Posts

Showing posts from January, 2023

গ্রামীণ ডাক সেবক (GDS) নিয়োগ 2023 || WB GDS recruitment 2023 || Post office peon recruitment 2023 || https://indiapostgdsonline.in/

Image
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের চাকরি প্রার্থীদের জন্য নতুন সুখবর আছে। আবার নিয়োগ হতে চলেছে গ্রামীণ ডাক সেবক তথা GDS পদে। বিজ্ঞপ্তি টি Indian post এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে প্রকাশিত হয়েছে। সমগ্র দেশ জুড়ে এই নিয়োগ চলবে। এর মধ্যে আপনাকে পশ্চিমবঙ্গের সার্কেল সিলেক্ট করতে হবে। চাকরি সংক্রান্ত সম্পূর্ণ বিবরণ নীচে দেওয়া হল- মোট শূন্যপদ - 40889 টি ( সমগ্র দেশে)     কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে -  (1) ব্র্যাঞ্চ পোষ্ট মাস্টার (BPM) (2) অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্র্যাঞ্চ পোষ্ট মাস্টার/ ডাক সেবক (ABPM)  বেতন-  (1) BPM - 12,000 টাকা/মাস (2) ABPM - 10,000 টাকা/মাস বয়সসীমা- ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হবে। সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা -  শুধু মাত্র মাধ্যমিক পাশ করে থাকলেই আপনি এখানে আবেদন করার সুযোগ পাবেন।   বিশেষ যোগ্যতা - আবেদনকারীকে অবশ্যই সাইকেল চালাতে জানতে হবে। এর সাথে চাকরিপ্রার্থীদের স্থানীয় ভাষায় কথা বলতে, বুঝতে এবং লিখতে জানতে হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়া- শুধু মাত্র মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেরিট লিস্ট তৈরি হবে। কোনোরকম লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ দিতে হবে না। আবেদন প্রক্রিয়া

গনিত বিস্ময় - পুষ্প সাঁতরা || প্রবন্ধ || নিবন্ধ || Article writing

  গনিত বিস্ময়       পুষ্প সাঁতরা গনিতে অসাধারণ প্রত্যুতপন্নমতিত্ব বিস্ময় ব্যক্তিত্ব শ্রীনিবাস রামানুজন! বিশ্বের অন্যতম সেরা গনিতজ্ঞ। স্বল্প আয়ুস্কালের মধ্যে তিনি এমন শীর্ষে পৌঁছেছিলেন যে, তাঁর সান্নিধ্যে বা গনিত ভাবনার সংস্পর্শে যাঁরাই এসেছেন প্রত্যেকেই রামানুজের প্রতিভার উজ্জ্বলতায় সম্মোহিত হয়েছেন। দুশত এগার র ছাব্বিশে ডিসেম্বর ভারত সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান মন্ত্রী মনমোহন সিং ঘোষনা করেন শ্রীনিবাস রামানুজনের জন্মদিনটি 'জাতীয় গনিত দিবস '- হিসাবে পালিত হবে। রামানুজনের পিতৃনিবাস তামিলনাড়ুর কুম্ভকোনম শহরে। বাবা কুপুস্বামী শ্রীনিবাস আয়েঙ্গার ছিলেন এক কাপড়ের দোকানের কর্মচারী, তাঁর ভক্তিমতী মা কোমলতাম্বল ছিলেন সু কন্ঠের অধিকারী ইরোড শহরের মামা বাড়িতে-- আঠারশ সাতাশি র বাইশে ডিসেম্বর রামানুজনের জন্ম। মা ছিলেন স্থানীয় জাগ্রত দেবী নামগিরির একান্ত ভক্ত। বাল্যে রামানুজনের খেলাধুলায় তেমন আগ্রহ ছিল না, তবে স্মৃতি শক্তি ছিল অসাধারণ! মায়ের কাছ থেকে আত্মস্থ করেছিলেন পুরাণের কথা, ভক্তি গীতি, রামায়ণ মহাভারত ও বিভিন্ন ধর্মের কাহিনি শুনতেও বড় ভালবাসতেন। প্রাথমিকে শেষ পরীক্ষায় প্রথম হ

মনের আমি মনের তুমি - স্নেহাশিস মুখোপাধ‍্যায় || প্রবন্ধ || নিবন্ধ || Article writing

