তোফায়েল তফাজ্জলের দুটি কবিতা
বন্য প্রবণতা
ঠোঁট পার হওয়া টু-শব্দেও গাত্রদাহ,
যেগুলোকে দুমড়ে-মুচড়ে স্তুপীকৃত করছে
কোটি জিজ্ঞাসু চোখের সামনে নির্দ্বিধায়।
কলাগাছ-ডেম বা বাঁশের কোঁড়রূপে মুখ দেয়া দ্বিমত-ও
আঘাতে থেতলিয়ে কিংবা সমূলে উপড়িয়ে ছুঁড়ে ফেলে
ভাবছে, সরিয়েছে গুলি ভয়।
মাঠের ভাষায়, হাত লাগিয়েছে সাফ করতে ঘরের জঞ্জাল –
এই যদি খেয়োখেয়ি, ঘায়েলের দিবালোক চিত্র
তাহলে, কীভাবে টিকবে বন্ধনের শাশ্বত সৌন্দর্য পরস্পরে ?
যে কারণে, জনপদে দেখবে সম্বন্ধ এখন
গা-ছাড়া ভাবে বা শংকা-শিহরণে। মৃতপ্রায় বোলতা বা মরা মাছের চোখে
পড়ে আছে বোঝাপড়া।
অন্যের শোণিতে স্বেচ্ছাচার সাঁতারকে
ভাবা হচ্ছে মাছেদের আষাঢ়ে উল্লাস
বা মাংশাসীদের অনুকরণীয় কর্ম প্রদর্শন!
তবু কি দেবে না আখ্যা, এইসব বন্য প্রবণতা ?
কে টানবে এসবে সমাপ্তির লাল রেখা ?
_________________________________________
ভাগাভাগি কালে
নাম উচ্চারণে কৃপণতা আজ ভাগাভাগি কালে –
জলের কিনারে হাঁটতে দেখলে
ধাক্কা দিতে করে না কচুর,
ডুবতে দেখলে নিজে না পারলেও
কারসাজির পড়শীর সাহায্যে
ডুবিয়ে নিশ্চিত করে শেষ নিঃশ্বাসের।
এক পা এগিয়ে যাবে উদ্গ্রীব হৃদয়ে ?
বেমানান ঠেকবে উপস্থিতি।
সমকালে, হাত বাড়ানোকে ভাবা হয় দুর্বলতা,
দূরবীনে দেখা হয় পরের হিসেব –
আছে কি না কোনো ভাগ,
সুদ-আসলের কোনো অংক।
তাই শুরু হওয়া চাই, মন বদলানোর
নিরলস বিপ্লব, ঘরে ঘরে,
নির্ভয়ে ফিরিয়ে আনতে
দুঃখ-সুখ সমভাগে নেয়া মানসিকতার বীজ।
Comments