কবি সৌমেন কর্মকার -এর একটি কবিতা
শোক
চুপ হও,
দেখছোনা স্তব্ধ এখানে প্রাণ—
একলহমার জন্য হারিয়ে গেছে হাসি নীহারিকার গহীনে,
কান্নার গর্জন শ্রুতি—
ধরণীর কুঞ্জবন হতে ওই গগন চুম্বী পর্যন্ত,
বাঁধভাঙা অশ্রুর ধারা সবার চোখে।
ধূপের গন্ধ বয় তবুও,
বিষাদের সুর।
চেয়ারের ওপর রাখা একখানা ছবি,
ফুলের মালা জড়ানো—
ঘুমোচ্ছে সে,
আজ তার নির্বাক শ্রোতা হওয়ার দিন।
সাদা চাদরে ঢাকা দেহ'টার—
ওপর কত কারোর মায়া ছিল,ভালোবাসা ছিল।
চমকপ্রদ এক অট্টালিকা-রাশি রাশি ধন-সম্পত্তি ভরা,
স্ত্রী-আর দুই সন্তান—
দেখে মনে হয়েছিলো কি পরিমান সে সুখময়—
আসলে সুখ ছিলোই না তার কপালে,
একুল—অকূল খুঁজে খুঁজে আজ তার এই পরিণাম,
কাঠের বিছানা তৈরি—
শেষবারের মত একটিবার নাম ধরে ডাকা,
ক্লান্ত হয়ে শোবে সেই মৃত পুরুষটি—
প্রকৃতির মুখ দেখো চেয়ে করুন নীরবের ভূমিকায়,
মুক্তির দণ্ড ছোঁয়ালো,
অগ্নিষ্পর্শ তার চোখে মুখে,
সেই মুহূর্তেই;
দাউদাউ করে জ্বলে ওঠা।
মৌনাবৃত চিৎকার—
জ্ঞানশূন্য! বোঝে না কেউ,
বুক জুড়ে পৃথিবীর চূড়ান্ত শান্তির তারল্য—
বিনিময়ে হবে একমুঠো নিষ্কলঙ্কিত ছাইয়ের গুড়ো,
ইতি হলো সেই ছোট্ট জীবন টার,
না! ভুল বললাম;
ছিনিয়ে নেওয়া-লুণ্ঠিত-অনতিক্রমনীয়—
সাক্ষী রইলো ঠাঁই নিত্যপ্রবাহ গঙ্গার বেহদ্দ সৈকত।
তবুও রয়ে গেলো নিরুত্তাপ সে,
যাকে নিয়ে এতকিছু দুঃখ-এতকিছু শোক।
Comments