Posts

Showing posts from July, 2021

তৃতীয় সংখ্যার সূচিপত্র

মোট ৪৪ জন লেখক লেখিকার বাংলা ও ইংরেজি কবিতা গল্প প্রবন্ধ গান উপন্যাস ও ফটোগ্রাফির মিলিত সংখ্যা  সম্পূর্ণ সূচিপত্র বাংলা কবিতা ও ছড়া--- তৈমুর খান, বদ্রীনাথ পাল, মধুপর্ণা বসু, তন্ময় চ্যাটার্জী, চিত্তরঞ্জন সাহা, তীর্থঙ্কর সুমিত, সত্যেন্দ্রনাথ পাইন, চিরঞ্জিত ভান্ডারী, নৃপেন্দ্র নাথ মহন্ত, মায়া বিদ, জয়তী দেওঘরিয়া, শ্যামল রায়, গোবিন্দ মোদক, সুস্মেলী দত্ত, জয়িতা চট্টোপাধ্যায়, মীনা সাহা, আবদুস সালাম, পান্থ দাস, মুহা  আকমাল হোসেন, সুব্রত মিত্র, ইলা চক্রবর্তী, শ্রাবণী মুখার্জী, মানসী ঘোষ, সর্বাণী ঘড়াই, ইমরান শাহ্, কৌশিক বড়াল, ইউসুফ মোল্লা, স্বাগতা দাশগুপ্ত, অমিত পাল। বাংলা গল্প--  অঞ্জলি দে নন্দী, স্বপ্না বনিক, গোবিন্দ ব্যানার্জী, শ্রাবণী মুখার্জী, বাংলা গদ্য-- সুমন সাহা, সুজিত রেজ। বাংলা প্রবন্ধ--- রামপ্রসাদ সরকার,  বাংলা উপন্যাস--- অভিজৎ চৌধুরী, সুদীপ ঘোষাল। গীতি কবিতা--- বদরুদ্দোজা শেখু। ইংরেজি গল্প---- Debasish sinha Photography ---- Shibom Banerjee, Debolina Adhikary, Partha Chatterjee, Shilpa dey, pantha das.

Photography by Shilpa de

Image
 

Photography by Debolina Adhikary

Image
 

Photography by Shibom Banerjee

Image
 

Photography by Partha Chatterjee

Image
 

Debasish Sinha's one English short story

  Delivery              The ball bounced over the boundary into the glass window of a dilapidated  hospital quarter under a robust, sprawling banyan tree beside a busy lane that leads up to the NH 34,as I hit a sixer. A small group of crowd, consisting mostly of urchins, that sat contiguous to the boundary line zapped gleefully in the direction of the ball.To fetch the ball. My eyes followed them. As I cast a quick glance over there, I saw something queer : in stead of running after the ball, those small children swerved away and stood pressed to a swelling crowd of people under the banyan tree. People in the crowd looked anxiously at each other's face, talking amongst themselves in a low voice. Inquisitive passers-by, passing by the way, all made for the crowd. What's up there ____ I pondered as I put away the bat. I hurried my way there like a shot, my eyes fixed on the burgeoning crush.                 I pushed my way through the crowd  ____ and to my utter consternation, sa

Rana Zaman's one English poem

  Float the boat in the sea     If anything is going to be completely destroyed the effort to establish is futile You float the boat in the sea without sinking in despair Gold particles are found by ashes flying non-stop Let the memory become a mummy in the invisible corner of the mind The sun's rays play endlessly in the veins of the leaves When the stone gets tired of retaliating a pinch of silt is available The Terminator is born at the right time Let the sadness fly away by riding on the seeds of silk cotton The monkey's climb up oiled bamboo to the giraffe's head Getting the rope if we pull the dictator fell to the ground.

বসন্ত পরামাণিকের একটি গান

  তুমি এলে ব'লে তুমি এলে তাই আকাশ বাতাস খুশিতেই মেতে ওঠে, তুমি এলে তাই শাখে শাখে এত ফুলের কুঁড়িরা ফোটে । ফুলেরা লিখেছে শত অক্ষরে প্রেমময় কথামালা, পাখিরা সাজালো সুরে সুরে আজ গানের বরণডালা । তুমি এলে তাই নদীটার বুকে আনন্দ-ঢেউ ওঠে, তুমি এলে তাই শাখে শাখে এত ফুলের কুঁড়িরা ফোটে । তুমি শাশ্বত প্রেমের পুজারী, প্রতীক ভালোবাসার, তোমাকেই ছুঁয়ে প্রকৃতি ও প্রেম হয়ে গেছে একাকার । প্রজাপতি আঁকে প্রেমেরই রঙেতে মিলনের কত ছবি, নির্জনে বসে স্বপ্ন সাজায় উদাস বাউল-কবি । প্রেমের সুরেই একতারাটাও খুশি মনে বেজে ওঠে, তুমি এলে তাই শাখে শাখে এত ফুলের কুঁড়িরা ফোটে ।

বদরুদ্দোজা শেখুর একটি গান

সোনার পাখি আমার সোনার পাখি ময়না আজ কোনোই কথা কয়না,                 পাখি গেছে উড়ে                  দূরে বহু দূরে ।। পাখি তোরে দিয়েছিলাম কতোই আদর যতন তোরে করেছিলাম আমার নয়ন- মণিরতন                সমস্ত আজ ভুলে গেলি                মায়ার বাঁধন ছিঁড়ে গেলি শূণ্য আমার বাগান এখন বেদনে যায় পুড়ে।। পাখি তোরে পুষেছিলাম হৃদয়-মন দিয়ে গেলি সে সব তুচ্ছ ক'রে অনন্তে হারিয়ে ,                ভালবাসার মিছে মায়া                যায় না তারে খুঁজে পাওয়া যে দিয়েছে একবার পাড়ি ধাঁধাঁর অচিনপুরে ।।

