Sunday, August 1, 2021

শ্যামল রায়ের একটি কবিতা

 অনেক কথা, শুনবে কখন?



আমার কাছে ,তোমার অনেক কথা

                                শুনবে কখন?

                                   জমাই থাক!

আমার কথা, তোমার বলার কথাই

মিল-অমিলের শুধুই স্মৃতি

গল্প বানায়, কবিতা হয়,

                      এসব শুনবে কখন?

                                  জমাই থাক!

                                    কথায় থাক

                                  মনেই থাক।।

ভালোবাসা গুমড়ে কাঁদে, কষ্ট হয় শুনবে কখন?

অনেক কথা, আমার কথা ,

কখন খেয়াল রাখবে? 

                                এসব কথা


                                   জমাই থাক  

                                  মনের মাঝে।                                                      

                                                           

                                                               

                                                    শুধুই স্মৃতি হয়ে।

তুমি ব্যস্ত, তোমার কথাতেই

আমি শুধু হারিয়েই যাই----

খোঁজ না পেয়ে।

তুমি নিকট ছিলে

এখন কেন ,অনেক দূরে?

নেইকো কথা, এখন কেন?

কথা যেন হারিয়ে যাচ্ছে---

আঁকাবাঁকা পথ গুলো ধরে!

শুধুই দাগ , মনটা জুড়ে

এসব কথা শুনবে কখন?

কথাতেই থাক

জমাই থাক।।

পারলে তোমার কথাগুলো

আমায় দাও সকালবেলায়

কথায় রেখে, স্বপ্ন দেখাও

কুয়াশা সরিয়ে শুধুই থাকো

""জুঁই ফুল'' জুঁই ফুলে।

জয়তী দেওঘরিয়ার একটি ছড়া

 বন্ধু মানে

     

বন্ধু মানে , শৈশব পাওয়া

          আনন্দে মাতোয়ারা,

বন্ধু মানে, গল্প-আড্ডা

           খুশিতে মন ভরা।

বন্ধু মানে, ঘোরা-ফেরা

         দেদার খাওয়া-দাওয়া,

বন্ধু মানে, হৈ-হুল্লোড়ে

          উজান স্রোতে বাওয়া।

বন্ধু মানে, বাড়িয়ে দেওয়া 

       শপথের হাতখানি,

বন্ধু মানে, যত্নে ভরা

         বন্ধুত্বের ডালাখানি।

বন্ধু মানে, অসময়ে

        পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি,

বন্ধু মানে,হাতে হাত রেখে 

স্বপ্ন পূরণের জ্যোতি।

বন্ধু মানে, সকাল বিকাল 

        শুভেচ্ছা বিনিময়,

বন্ধু মানে, বিপদ-আপদে

          পাশে থাকার অভয়।

বন্ধু মানে, কোমল পরশ

          স্নিগ্ধ আশার বাণী,

বন্ধু মানে, পরামর্শের 

          ভরসা অনেকখানি।

বন্ধু মানে, সুখ-দুঃখের

           সাথী ওগো তুমি,

বন্ধু মানে, শত বাধার

             মুশকিল আসান জানি।

বন্ধু মানে, ছলনা নয়

           বন্ধুত্বের সাথে,

বন্ধু মানে, আশায় বাঁচি

             হাজার দুঃখের মাঝে।

                              

                            

মায়া বিদের একটি কবিতা

 আ - মরি বাংলা ভাষা

           

