লেখক ঋদেনদিক মিত্রো এর একটি প্রবন্ধ
ভুল অর্থনীতি, জুতোর মালা ও এক লাখ টাকা বাজী
মানুষকে নিচু চিন্তায় আটকে রেখে, তার বুদ্ধির বিনাশ ঘটিয়ে তাকে যত ডিগ্রী, পদ, টাকা ও অন্যন্য সুযোগ দেওয়া হোক না কেন, দেশের কোনো উন্নতিও হবে না, সমাজের কোনো মঙ্গল হবে না, এই সত্য যতদিন না দেশের জনগণ বুঝবে ততদিন দেশ নির্বোধ, আর এই সত্য বুঝে যতদিন না আমাদের রাষ্ট্রীয় ও রাজ্যিয় শাসন ব্যবস্থ্যা --- জনগণকে উন্নত চিন্তা ও উন্নত অভ্যেসে ও নির্লোভ জীবন যাপনে নিয়ে যাবে ততদিন দেশের কোনো উন্নতি হতে পারে না!
কিছু সেতু, রাস্তা, বাড়ি, অফিস, যুদ্ধাস্ত্র, চাকরি, এগুলি আধুনিক করা হলো মানে দেশ উন্নত হয়নি, কারণ মানুষের মনের, স্বভাবের ও অনুভবের উত্তরণ না হলে, বাকি সব উন্নতিগুলি দেশের সম্পদ নষ্ট ও সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছু নয়!
এই সত্যের বিরুদ্ধে কেউ রুখে দাঁড়ালে ও আমাকে মিথ্যে বলে প্রমাণ করলে আমি জুতোর মালা পরবো প্রকাশ্যে, ও সেটা ইউটুবে দেখানো হবে, এবং একই সাথে এক লাখ টাকা বাজী, কিন্তু যদি বিরুদ্ধ পক্ষ হেরে যায় আমার কাছে ডিবেটে, তাহলে তাদেরও এটা করতে হবে! সরকার পক্ষের যেকোনো সংস্থা হলে, তারা হেরে গেলে তখন কয়েক কোটি টাকা তারা আমাকে দেবে তারা হেরে গেলে!
আছে কেউ এই দেশে, এই বিশ্বে, এই কথাগুলিকে মিথ্যে প্রমাণ করতে? তাঁকে আমন্ত্রণ করি!
যে-জনগনের এখনো এই বিষয়ে অনুভব তৈরী হয়নি, তাদের শিক্ষা, ডিগ্রী কেড়ে নেওয়া দরকার, তাদের সম্পদ কেড়ে নেওয়া দরকার, তাদের সন্তান জন্ম দেবার অধিকার কেড়ে নেওয়া দরকার, তাদের উৎসব অনুষ্ঠানের অধিকার কেড়ে নেওয়া দরকার, কারণ তাদের বংশধরগুলোও তাদের মত ক্ষতিকারক জীব হবে !
কারণ নির্বোধ বা সংকীর্ণ স্বার্থপরদের হাতে সম্পদ, ডিগ্রী ও পদ থাকা মানে সভ্যতার সর্বনাশ !
দেশ ও বিশ্বকে সুস্থ করে তোলার জন্য আমার এই প্রক্রিয়া ও চিন্তা!
উন্নত হওয়া ও উন্নত করার উদ্দেশ্যকে যদি অপরাধ বলে চিহ্নিত করা হয় তাহলে যারা এটা করবে তারাই অপরাধী, আমি নই!
পৃথিবীতে এতো সমাজ চেতনার গ্রন্থ, দর্শনের গ্রন্থ সেগুলিতে কী আছে?
উপযুক্ত অর্থে সেগুলিতে কিছুই ছিলোনা, ছিল কেবল রচনার কৌশল, আর সঠিক সত্যকে ফাঁকি দেবার পন্থা পদ্ধতি, কিংবা আবছা সত্য, তাই সভ্যতাটা ক্রমশ বর্বর হচ্ছে দিন-দিন!
Comments