  মনের আমি মনের তুমি               স্নেহাশিস মুখোপাধ‍্যায়   মন নিয়ে লিখতে বসে একটা সক্ষমতা এবং অসক্ষমতার প্রশ্ন খুব বড়ো হয়ে উঠছে। ‘দুই পাখি’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ খাঁচার পাখি এবং বনের পাখির ভেতরে যে মিল এবং পার্থক্য তৈরি করে দেখিয়েছিলেন, তার শেষে অসামর্থ্যের প্রশ্নটি বড়ো হয়ে দ্যাখা দিলো। খাঁচার পাখি নিরিবিলিতে থাকে, কিন্তু তার ভেতরে বাইরের পৃথিবীর স্বপ্ন রয়েছে। বনের পাখি অনেক খোলামেলা এবং উদার হলেও এবং তার সঙ্গে আকর্ষণীয় হয়ে উঠলেও, খাঁচার পাখির পক্ষে সেই দামালপনার সঙ্গে পূর্ণ সঙ্গতি দান করা মোটেই সম্ভব নয়। ফলে তার ভেতরে সুখ এবং দুঃখ দুই-ই সময়ে সময়ে মুহূর্ত তৈরি করে ফেলছে। আধুনিককালের মনস্বী মানুষেরা মানুষের মনোস্তত্ত্বের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে যে পর্যবেক্ষণগুলোকে সামনে রাখার চেষ্টা করেন, তার ভেতরে স্বপ্ন একটি অন্যতম বিষয়। ফ্রয়েড সাহেব তাঁর ‘স্টাডিস অন হিস্টিরিয়া’তে বাস্তব মানুষের জীবনে স্বপ্নের ধারণাকে ভ্রান্ত বলে ধরে নেননি। বরং তাকে বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনার ভেতর দিয়ে একটা রুপ দিতে চেয়েছেন। দুজন মানুষের মনের আলো-অন্ধকারের দিক যে আসলে সাফল্য এবং ব্যর্থতার দিক এবং তার বৈচিত্র্য, ফ্রয়ে

টি টোকেন: চা বাগানের বিকল্প মুদ্রা ব্যবস্থা - অসিত কুমার পাল || প্রবন্ধ || নিবন্ধ || Article writing

  টি টোকেন: চা বাগানের বিকল্প মুদ্রা ব্যবস্থা             অসিত কুমার পাল পলাশীর যুদ্ধের পরে একটু একটু করে গোটা ভারতের শাসন ক্ষমতা প্রথমে ব্রিটিশদের হাতে চলে গিয়েছিল । তারা স্থানীয় ভাবে প্রচলিত অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে দিয়ে নিজস্ব কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করেছিল , সেই সঙ্গে সারা ভারতে অর্থনৈতিক লেনদেনের মাধ্যম হিসাবে নিজস্ব মুদ্রা ব্যবস্থা ( বিভিন্ন মূল্যমানের কাগুজে নোট ও ধাতব মুদ্রা ) চালু করেছিল ।  বহুদিন আগেই চিনে দেশের অধিবাসীরা লক্ষ্য করেছিল চা নামক এক প্রকার গুল্ম জাতীয় গাছের পাতার নির্যাস থেকে তৈরি এক প্রকার সুস্বাদু পানীয় দেহের ক্লান্তি দুর করে । অষ্টাদশ শতাব্দীর আগে পর্যন্ত চীন দেশের বাইরে পানীয় হিসাবে চায়ের ব্যবহার ততটা প্রচলিত ছিল না । ব্রিটিশরাই চীনের বাইরে চায়ের ব্যবহার ছড়িয়ে দিয়েছিল । তারা লক্ষ্য করেছিল ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চল চা চাষের উপযোগী । তাদেরই চেষ্টায় বর্তমান পশ্চিম বঙ্গের দার্জিলিং জলপাইগুড়ি জেলা , বর্তমান আসামের কিছু অঞ্চল ও বর্তমান বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে অসংখ্য চা বাগান ও চা প্রক্রিয়া করন কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছিল ।  সেই সব চা বাগা

জাপানি কবিতার সংক্ষিপ্ত রূপরেখা - শংকর ব্রহ্ম || প্রবন্ধ || নিবন্ধ || Article writing

