কথাসাহিত্যিক সুদীপ ঘোষাল -এর উপন্যাস (চতুর্থ পর্ব)

 ইউরেকা ইউরেনাস




(৪)

সাইকো ভেগাস আবার বললো, প্রোটিন প্রয়োজনের নির্দেশ দেয় শরীরের ক্লান্তি।


 ধারণা ছিল মানুষের প্রায় 1 লক্ষ জিন আছে এখন জানা গেছে এই সংখ্যা প্রায় 30 হাজার।

আমাদের দেহে এর সংখ্যা 30 কোটির মত একটি ক্রোমোজোমে সারিবদ্ধ ভাবে মালার মত থাকে। যেহেতু আমাদের গ্রহের জীব, প্রাণী স্বাভাবিক অতিমানবিক শারীরিক-মানসিক বৈশিষ্ট্য বিশিষ্ট।


এটা সহজেই অনুমেয় যে এই অতিমানবিক অবস্থার জন্য জিন দায়ী। এ

অবস্থা ছাড়াও দৈহিক বিকৃতি অসম্পূর্ণতা অস্বাভাবিক গঠন মানসিক প্রতিবন্ধকতা জরায়ু ক্যান্সার ইত্যাদির জন্য দায়ী এই জীন বৈশিষ্ট্য।একে বিভিন্ন রকম ভাবে ভাগ করা হয়েছে আপনারা জানেন একটি জিন হচ্ছে প্রবলভাবে প্রকাশিত আরেকটা হচ্ছে প্রচ্ছন্নভাবে প্রকাশিত।


তোতন বললো তাহলে আপনাদের আমাদের এই শরীরের মতো শরীর নয় কেন?


 মনে হয় যেন আমাদের ছায়া।

 ছায়ার মতো শরীর অন্ধকারময় কেন?


 সাইকোভেগাস বলল,এটা হয় তখন , আমরা বায়ুর থেকে প্রতিসরাঙ্ক কমিয়ে অদৃৃশ্য হতে পারি। বায়ুর প্রতিসরণাঙ্কের সমান করলে ছায়ার মত হতে পারি। অহেতুক আমরা প্রকাশিত হতে চাই না। আমরা আড়ালে থাকতে ভালবাসি। 


 বায়ুর থেকে কম করলে আমরা ভ্যানিশ হয়ে যেতে পারি। অবাক করে অনেক সময় আমরা ভ্যানিশ হতে পারি।


বিশ্ব বাংলার লোগোর মতো সবুজ গোল ফুটবলের মত গ্রহে যানে চেপে ভালই লাগছিল। সুমন, তোতনের কথা হল ভালভাবে। এতদিন অবাক জগতে ছিল। আজ বাস্তব জগতে পদার্পণ করার আগে উত্তেজনা হচ্ছিল তাদের। তারা আস্তে আস্তে গল্প করছিল। তাদের ড্রাইভার ছিল ভেতরে।

তারপর পৃথিবীতে নেমে তারা তোতন এবং সুমনকে বাইরে আসতে বলল।


সুমনা তোতন বাইরে বেরিয়ে এসে দেখল অনেক লোকের ভিড়। সবাই খোঁজাখুঁজি করছে টর্চ নিয়ে লাইট নিয়ে।

জঙ্গল আলোময় হয়ে উঠেছে। এখন রাত দুটো বাজে। তারা অন্য গ্রহে গেছিলো প্রায় ছয় ঘন্টা।সবুজ গোল যানের গতিবেগ আলোর গতিবেগের থেকও বেশি --সুমন বললেন। 


সবাই দেখলো তিনটে ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে দুজনকে তারা চিনতে পারল।


