কবি চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী -এর একটি কবিতা
নারীকে যেন দিতে পারি সম্মান
দমে ফুত্তি লাগছে এ বছরটায় ধান হয়েছে কুদ্যে
লাচছে ফুলমণির মতো আমন ধান বহাল কিবা বাইদ্যে।
দেখে পদে খেতের গতর হুদকে উঠছে আবট পরাণ
মাতায় দিয়েছে উঠান গুলান শিউলি ফুলের সুঘ্রাণ।
বছর বাদে দুগ্গা পূজা কেবা না পাউস মাছের মতন মাতে
ফুলমণি দিয়েছেক বলে রঙিন চুড়ি পরবেক দুহাতে।
এইতো কমাস আগে এখন যায় নাই লতুন বিয়ার গন্ধ
দমে খেয়াল রাখে বউটা যেমন ফুল ভমরার দ্বন্দ্ব।
দেখতে দেখতে আলেক দুগ্গা পুজা সুখ ধরছেক লাই বুকে
আলপনা আঁকে তুলসি তলায় ফুলমণি দিলেক শাকটা ফুঁক্যে।
লাল শাড়িরর বেশ মানায়ছে হাটছেক নাই নজর
গুড়ের মিঠাই করতে করতে আনন্দে করছে বদর বদর।
দুগ্গা থানে দেখাতে যাবেক প্রদীপ যাত্যে হবেক সাথে
সারা রাতটা ঘুরতে হবেক রাখ্যে হাতটি হাতে।
আমি কিসের কমতি যাব ঘুরব টেকের টাকা ভাঙ্যে
পুরাই দিব মন বাঞ্ছা তার পেম সুহাগে রাঙ্যে।
তাইতো বলি পেম সুহাগে
থাকি যেন সারাটা জীবন ধইরে
হৃদয়েতে হৃদয় দিয়ে সুখে যেন যায় মা উঠান ভরে।
হে মা দুগ্গা রাখিস লজর যেন নারীকে দিতে পারি সম্মান
সুখটা আনে ভরাই দিব ফুলমণি আমার পরাণের পরাণ।
Comments