ইউসুফ মোল্লার একটি কবিতা

  বালতিভর্তি আলো কুয়োর মধ্যে থাকা অন্ধকারকে দেখেছো সেও একটু আলো খুঁজতে চায় উপর থেকে যাওয়া বালতিভর্তি আলো সেই আলোর বিনিময়ে এক বালতি জল পাও এভাবেই সে বেঁচে আছে চিরকাল।  বালতিভর্তি আলো কমতে কমতে এখন নিঃস্ব তাই সেখানে বসেছে আজ এযুগের টাইমকল যা সময়ের আগে কখনো দেয় না জল।  এভাবেই তুমিও একদিন ইতিহাস হয়ে যাবে যদি না অন্ধকারকে ঘোচাতে পারো সময়ে সময়ে নিজেকে ভাঙতে শেখো তাহলে ঠিক সময়ে তুমি গড়ে উঠবে।

সুদীপ ঘোষালের উপন্যাস (দ্বিতীয় পর্ব)

  ইউরেকা ইউরেনাস (২) তোতন গিয়ে প্রথমে দরজা খুললন।  তারপর বললন, কাকে চাই? বৃদ্ধ বললেন আমি গোয়েন্দা সুমনের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি - বলুন আমাকে বলুন কি প্রয়োজন  -আমার নাম তোতন। আমি তার সহকারি। তখন বৃদ্ধ ব্যক্তি বললেন, আমার একটা সমস্যা হয়েছে কিছুক্ষণ বসে আলোচনা করলেই ভালো হয় তখন বললেন তোতন বলল আসুন ঘরে আসুন বসুন। তারপর বৃদ্ধ ব্যক্তিটি চা খেয়ে গোয়েন্দা সুমনের দেখা পেলেন।  তার সামনাসামনি বসলেন সুমন।  বললেন, বলুন আপনার সমস্যা কি?  বৃদ্ধ শুরু করলেন আমাদের এক প্রত্যন্ত গ্রামে বাড়ি। সেখানে হঠাৎ আমি একদিন রাতে আবিষ্কার করলাম এক প্রাণীকে সেটা পৃথিবীর প্রাণী নয় অন্য কোন গ্রহ থেকে আসা হয়তো তারা মানুষের ভাষা বুঝতে পারছে। কিন্তু আমি এটা বলা মাত্র গ্রামে কোন লোক বিশ্বাস করছে না। গ্রামের লোক আমাকে পাগল বলছে। এটাকে দেখাতে না পারলে লজ্জায় আমাকে মরতে হবে।  জীবটি লুকিয়ে পড়ে যে কোন এক জায়গায়। তাকে কেউ দেখতে পাচ্ছে না। এখন আপনার সাহায্যে প্রাণী কে আবিষ্কার করে আমার কথার সত্যতা প্রমাণ করাই এখানে আসার কারণ।  তার জন্য অর্থ ব্যয় করতে আমি প্রস্তুত আছি। গোয়েন্দা সুমন বলেন, আপনি আশ্চর্য হবেন না। আ

অভিজিৎ চৌধুরীর উপন্যাস (দ্বিতীয় পর্ব)

  মুকুট (২) অ্যানুয়েল পরীক্ষায় ভালো করল মুকুট। সুখেন্দু স্যার রেজাল্ট হাতে দিয়ে বললেন- তুই তো দারুণ করেছিস, ১ টা নম্বরের জন্য ফোর্থ হয়ে গেলি। থার্ড হলে মন্দ হতো না বুবুনের। স্কুলের অ্যানুয়াল ফাংশানে বই দেওয়া হয়। ফার্স্ট হলে ৩টে বই, সেকেন্ড হলে ২ টো বই আর থার্ড একটা বই। সুভাষ এসে মুকুটকে বলল- দুজনে হলে বেশ হতো।  হাসল মুকুট। বলল-তুই বাড়ি যাবি তো! সুভাষদের বাড়ি ত্রিপুরা রাজ্যে। টিফিনের পরে লাইব্রেরি ক্লাস থাকলে বই নেওয়ার সময় গল্প হয়। সুভাষ ত্রিপুরার গল্প বলে। পার্বত্য ত্রিপুরা খুব সুন্দর। পাহাড়, অরণ্য সব রয়েছে। বাড়ি ফিরে মুকুট রেজাল্ট দেখাতে মায়ের মুখ উজ্বল হয়ে উঠল। মুকুট অংকে এবার ‘৮৫’ পেয়েছে। আর ভৌতবিজ্ঞানে পেয়েছে ‘৯০’। বাবার অফিস থেকে তাড়াতাড়ি-ই ফিরেছে আজ।  মুকুট বাবা-কে প্রণাম করে রেজাল্ট দেখালো। বাবা বলল- কোন্নগরে তোর ঠাকুরমা, থাকুর্দা-র কাছে দেখাতে হবে তো! এখানেও নদী গঙ্গা আছে, বাড়িটাও মন্দ নয় কিন্তু কোন্নগরের বাড়ি সে তো সত্যিকারের রূপকথার জগৎ মুকুটের কাছে। দাদুর সঙ্গে বাজারে যাবে, মাছ কিনবে আর ঠাকুরমার সঙ্গে চলবে দুনিয়ার খুনসুটি। চলে আসার সময় মন খারাপ করবে। বাবা-মায়েরও করবে। বারণ শ