 কিন্তু একজন কে চিনতে পারল না।


 তখন গোয়েন্দা সুমন বললেন, ইনি হচ্ছেন আপনার দেখা সেই অন্য গ্রহের জীব ছায়া।

যিনি আমাদের তাদের গ্রহে নিয়ে গেছিলেন। আমরা দেখে এলাম।আমরা বলি এলিয়েন। 


সুমনবাবু আরও বললেন বিজ্ঞানের কল্পনার কথা, আমাদের পৃথিবীর বাইরে প্রাণীর অস্তিত্ব আছে কিনা বা সত্যিই এলিয়েনের অস্তিত্ব আছে কিনা, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক কখনই শেষ হবার নয়। কেউ বলছেন প্রাণের অস্তিত্ব আছে আর কেউ বলছেন তা কল্পনা মাত্র।বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে এ বিষয়ে মানুষের কৌতুহল শুধু বেড়েছেই। তবে এ মাসের শুরুতেই বৈজ্ঞানিক মনিকা গ্রেডি মন্তব্য করেছিলেন যে, তিনি ‘প্রায় নিশ্চিত’ যে জুপিটারের একটি চাঁদ ‘ইউরোপা’য় প্রাণের অস্তিত্ব আছে।তবে সেটি হাঁটাচলা করতে পারার বা কথা বলতে পারা কোনো এলিয়েন না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। লিভারপুল হোপ ইউনিভার্সিটির গ্রহ ও মহাকাশ বিষয়ক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মনিকা গ্রেডি বলেন, সেখানে যে ধরণের প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া যাবে, তা ‘অক্টোপাসের বুদ্ধিমত্তার কাছাকাছি প্রাণী’ হতে পারে।তিনি মনে করেন ঐ প্রাণীটি ইউরোপার বরফের নিচে থাকতে পারে।

বৃহস্পতি গ্রহের যে ৭৯টি চাঁদের সম্পর্কে জানা গেছে, ইউরোপা তার মধ্যে একটি। এটি ১৫ মাইল পুরু বরফের আস্তরণে ঢাকা।অধ্যাপক গ্রেডি মনে করেন মঙ্গলগ্রহে প্রাণের সন্ধান পাওয়া গেলেও সেখানে খুব উন্নত বুদ্ধির কোনো প্রাণী পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা কম। তিনি বলেন: “মঙ্গলগ্রহে যদি প্রাণের সন্ধান পাওয়াও যায়, সেটি খুবই ক্ষুদ্র আকৃতির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন ধরুন, ব্যাকটেরিয়ার মত।


এবছরের শুরুতে মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের একটি দল ধারণা প্রকাশ করেন যে তারা যদি মহাকাশে অক্সিজেনের অস্তিত্ব খুঁজে বের করতে পারেন তাহলে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পেতেও সক্ষম হবেন।যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পৃথিবীর বাইরে অন্যান্য গ্রহে অক্সিজেন গ্যাস খোঁজার একটি পদ্ধতিও আবিষ্কার করেছেন বলে জানিয়েছেন।নতুন গ্রহে আসলে প্রাণ থাকতে পারে?অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) পৃথিবীর অদূরেই একটি ‘বাসযোগ্য’ গ্রহের খোঁজ পেয়েছে বলে জানিয়েছে।


তোতন বললেন, তাহলে স্যার আমরা তার সাক্ষাৎ দর্শন পেলাম। সুমনবাবু বললেন, গত সোমবার নাসা দাবি করে নতুন ওই গ্রহ পৃথিবী থেকে ‘মাত্র’ ১০০ আলোকবর্ষ দূরে। পৃথিবীর আকৃতির ওই গ্রহের নাম দেওয়া হয়েছে ‘টিওআই৭০০ডি’। এটি ‘টিওআই৭০০’ নামের একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে।বিজ্ঞানীরা জানান, টিওআই৭০০ নামের ওই নক্ষত্র ও তাকে প্রদক্ষিণরত তিনটি গ্রহ আবিষ্কার করেছে টেস। এর মধ্যে টিওআই৭০০ডি নক্ষত্রটিকে এমন দূরত্ব থেকে প্রদক্ষিণ করছে, যা ওই সৌরমণ্ডলের বাসযোগ্য অঞ্চল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সূর্যের সঙ্গে পৃথিবীর দূরত্বের বিবেচনায় এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা। এই দূরত্বে তরল পানির অস্তিত্ব থাকা সম্ভব বলে দাবি করেছে নাসা।


পরে আপনাকে বলা যাবে এখন উনাকে আমরা বিদায় সম্ভাষণ জানাবো। এলিয়েন সুমন্তবাবুর জ্ঞানের প্রশংসা করলেন। সাইকো বললেন, আপনাদের মত জ্ঞানী লোক এই পৃথবীর সম্পদ।


বৃদ্ধ ভদ্রলোকসহ সকলে অবাক বিস্ময়ে আকাশে দেখল তুবড়ির রোশনাই আর শুভেচ্ছার ভরসা পৃথিবীবাসির আগামী দিনের জন্য। 



এরপর সুমন্তবাবু চলে এলেন তোতনকে নিয়ে নিজের বাড়ি। সেখানে তিনি পড়ান বহু বহু ছাত্রছাত্রীকে তারপর আনন্দে সব ছেলেদের বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলাই তার কাজ। 

কুসংস্কারে বিশ্বাস না করে তারা যাতে বিজ্ঞানমনস্ক পথে বৈজ্ঞানিক যুক্তি দ্বারা সবকিছু বুঝতে পারে তার চেষ্টা করে যান তিনি। আজ অনেক ছাত্রছাত্রী এসেছেন তার ঘরে। একজন জিজ্ঞাসা করল, মহাকাশের প্রাণের অস্তিত্ব কি বিশ্বাস করা যায়? তিনি তার বিরাট হল ঘরে তোতন আর ছাত্ররছাত্রীদের নিয়ে বসেন।তিনি বলছেন, টিভির পর্দায় এমন দৃশ্য আমরা সবাই দেখেছি৷ মহাকাশে নীল মরুদ্যানের মতো শোভা পাচ্ছে পৃথিবী৷ তখনই মনে প্রশ্ন জাগে, ‘‘বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে একমাত্র পৃথিবীতেই কি প্রাণের স্পন্দন রয়েছে? নাকি অন্য কোথাও প্রাণের বিকাশ সম্ভব?'' এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গত কয়েক বছরে গবেষণা অনেক বেড়ে গেছে৷ জার্মানির পটসডাম শহরের বিজ্ঞানীরা সদ্য আবিষ্কৃত বিভিন্ন মহাজাগতিক বস্তু পরীক্ষা করেন৷ তাঁরা জানতে চান, দূরের এই জগত প্রাণের বিকাশের জন্য কতটা উপযুক্ত? পৃথিবীর সঙ্গে মিল আছে, এমন গ্রহ খোঁজা কেন এত কঠিন? গ্রহ গবেষক ভ্যার্নার ফন ব্লো বলেন, ‘‘এক্সট্রা-সোলার গ্রহ খোঁজার সমস্যা হলো, নক্ষত্রের আলো সংলগ্ন গ্রহের আলোকে পুরোপুরি ম্লান করে দেয়৷ রাতের আকাশে শুধু নক্ষত্রগুলি দেখা যায়, তাদের আশেপাশে গ্রহ থাকলেও সেগুলি দেখা যায় না৷''

তিনি বলেন: “মঙ্গলগ্রহে যদি প্রাণের সন্ধান পাওয়াও যায়, সেটি খুবই ক্ষুদ্র আকৃতির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন ধরুন, ব্যাকটেরিয়ার মত।” নতুন গ্ররহ নিয়ে আশা প্রকাশ করছেন বিজ্ঞানীরা।


এবছরের শুরুতে মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের একটি দল ধারণা প্রকাশ করেন যে তারা যদি মহাকাশে অক্সিজেনের অস্তিত্ব খুঁজে বের করতে পারেন তাহলে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পেতেও সক্ষম হবেন।


একজন ছাত্ররী বলল, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পৃথিবীর বাইরে অন্যান্য গ্রহে অক্সিজেন গ্যাস খোঁজার একটি পদ্ধতিও আবিষ্কার করেছেন বলে জানিয়েছেন। এটা কি ঠিক সংবাদ।


