চাঁদ রায়ের একটি প্রবন্ধ

 লুপ্তপ্রায় লোকসংস্কৃতি ---হাপু বা হাবু গান


হাবু বা হাপু নামক এক ধরণের লোক সঙ্গীতের বীরভূমে একসময় দারুণ ভাবে প্রভাব ছিল। বর্তমানে প্রায় ক্ষয়িষ্ণু হতে হতে লুপ্তপ্রায় হয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় একে হাফু গান বলা হয় ।

মেয়েরা আঙুলের তুড়ি মেরে গান গেয়ে থাকে। ওই তুড়ির সাথে একটা অদ্ভুত তালের সৃষ্টি হয়।আবার পুরুষেরাও একপদ করে গান গেয়ে মুখে অদ্ভুত এক ধরনের শব্দ করে ।সেই শব্দ সাধারণত আ-রে -রে -রে, উ-রে-রে রে জাতীয় হয়ে থাকে ।শব্দ করার সাথে সাথে একটা লাঠি দিয়ে নিজের পিঠে বারী মারে, এতে একটা বেশ মজার তালের সৃষ্টি হয়। 

বীরভূমের হাপু গানের প্রচলন এখনো অল্প হলেও দেখা যায় ।এই গানগুলি ছড়া গানের মত সুরে ছন্দে গাওয়া হয়, অনেক টা ভাঁজোর ছড়া ও গানের সঙ্গে এর সাদৃশ্য পাওয়া যায় ।বরং বলা যায় ভাঁজোগানের সঙ্গে হাপুগানের সম্পর্ক টা একটু বেশি নিবিড়। কিছুদিন আগে শোনা একটি হাপু গান --

জামাই এলো কামাই করে খেতে দেবো কি ?

ঘরে আছে তেল ময়দা লুচি ভেজে দি। 

এর সঙ্গে তুলনীয় একটি ভাঁজোর ছড়া হচ্ছে --

জামাই এলো বাড়িতে খেতে দেবো কি ?

ঘরে আছে কড়কড়ে ভাত তাই এনে দি।

আমরা অনেক সময় সমকালীন বিষয়ে হাপু গান শুনতে পাই।এইতো কিছুদিন আগে একটা গান শুনেছিলাম ---

মোদিতে দিদি তে ঝগড়া লেগেছে 

দেশজুড়ে লোক দেখো মজা দেখছে। 

ঠিক এইরকম একটি গান শুনেছিলাম 1 977 সালে ।---

হায় হায় এ কি হইলো 

সিপিএম কংগ্রেস ল্যাই লাগিন গ্যালো

হাই হাই দ্যাশটা শ্যাষ হইয়া গ্যালো। 

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর "যাদুকরী" গল্পে একটি হাপু গানের উল্লেখ করেছেন---

 পাড়ার এয়োস্ত্রী শাঁখা ফেলে পরছে চুড়ি 

 লাল পরী সবুজ পরী মাঝখানে হলুদ পারা

 ওগো চুড়ির বাহার দেখে যা তোরা 

উ-র-র জাগ জাগ জাগিন গিনা

শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হলে একটি হাপু গান শুনেছিলাম---

 রেডিওতে বলছে ভালো 

মেয়েতে প্রধানমন্ত্�

Comments

Popular posts from this blog

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩০ || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র || World Sahitya Adda Sarod sonkha 1430

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩১ || Sarod sonkha 1431 || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র