চাঁদ রায়ের একটি প্রবন্ধ

  লৌকিক ছড়া ও তার ভাষা গ্রামবাংলার লোকজ উপাদান থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে এমন ছড়া গুলিই হল লৌকিক ছড়া। এইসব ছড়াতে রচয়িতার নাম জানা যায় না। এগুলি মুখে মুখে প্রচলিত এবং সাধারণত কোথাও লেখা থাকে না। পরে অবশ্য কেউ কেউ কিছু কিছু সংগ্রহ করে তাকে লোকসাহিত্যের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।  তবে সব ধরনের লোকসংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত লৌকিক ছড়া গুলিকে সংগ্রহ করা হয়েছে এমন নয়। যেমন--ভাঁজেো, হাবু, ঘেঁটু বা ঠাকুমা দিদিমাদের আঞ্চলিক ভাষায় ব্যক্ত অনেক ছড়া।  লৌকিক ছড়া বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। ছেলে ভুলানো ছড়া, খনার বচন, নানা ধরনের নীতি মূলক ছড়া, ধাঁধার ছড়া এবং সর্বোপরি ব্রতের ছড়া। এগুলি কে শোলোক বলা হয়। এই সব শোলোক বা ছড়া গুলি সাধারণ মানুষের জীবনের সরস কাহিনী থেকে উদ্ভূত।  Tolstoy বলেছেন--"সাধারণ মানুষের জীবনের সরস কাহিনী কে বাদ দিয়ে অল্প কিছু মানুষের কথাকে পরিবেশন করা সাহিত্যের সামাজিক কর্তব্য পালন সঠিক নয় "। তাই Tolstoy আরও বলেছেন যে, " সাধারণ মানুষের কথা বাদ দিয়ে যে শিল্প তা কৃত্রিম ও অচল"। তিনি শিল্প কে দুটি ভাগে বিভক্ত করেছেন--1. Good art 2. Bad art.  তাঁব মতে, মানুষের মধ্যে ঐ

রামপ্রসাদ সরকারের একটি প্রবন্ধ

  আমায় যে পিছু ডাকে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বই সংগ্রহ আমার নেশা। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে শিশির চক্রবর্তী সংকলিত পাঁচ দশকের বাংলা গানের গীতবিতান ‘এ শুধু গানের দিন’ কিনে ফেললাম। বইটির ভূমিকার প্রথম কয়েকটি লাইন পড়ে আমি নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হলাম। রবিবারের নিঝুম উদাস দুপুর। নির্দিষ্ট সময়ে সকলেই উৎকীর্ণ, রেডিওতে আধুনিক গানের অনুরোধের আসর হবে। একের পর এক প্রিয় শিল্পীর গান। শ্রোতারা হেমন্ত-মান্না-সন্ধ‌্যা-শ‌্যামল-ধনঞ্জয়-মানবেন্দ্র-সতীনাথ-প্রতিমা-উৎপলা-গীতার পাশে সমান আগ্রহে শুনছেন অখিলবন্ধু-সুবীর-মৃণাল-আল্পনা-গায়ত্রী-ইলা কিম্বা শৈলেনের গান। এসব শিল্পীর অনেক গানই মানুষের কণ্ঠস্থ, যন্ত্রায়োজন সমেত। চলে-যাওয়া শতকের পাঁচ-ছয়ের দশকে ছবিটা এমনই ছিল। তখন দূরদর্শন আসেনি, ঘরে ঘরে রেকর্ড প্লেয়ারও (সে সময় শুধু রেকর্ডই বেরোত) অপ্রতুল, শিল্পী ও গান এখনকার মতো দ্রষ্টব‌্য বস্তু হয়ে ওঠেনি। তখন সাধারণ মানুষের ভালো গান শোনার জন‌্য একমাত্র রেডিওই ভরসা।’ বইটা হাতে পেয়ে, পাতা উল্টে আমি আমার ফেলে আসা দিনগুলোয় ফিরে গেলাম, যে সময় আমাদের দিন-রাত ভরে থাকতো স্বর্ণযুগের বিভিন্ন শিল্পীর সুরেলা কণ্ঠে গাওয়া গানে। সে প্রায়

তৈমুর খানের একটি প্রবন্ধ

  ধর্ম যখন মানবিকতার অন্তরায়      ধর্মই কি একদিন পৃথিবী ধ্বংস করিবে ? যেদিন হইতে ধর্ম আসিয়াছে সেদিন হইতে যুদ্ধও আসিয়াছে। ধর্ম যদি শান্তি লইয়া আসিত তাহা হইলে পৃথিবীতে কি এত মৃত্যু, এত রক্তপাত দেখিতে হইত ? মানবিকতা বনাম ধর্ম — কে বড়ো? ধার্মিকেরা ধর্মকেই বড়ো করিয়া তুলিয়া ধরিবেন। মানবিকতাকে ধর্মের কাছে তুচ্ছ করিয়া হীন প্রতিপন্ন করিবেন। কারণ মানবিকতায় পরকাল নাই। পরকালের মোহময় সুখের হাতছানিও নাই। ধর্ম এভাবেই যুক্তি ও সত্যকে অস্বীকার করেই তাহার সাম্রাজ্য বিস্তার করিয়া চলিয়াছে। আমেরিকান মুক্তচিন্তাবিদ লেখক লেমুয়েল কে. ওয়াশবার্ন (১৮৪৬ ) এই জন্যই বলিয়াছেন : “Most men would kill the truth, if the truth would kill their religion.” সুতরাং ধর্ম একটি অন্ধকার অদৃশ্য রূপকথার কাল্পনিক প্রজ্ঞা মাত্র। ধর্মজীবীদের দ্বারা নির্ধারিত ও নিয়ন্ত্রিত কাল্পনিক সত্যের উপরই ইহার ইমারত নির্মিত হয়। হয়তো এই কথা ভাবিয়াই বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বলিয়াছিলেন : “‘religious truth’ conveys nothing clear to me at all.” এই সত্যকে খুঁজিয়া দেখিবার প্রয়াস কাহারও নাই, অথচ এক প্রগাঢ় অন্ধ আবেগ রহিয়াছে। এই আবেগ এমনই যা

