লেখক রানা জামান -এর একটি গল্প
চাল
খবরটা শুনে হতভম্ভ না হলেও চিন্তিত হলো খানিকটা জুবায়ের। একে একে পাঁচ স্থান থেকে পাঁচটি মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। ওর দলের পাঁচ সদস্যের বোন ওরা। সম্ভবত ওর দলকে বাগে নেবার জন্যই এই অপহরণ। ওর দলে মোট সদস্য নয় জন। তার মানে আরো চারজনকেও যে কোন সময় অপহরণ করা হতে পারে। অপহরণের পর এখনো কোনরকম যোগাযোগ করেনি অপহরণকারীরা ওদের পরিবারের কারো সাথে। বাকি চারজনকে অপহরণ করার আগেই কিছু একটা করতে হবে যাতে দুষ্কৃতকারীদের আড্ডাস্থান সনাক্ত করা যায়।
কী করা যায়? কী করা যায়? ধারণাটা মাথায় আসতেই খুশিতে একটা লাফ দিয়ে জিভে কামড় দিয়ে গেলো দাঁড়িয়ে। টোকা মারছে মাথায় অন্যকোন ধারণা আসে কিনা। বিকল্প কোনো ধারণা আসছে না মাথায়। বুঝতে পারলো ঐ ধারণা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে সামনে। কাঁপা হাতে স্বরের কম্পন যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণ করে ফোন করলো সহোদরা রেবেকাকে। রেবেকা বড়ভাই-এর কথামতো কাজ করতে হয়ে গেলো রাজি।
অস্থির হয়ে নিজ অফিসকক্ষে পায়চারি করতে লাগলো জুবায়ের। কিছুক্ষণ পর সহযোগী কামাল অফিসকক্ষে ঢুকলো একটা পোটলা হাতে।
কামাল পোটলা থেকে রেবেকার পরনের কাপড় বের করে বললো, এই কাপড়-ই রেবেকার পরনে ছিলো। ও এই কাপড় ছেড়ে নাহিদার ড্রেস পরে বেরিয়ে গেছে।
এবার টাইগারকে নিয়ে এসো। রেবেকার কাপড়গুলো শুঁকিয়ে দেই।
কামাল জুবায়েরের চালটা বুঝতে পেরে প্রশ্নটা আর করলো না।
Comments