্রাণ ভরে হাসলাম, মনে মনে করলাম, সোনায় সোহাগা- একদিকে নেট এর নেট ছড়ানো আর অন্য দিকে করোনার মুখোশ - মানুষ চেনা দায়!

Comments

Popular posts from this blog

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩০ || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র || World Sahitya Adda Sarod sonkha 1430

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩১ || Sarod sonkha 1431 || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র