সুজিত রেজের একটি গদ্য

  অন্তর-সংলাপ সারা ঘর জুড়ে তুমি তুমি গন্ধ।জামার কলারে ঘষা খুসকির চারকোল কাঁটা।এই যে এতকাল পথহীন পথ হাঁটা,বিফল তো নয় সব।খাতাবুকে লিখে রাখো এইসব নীরব কলরব। তোমার অগোছালো আঁচলের নভোনীলে, ক্লান্ত তারার ডুবসাঁতার।শিউলি সকাল দেয় উঁকি, এরপর আমি আর ঘুমোতে পারি কি?এসো মৃত্যু গুছিয়ে রাখি। শুকতারার সঙ্গে আলাপন সেরে, গোবর নিকোনো উঠোনে গলে গলে পড়ে চলনবিলের ভিজে গল্প,তখনও তোমার ওষ্ঠে মোমবাতি জ্বলে,আমি তাকে নেভাই কী করে? বাইরে যেয়ো না,বাতাস বইছে জোরে। গাছের ডালগুলো নুইয়ে পড়েছে। পাতা নেই, ফুল নেই,তবুও। কিসের ভার বহনে তার এই অনীহা?

সুমন সাহা'র একটি মুক্তগদ্য

শীতের শার্ট আপেলের লোভ দেখানো বিকেলঘড়ি চিনে এখনো বাউন্ডারি বেড়াটার ওদিকে― যেদিকে দেড়তলা বাসার ছাদে প্রতিদিন গোলাপ ফুটে! এই ব্যাপারে জীবনদার সাথে কথা বলা যেতে পারে যে-কোনো শীতমাখা ডিসেম্বরে! একমুঠো বিকেল নিয়ে এই শহর পেরিয়ে কবিতা কিউট কোল্ডক্রিমের গন্ধ ছড়িয়ে হারায়ে যাক― এই ব্যাপারে শ্যামলা মেয়ে ভুলে যাক গতকালের বিকেল : যেমন―কাশফুল সাদামেঘকে ভুলে গ্যাছে; সাদামেঘ কাশফুলকে ভুলে গ্যাছে।  সুখ-দুঃখ সুবর্ণখালি ব্রিজ পাড় হয়ে হারায়ে যাক― খুঁজবোনা... আমি অনেক কিছুই খুঁচিয়ে খুঁজে বেড়াই না আর...পাখিদের ক্লাসঘরে মন খারাপের রীতি নাই বইলা এখনো আনন্দ লই, সেটা―' জীবনের আনন্দ।'

শ্রাবণী মুখার্জীর একটি গল্প

    তৃপ্তি এলার্মের আওয়াজ টা এতো তীব্র লাগে উফ আর পারি না বাবা , সকাল বেলাতেই মুখটা বাংলার পাঁচ করে বিছানার উপর উঠে বসলো শিপ্রা । রবিবারেও একটু শান্তি নেই । মাসি আজ কাজে আসবে না বলেছে , ওর ছেলের জন্মদিন । এদিকে বিষ্ণুপুর ঘরানা তে সংগীতের ডাক পড়েছে শুভম এর , যেতে হবে।   বিছানা ছেড়ে বাথরুমের দিকে যাবার পথে হঠাৎ দেখলো শুভম সরস্বতী ঘরে কি যেন করছে ঝুঁকে মন দিয়ে । 'এতো সকাল বেলা শুভম সরস্বতী ঘরে কেন '? পাশ কাটিয়ে চলে গিয়েও ফিরে এলো শিপ্রা , চেয়ারে ঝুঁকে পড়া শুভম এর গায়ে হাত দিয়ে আলতো করে ঠেলতেই শুভমের দেহ এলিয়ে দিলো মেঝেতে । বুকটা ধড়াস করে কেঁপে উঠেই শিপ্রার চক্ষুস্হির । শুভমের মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বের হচ্ছে । তাহলে কি তাকে সাপে কাটলো ? কান্নায় বুকটা ফেটে চৌচির হলেও মিনিট পরেই নিজের কিংকর্তব্যবিমূঢ় ভাব কাটিয়ে একটা নার্সিংহোমে ফোন করে এম্বুলেন্স এর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো ।  করোনা কালে নার্সিংহোমে ভর্তি হওয়া ভীষণ জটিল , যদি দেরি হয়ে যায় তাহলে কি হবে ? শুভমের হলোটা কি ? একটি বড়ো সরস্বতী মায়ের মুর্তি ও একটি সরস্বতী মায়ের স্কেচ ছবি দেওয়ালে ছাড়

গোবিন্দ ব্যানার্জীর একটি গল্প

  ডরো মৎ গল্পটা আমার মস্তিষ্কজাত নয়। মস্তিষ্ক আধারিত। শোনা গল্পের ভান্ডার থেকে অণুকথন বলা চলে। অবশ্য এ যাবৎ যা লিখেছি,  সবই তাই। ছেঁড়া পেঁজা জায়গাগুলো কেবল আঠা দিয়ে জুড়ে নিয়েছি। কত কত গল্প। কত চরিত্র। ঠাসা হয়ে আছে দেরাজ। পাল্লা খুললেই ম-ম করে পুরোনো গন্ধে। গত ভাদ্রের রোদ্দুরে কিছু গল্প মড়মড়ে ক'রে শুকিয়ে নিতে গিয়ে চরিত্রগুলো এমন গুঁড়োগুঁড়ো হয়ে গেল... দু'চারটেকে কোনোরকমে  মিলিয়ে জুলিয়ে এ গল্পটা খাড়া করেছি... সযত্নে রেখে দিয়েছি নতুন গল্পের সংরক্ষিত দেরাজে...               গোমুখের পথে কয়েক কিলোমিটার হাঁটার পর, দলটার দুরন্ত পা'গুলো বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তিন-চার পরত গরম পোশাক পরে থাকলেও বাতাসের তুষার শীতল ছোঁয়া হাড় পর্যন্ত কাঁপিয়ে দিচ্ছে। গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। সামনেই একটা বড় ধ্বস। উপর থেকে পাহাড়ের মাথাটা খসে পড়েছে। ওটা পেরোতে হবে ভাবলেই সবার বুক অসহায় হয়ে  উঠছে। পিসেমশাই তখন তাজা যুবক। দলপতি। তিনি ধ্বসটা পার হবার সম্ভাব্য নানা ছক কাটছেন কাগজে। সবাই প্রবল আশায় চেয়ে আছেন তার মুখের দিকে...              হঠাৎ উল্টো দিক থেকে সেই ভীষণ ভাঙনটা অনায়াসে পেরিয়ে আসছেন এক নেংটি সর্বস্ব সাধুবাবা।