মধুর মতো লাগে আমার

      জন্ম দাত্রী মাকে।

আরো মধুর মধুর লাগে

        বঙগ ভাষাটাকে ।

প্রথম যেদিন ভূমিষ্ঠ হই

        ডাকি মা বলে ।

মাই শেখান বলতে বুলি

     কথা বলার ছলে।

বাংলা ভাষায় আঁকি - বুকি

           নতুন বর্ণ শেখা।

মজ্জায় মজ্জায় বাংলা ভাষা

         হয়ে গেছে লেখা।

বাংলায় হাসি, বাংলায় কাঁদি

           বাংলায় গায় গান ।

সাধু, চলিত, বিকৃত হউক

    বাংলায় আমার ধ্যান।

বাংলা ভাষা আমার কাছে

        সোনার রত্ন খনি।

(আজ ও) গর্বের সাথে অহরহ শুনি

        বাংলা'র বিজয় ধ্বনি।

নৃপেন্দ্রনাথ মহন্তর একটি কবিতা

 কণ্ঠে নেই গান



আকাশ উপুড় করে ঢালে কারা জল

শহরে ভাসছে নাও,ট্যাক্সি অচল।

এ কি পানিয়া ভরণ!


বৃষ্টিতে ভেজে মন,ভেজে ঘরদোর 

বৃষ্টি ভেজায় সমস্ত অক্ষর 

এ কি দেহাতি ধরণ?


বৃষ্টির জল জমে চোখের পাতায়

মাথাটাও বাঁচবে না ঝাঁঝরা ছাতায় 

নিঃস্ব জনগণ। 


ধুতি শাড়ি পাজামা কামিজ ভেজে ছাদে

কবিদের খাতা ভেজে খসে পড়া চাঁদে

ভেজে প্রতিটি চরণ।


বেহায়া বাতাস এসে এলোমেলো করে

কোনো আবরণ তো ছিল না অন্তরে 

তাই রক্তক্ষরণ। 


আমার ছিল না,নেই কোনো পিছুটান 

আমার কণ্ঠে নেই বর্ষার গান

যা হৃদয়হরণ।

চিরঞ্জিত ভাণ্ডারীর একটি কবিতা

 ধান পাক্যেছে মাঠে


আঘন মাসট সিমেই গেল মাঠ ভরেছে ধানে

হুদকে উঠে পরাণট মাইরি চিবাই মিঠা পাতি পানে।

কামার ঘরে আনলম পাঁজাই কাস্তাতে চাঁদ হাসে

পাঁকাল ধানের গন্ধটা আজ গোলাপ হয়ে ভাসে।

যুত্যাই লিলম গরুর গাড়ি সাথে হিলা বাড়ি 

গিলাস ভরে লিব গিলে টাটকা খেঁজুর তাড়ি ।

চল বউ চল কাইস্তা হাতে ধান পাক্যেছে মাঠে 

যাবার পথে জল খাব ঐ শালুক ফুটা ঘাটে ।

পান সুপারী দক্তা বিড়ি বাঁধ গো শাড়ির খুঁটে

চাল সিজাতে কাঁচা লঙ্কা পিয়াজ লিবি কুট্যে ।

সোনায় ভরা ক্ষেতের মাঝে তুকে সুহাগ দিব ভরে

বলবি খুল্যে পরাণের কথা মুর হাতটি ধরে ধরে।

কেঁথা কাঁটার চিরুণ করে আঁচড়্যে দিব চুইল

মাথার খোঁপায় গুঁজ্যে দিব লাল গেঁদারই ফুল।

কলমিলতার লুপূর দিব,কানে অপরাজিতা দুল

কাঁইচ-ফলের টিপ পরাত্যে করব না গো ভুল।

ধান কাটত্যে পিরাই যাবেক আস্ত একটা দুপুর 

মনটা ভালো করার লাগ্যে দিব আড়বাঁশিতে সুর।

গুটাই লিয়ে কাজকম্ম ফিরব সাঁঝের বেলা

দেখব আসে হাসছে বেদম সাঁঝ প্রদীপের আলা।

লাল মাটিট সুহাগ ঠাসা আমরা রাঢ় বাংলা বাসি

উঠান ভরা পুন্নিমা চাঁদ বেদম ভালোবাসি বেদম ভালোবাসি ।



সত্যেন্দ্রনাথ পাইনের একটি কবিতা

 সব জায়গায় ডাক্তার লাগে না 


    বাড়িতে প্রসুতি! 

এ্যাম্বুলেন্স ডাকতে হবে

 এক্ষুনি ডাক্তার চাই। 

লেবার রুমের দরকার। 

নর্মাল বা সিজার (যাই হোক লাগবে)! 