  জাপানি কবিতার সংক্ষিপ্ত রূপরেখা শংকর ব্রহ্ম                    আমরা জানি, উদিয়মান সূর্যের দেশ, চেরী ফুলের দেশ হিসাবে বিখ্যাত জাপান। অন্যদিকে জাপানকে 'হ্রষতম কবিতার দেশ।' বলা হয়ে থাকে।                     জাপানি কবিতা অন্যান্য দেশের কবিতার মতো নয়। সে দেশের কবিতা অবিমিশ্র- কাব্যিক ও অকাব্যিক কোন বিবেচনা প্রসূত নয়। কবিতার আকৃতি এখানে মূলতঃ হ্রস্বতম। জাপানের হাইকু (Haiku) কবিতার কথা আমরা অনেকেই জানি।              এদের কবিতা চীনের কবিতার কাছে ঋণী হলেও জাতীয় মানসিকতায় পরিস্রুত। জাপানী কবিতা চীনের মতোই সংযত ও সংহত। ফলে তাদের কবিতায় অনেক কিছুই অনুক্ত (না বলা থাকে)। এক ফুলের কলির বিকাশে, সমগ্র বসন্তকে ধরার চেষ্টা এখানে কবিতায়। সন্ধ্যা ঝরা পাতার দৃশ্য বর্ণনায় হেমন্তকে ধরার প্রচেষ্টা। ঘাসের উপরে শিশির ফোটার দৃশ্যে সমগ্র জীবনের অনিত্যকে ধরার চেষ্টা। জাপানে কবিতা চর্চা সমাজের সকলেই করে। কবি বলে আমাদের এখানকার মতো, ওখানে কোন রকম কোন আলাদা কবি সম্প্রদায় নেই। সকলেই মোটামুটি কবিতা লিখতে পারেন। অনুভূতির প্রাধান্য ও ছন্দের সারল্যই এর মূল কারণ।           জাপানের বেশীর ভাগ কবিতাই 'তানকা'

মতুয়া সম্প্রদায়: আরেকটি আত্মঘাতী হিন্দুদের দল - বরুণ মণ্ডল || প্রবন্ধ || নিবন্ধ || Article writing

  মতুয়া সম্প্রদায়: আরেকটি আত্মঘাতী হিন্দুদের দল বরুণ মণ্ডল     হিন্দু তথা সনাতন ধর্মের বিভেদের অন্ত নেই। শাক্ত, বৈষ্ণব তো ছিলই। এসেছে মতুয়া, জগৎবন্ধু, অনুকূল পন্থী, লোকনাথপন্থী, ব্রাহ্মণ্যবাদী, রামকৃষ্ণ মিশন, আউল, বাউল, ফকির, কর্তাভজা বা সহজিয়াপন্থী ইত্যাদি অগুনতি ধর্মমত। কেউ কারো সমালোচনা করতে ছাড়েন না; যুক্তি দেন তারাই ঠিক, বাকিরা ভুল। আর সুবিধাবাদী হিন্দু বিরোধীরা ভদ্রলোকের মুখোশ পরে হিন্দু ধর্মের মধ্যে ডিভাইড এন্ড রুলস পলিসি চালানোর জন্য সাধারণ হিন্দু জনতাকে বোঝায় 'যত মত তত পথ'! ধর্মের এই ভুলভুলাইয়াতে সাধারণ হিন্দুরা আজ নাজেহাল।     বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ ধর্ম সম্পর্কে অসচেতন। ফলে ধর্মের তত্ত্ব নিয়ে তাদেরকে 'হিপটোনাইজ' করা খুবই সহজ। এই কারণে ধর্ম নিয়ে ব্যবসা আজ চূড়ান্ত পর্যায়ে। দোষ ধর্মের নয়, এ দোষ অজ্ঞতার। যত মত তত পথের দোহাই দিয়ে সংকীর্ণ ধর্মপথ বা ধর্মের শাখাগুলোকেও মহামূল্যবান মনে করে মুখ্য বা ধর্মের মাতৃস্বরূপ 'সনাতনধর্ম'কে হেলাফেলা করার চেষ্টা করে। একদল ধর্মের যত মত তত পথের ভুলভুলাইয়াতে পড়ে ধর্মকেই অসম্মান বা অমান্যতা করে। যেমন কিছু সাম্প্

