কবি নীতা কবি মুখার্জী -এর একটি কবিতা

 কুচবিহারের রাসমেলা



আমরা যাবো রাস দেখতে কুচবিহারের রাজবাড়ী

পর লো তোরা, পর লো সবাই মিলে হাজার টাকার ঢাকাই শাড়ী।


কতো লোক যে আসবে যাবে ইয়াত্তা তার নাই

হাতে হাতে ধরে থাকবি, একলা যাবি নাই।


মেলা মানেই খুশীর আঁগন, খুশী লুটে নাও

ভালো ভালো জিনিষ কেনো,রকম রকম খাও।


জামাকাপড়, কাঁসার জিনিস, শাল,কম্বল কত

আশেপাশে গাঁয়ের লোকে জুটিয়ে আনে যত।


মেলায় থাকে অনেক মজা থাকে পাঁপড় ভাজা

বড় বড় জিলিপি আর থাকবে ঢাউস খাজা।


চটপটি আর রোলের গন্ধে নাক করে 'ম' 'ম'

নানা রকম আওয়াজেতে কান করে ভঁ ভঁ।


বেলুন আছে খেলনা আছে, তাল পাতারই সেপাই

চোর ধরতে ঘুরছে সেথা বড় বড় সেপাই।


আসুন দাদা দেখুন বলে ডাক দেয় সব দোকান

একটু আলগা দিলেই তারা কাটবে তোমার দু-কান।


বড় বড় দোলনা আছে, আছে ডিস্কো ড‍্যান্সার

আরো অনেক রাইড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সার সার।


চুড়ি, কানের, হাতের বালা, নানান রকম মালা

কচি, বুড়ো সবাই কেনে, পূজোর থালা।


পাথর বাটি, মাটির সরা, নকশা করা বাসন

কেউ বা কেনে ফুলের সাজি, কেউ কিনছে আসন।


দোকানে থাকে বড় বড় জিলিপি, পান্তোয়া, লেডিকেনি

ভাজছে খাজা গরম গরম দিয়ে গাদা চিনি।


রাধাকৃষ্ণের মিলন দিনে সবাই খুশি মনে

সবাই যে যায় দলে দলে ঠাকুরদালান পানে।


হরিনাম, সংকীর্তন, গান-বাজনা চলে

দেশ-বিদেশের শিল্পী এসে জোটে দলে দলে।


রাজার বাড়ী লোকারণ্য মহা -সমাগম

সবার বাড়ী কুটুম্ব আসে বেশী আর কম।


কোচবিহারের রাসের মেলা আমাদেরই গর্ব

তিক্ত-জীবনে খুশী ভরে, দুঃখ কিছু খর্ব।


এসো, একবার সবাই মিলে হরির-ধ্বনি দিই

কৃষ্ণ-চরণ স্মরণ করে মেলার মজা নিই।

Comments

Popular posts from this blog

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩০ || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র || World Sahitya Adda Sarod sonkha 1430

TATA Steel Job Recruitment 2024 || টাটা স্টিল কোম্পানিতে নতুন করে 6000 শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ || TATA company job

মাধ্যমিক পাশেই ভালো মাইনের চাকরি,জলের ট্যাঙ্কি দেখাশোনার স্থায়ী কাজ || Jal Jeevan Mission Registration 2024