মধুপর্ণা বসুর দুটি কবিতা
ইচ্ছা মুক্তি
সত্যি কথাগুলো কণ্ঠনালীতে কান্নার মতো ঠেলে ওঠে,
রোজ জলের সাথে ইচ্ছেগুলো গিলে রাখি পেটের ক্ষুদ্রান্তে,
নকশা করা যবনিকা উঠে যায়, মুহূর্তের ব্যবধানে,
আমি প্রজাপতির রঙিন ডানায় বাতাসের গান শুনি,
বসন্তে, বর্ষায়, মেঘের ডাকে, হৃদয়ের তাল গুনি।
নবযৌবনা কামিনী ছদ্মবেশে ঝর্ণার ছন্দে নূপুরের রুমঝুম বাজে বুকের শূন্য প্রান্তরে......
একটা সদ্য যুবক যদি অবাক ভ্রান্তিতে তাকায়,
ঢেউ খেলে যায় নির্ঘুম রাতে, ভাবি আজ স্বপ্ন দেখবো,
বয়সের চোখ রাঙানি এক চুটকি বুকের সুগন্ধি শ্বাসে লোকাবো।
আর দুহাত তুলে কামগন্ধা আমি, আরশি দেখে সেই মেঘবরণ কন্যা হব,
অন্ধকার রাতে সাদা শয্যায় চাঁদ মেখে ইচ্ছের তরীতে পাড়ি দেবো..
আর ফেরা হবে না, হয়েতো কোনদিন
যতক্ষণ না কেউ ঘুমের প্রায়ান্ধকার থেকে সুপ্তির ডাক দেয়,
আর তখন কান্না গেলা ইচ্ছেরা মুক্তির স্পৃহায় জড়াবে আমায়।
____________________________
পরের জন্মে
দুই পড়শি দেশের মতো
পাশাপাশি আছি, কানের লতি
ছুঁয়ে থাকে জন্মান্তর বিশ্বাস;
হয়েতো অনেক কষ্টে পাওয়া
দুধ সাগর চোখের জল।
ভুলে গেলেও চলে, কিন্তু তবুও
শেষ কামরায় মুখোমুখি বসা,
জানলায় খুব দ্রুত সরে যায় মিনিট সেকেন্ড,
তারপর লম্বা একটা বিরহের শতক..
অচেনা কোন শহরে হঠাৎ সেই মুখ,
চোখে চোখ রেখে যেন ভীষণ
জানতে চাও, 'কি গো? ভালোবাসো?'
আবার তিনটে যুগের পরেও
শেষ কামরায় সময়ের মেশিনে
পিছু হেঁটে, আর একবার...
'ভালোবাসো তো?'
Comments