আশীষ কুণ্ডুর একটি গল্প

    ছত্রধরের বিপদ আজ ছত্রধর ভুঁড়ি সামলে সবে অটো থেকে নেমে দোকানে ঢুকতে যাবেন এমন সময়ে এক বাইক আরোহী প্রায় গা ঘেঁষে বেরিয়ে গেলো, একটা ফ্ল্যাশ হোলো, মনে হোলো পিছনে বসা একজন ফটো তুলে নিয়ে গেলো। ছত্রধর বড় চিন্তার ছাপ কপালে সেঁটে দোকানে ঢুকতেই,নীলু একেবারে গদগদ হয়ে বললো, "গুড মর্নিং স্যার!" " ব্যাড মর্ণিং" ছত্রধরের কথায় থতমত খেয়ে নীলু বললো, "কেন স্যার, বৌদি কি ঝাড় দিয়েছে! " "এই ডেঁপো ছোকরা, সাইটে যাওনি কেনো? " " কোন সাইট স্যার, এই মন্দার বাজারে কাজ কোথায়?  একটা ওই বোসপাড়ার কাজ ছিলো কাল শেষ হয়ে গেছে, কি যে  হবে আপনার ? " "আমার আবার কি হবে, তোমার কথা ভাবো, কাজ শিগগির না জোগাড় হলে হোঁচট খাবে তুমি " ছত্রধর সরাসরি বলে।  কথা ঘুরিয়ে নীলু বলে, "স্যার, আপনি মনে হচ্ছে অন্য কিছু সমস্যার মধ্যে আছেন, শরীর ঠিক আছে তো আপনার? " এবার যেন একটু ধাতস্থ হয়ে বলে, " শরীর ঠিক আছে, তবে আজ এই দোকানে ঢোকার সময়ে এক ছোকরা প্রায় গা ঘেঁষে ফটো তুলে চলে গেলো, তাই চিন্তা হচ্ছে " মুখের কথা কেড়ে নিয়ে নীলু বলে, " সে, কী!  এতো বীভৎস সমস্যা, ন

অঞ্জলি দে নন্দীর একটি গল্প

  বড় পুকুরের পাড়ে চৈতন্যবাটী গ্রামের নন্দীদের বড় পুকুরের পাড়ে একটি বিরাট বহু পুরোনো নীম গাছ আছে। গ্রামের সবাই জানে যে ওই গাছে ভূত ও পেত্নী আছে।  তবুও চোররা রাতে মাছ চুরি করতে যায়। গভীর রাতে তারা জাল ফেলে মাছ ধরে। খালুই ভরে। তারপরে, সকালে বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রী করবে - এরকমই ওদের পরিকল্পনা রয়েছে।  এক খালুই ভরে গেছে। এবার জাল থেকে মাছ পাড়ে ঝেড়ে তা দ্বিতীয় খালুইয়ে তুলে রাখছে। এমন সময় একদল ভূত ও পেত্নী তাদের ঘিরে ফেলল। ওরা শুনল, " হাউ মাউ খাউ, তোরা ছ'টা খালুই এনেছিস, সবগুলো মাছে ভর। তারপর চুপচাপ ওগুলি এখানেই রেখে চলে যাবি। না হলে সবার ঘাড় মটকাবো। হাউ মাউ খাউ...। " এবার চোররা তাই করল। খালি জাল কাঁধে করে ভয়ে ভয়ে ভয়ে বাড়ি ফিরে গেল।  পরের দিন সকালে নন্দীমশাই প্রাতকালে দাঁত মাজতে মাজতে মাজতে হেঁটে হেঁটে হেঁটে বড় পুকুরের পাড়ে এসে হাজির হলেন। অবাক কান্ড এ যে! উনি দেখলেন ছ'খালুই মাছ। তখন মোবাইলে ফোন করে তিনি তাঁর নাতী আশিসকে ওখানে আসতে বললেন। ব্যাপারটা শুনে আশিস তখন তাদের বাড়ির চাকরকে ও দারোয়ানকে বলল, " ছ'টা বড় থলে নিয়ে বড় পুকুরের পাড়ে চল!" এরপর ওরা সেখানে গেল। দাদু

