লেখক সত্যেন্দ্রনাথ পাইন -এর একটি গদ্য
একবিংশ শতাব্দীর আরও এক লজ্জা
আমাদের পাশের স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে ঘটে গেল এক লজ্জা জনক বীভৎস নারকীয় ধ্বংস। যে বা যারা ঘটালো সে বা তারা কোন সম্প্রদায়ের সেটা বড় নয়। বড় হলো ঘটানো হয়েছে। কিন্ত্ত কেন?
সারা বিশ্বে আমরা বাঙালিরা নিজেদের ধর্ম ও সংহতি এবং সংস্কৃতি নিয়ে বুক ফুলিয়ে চলি। কারণ, আমাদের ভাবনা-- ধর্ম যে যার ভগবান বা ঈশ্বর সবার!
সেখানে হিন্দু মন্দিরের ওপর ভাঙচুর বা ধ্বংস লীলা বাঞ্ছিত নয় নিশ্চয়ই। এখানে হিন্দু বা মুস্লিম বা শিখ খ্রীষ্টান নয় অত্যাচার হলে প্রতিবাদ ঘণীভূত হবেই। হয়েওছে। সারা বিশ্বে ইসকনের বিভিন্ন সংগঠন থেকে ঝড় উঠেছে। উঠুক। আরও বেশি বেশি ঝড় উঠুক। যারা এরকম ন্যক্কারজনক কাজ করলো তারা কী চায়! বাঙালির উঁচু মাথাটা টেনে নিচে নামাতে? নাঃ। তা হতে দেয়া যাবে না। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা কড়া হাতে দমন করতে চেয়েছেন বলে খবর। উত্তম।
যদিও লেখিকা তসলিমা নাসরিন একে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করে সরকারের ওপর দোষারোপ করেছেন। কিন্ত্ত নিরপেক্ষ ভাবে বলা যায় বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা এক্ষেত্রে সন্তোষজনক। আমরা পশ্চিম বঙ্গের বাঙালি হিন্দুরা হয়তো এটা নিয়ে বেশি মাথা ঘামাচ্ছিনা। ভাবখানা এমন যেন ওর হয়েছে তো আমি কী করবো!
মোমবাতি জ্বালিয়ে মিছিল করে বিশ্বের কাছে আমাদের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্যে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। যেহেতু আমরাই ভাষা দিবস হিসেবে বাংলাদেশের গণ আন্দোলনের পিছনে যুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক রূপ দিতে পেরে গর্বিত। সেখানে কতজন হিন্দু বা মুসলমান ছাত্র ছিলেন তার হিসাব তো করিনি। কারণ, আমরা বাঙালি। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। সেই বাঙালি হয়ে কেন এরকম লজ্জাজনক ঘটনা ঘটলো! কে দায়ী! কেন ই বা ঘটলো? এর পিছনে কি কোন রাজনৈতিক বা স্থায়ী পরদেশী ছাপ বা চাপ রয়েছে!? জানতে ইচ্ছে করে।
যে বা যারা এব্যাপারে সরাসরি যুক্ত সে বা তারা শুভ মস্তিষ্কের কিনা দেখতে হবে। সে বা তারা কী উদ্দেশ্যে এরকম ঘটালো সেটাও নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন।
আমরা এপার বাংলায় সুখে আছি, থাকবো ও। কারণ--
আমরা মনে করি----
একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান।
হিন্দু যার নয়নমনি
মুস্লিম যার প্রাণ।।
নমস্কার ধন্যবাদ। সব বাঙালির সুস্থতা প্রার্থনা করে শেষ করলাম।
Comments