সন্তান জন্ম নেবে 

সে পুরুষ কিংবা নারী

যে কোন লিঙ্গের হতে পারে। 


মানুষ হোলো কিনা--

কে দেবে উত্তর! 


মানুষ হতে যে এ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার, নার্সিং হোম

 কিংবা টাকার প্রয়োজন নেই। 


চাই শিক্ষা, চাই মানবিকতা

চাই পারিবারিক শিষ্টাচার

চাই শালীনতা, চাই অপরাধ বোধে

নিজের প্রতি বিদ্বেষে

একটা স্বচ্ছতা আনার বোধ

হয়তোবা আরো আরও কিছু। 


মানবিকতা কেনা যায় না। 

বিক্রিও হয়না কোথাও। 


শিখতে হয়। 


মানবিক হতে হয়। 

যে সন্তান জন্মালো

তার দোষ নেই। 

তাকে মনুষ্যত্ব শেখাতে হবে

মানবিক করার লক্ষ্যে এগিয়ে দিতে হবে। 


মানুষ হয়েছি কিনা

 নিজেকে বারবার প্রশ্ন করতে হবে


মানুষ হতে-- ডাক্তার লাগবে না। 



তীর্থঙ্কর সুমিতের একটি কবিতা

 প্রয়োজন



আজও কোথায় যেনো

এক আকাশ বুকের হাহাকার

মাটিতে সোঁদা গন্ধ পাইনা

দিন কেটে যায়,রাত কেটে হয় ভোর

আলোগুলো ক্রমশ ...

সময় নিশানায় ঘোড়া ছুটছে

টগবগ টগবগ

বিশ্বাসে আজও চায়ের কাপটা

ডিসে বসানো

না হয় সারা আকাশ জুড়ে একটাই নক্ষত্র থাকুক


সুভাষ - আজ তোমায় বড় প্রয়োজন। 

চিত্তরঞ্জন সাহার দুটি ছড়া

 শিশুদের কষ্ট

    

কচি কচি শিশুরা

স্কুলে যায়,

পিঠে বোঝা বই টেনে

কষ্ট যে পায়।


ব্যাগে থাকে পেন্সিল

তিন হালি খাতা,

কি করে ঠিক থাকে

শিশুদের মাথা।


ওজনটা খুব বেশী

খাতা অার বই,

দুঃখটা বুঝবে

সে মানুষ কই ?


মা বাবা ব্যস্ত

ভোর বেলা ওঠে,

নাস্তাটা সেরে তাই

স্কুলে ছোটে।


খেলাধুলা ভুলে গেছে

সময়টা কই ?

দিনরাত সাথে থাকে

বই অার বই।


ডোরেমন ভালো লাগে

তবু মানা করে,

এত কিছু ছোটদের

মগজে কি ধরে।


শিশু অার শিশু নেই

যেন বই মেলা,

কচি কচি মুখগুলো

বড় অবহেলা।

_________________________________


হেমন্ত এলো ফিরে

         

