বৃষ্টির দিনে রিক্সার খোঁজে―অফলাইনের দিনগুলোতে
এমন বৃষ্টি প্রায়ই আসে। চোখ বন্ধ করলেই দেখা মিলে যায়। গোপন― সবটাই। সেই বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার প্রাক্কালে ঘুরে আসা যাক―হাই স্কুল রোড়ের বৃষ্টিতে। যেখানে ভেজা-ভেজা স্মৃতি উস্কানি দেয়। আর ভিতর বাহির কেমন জানি 'আউলা' হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আউলা বানায় দেয় কেমন জানি। সেটা বলা যাচ্ছে না। তাই সেটাকে কোন ভাষার মধ্যে ফেলতে চাচ্ছি না ইচ্ছেকরেই। মনকে ১টা ঘোরে রাখা যাক।
মনে পড়ে যায় শৈশব-কৈশোরের ইশকুল, মামা বাড়ি যাবার আনন্দ। আহা সেই বৃষ্টির দিন। বৃষ্টি ঝুম-ঝুম করে নাচতে নাচতে নামে―ভিজায়। মনে পড়ে যায় স্কুল-ড্রেস, ঘ্রাণ, সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা... বৃষ্টির ঘ্রাণ, গান। কোমল মনের কিশোর কিশোরীর কথা। চিঠি, চিঠির ভাঁজ, ভুল বানান, মুরুব্বি-স্থানীয়দের ধমক, অন্যান্য। এই মন কিছুতেই মানে না। বৃষ্টির রাত। তোমারে ৬০ সেকেন্ডের জন্যে হলেও দেখতে হবে। ছাতার ভাঁজ খুলে যায়। তোমাদের মহল্লা― রাত ৯/১০টা, ইশারা-ইঙ্গিতে জানালা ধীরে খুলে যায়। তুমি দাঁড়িয়ে। দেখা যাচ্ছে―আবছা নীল জানলার পর্দা, পিংক কালারের ড্রেসে তোমাকে। অনেক কাছে― অনেক দূরে । বৃষ্টি আর তোমারে দেখে, ভেতরে অনেক মেঘ জমিয়েই বাসায় ফিরে যাই। আধভেজা শরীর-মন ফিতা ঘুরায়ে গান শুনে। আর গানের মাঝে শুধু তোমারেই খুঁজে যাওয়া― খুঁজে পাওয়া।
ফোনালাপ অনুপস্থিত । কথা শেষ হয় না। মনে মনে চলতেই থাকে। মিনিট-ঘন্টা কোনদিকে যায়। চিঠি কাগজ বলেছিলো ' আমরা অনেক অনেক বর্ষাতে ভিজবো' ―ভিজতে পারি না। দুজন দু'দিকে হাঁটি...কই যাবো! বৃষ্টি নামলেই এই ভিজে যাওয়া শহরের রাস্তা, হলমোড়, সেই হাইস্কুলে রোড...!
আমিতো আর জানিনা বৃষ্টি নামলে কোথায় ভিজে তোমার হাতের আঙুল― তুমি এখন কোন শহরে থাকো?
No comments:
Post a Comment