নাট্যকার রাজা দেবরায় -এর একটি ছোট নাটক
সচেতনতাই আদর্শ ওষুধ!
গজাঃ এত দ্রুতবেগে কোথায় ছুটছিস ভজা? তুই তো এখন অমাবস্যার চাঁদ হয়ে গেলি রে!
ভজাঃ টুথপেস্ট প্রায় শেষ হয়ে গেছে, টুথব্রাশও কিনতে হবে। তাই কিনতে যাচ্ছি দোকানে। তাছাড়া মোবাইল রিচার্জও করাতে হবে। এখন অমাবস্যার চাঁদ হলে নিজেরও মঙ্গল আর সমাজের জন্যও মঙ্গল!
গজাঃ আরে ভাই এত ভীতু কেনো তুই? আমাদের দ্যাখ আমরা আগের মতোই বিন্দাস আড্ডা দিচ্ছি, ঘুরছি, খাচ্ছি সব করছি। এত ভয় পেলে চলে?
ভজাঃ ব্যাপারটা ভয়ের থেকেও অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ও সচেতন থাকাই আসল। তাহলে আমি নিজেও যেমন ভালো থাকবো, অন্যেরও ক্ষতি করবো না। আর আড্ডা, ঘোরাঘুরি ইত্যাদি তো সারাজীবনই করা যাবে। এখন একটু সবকিছুর থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলে আপত্তি কিসের? আর এখন সামাজিক মাধ্যমের যুগে তো বাড়ি থেকেই আড্ডার মজা নেওয়া যায়।
গজাঃ এত লিখবে কে!
ভজাঃ আর লিখতে সমস্যা হলে ভয়েস রেকর্ডিং এর সাহায্যও নেওয়া যায়। এখন অন্তত মাস দুয়েক যথাসম্ভব সচেতন হয়ে থাকাই উচিত। তাতে আখেরে আমাদেরই লাভ হবে। খুব প্রয়োজন না হলে ভিড় উপেক্ষা করাই এখন কর্তব্য। মোদ্দা কথা, যথাসম্ভব সতর্ক, সাবধান এবং সচেতন থাকাই শ্রেয়।
গজাঃ ঠিক বলেছিস রে ভাই। সামনেই পুজো। ঘোরাঘুরি করলেও খুবই সাবধানে করতে হবে।
ভজাঃ শুধুমাত্র নিজের জন্যই নয়। পরিবার এবং সমাজের জন্যও আমাদের নিয়ম মেনে এবং নিয়ন্ত্রণে থাকা উচিত।
গজাঃ আমি আজ থেকে তাই করবো রে ভাই। ধন্যবাদ তোকে।
ভজাঃ বন্ধুকে আবার ধন্যবাদ কিসের! পরে কথা হবে। ভালো থাকিস।
গজাঃ তুইও ভালো থাকিস বন্ধু।
ভজাঃ হুম।।
Comments