অর্ণব মিত্রের একটি গল্প

  স্যানাল বাড়ি সান্যাল বাড়ির মেজ বউ রাজিতা। সান্যাল বাড়ির ভেঙ্গে পড়া আভিজাত্যকে জুড়তে জুড়তে আজ বড় ক্লান্ত ও। তিন পুরুষ ধরে সান্যাল বাড়িতে লেখালেখির চল। রাজিতার দাদাশ্বশুর ছিলেন বিরাট লেখক,নাম পিনাকী সান্যাল। রাজিতার পরিচয় পিনাকী বাবুর মেজ নাতির স্ত্রী। এই বাড়ির সকলেই লেখক। এখানে প্রতিদিন সাহিত্য, সংস্কৃতির সাথে জড়িয়ে থাকা মানুষজনের আনাগোনা। তবে সান্যাল বাড়ির মানসম্মান হঠাৎ করেই ভেঙ্গে পড়েছে। লেখার মান একেবারে নেমে গেছে রাজিতার স্বামী দেবার্ঘ্যর । বাড়ির সবাই রাজিতা কে নিয়ে এই নিয়ে দোষারোপ করত। নাকি রাজিতার উষ্কানীতে এসব হয়েছে। রাজিতার মন্ত্রণায় ওদের বাড়ির বাজারটুকুই হয়না। যাই হোক মেজো ছেলের উপন্যাস নিয়ে বাড়িতে একেবারে সাজো সাজো রব পরে গিয়েছে। নতুন উপন্যাস রাজিতার মত এক সংসারে উপেক্ষিত নারীর, যে হঠাৎ খুঁজে পায় যে তার গুণ ইচ্ছা করে বাড়ির লোকজন চাপা রেখেছিল। আনমনে কি যেন ভাবছিল রাজিতা । হুকুম আসে উপন্যাসের সেট নিয়ে আসার জন্য। রাজিতা বই এর পাহাড় থেকে বই নামাতে গিয়ে চোখে পড়ে একটা চেনা নামের বই 'উপেক্ষিত' । বইটা হাতে নিয়ে রাজিতার বুকটা ধড়ফড় করে ওঠে। বইয়ের প্রচ্ছ

সিদ্ধার্থ সিংহের একটি গল্প

  আমার ছেলে কিচ্ছু খায় না  ডাক্তারের উল্টো দিকের চেয়ারে বসে মুখ কাঁচুমাচু করে কাজরী বললেন, ডাক্তারবাবু, আমার ছেলে কিচ্ছু খায় না। এর আগেও দু’জন চাইল্ড স্পেশালিস্টকে দেখিয়েছিলাম। এই যে তাঁদের প্রেসক্রিপশন... বলেই, আগে থেকে বের করে রাখা তিন-চারটে কাগজ উনি এগিয়ে দিলেন ডাক্তারবাবুর দিকে। ডাক্তারবাবু সেগুলিতে চোখ বোলাতে লাগলেন।  কাজরী আবার বললেন, ও কিচ্ছু খাচ্ছে না, কী করা যায় বলুন তো?  ডাক্তারবাবু প্রেসক্রিপশনগুলোয় চোখ বোলাচ্ছেন। বিশাল চেম্বার। দারুণ সাজানো-গোছানো। এ সি চলছে। সাত দিন আগে নাম লেখাতে হয়েছে। এর আগে যে দু’জন ডাক্তারকে দেখিয়েছিলেন, তাঁদের একজন পাড়ার ডাক্তারখানায় বসেন। অন্য জন একটু দূরে।  ওর ছেলে কিচ্ছু খাচ্ছে না শুনে সহেলীর মা বলেছিলেন, কোন ডাক্তার দেখাচ্ছিস? সুনীল ডাক্তার? কত টাকা ভিজিট? চল্লিশ টাকা?  কাজরী বলেছিলেন, সুনীল ডাক্তারকে দেখিয়ে কোনও কাজ না হওয়ায় লেক মার্কেটের কাছে একজন খুব বড় ডাক্তার বসেন, তাঁকে দেখিয়েছিলাম। তাঁর ভিজিট দুশো টাকা। শুনে সহেলীর মা বলেছিলেন, ধুর, এ সব রোগের ক্ষেত্রে একদম লোকাল ডাক্তার দেখাবি না। বাচ্চার ব্যাপার তো, একটু ভাল ডাক্তার দেখা। তাতে যদি দু’পয়স

অমিত পালের একটি কবিতা

  তুমি পাল্টাবে না তোমরা তো দেখছি নতুন ভাবে সারি বেঁধেছ৷ পিঁপড়েরাও তোমাদের দেখে লজ্জা পাবে৷ হাতে হাতে ধর্মধ্বজা---- লাল, সবুজ, গেরুয়ার সমুদ্র সফেন৷ তোমরা নিজেদের ডিম্ব গুলি রক্ষা করতে চাও---- পিঁপড়ের বংশধর সব৷ আমি জানি একথা---- তুমি থামবে না ধমকানিতে৷ জয়গান গেয়ে যাও নিজ পেটের ভাত রক্ষার্থে---- বোকামিতে হোক বা ছলচাতুরীতে৷ আমি জানি তুমি থামবে না৷ গর্জে উঠবে বারবার৷ তোমার তো সম্পদ-প্রভাব প্রতিপত্তির প্রতি একটা নিগূঢ় লালসা আছে---- একথা আমি জানি৷ তুমি চিৎকার করছ নিজের জন্য৷ কিন্তু তোমার সঙ্গীরা... টিফিন পেলেই তৃপ্ত পাশে থাকা গিরগিটি---- একথা তুমি জানো? আমি জানি তুমি থামবে না৷ অনশনে বসবে৷ কিন্তু তোমার সভা-সমাবেশের ভবিষ্যত কি? সে কথা প্রত্যুত্তরে বলো আমায়...

কৌশিক বড়ালের একটি কবিতা

  ধুলো কত রাত ধরে জল জমে আসে ধুলো পড়ে ছিল ঘরে আমাদের তো তিনটেই সিট চারজন চেপে চুপে... সময় জানে এতো মাস ধরে কীভাবে কেঁদেছে। চুপে। হকারের ঘরে বহুদিন হলো ইচ্ছেরা মারা গেছে। চাকা চলো তবে ঘুরে আসা যাক পথ হারিয়েছি কবেই... যত ঝুল সব দখলে ছিল মারা গেছে ভালোবেসে

