কবি সৌমেন কর্মকার -এর একটি কবিতা
হোতাই একটি চরিত্র
নাদুস নুদুস লম্বা চেহারা তার
সক্কলে ভাবে তারে হদ্দ বোকা,
মফফসল জুড়ে মস্ত নাম ডাক
লোকে বলে উকিলবাবুর খোকা।
মুখে ক্যাবলা ক্যাবলা অঙ্গভঙ্গী
হাঁটলে পরে আগে আগে চলে পেট,
স্কুল বা যেকোনো দরকারি কাজে
সময় থাকতেও করে হামেশাই লেট।
খেয়ে দেয়ে যখন ঘুমোতে যায়
কেটে গেছে তখন আধা রাতটা,
ভোরবেলাতে তো ওঠেনাতো সে
ঘুম ভাঙে সকালে ঠিক আটটা।
সবুজ শাক সবজি কিবা ফল
ধুর ধুর ও সবেতে তার অনীহা,
মাছ মাংস ডিম চর্বি মুখরোচক
পাতে পেলেই বলে আহা আহা।
ঠাকুমা বাবা মা বলে বলে হয়রান
বিকেলে যায় নাকো মাঠে খেলতে
আলসেমি ও কুরেমিতে ফুরায় দিন
সারাক্ষণ বসে রয় মোবাইল হাতে,
আঁকাআঁকিতে ঝোঁক বেশ প্রখর
পড়াশোনাতেও আছে ভারী দম,
বোঝে শুনে লেখে খুব,পড়েও খুব
তবুও রেজাল্টে নম্বর পায় কম।
গ্রামে কি শহরেতে বেড়াতে গেলে
তার সনে যায়না তো পথচলা।
গল্প আর হাসাহাসি তে সে মশগুল
রাস্তা ঘাটে হয়ে যায় মন ভোলা।
প্রেমের কথা আর বিয়ের ফোরণ
বলোনা কেউ কোনোদিন খবরদার,
প্রথমে শুনে মুচকি হাসবে বটে
পরে উগ্র রূপে মাথা হবে লাল তার।
এমনি তে সে বড্ড সৎ শিষ্ট ভদ্র ছেলে
শরীরে পৈতে শিরায় বয় বামনের রক্ত,
পরিবারের সব্বাই আঁকা গান ছাড়াও
সে যে অন্ধ ভবমোচনী কালীমার ভক্ত।
দেখতে দেখতে এলো গেলো কত বছর
একে একে স্কুল জীবন শেষ হলো হায়,
ছোটোবেলার দুষ্টুমি বড়বেলার অভিজ্ঞতা
কাটিয়ে এখন কলেজে যাবে হোতাই।
Comments