জানুয়ারি সংখ্যা ২০২৩ || January Sonkha 2023 || Monthly Magazine || প্রথম পাতা - সূচিপত্র ও সম্পাদনা

Image
  পত্রিকা সম্পাদনা যে একটা সহজ কাজ নয়, তা প্রত্যেক সম্পাদক-ই জানেন। আসলে কবিত্ব শক্তি নিয়ে বাঁচতে চাই এমন মানুষদের পর্যবেক্ষণ করা কতটা কঠিন তা অনেক মানুষ জানেন। ওয়ার্ল্ড সাহিত্য আড্ডার মাসিক পত্রিকার জানুয়ারি সংখ্যা বের করার জন্য যে লেখা আহবান করা হয়েছিল। তারজন্য যথেষ্ট সাড়া আমি পেয়েছি। আমি যদিও আমার পত্রিকার কাজে সম্পূর্ণ একা। তবে আপনাদের মত লেখক সমাজ নিজের সৃষ্টি করলাম নিয়ে আমার পাশে থেকেছেন , এতে আমি খুশি।  যাই হোক ইতিমধ্যে সম্পাদনার কাজ শেষ। পত্রিকা প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। আপনারা যাদের লেখা এখানে মনোনীত হয়েছে তাদের এবং বাকি লেখকদের যাদের লেখা মনোনীত হয়নি তাদেরকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনারা অবশ্যই পরবর্তীতে আমাদের পাশে থাকবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সকল বন্ধুদের। সকল পাঠকদের। সকল সাহিত্য পথিকদের। ভালো থাকুন সবসময়। লেখাই থাকুন। ভালোবাসা রইল। বিঃদ্রঃ - নীচে দেওয়া সূচিপত্র টি ভালো করে পড়ুন। সকলেই নিজের নামে ক্লিক করুন। ওটাই আপনার লেখার লিংক।👇👇👇🙏 _________________________________________ __________________________________________                       (সূচিপত্র) বাংলায় কবিতা লি

কিষ্কিন্ধ্যা কাণ্ড - শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় || রম্যরচনা/মুক্তগদ্য

কিষ্কিন্ধ্যা কাণ্ড     শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়   ১ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নয়। আবার গাছ-গাছালি মোরাম বেছানো রাঙা পথ থাকলেও বিশ্বভারতীর সঙ্গেও ঠিক মেলে না। ওটা বড্ড বড় আর ছড়ানো। আবার যাদবপুরের মতোও বলা যায় না। কারণ বর্ধমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচিল ঘেরা কোনও একটি নির্দিষ্ট ক্যাম্পাস নেই। বিভিন্ন পড়াশুনোর বিভাগের একাধিক ইমারত, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার বা সেন্ট্রাল লাইব্রেরি, গবেষক ছাত্রদের আবাসন এগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে গোলাপবাগের মনোরম পরিবেশে। বড় বড় পুকুর, দীঘি, পরিখা আর ছায়াতরু। পরিখাগুলোই কোনও কোনও দিকে গোলাপবাগের সীমানা। গোলাপবাগের সংলগ্ন তারাবাগে অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের কোয়ার্টার আর ছাত্রী ও গবেষিকা ছাত্রীদের হোস্টেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের দপ্তর আবার প্রায় এক কিলোমিটার দূরের রাজবাটীতে। তারাবাগ থেকে রাজবাটী যাওয়ার পথে পড়ে কৃষ্ণসায়র পার্ক আর পর পর ছেলেদের হোস্টেলগুলো। ছাত্রীর সংখ্যা বেশি হলেও ছাত্রীনিবাসের চেয়ে ছাত্রাবাসের সংখ্যা বেশি। গোলাপবাগ থেকে সরাসরি তারাবাগ যাওয়ার রাস্তায় পড়ে কচুরিপানা ঢাকা একটা পরিখা, যা পেরোতে হয় একটা জেড আকৃতির কাঠের সাঁকো দিয়ে। সাঁকো দিয়ে অনেকে

জীবন যেমন - আশীষ কুন্ডু || গল্প || ছোটগল্প || বড় গল্প || অনুগল্প || Story || Short story

