কবি অভিজীৎ ঘোষ -এর দুটি কবিতা
আজব জেরা
এইতো সেদিন পুলিশ মামা
গ্রামের ভিতর এসে,
দাসুর বাড়ি ডুকলো সবাই
ধরলো তারে কষে।
নিয়ে গেল জীপে তুলে
থানার রাস্তা ধরে,
ভগবানকে ডাকছে দাসু
ভয় ভরা অন্তরে।
পুলিশ সুপার করছে জেরা
অস্ত্র কোথায় আছে?
ক্ষীণ স্বরে বললেন দাসু
'নেই তো আমার কাছে।'
ধমক দিয়ে বলল পুলিশ
বলবি কিনা বল?
তোরা সবাই একই গ্যাঙের
সবটা তোদের ছল।
দাসু তখন বললো কেঁদে
শুনুন স্যার তবে ,
গ্রামের মুখে তিনখানি গাছ
তার দুখানি বাদ যাবে।
তারই পরে তিনখানা পথ
প্রথম দুটি বাদে,
গেলেই পরে দেখতে পাবেন
মোর পরিবার কাঁদে।
সেই বাড়িতে তিনখানি ঘর
ঢুকেই দেখতে পাবেন,
প্রথম এবং দ্বিতীয় বাদে
তৃতীয় ঘরে যাবেন।
সেই ঘরেতে আছে রাখা
তিনখানা আলমারি,
প্রথম দুটি বাদ দিয়ে স্যার
তৃতীয়টা দরকারী।
তারই ভিতর তিনটি লকার
প্রথম দুটি ছেড়ে,
তৃতীয়টা খুলবেন স্যার
হাতল খানি ধরে।
দেখতে পাবেন তিনটি ছবি
তৃতীয় ছবিতে মা,
ঐ ছবির কশম খেয়ে
বলছি ধরে পা!
জানিনে মুই কোনো কিছু
অস্ত্র কিম্বা বোমা;
তাইতো বলি সবার মাঝে,
করুন আমায় ক্ষমা।
পুলিশ মামা বললো হেসে
ছাড়রে পাগল পা,
তোকে আমি দিলুম ছেড়ে
বাপি বাড়ি যা।
_______________________
চাওয়া-পাওয়া
চাইলি কেন হাসনুহানা,ভাবছি
তোকে গোলাপ দেবো;
বাইক চড়ার সখ ছিল তোর,
পক্ষীরাজে সঙ্গে নেবো।
খেয়াল বশে বায়না সেদিন,প্যারিস
নাহয় ফ্রান্সে যাবি;
নিয়ে গেলুম নরওয়ে, বললি
সেথায় ফুচকা খাবি।
আবার প্রাণে শখ ছিল তোর
নাইতে যাবি নায়াগ্রাতে,
স্নানের শেষে মিশর যাবি
প্রখর রোদে চুল শুকাতে।
যেতেই হলো আফ্রিকাতে
তোরই অভিমানের বশে,
ফিরতে হলো অস্ট্রেলিয়ায়
প্রেম-পিরিতির দারুণ জোশে।
আমার শুধু চাওয়ার ছিল
তোর সঙ্গ দু-দশ জনম;
হৃদয় ভরা সেই ক্ষতটা, ঢাকতে
যে তুই লেপলি মলম।
Comments