পাগলা বাতাসে ভেসে ভেসে বুঝি

হেমন্ত এলো ফিরে,

খুশীর দোলায় মেতেছে সবাই

সুখের পরশ ঘিরে।


মাঠে মাঠে দেখি পাঁকা পাঁকা ধান

চাষীরা গায় প্রান খুলে গান।


ফড়িং নাচে অাপন মনে

প্রজাপতি করে খেলা,

সারা বাংলায় কিশোরের দল

মন খুলে করে খেলা।


ঘরে ঘরে অাজ ধানের গন্ধ

কবিরা লেখে কত ছন্দ।


সাদা ঝলমল মুক্ত অালো

হেমন্তের এই দিনে,

খেজুরের রস বড় মিষ্টি

বাঙালিরা খায় কিনে।


হেমন্তের এই হিমেল সকালে

সূর্যমামার অাশায়,

মুঠো মুঠো সুখ যেন ফিরে অাসে

অঢেল ভালবাসায়। 

তন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের একটি ছড়া

 মোবাইল 


দুনিয়া এসেছে হাতের মুঠোতে প্রানপাখি খাঁচা ছাড়া 

দেখে সবে বলে কি দারুণ চিজ দেখিনি এমন পারা। 

হাতে যদি নাহি থাকে মোবাইল বুঝি প্রাণ নাই ধড়ে 

জানিনা ঠাকুর এ চিজ বিহনে বাঁচবো কেমন করে। 

দিবসে কি রাতে যত কথা হয় কমই তার দরকারি 

“হ্যালো হাই” আর “কোথা আছো তুমি” এ কথাই চলে ভারি। 

“টিফিনের প্যাকে দিয়েছি পরোটা খেতে ভুলে গেছো নাকি 

খেয়ে নিও ফল যা দিয়েছি কেটে কিছুই রেখো না বাকি”। 

আমি ভাবি কত ভালোবাসে মোরে খোঁজ নেয় ঘড়ি ঘড়ি 

আসলে মৃত না বেঁচে আছি আমি জানাটা যে দরকারি। 

ল্যান্ড ফোন এত ব্যাস্ত ছিল না থাকতো ঘরের কোনে 

নেহাৎ বিপদ ছাড়া কখনোই পড়তো না কারও মনে। 

আজকে মানুষ কোন কাজ ছাড়া ব্যাস্ত ভীষণ রকম 

হাতে যদি কোন কাজ নাও থাকে করে সদা বকবকম্। 

ঘরে কি আপিসে যেখানেই থাকি থাকে না তো কথা বন্ধ 

প্রতিদিনই প্রাণ যায় অকাতরে রাস্তা তে যেন অন্ধ। 

পাশের সীটেতে বসে আছে কেউ ভ্রূক্ষেপ করি নাকো 

অসুবিধা হলে ভাড়া করো গাড়ি নইলে চুপই থাকো। 

স্ট্যাটাস বেড়েছে স্ট্যান্ডার্ড হাই ফোন ধরা থাকে হাতে 

জ্ঞান কতদূর এলেম কতটা সব ঢাকা পড়ে তাতে। 

কেন যে জানিনা থাকলে পকেটে হাইফাই প্রোফাইল 

স্ট্যাটিক জীবনে দুরন্ত গতি সাধ্যের মোবাইল।।



মধুপর্ণা বসুর একটি কবিতা

 ইচ্ছা মুক্তি


সত্যি কথাগুলো কণ্ঠনালীতে কান্নার মতো ঠেলে ওঠে,

রোজ জলের সাথে ইচ্ছেগুলো গিলে রাখি পেটের ক্ষুদ্রান্তে,         

নকশা করা যবনিকা উঠে যায়, মুহূর্তের ব্যবধানে,

আমি প্রজাপতির রঙিন ডানায় বাতাসের গান শুনি,

বসন্তে, বর্ষায়, মেঘের ডাকে, হৃদয়ের তাল গুনি।

নবযৌবনা কামিনী ছদ্মবেশে ঝর্ণার ছন্দে নূপুরের রুমঝুম বাজে বুকের শূন্য প্রান্তরে......

একটা সদ্য যুবক যদি অবাক ভ্রান্তিতে তাকায়,

ঢেউ খেলে যায় নির্ঘুম রাতে, ভাবি আজ স্বপ্ন দেখবো,

বয়সের চোখ রাঙানি এক চুটকি বুকের সুগন্ধি শ্বাসে লোকাবো।

আর দুহাত তুলে কামগন্ধা আমি, আরশি দেখে সেই মেঘবরণ কন্যা হব,

অন্ধকার রাতে সাদা শয্যায় চাঁদ মেখে ইচ্ছের তরীতে পাড়ি দেবো..

আর ফেরা হবে না, হয়েতো কোনদিন         

যতক্ষণ না কেউ ঘুমের প্রায়ান্ধকার থেকে সুপ্তির ডাক দেয়,

আর তখন কান্না গেলা ইচ্ছেরা মুক্তির স্পৃহায় জড়াবে আমায়।


বদ্রীনাথ পালের দুটি ছড়া

    রহস্য


খোকন শুধায় মা'কে তাহার ''বলতে পারো তুমি-

আকাশ কেন নীল হল আর সবুজ বনভূমি ?

