মুখোশহীন মানুষ
মায়াবী পূর্ণিমা রাতে অমলিন জোৎস্নার
আলোয় স্নান করে আমরা ফিরে আসছি;
আর ভয় পাওয়া নয়,মাতাল ভৈরবী সুর
আর ঠেলে দেবে না যুগন্ধর অন্ধকারে।
ভোরের কুয়াশা সরে যাচ্ছে,সরে যাচ্ছে,
হৃদয়ের স্বপ্নজাল,হলুদ পোড়ার মত দুপুরে
ছেলেটা,মেয়েটা চলে গেল রাঙামাটির পথ ধরে
খোয়াই নদীর ধারে পড়ে থাকে রোমান্সের মমার্ত।
ঝরাপাতার গান শাল মহুয়ার ডালে-ডালে,
শাখায়-শাখায়;সবাই আমরা চলে যাচ্ছি চেনা পথ
থেকে অনেক দূরে,পলাশ গাছে ইষ্টিকুটুম ডেকেই
চলেছে,মাদলের সুর বেজে চলছে অনাবিল।
গোধূলির বুক চিরে চলে জীবনের রেলগাড়ি
শালপাতায় সিঙ্গাড়া আর গরম চা-এর কাপে
পড়ে দীর্ঘনিশ্বাসের হাওয়া;এখনও রক্তের মধ্যে
বেঁচে আছে কৃষ্টি,অকৃত্রিম প্রেমের নন্দন মাধুর্য।
ঘুমের রাজত্বে অবলীলায় বিচরণ করে স্বপ্নের
ফেরিওয়ালা;হৃদয়ের আঙিনায় অপেক্ষারত সুখ,
যাবতীয় শান্তি,আলো-আঁধারি রহস্যের হাতছানি,
অম্লান আলোয় পথচলার সুতীব্র অঙ্গীকার স্পষ্ট।
কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ার আগে সচেতন হয়ে
ওঠে আমাদের বিবেক;জীবন তো একটাই,আমরা
মহাশূন্যে বিচরণ করি,তবুও পাখিরা গেয়ে ওঠে
গান,ফুল ফোটানোর আনন্দে মুখরিত চরাচর।
নীলিমায় নীল ঢেকে যাচ্ছে,আবর্ত ছিঁড়ে বেরিয়ে
আসছে মুখোশ মানুষ,শুদ্ধি-মন্ত্র উচ্চারিত হলো...
মন্দিরে,গীর্জায়,মসজিদে বেজে ওঠে মাঙ্গলিক সুর
এই প্রথম আমরা মানুষ হলাম, মুখোশহীন মানুষ।
No comments:
Post a Comment