পায়রা,টঙ ফিরে না
পূর্ণতা মাপতে গিয়ে গভীর, এক শূন্যতা
বুকে চাপা- দীর্ঘশ্বাস নিয়ে হাঁটছে পথ ,
ঠিক যেন পঙ্গপালের করাল গ্রাসে সবুজপাতার আর্তনাদ ।
বাড়ি? সেতো বটবৃক্ষের ছায়ার মতো স্নিগ্ধ আঁচল
মাঝে মাঝে দুটি পায়রার ক্ষণিক ঝগড়া
বিরতিতে অবিরত,ডানা থেকে ঝরে পড়া
শীতের রোদের মতো মিঠে জোছনা পরাগ ।
অথবা পুঁইয়ের সবুজ ছুঁয়ে দুটি চুড়ুইয়ের ঘুনসুটিপনা
চোখে সম্পৃক্ত হারিয়ে যাবার হরিৎ-নেশা।
বেশ ছিল সাতফুলে সাজি ভরা প্রজাপতি দুপুর
অভাবি কলসির কানা উপচে প্রীতি ঋদ্ধ সংলাপ
হৃদয়ে হৃদয়ের অনুভবে লেখা কিছু জীবন্ত কবিতা ।
মাটিতে পা রেখে কুড়ানো যায় চাঁদের বিমোহিত সুঘ্রাণ
আকাশে দাঁড়িয়ে কখনো কি পান করা যায় হরিৎ-মদের গ্লাস?
যে উঁচুতে উঠতে গিয়ে মাটিকে ছুঁতে পারে না আঙুল
তার হৃদয় স্পন্দনে বাজে কি বল প্রেমের সুর?
বড়,মস্ত বড় হতে গিয়ে উঠোন ছোটো ছোটো
ঝাঁটার বাড়ি খাওয়া পায়রা ভুলেও,টঙ
ফিরে না ফিরে না হায় কক্ষনো ।
No comments:
Post a Comment