সুমন্ততবাবু বললেন, অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) পৃথিবীর অদূরেই একটি ‘বাসযোগ্য’ গ্রহের খোঁজ পেয়েছে বলে জানিয়েছে।গত বছর নাসা দাবি করে নতুন ওই গ্রহ পৃথিবী থেকে ‘মাত্র’ ১০০ আলোকবর্ষ দূরে। পৃথিবীর আকৃতির ওই গ্রহের নাম দেওয়া হয়েছে ‘টিওআই৭০০ডি’। এটি ‘টিওআই৭০০’ নামের একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে।


তোতনও অনেক খবর রাখেন। তিনি বললেন, বিজ্ঞানীরা জানান, টিওআই৭০০ নামের ওই নক্ষত্র ও তাকে প্রদক্ষিণরত তিনটি গ্রহ আবিষ্কার করেছে টেস। এর মধ্যে টিওআই৭০০ডি নক্ষত্রটিকে এমন দূরত্ব থেকে প্রদক্ষিণ করছে, যা ওই সৌরমণ্ডলের বাসযোগ্য অঞ্চল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সূর্যের সঙ্গে পৃথিবীর দূরত্বের বিবেচনায় এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা। এই দূরত্বে তরল পানির অস্তিত্ব থাকা সম্ভব বলে দাবি করেছে নাসা।মার্কিন মহাকাশ সংস্থার (নাসা) একদল জ্যোতির্বিদ দাবি করছেন, পৃথিবীর মতো আরেকটি গ্রহের খোঁজ মিলেছে। এটি নিজ নক্ষত্রকে যতটুকু দূরে থেকে প্রদক্ষিণ করছে, তা আমাদের পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যবর্তী দূরত্বের প্রায় সমান। খবর রয়টার্স, এএফপি ও বিবিসির।নাসার ওই বিজ্ঞানীরা আমাদের সৌরজগতের বাইরে পৃথিবী-সদৃশ গ্রহটির সন্ধান পাওয়ার কথা গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন। নতুন চিহ্নিত ওই গ্রহের নাম ফোরফিফটিটুবি। এটি পৃথিবীর চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি বড়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আকৃতি ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য যাচাই করে মনে হচ্ছে ওই গ্রহে পাথর, আগ্নেয়গিরি, মহাসাগর ও ‘সূর্যালোক’ থাকতে পারে। তবে সেখানকার মাধ্যাকর্ষণ পৃথিবীর দ্বিগুণ এবং বছর হয় ৩৮৫ দিনে। গ্রহটির অবস্থান ১ হাজার ৪০০ আলোকবর্ষ দূরে সিগনাস নক্ষত্রমণ্ডলে। এটি যে নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে তা আমাদের সূর্যের সমান হলেও বেশি পুরোনো। এটির বয়স প্রায় ৬০০ কোটি বছর। কিন্তু আমাদের সূর্যটি ৪৬০ কোটি বছরের পুরোনো।