সাগর হল নোনা কেন, ফুল কেন মা ফুটে-

নদী কেন সব ছেড়ে মা সাগর পানে ছুটে" ?


মা হেসে কন "বলব কি আর,শোন ওরে তুই খোকা-

প্রকৃতির-ই খেলা এসব,এই জেনে রাখ বোকা !

ভুমিকম্প হোক না কেন, হয় যদি বা খরা-

জানবি সব-ই এই প্রকৃতির খেয়াল বশে করা।

লেখাপড়া শিখে যখন আরও বড় হবি-

জানতে তখন পারবি খোকা,এ রহস্য সব-ই" !

___________________________


       গবেষণা


ব্যাকরণ ফাঁদে পড়ে 'ঘাম' যদি 'ঘর্ম'-

কেন নয় 'আম' তবে হয় যদি 'অর্ম' !

'হাসি'-টার দোষ নাই হয় যদি 'হাস্য'-

কোন্ দোষে দোষী তবে 'বাঁশি' হলে 'বাস্য' !

'চাঁদ' যদি হতে পারে ভালোবেসে 'চন্দ্র'-

কিবা দোষ 'ফাঁদ' যদি হয়ে যায় 'ফন্দ্র' !

আকছার্ দেখা যায় 'ধান' হয় 'ধান্য'-

গোলমাল কেন তবে 'গান' হলে 'গান্য' !

এইসব গবেষণা করে কবি সদ্য-

ভুতনাথ লিখে ফ্যালে একখানি পদ্য।

তৈমুর খানের একটি কবিতা

    সংশয়


সংশয় একজন বালক বলে 

ওকেও মাঝে মাঝে ভিরু মনে হয় 

ব্রিজের উপর দিয়ে আমাদের গাড়িটি ছুটছে 

ব্রিজও ছুটছে নাতো ?

আমরা ঝুলে আছি অনন্ত গভীরে 

এখানে ভাঙা আকাশের টুকরো আর নিসর্গের নাভি

 স্বয়ংক্রিয় মায়াবীনিশীথ পড়ে আছে 

যেতে যেতে ভাবনারা নড়ে উঠছে ক্রমশ 

যেতে যেতে কেঁপে উঠছে আলো 

সংশয় কিছুই বোঝে না —

 ঝুলন্ত মহুল বনেও নিশ্চুপ কোকিল

 টুপটাপ ঝরছে তার শৈল্পিক হৃদয়.....

সম্পাদকীয় (তৃতীয় সংখ্যা)

 




সাহিত্য নিয়ে এখনো যারা চর্চা করে চলেছেন তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের তথা পাঠকদের এক কর্তব্যবোধ থাকা প্রয়োজন। প্রয়োজন শ্রদ্ধা নিবেদন করা।


      কবির চিন্তাভাবনা কবির কাছেই সীমাবদ্ধ। যিনি পাঠক তিনি পাঠকের মতো করেই বুঝবেন এটা সাধারণ ঘটনা। কিন্তু কবিকে সমালোচনার মাধ্যমে বানবিদ্ধ করা পাঠকের অধিকার নেই। কারণ একজন কবি নিজস্ব ভাবনায় যেভাবে বাস্তবকে দেখেছেন সেভাবে একজন পাঠক নাও অনুভব করতে পারেন। তাই প্রয়োজন এক লেখক ও পাঠকের মধ্যে সামঞ্জস্য পূর্ণ বোঝাপড়া। এতে সাহিত্য জগতের সমৃদ্ধি সর্বদা আকাশচুম্বী থাকবে। তাই লিখুন। পড়ুন। সমৃদ্ধ করুন World Sahitya Adda পত্রিকাকে।


                                   ধন্যবাদান্তে
                 ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌World Sahitya Adda Team