সর্বাণী ঘড়াই এর দুটি কবিতা

    ছন্দ পতন               চলো ফিরি কবিতার ভিড়ে               যেটুকু বাকি আছে অতৃপ্ত প্রেম    পুর্ণ করুক অক্ষর আর শব্দ মিলে- হৃদয় চিহ্নে কালবৈশাখি                  এসেছিল কাক ভোরে  ভেজা পাতায় সোঁদা গন্ধরা  স্মৃতির স্বপ্নে ঘোরে। তুমি চেয়েছিলে মেঘ•••               আমি ভাবিনি বৃষ্টি হব বজ্র এঁকেছি তোমার শরীর জুড়ে              প্রেম অনুভূতি শব্দ ছন্দ পোড়ে । এসো কবিতায় খুঁজি যৌবন বারবেলা              আর অক্ষর খোঁজে সুখ দুঃখ খেলা বার্ধক্যের খাতায় জমেছে আয়ু            কবিতাই প্রেম প্রাণ শক্তি বায়ু ••••• _______________________________________   সন্ধিক্ষণ আমি যখন অষ্টাদশী- বনসাই এর মতো বলিষ্ঠ শেকড় ফুল-ফল নিয়ে ঘর কন্নায় মত্ত এক পুর্ন বয়স্কা নারী প্রকান্ড এক টবে লাগান গাছ আমি-  মৌমাছি প্রজাপতিদের আনাগোনা আছে সেখানে গুঞ্জন আর রামধনুচ্ছ্টা এসে ছুঁয়ে যায় মন যৌবনেরা যুবতী শরীর ছুঁয়ে  পেতে চায় ওম এখন সকাল গড়িয়ে বিকেলে মিশেছে বয়স সন্ধিক্ষণে এসে কোঁকড়ানো চামড়া বলিরেখা আঁকা মুখ ভাঙা দাঁতের ফোকলা হাসি নিয়ে যখন জীবন মানচিত্রে ছানিপড়া দৃষ্টি ফেলি- তখন মনে হয় এখনো বনসাই আছি শেকড় ছড়িয়েছে মাটির গভীরে বলিষ্ঠ

মানসী ঘোষের একটি কবিতা

  পুরুষত্ব নারীজাতিকে নিজের পায়ের নীচে দমিয়ে রাখাই যদি পুরুষের পুরুষত্ব !  তবে এমন পুরুষত্ব ধূলোয় মিশুক। নারীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাওয়ার নামই যদি পুরুষত্ব হয়! তবে এমন পুরুষত্ব নিশ্চিহ্ন হোক। নারীর দেহে তোমার দেওয়া কালশিটে দাগ যদি তোমার পুরুষত্বের প্রমাণ হয়! তবে পুড়ে ছাই হোক তোমার পুরুষত্ব। এমন পুরুষত্বের চেয়ে, হে পুরুষ!  তুমি বরং পুরুষত্বহীন হও। তুমি বরং পুরুষত্বহীন হও

বিক্রম দাসের একটি কবিতা

নির্যাতন   অনেক ছবি দেখলাম শহরের রাস্তায় পথ শূন্য ছিলো তবু হারিয়ে গিয়েছিলাম ভিড়ে হঠাৎ করে শুনতে পেলাম তুমি বেশ্যা নাকি ভরসা করে বলবো তাকে কী মাথায় আসছিলো না তখন প্রান হয়ে ছিলো মুল্যহীন তাঁতের দু্রত্ব বেশি ছিলো না আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম তারাও ছিলো আমার মতন কিন্তু তারা যৌবনের শিকার হয়েছিলো এখন রাত হলেই বের হয় এটা সত্যি বেঁচে আছে তারা এখনো শহরের গলি গলিতে এক ঘরের আড়ালে পায়নি তারা ন্যায় বিচার, হ্যাঁ এটাই সত্যি ইচ্ছে করে হয়নি তারা ভয় তো আমারও হচ্ছিলো তাঁদের মতোন পরিচয় আমাকে দেবে না তো আমার ব্যাথা তারা বুঝতে পেরে তারা আমার হাতে মোমবাতি তুলে দিলো আর গায়তে বলল তাদের গান আমি বেশ্যা আমি বেশ্যা বলল তারা কানে তুমি প্রবিত্র তা না কেউ জানে ওই দেখা যায় সাদা বাড়ি ওখানে তে সবার বাড়ি যাও রাত টা স্বপ্ন ভেবে ঘুমিয়ে যাবে তারা অবুঝ ছিলো আমার ছলা কৌশলের কাছে আমি পুলিশ তা ওরা না জানে কিন্তু কিছু খনের জন্যও আমি সেই পরিচয় হারিয়ে ফেলে ছিলাম আমি ও তো এক মেয়ে ভয় আমারও লাগছিলো বহুরূপী সেই রাক্ষসদের কে দেখে বুঝতে তো আমি তখনি পারলাম যখন একলা হয়ে রাতে রাস্তায় বের হলাম আমি দেখতে পেলাম প্রতিকা

শ্রাবণী মুখার্জীর একটি কবিতা

  ছায়াপথ   তোমার রক্তে সৃষ্ট এ প্রান ,মাতৃদুগ্ধে সিঞ্চিত অবিরাম ... সাহসী হওয়ার আশ্বাস পাই ,তুমি আছো তাই চিন্তা নাই   বংশের নাম তোমার দান ,পরিশ্রান্ত জীবনের পরিত্রাণ ।  জীবন জুড়ে মূলমন্ত্র জানি ,তোমাকে-ই সাক্ষী ভগবান মানি । তিলে তিলে বাড়ি ছত্রছায়ায় ,এই ছায়াপথ বাঁধা তোমার মায়ায় । স্নেহ ভোলায় অভিমান গুলো রোজ, আমি না নিলেও তুমি করো খোঁজ । দেহ মন ছুঁয়ে আদরের আলোয়ান ,শীর্ণ মলিন বেশে ও পালোয়ান ,  প্রখর রোদের তেজ হোক বা বিপদ বৃটবৃক্ষের ছায়াতলে শান্তি নিরাপদ । তোমার কাছেই শিখছি নতুন অবিরত, সন্তান সুখে ঢেকে দিতে ব্যথা যত । তোমার পদবী আমার উঁচুমাথা ,তোমার শেখানো বুলি প্রতিহৃদয়ে গাঁথা । অন্তরে হালকা পরশ, বাইরে কঠিন জানি শোধ হবার নয় পিতৃঋণ । কতোশত লজ্জাহীন কাহিনী জীবন যা বলতে শেখেনি ।।