সুমন্তবাবু বললেন, নাসার কেপলার মহাকাশ দূরবীক্ষণযন্ত্রের (স্পেস টেলিস্কোপ) সাহায্যে ওই পৃথিবী-সদৃশ গ্রহ শনাক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন দ্য অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল জার্নাল সাময়িকীতে প্রকাশিত হবে।জ্যোতির্বিদেরা মনে করেন, এ আবিষ্কারের ফলে পৃথিবীর বাইরে প্রাণীর বসবাসযোগ্য স্থানের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। নাসার বিজ্ঞানী জন জেনকিনস বলেন, এ পর্যন্ত পৃথিবীর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মিল পাওয়া গেছে নতুন চিহ্নিত গ্রহটির। এটি নিজ নক্ষত্রের কাছাকাছি বসবাসযোগ্য অঞ্চলে ৬০০ কোটি বছর পার করেছে—এমন ইঙ্গিত অবশ্যই বেশ আগ্রহ জাগিয়ে তোলে।বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘পৃথিবীর মতো’ গ্রহটি নিজস্ব নক্ষত্র থেকে যে দূরত্বে রয়েছে, তাতে সেখানকার পৃষ্ঠতলের তাপমাত্রা তরল পানি ধারণ করার উপযোগী হতে পারে। আর পরিবেশের এ ধরনের অবস্থায় প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া কঠিন। কেপলার টেলিস্কোপের যাত্রা শুরু হয় ২০০৯ সালে। এ প্রকল্পের বিজ্ঞানী জেফ কগলিন বলেন, পৃথিবী-সদৃশ এবং সম-আকৃতির সূর্যের পাশে প্রদক্ষিণরত একটি গ্রহের সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি তাঁদের একটি বড় সাফল্য।নতুন চিহ্নিত ওই গ্রহের নক্ষত্রটি আমাদের সূর্যের চেয়ে ১৫০ কোটি বছরের পুরোনো, আকারে ৪ শতাংশ বড় এবং উজ্জ্বলতাও ১০ শতাংশ বেশি। তবে ১ হাজার ৪০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত বলে সেখানে এই পৃথিবী থেকে শিগগিরই কোনো নভোযান পাঠানোর সম্ভাবনা কম। তবু বিজ্ঞানীরা গ্রহটি নিয়ে আরও গবেষণার ব্যাপারে ভীষণ আগ্রহী। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সুজান আইগ্রেইন বলেন, কেপলার-ফোরফিফটিটুবির যেসব বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে এটিই এ পর্যন্ত তাঁর জানামতে সবচেয়ে বেশি পৃথিবী-সদৃশ গ্রহ।কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩০টি গ্রহের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৪ হাজার ৭০০টি মহাজাগতিক কাঠামোর খোঁজ পেয়েছে, যেগুলো গ্রহ হতেও পারে। এর মধ্যে ১১টি পৃথিবীর কাছাকাছি বৈশিষ্ট্যের এবং সেগুলোর নয়টি সৃর্য-সদৃশ নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে। কেপলার টেলিস্কোপ সরাসরি গ্রহগুলোকে দেখতে পায় না। কিন্তু সেগুলো থেকে নিঃসৃত আলোর ছোটখাটো পরিবর্তন পরিমাপ করে বিভিন্ন জটিল কম্পিউটার প্রোগ্রামে বিশ্লেষণ এবং বারবার পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে শনাক্ত করার চেষ্টা করে।এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে মানুষ মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কীনা তা নিয়ে বহু জল্পনা কল্পনা করছে।বিজ্ঞানীরা বলছেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই এ বিষয়ে একটি পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যেতে পারে।


আজকের মত ক্লাস হয়ে গেল সুমন্ত বাবু ছাত্রছাত্রীদের কিছু জলখাবার খেয়ে ছেড়ে দিলেন তারপর বললেন আমি যেদিন বলব সেদিন আবার আসবে আমি ফোনে ডেট বলে দেবো তারপর তোতন খাবার-দাবার জোগাড় করতে লাগল সুমন্ত আপাতত দুজনে থাকেন এখানে আর কেউ থাকে না তারা নিজেরাই নিজেদের না করেন এবার হঠাৎ এক ভদ্রলোক বারেন্দায় ঢুকে বললেন আপনাদের নমস্ককার জানাই। আপনাদের সঙ্গে কথা আছে আমি একটু ভিতরে আসতে পারি কি।


ক্রমশ...

Comments

Popular posts from this blog

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩০ || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র || World Sahitya Adda Sarod sonkha 1430

TATA Steel Job Recruitment 2024 || টাটা স্টিল কোম্পানিতে নতুন করে 6000 শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ || TATA company job

মাধ্যমিক পাশেই ভালো মাইনের চাকরি,জলের ট্যাঙ্কি দেখাশোনার স্থায়ী কাজ || Jal Jeevan Mission Registration 2024