বৈষম্যের ব্যভিচার
সান্ধ্য রজনীর কোলাহল অর্থের আলো জ্বেলেছিলো---
সভ্যতার বিদগ্ধ জ্বালাতন উশৃঙ্খল জীবন গড়ে
মেহনতি প্রাণ ছোটে আর্তনাদ বেঁধে পেটে
ভালোবাসা পথ হারিয়ে চলে গেছে।
এই ধনী সম্প্রদায়ের মানুষগুলো কোনদিনই সমাধান খোঁজেনি তার।
কেনইবা খুঁজবে?
ওরা জাত বেঁচে ভাত খায়;
ওরা চাকরি আর সরকারি সুযোগ-সুবিধা---
পাওয়ার জন্য নিচু জাতে নাম লেখায়;
আবার চাকরি পেয়ে গেলেই---
অর্থবান হয়ে বড়লোক সেজে ঘুরে বেড়ায়
তাদের এই নেশাগ্রস্তের তাড়নায় তারা পুনরায় জাত পাল্টায়,
চূড়ান্ত নিকৃষ্টতম নিম্ন মনোবৃত্তির উদাহরণ---
গায়ে মেখে রেশনের লাইনে দাঁড়ায়।
সমাধান কবে;কখন;কোথায় আসবে কে জানে?
জাতি;উপজাতি;মহাজাতির সার্বিক নির্ণয়---
কিভাবে হবে না জানিলে তাহার মানে?
আমি প্রশ্নবোধক চিহ্নের মতো খাড়া দেওয়াল হয়ে রয়ে গেলাম।
নেতা;সরকার;আর এই ---------------
সমাজের উচ্চবর্ণের মানুষদের কীর্তন শুনলাম,
উঁচু আর নিচু কোনো জাত হয় নাকি?
বৈষম্য যদি করতেই হয় তবে একটাই হোক ----,
তা হলো হতদরিদ্র, ধনী ও গরিব।
মানব সমাজে এর বাইরে নেই কোনো জাত বাকি।
No comments:
Post a Comment