ইলা চক্রবর্তীর দুটি কবিতা

অন্য স্বাদের প্রেম  পেয়েছি সব অশান্ত এক নদী, ঘৃণায় ভরা বাতাস, কাল্পনিক ভালোবাসা, স্নায়ুবিক উষ্ণতা আর তোমায়,,,! ভুলের পথ ধরে চলতে চলতে এখন মস্ত পাহাড়ের সামনে আমি। অথৈ জলে ঝাঁপ দিয়ে খুঁজি ফিরি মনটারে! তার খোঁজ পেয়েছি কি? কে জানে!!! কোনো এক স্বর্ণালী সন্ধ্যায় কথা দেওয়া নেওয়া হয়েছিল হয়তো,,, ঝড়ের মুখে ঠিকানা হারিয়েছে সে! এক মুঠো সোনা ঝরা দিন উপহার দেবে বলেছিল সে! বার বার আবার পথ হারিয়েছে দিশা বদলিয়েছে,,, পোড়া মন আর নদী হতে পারেনি, পারেনি সাগরে মিলতে,,,! আদরে সোহাগে বিরহে ভেজা যে হলোনা আর! নতুন শহর নতুন নাম নতুন কথা দেয়া নেয়া! অন্য ভাবে মুখ এঁকেছ অন্য স্বাদের প্রেম, তাই তুমি অনেকটা এগিয়ে,,! _____________________________________ জীবন রহস্য অনল তুমি অনিলা আমি, জড়িয়ে রাখো আমারে।        তোমার তীব্র শিখায় উজ্জ্বল করো, শুদ্ধ করো আত্মারে।   ফিরে যেতে চাই আবার আমি, আদিমতার রহস্য দ্বারে।    বুকের মাঝে ভীষণ তৃষ্ণা, আহুতি দিলাম নিজেরে,,!     রামধনু রঙ বুঝি খুঁজে পাই,     তোমার তপ্ত স্রোতে।  অনল তুমি অনিলা আমি    ভালোবেসেছি আমি তোমারে।    দাউ দাউ করে পুড়ে যেতে চাই,     ভেঙে যাওয

সায়ন তরফদারের একটি কবিতা

  যারা রোজ মরে যায় শহর বোঝে না ভালোবাসার মাপকাঠি সে জানে না কত দুঃখ জমেছে আকাশে ভালোবাসা মরে যায় রোজ এখানে― বাঁচতে চায় মানুষ প্রায়ই শ্রমে ও চাষাবাদে বাঁচতে চেয়েছিল ছেলেটাও বারবার বুঝতে পারেনি ভালোবাসায় মায়ার পরিমাপ কর্মহীনতায়, প্রেমহীনতায় মরেছে প্রায়ই শরীরটা সতেজ তবুও, জীবন পায়নি মনের জবাব তবুও রোজ স্বপ্ন দেখি, বাঁচবো আবার ঠিকই কিচ্ছু চাইনি সত্যিই...শুধু চাই একটু 'বাঁচতে শিখি'।

সুব্রত মিত্রের দুটি কবিতা

  মন্বন্তরে রূপান্তর এখন শুকনো ঢেউয়ে আমি মায়া খেলা করি বাঁচিবার তাড়নায় স্বার্থের সাথে ঘর করি, দিবানিশি পলায়ন ঘটে স্বার্থত্যাগের বাণীর সমোচিত ভাবনার মুক্ত গগন খানি চূর্ণ দেবতার মত হয়ে ওঠে অভিমানী।  বাস্তবের নাব্যতা আরো কত গভীর বলে দাও সখা আমি পিপাসা ভুলে গিয়ে ক্ষুধাটাকে মেনে নেব; যাব ভুলে সৌখিনতা; প্রমাণ্য প্রায়শ্চিত্তে অবলিলার লুণ্ঠন দাবি করে ন্যায্যতা, আমি পাপের বিচক্ষণের দায় মাখা হাড়ি সরা দুঃখের প্রসারতা করে অবগাহন ফিরে আসে মৌনতা।  ভাতে ছাই পড়ে আছে ঐ সাহারার হাতখানি এলো কই? বাস্তবের নদী জীবনে আছাড় খায় উঁকি দেয় ঘোলাটে মলাটের বেণু ছায়া, নীল আকাশ কালো হয়ে আসে কেন উড়ে আসে কেন ভিনদেশী মায়া।  আমি আস্তরনের মেঘ ফাটা রোদ হতে গিয়েছিলাম কোন ক্ষন প্রতাপ ইশারায় নিমজ্জিত সুর জীবনকে করছে নিলাম আমি বেদনায় অপহৃত মায়ার পাথর গন্তব্যের শীতলতম আবহে মানুষের মন্বন্তর করে তোলে কাতর। _______________________________________ পরিসর জ্ঞাপন আজ তোমাকে দেখতে বড় ইচ্ছে হচ্ছে, ইচ্ছেরা গণ্ডি হারা কোন সমুদ্রে সাঁতরায় পৃথিবীটা জীবন্ত রাক্ষসের মত দাঁড়িয়ে আছে।  আমি ঠিকানাহীন এক অযোগ্য পথিক ক্লান্তি আর ন

মুহা আকমাল হোসেনের একটি কবিতা

  ভাঙন  পাহাড়ী ময়াল নদী নেমে আসছে,  নড় বড়ে কাঠের সেতু।  আকাশ মুখি গাছ চিৎকার-  ভাঙবে! ভাঙবে!  ভাঙন সমর্থিত একটি রাগী আকাশের নিচে  একটি সন্ত্রস্ত মিকচার বস্তি!   অসংখ্য গণকবরের দাগ  আজ অলিখিত ইতিহাস!