Sunday, August 1, 2021

অঞ্জলি দে নন্দীর একটি গল্প

 চেনা এক বৈজ্ঞানিকের বংশ পরিচয়



দু ভাই। দুজনের দুটি বিরাট ব্যবসা। বিশাল এক তিনতলা বাড়ি। বড় ভায়ের বউ খুব ধনীর কন্যা ছিল। খুব ভালো গান গাইতে পারত। এর চার ছেলে। খুব সুন্দর দেখতে। লেখাপড়ায়ও খুব ভালো। বিয়ে পাশ করে বড়টি বাবার ব্যবসায় বসে। পরে বিয়েও হয়। মেজোটি বি. এস. সি. পাস করে সরকারী চাকরী করে। বিয়ে করে বউকে নিয়ে কর্মস্থলে ভাড়া বাড়ীতে বউকে নিয়ে থাকে। বাবার বাড়ি থেকে অনেক দূরে, তাই মাঝে মধ্যে বাবার বাড়ি আসে। সেজোটি মেজোর বাড়ি থেকে এম. এস. সি. পড়তে পড়তে মেজো দাদার সঙ্গে ঝগড়া হয় আর তখন গলায় দড়ি দিয়ে মরে। ছোট ছেলেটি বাবার বাড়ির কাছেই নিজস্ব ব্যবসা করে। বিয়ে করে বাবার বাড়ির কাছেই বউকে নিয়ে আলাদা থাকে। তবে বাবার পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে। ছোট ভায়ের বউ গরীব পরিবারের মেয়ে ছিল। এর এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়েটি নার্ভের রোগী। এবনর্মাল। ছেলেটি আঁকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাস। আর একটি প্রকাশকের অধীনে আঁকার শিল্পী হিসেবে কাজ করে। বাড়িতে থাকে না। কর্মস্থলে বউকে নিয়ে থাকে। বাবার বাড়ি থেকে বহু দূরে। মেয়েটিকে নিয়ে মা ও বাবা খুব দুঃখী। অপ্রকৃতিস্থ তো। এই মহিলার সঙ্গে তার বড় ভাসুরের অবৈধ সম্পর্ক। তাই বড় জা - এর সঙ্গে খুব দুর্ব্যবহার করে। ভাসুরও তো ওরই। বর গো বেচারা। না পারে বড় দাদাকে কিছু বলতে, না পারে নিজের স্ত্রীকে কিছু বলতে। চোখের সামনে স্বামীর সঙ্গে ছোট জা-এর দৈহিক মিলনের দৃশ্য দেখে দেখে দেখে ও পাগলিনী হল। তবে দেওর সহ্য করেও পাগল হয়ে যায় নি। সে ও তো পত্নীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক রেখেছে। বৌটি ভাসুর ও পতি দুজনকেই তৃপ্ত করে। বড় জা পাগলিনী হয়ে রাস্তায় ভিক্ষা করে খায়। রাস্তায়ই শোয়। এদিকে দুশ্চরিত্রা ঠাকুমার এক নাতী হল। বাবা তো নিজের হাতে তাকে আঁকা শেখায়। মা খুব ঠাকুর ভক্ত। শাশুড়ি এতো খারাপ চরিত্রের তবুও কখনও তার মুখে একটিও কুকথা বের হয় না। ছেলেও তার মাকে কিছুই বলে না। আসলে ওরা তো কেউই আর এক সংসারে থাকে না। দূরেই যখন থাকে তখন আর দরকার কি ওসব কথায় থাকার। নাতীটি পড়ালেখাতে খুব ভালো। ফিজিক্সে এম. এস. সি. পাস করে সে রাশিয়ায় গবেষণা করে। পি. এইচ. ডি. করার পর ও বিয়ে করল। এরপর পোষ্ট ডক্টরেট করল। তারপর সায়েন্টিস্ট হল। 

No comments: