চিরঞ্জিত ভাণ্ডারীর দুটি কবিতা
চক্রব্যূহ
পিঠ-চাপড়া-চাপড়ি
অবগত,নিজস্ব পরিধি,তুমি বাহবা দিলে
ফিরিয়ে দেব প্রশংসা সুদে-মূলে।
প্রলোভন
অহেতুকি দয়া আর সমব্যথির মাঝখানে অদৃশ্য
ঝুলন্ত রসালো টোপ
ছুটে আসবে নির্ঘাত প্রলুব্ধ প্রজাপতি ঠোঁট।
ফাঁদ
জৌলুসে সজ্ঞা হারিয়ে তলে দেবে
প্রবঞ্চকের মাথায় প্রতিষ্ঠা ঘোষণার বিজয় মুকুট।
অভিমন্যু
এসো সত্য প্রতিষ্ঠিতে হই অভিমন্যু
চক্রব্যূহ ছিঁড়ি প্রানপণ
মৃত্যু অবধি কাঁপিয়ে দিয় যাই
চক্রান্তকারির অভিসন্ধি-পাঁজর।
____________________________________
খড়কুটোর বাসা নয়
খড়-কুটোর বাসা নয়
ছিদ্র দিয়ে ঢুকবে মানুষের কান্না-জল
তেমন বিপত্তি বড়ই বেমানান
ধ্যানস্থ ডুবের ভেতর।
স্বার্থ,এক আঙুলের ফাঁকে নিংড়ে ইচ্ছে-খোঁপায়
গুঁজে নেওয়া মনোহারি ফুল
জোছনা উঠোনে বাজালে বসন্ত-বাহার
খুলে ফেলে সদরদরজার হুড়কো-কাঠ।
সুখ পাখি,সেতো দুঃখের উঠোনে নামায়না পা
প্র্য়োজন এসে জানালে মিঠে সংবাদ
মেলে ধরে পাখা,ঝরে পড়ে নজরকাড়া ঝলক
প্রসাদ পেতে পাতে হাত,প্রসংশায় মগ্ন হয়
চোখ থাকতেও আগুনে পুড়েছে যাদের চোখ।
গেঁয়ো মদন বলে,এমন হাতেদিনা বরণের পুস্প স্তবক
হাততালি কুড়িয়ে পথে যেতেই সৌখিন রুমালে মুছে ফেলে ভালোবাসার করমর্দন।
সেদিন আমার জ্বরগা,কাজ বন্ধ দুদিন
পাশের বাড়ির সত্যচরণ দিগে গেল শাক-বেগুন।
সেদিন আমার ছেলের জন্ম ,পায়েস একবাঁটি
পাশের গায়ের দরজিকাকু দিলেন নতুন জামাটি।
সেদিন আমার মায়ের অসুখ সামনে বুঝি মরণ
উপর পাড়ার কেতু দাদা সঙ্গে গেল হাসপাতাল চত্বর।
এখন ছেলে অনেক বড় লেখে নাকি ভালো কবিতা
বিদ্যালয়ের শিক্ষক মহাশয় বলে গেলেন বের করতে
কাব্য গাঁথা
ছেলে বলে,বাবা তুমি বল কার হাতে হবে কাব্যের মোড় উন্মোচন
আমি বলি ডাকনা কেন দিনমজুরে রতনদাদাকে
গাইতি কোদাল হাতে নিয়ে লেখে কবিতা আপন খেয়ালে
আশির্বাদটা চেয়ে নিবি মাথা নত করে।
Comments