জীবন যেমন আশীষ কুন্ডু রূপক চাকরি নিয়ে চলে এসেছে আজমীর।  নিরালা রাত- আকাশ কথা বলে মনের সাথে। তৃষার কথা ভুলে যেতে চায় সে। পারছে না। জীবনের প্রথম ভালোবাসার এই পরিণতি হবে ভাবেনি সে। অনেক দিন পরে স্বস্তির বৃষ্টি হোলো আজ বিকেলে। মনটা আরো উদাস করে দিয়ে গেছে। টুয়েলভে পড়ার সময়টা ভুলে থাকা দায়- অবসর সময়ে মনটা খোঁচায়। তৃষা --একদিন এসেছিল পাড়ায়। পূজোর ঠিক পরে। অনীকদের দোতলায় সেদিন আলোর মেলা। রূপক গেছিলো বিজয়া করতে অনীকের বাড়ি। অনীক পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলো," আমার মামাতো বোন তৃষা।" তৃষার দীঘল চোখে লেগে থাকা হাসি, কেমন একটা ঘোর লাগা অনুভূতি যেন। এরপরে শীতের ছুটিতে পিকনিকে দেখা।  এরপরে সুনামী ভালোবাসার। গঙ্গার পাড়ে শেষ বিকেলের আলোয় সারাজীবন একসাথে চলার অঙ্গীকার।চাকরি পেতে দেরী হয়নি সদ্য ইনজিনিয়ারিং স্নাতক রূপকের। এরমধ্যে চুল পড়ে যেতে লাগলো রূপকের। অনেক ডাক্তার দেখিয়েও লাভ হোলো না। মাথা ফাঁকা হয়ে ভুরুর লোমও পড়ে গেলো। অটো ইমিউন ডিজিজ।অনেক চিকিৎসা হোলো,হোমিওপ্যাথি থেকে আ্যলোপাথি হয়ে আয়ুর্বেদে।সারেনি রোগটা। তৃষা জানালো ওর পক্ষে সম্পর্ক রাখা সম্ভব নয়।  রূপকের দীর্ঘশ্বাস পড়লো। দূরে অজ্ঞাত কোথাও হয়তো

চারু লেন রহস্য - প্রতীক মন্ডল || গল্প || ছোটগল্প || বড় গল্প || অনুগল্প || Story || Short story

  চারু লেন রহস্য প্রতীক মন্ডল (১) "রাগ, ষড়রিপুর মধ্যে এমন এক রিপু যা খুবই ধ্বংসাত্মক। কিন্তু, তার চেয়েও বড় রিপু হয়ে উঠতে পারত মানসিক বিকৃতি। বিকৃত মানব কখন যে কি দেখে, কি করে, কি বলে, কেউ জানে না যে। তাদেরকে বেঁধে রেখে দিলে সামাজিক চোখরাঙানি, ছেড়ে রাখলে মৃত্যুর হাতছানি। কিভাবে? একটু ভাবুন। ভাবলে দেখবেন যে, বিকৃত মনের মানুষের সঙ্গে আপনি নিজের অজান্তে যা যা দুর্ব্যবহার করেছেন সবই সে ফিরিয়ে দিতে চায়। সেটার জন্য একটা ছুরিই যথেষ্ট। সুতরাং, সময় থাকতে সাবধান হোন।"     প্রতিবেদনটা মন দিয়ে পড়লেও লেখার ভঙ্গিমাটা তার একদমই পছন্দ হয়নি। হতেও পারে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন অপমানজনক সুরে প্রতিবেদনটা লেখা! খবরের কাগজটা মুড়ে স্টেশন থেকে নামলেন প্রদ্যুৎ বাবু। শেষের অংশটুকুতে যা বলেছে তা খারাপ লাগলেও, কিছু জিনিস ঠিক। কারণ তার রাতে ঘুম ক'দিন ধরে হচ্ছেই না। মাথা ধরছে, মাথায় ভুলভাল চিন্তা আসছে, দুঃস্বপ্ন দেখছেন, আরো কত কি! কেন হচ্ছে, তা তিনি বুঝতেও পারছেন না। এবং সত্যি বলতে বাকিদের বুঝতে দিচ্ছেন না। আসলে তাঁর জীবনে একটা গোপন দুঃখ আছে, যেটাকে ব্যর্থতা বললেও ভুল হবে না। তাঁর কোন সন্তান নেই।