কবি সুব্রত মিত্র -এর একটি কবিতা
রোষের মুখে কালক্রম
উদঘট পাথরে জীবনের নাম লেখা
জীবন দরিয়ায় মায়া-মমতার ছবি আঁকা;
কল্পনার বিষ পাথরে তামাশারা গল্প লেখে
পরিণতির পরিহাস সদাহাস্য বারো মাস--
বাস্তবের কালিমা আছে গায়ে মেখে।
সৃষ্টির লীলাভূমি তুমি মোর প্রিয়তম
শত দুর্গতি এসে যায় কপালে তবু --- ---
তবু যেন হও তুমি স্বর্গ সম,
এখনো তো ঝড় হয়; ভাঙে ঘরবাড়ি;
আমি অদ্ভুদ স্রোতের মাঝে অলিখিত প্রতিরোধ
এক অদৃশ্য শক্তির সহযোগে রুখে দাঁড়াই আড়াআড়ি।
সরল আর সহজের হাটে সাধনারা ফিকে হয়
দূর্মূল্যের বাহারি রংমশাল আজকাল বড় সম্মান পায়,
অবচেতনার সিঁড়ি বেয়ে প্রজন্ম ক্রমশ ঝরে পড়ে সময়ের পায়ে
কর্মেরা আগাছার দিকে তাকায়;
বিচ্ছিন্ন গতিপথে মানুষেরা সংঘবদ্ধতা হারায়,
ব্যবধান লেখা থাকে মানুষের চেতনায়
ব্যবধান লেখা থাকে মানুষের ভাবনায়,
তৎক্ষণাৎ উর্বর গতি রেখার দিকে সকলে ধেয়ে যায়
ক্রমান্বয়ে দূরদর্শিতার অভাব দেখা যায় এই সময়।
এই সকল ভাবনার ঊর্ধ্বে উঠে---------
কালের জয়ের কথা রেখে গেলে কালজয়ী হওয়া যায়
সমকালে কোনদিন যদিও জীবন হয় অমলিন
নাভিশ্বাস আর দীর্ঘশ্বাস আসবে না কোনদিন;
তবু তারা কেহ কেহ ছুটে যায় প্রান্তকে ভেদ করে
মর্মবাণীর 'পরে মর্মেরা শুয়ে পড়ে,
আমি জীর্ণ চেতনায় শীর্ণ হয়ে জেগে থাকি ঘুমোঘরে।
একবার দেখে যাও,শুধু একবার পৃথিবী যাও তুমি দেখে
এই ভগ্ন হৃদয়ের শক্ত দেওয়াল হতে--------
ক্রন্দন ভেসে আসে রাতে দিনে দুপুরে।
পৃথিবীরা সুখে থাকে; লড়াই করে বাস্তব,
মূর্খেরা করে বড়াই তবুও থামেনা সে লড়াই
বেহিসেবী খাতা কলম দিয়ে যায় মুখরোচক মলম
নিঃস্ব হয়ে পড়ে থাকে ন্যায্য চেতনার সামাজিক অনুভব।
Comments