নৃপেন্দ্রনাথ মহন্তর দুটি ছড়া

 বৃষ্টির মামলায়


আকাশ আদালতে বৃষ্টির মামলায় 

কেউ বা ছড়াকাটে,কেউ বা হামলায়।


এখনো জ্বর গায়ে ততটা বেশি নয়

এ-মাস চলে গেলে কী জানি কীযে হয়!


দিশা না পেয়ে তাই দিকেরা দশ ভাই

ছিঁড়ছে রাগে চুল,মাখছে মুখে ছাই।


জ্বর সারাতে তো খেতে হবে ঠিকঠিক 

প্যারাসিটামল বা অ্যান্টিবায়োটিক। 


মেঘেদের নেতারা চালে নতুন চাল

বলে,তাদের সভা হল ভার্চুয়াল 


যতটা জল আছে সবই দেব ঢেলে

শর্ত একটাই --সঠিক দাম পেলে।


জ্যৈষ্ঠে ভরভর,আষাঢ়ে ছয়লাপ 

বন্ধ হয়ে গেছে পাখিদের সংলাপ।


মূল্য চোকাতে তো অমেয় বর্ষার 

কেউ খোঁজে ত্রাণ বা এলাহি ভরসা।


_______________________


আষাঢ়প্রেমী মন


বৃষ্টি মাঝে মাঝে। হাওয়া কম কম।

মফসসল শহরে দোকান পাশার 

আধখোলা নয়তো বন্ধ একদম

এখন তো বেপরোয়া কাঁদুনে আষাঢ়। 


আকাশের ভেলাগুলি আকাশের পথে 

বাতাসের ঘাড়েই চেপে সর্বক্ষণ 

যে দেশে ইতস্তত ছুটে ছুটে যায়

সেখানেই চাপা থাকে আষাঢ়ের মন।


জানিনা আমার আষাঢ়প্রেমী মন

পানিয়াভরনে কতটা শান্ত হবে

কবিতার ঘরে থাকবে কতক্ষণ 

নাকি তারও অকালমৃত্যু হবে।


আয়,মেঘ আয়,বৃষ্টি নিয়ে আয়

রোদ নিয়ে গেছে গগনবিহারী চিল

আমার মননে তুই রয়েছিস গেঁড়ে

মন হয়েছে জুলাইয়ের বাস্তিল।

Comments

Popular posts from this blog

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩০ || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র || World Sahitya Adda Sarod sonkha 1430

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩১ || Sarod sonkha 1431 || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র